নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমজাদ রিয়াদ

আমজাদ রিয়াদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদিবাসি কোটা থাকা উচিৎ কিনা?

০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ২:১০

এক ছোট ভাইয়ের জিজ্ঞসা

★সরকারি চাকরি/ বিশ্ববিদ্যালয়
ভর্তি/ মেডিকেল কলেজ-এ ভর্তির
ক্ষেত্রে আদিবাসী কোটা ( সরকারি
ভাষায়- উপজাতি কোটা) রাখা
উচিত কিনা???
=অনেকদদিন ধরে ভাবতেছি, কোটা
বিষয়ে কিছু একটা লিখবো।
-কোটা জিনিসটা আসলেই কি??
=যারা সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত,
পশ্চাদপদ তারা যেন আধুনিক সমাজের
সাথে মিশতে পারে এবং তাদের
উন্নয়নের জন্য সংরক্ষিত বিশেষ
ব্যবস্থাকে কোটা পদ্ধতি বলে(আমার
ব্যক্তিগত মতামত)।
=আমি এইচএসচি পাশ করার পর এই
# কোটা নামক বিশেষ শব্দটার সাথে
পরিচিত হই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
পরীক্ষার সময়। এর আগ পর্যন্ত আমি
জানতাম না এমনকি শুনিও নি। যাক,
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম
অভিজ্ঞতা হলো, তুমি কোন জেলা
হতে?? উত্তর যদি রাঙ্গামাটি,
খাগড়াছড়ি বা বান্দরবান হয়, তাহলে
নির্ঘাত ধরে নেয়া যায় যে সে
উপজাতি কোটায় ভর্তি হয়েছে।
এক্ষেত্রে আমিও ব্যতিক্রম না। আর
এজন্য বন্ধুরা সারাক্ষণ বলত, তোমার
তো কোটা আছে, কোনরকম পাশ
করলেই বিসিএস ক্যাডার হতে পারবি!!
সারাক্ষণ কোটা নিয়ে আলোচনা
করা সত্যিই শুনতে খারাপ লাগে। প্রশ্ন
হতে পারে খারাপ লাগবে কি জন্য??
উত্তর, সোজা কথা, শুধুই তো আমি
কোটা নিয়ে ভর্তি হয়নি, এখানে
সেটেলার কোটা( যেটাকে অ-
উপজাতি কোটা বলা হয়), ওয়ার্ড
কোটা (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,
কর্মচারীর সন্তান-সন্ততি ভর্তি করা
হয়), মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইত্যাদি
কোটায় তো অনেকেই ভর্তি হয়েছে,
তাহলে শুধুই আমাকে কেন কোটা
নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়?? উত্তর
সোজা কথা, আদিবাসীদের হেয়
করার জন্য।
★আদিবাসীদের কেন কোটার
প্রয়োজন?
=ছোটবেলা থেকেই মায়ের ভাষায়
অর্থাৎ চাকমা ভাষা শুনেছি, কথা
বলেছি এবং চাকমা ভাষায়ই আমার
মাতৃভাষা। বাংলা রাষ্ট্রভাষা
হওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকে
""চুচ্যাঙ্যা-কা, গুজংঙ্যা-খা"" এগুলো
না শিখে শিখতে হয়েছে অন্যের
ভাষা যেমন - অ, আ, ক, খ A, B, C D।
যেগুলো আমার মাতৃভাষা ছিলো না।
তবুও জোর করে শিখতে হয়েছে জ্ঞান
অর্জনের নিরিখে। বিশ্বাস করবেন
কিনা জানি না, আমি অষ্টম শ্রেণি
পর্যন্ত বাংলা এবং ইংরেজি না
বুঝেই শুধু পড়তাম কারণ সহজে সেগুলো
নিজের কাছে বোধগোম্য হয় না বলে।
আর এই ভাষা জটিলতাই কোটার অন্যতম
দাবিদার। কেন???? আরে বাঙালিরা
তো নিজেদের মাতৃভাষায় পড়াশুনা
করতেছে, তাদের তো একটু চিন্তা
করলেই পরীক্ষায় লেখা যায়, যেটা
আদিবাসীদের নিকট চিন্তা করতে হয়
২-৩ বার কারণ, নিজের ভাষায় যদি
বিষয়টা বুঝতে না পারি, তাহলে
অন্যের ভাষায় লিখবো কিভাবে?????
=সোজা কথা আমি বাঙালিদেরকে
চ্যালেঞ ছুড়ে দেবো যে, আপনারা
যদি আমার চাকমা ভাষায় পড়াশুনা
করেন, তাহলে আপনাদের কাছে তা
সহজে বোধগম্য হবে না এবং আপনারা
আমাদের সঙ্গে আর পেরে উঠতে
পারবেন না, সেক্ষেত্রে আপনারাও
চাকরি লাভের আশায় কোটার
ব্যবস্থার দাবি করবেন।
★আর শহরের পড়াশুনা এবং গ্রামের
পড়াশুনা এক না। আমরা ছোটবেলায়
পড়েছি মাত্র ৩টা বই, তাও পাশ করতে
পারি না, বুঝতে পারি না, উপযুক্ত
শিক্ষকের অভাবে। আর আপনারা
শিখেছেন শহরে, পড়ছেন মাতৃভাষায়,
পেয়েছেন দক্ষ শিক্ষক ও
মাল্টিমিডিয়ার ক্লাস রুম যা আমি এই
প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখতে
পাচ্ছি!!
=এত কিছুর পরও যদি সরকার আদিবাসী
কোটার প্রয়য়োজন মনে না করে, তবে
বুঝবো, সরকার বা সেইসব বাঙালি
যারা অন্য জাতির ভাষা-
সংস্কৃতিকে হিংসা করে, তাদেরকে
পিছিয়ে রাখতে চাই। আর এই দমন-
পীড়ন-অত্যাচার থেকেই জম্ম হয় কোন
এক বিদ্রোহীর যা তার জাতীয়
অস্তিত্ব রক্ষার্থে দেশদ্রোহী হতে
বাধ্য করে।
# আদিবাসী কোটা বিরোধীদের
কাছে সঠিক উত্তর চাই? ?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

সালমা শারমিন বলেছেন: কয়েকদিন আগে একটা লিখা পড়েছিলাম।লিখাটার শিরোনাম ছিল "কোটা প্রথার বোটা সহ উঠিয়ে দেয়া উচিত"।আমারও তাই মনে হয়।
আমরা যারা বিদেশে পড়া শুনার জন্য যাই,তারাতো ইংরেজী ভাষাতেই পড়াশুনা করতে হয়।এবং অনেক ভালো ফল নিয়েই আমাদের দেশের ছাত্ররা কৃত্বিত্বের সাথে উত্তির্ণ হচ্ছে।কই, সেখানে তো আমাদের কোন কোটা প্রথা নেই। এবং সেখানে বাংলাদেশ থেকে কোন চাকমা গেলেও তাকে ইংরেজীতেই পড়তে হবে।এবং চাকমা হোক আর বাংলাদেশি হোক, প্রতিভা থাকলে সবাই সব জায়গায় অংশ গ্রহন করতে পারে এবং সুযোগও করে নিতে পারে।

আপনি চাকমা হওয়ার কারনে কম প্রতিভাবান হওয়া সত্বেও আর একজন বন্চিত হচ্ছে,তা কেন হবে। ইন্ডিয়ার দিকে তাকান, তাদের এক এক জায়গায় এক এক ভাষা। কই।তাদের ভাষার জন্যতো কোন কোটা প্রথা নেই।বাংলা কঠিন মনে হলে ইংরেজীতে পড়েন।নিষেধ তো নেই। এটা ঠিক বাংলার প্রত্বন্ত অঞ্চলে পড়া শুনার মান ভাল না। এই বিবেচনায় আনতে গেলে আরো অনেক মানুষকেই কোটার আওতায় আনতে হবে।

রিকশা আলার কোটা-কারন পর্যাপ্ত সুজোগ সুবিধা তারা পায় না
পথশিশুর কোটা-তাদেরও একই অবস্থা
ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রদের কোটা-কারন তারাও বাংলা পারে না।

আমার যতটুকু জানা-মাত্র ৪৫% মেরিট দের জন্য।বাকি ৫৫% কোটা যুক্ত।
তাহলে বলেন আপনি বিসিএস কেডার হয়ে নীতি নর্ধারনী স্হানে চলে যাবেন।দেশের সব ভাল ভাল চাকরি করবেন, কিন্তু ভালোর প্রতিযোগিতা দিতে পারবেন না,এটা কেমন করে হবে। আর এতে করে দেশের টেলেন্ট গুলোতো সব চাপা পড়ে যাচ্ছে।দেশতো অলরেডি ধ্বংসের দার প্রন্তে চলে আসছে।

২| ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

সুমন কর বলেছেন: লেখাগুলো এমনভাবে কেন?

৩| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: যেহেতু আদিবাসীরা মাতৃভাষায় লেখা-পড়া করতে পারে না,তাদের কষ্ট টা বেশী।এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পরিক্ষায় তাদের ৫০%বেশি নম্বর দেওয়া উচিত।ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছাত্রদেরও এই সুবিধা দেওয়া উচিত।আর বাংলাদেশি ও বাঙালী ছাত্ররা যখন স্টেটস,কানাডা,ইংল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়া তে পড়তে যাবে,তখন তাদেরও ৫০% নাম্বার বেশি দিতে হবে।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:১০

সালমা শারমিন বলেছেন: জাহিদুল ভাই, চলেন স্টেটস,কানাডা,ইংল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়াতে কোটার দাবিতে অসহযোগ আন্দলন শুরু করি।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কোটা থাকা উচিত, তবে হারটা কত হবে সেটা রিভাইজ করা দরকার।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: যুক্তি তো তাই বলে,সালমা শারমিন সিস।তবে আন্দোলন শুরু করার আগে নিজেকে যথেষ্ঠ যোগ্য করে গড়ে তোলা উচিত।শুধু কোটার আডভান্টেজ নেওয়া ঠিক না।

৭| ০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
কোটা সিস্টেমের প্রধান দুর্বলতা এখন হচ্ছে মেধায় আসে মাত্র ৪৫ ভাগ। আবার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৩০ ভাগ!

উপজাতি কোটা ৫ ভাগই থাকুক, অসুবিধা নেই। যদিও দেখা দরকার কোটা যারা উল্লেখ করেনি তাদের নিয়ে যেন সেই হারটা ৫ ভাগের বেশি না হয়। ৫ ভাগের কম হলে সেটাকে টেনে ৫ ভাগ করা যেতে পারে, কারন দেশের জনসংখ্যার ১০ ভাগের মতো হচ্ছে তারা, ৫ ভাগ রাখা যেতেই পারে সর্বস্তরে সব জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহন নিশ্চিত করার জন্য। জেলা কোটাও সমস্যার নয়, কারন মেধার ভিত্তিতেই সেখান থেকে জেলার সেরারা বেরিয়ে আসবে। কিন্তু নারী কোটা ১০ ভাগ বেশি হয়ে যায়, এটাও ৫ ভাগ করা যেতে পারে। আর স্বাধীনতার প্রায় ৪৫ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরী প্রত্যাশী সন্তানের সংখ্যা খুব বেশি হবার কথা না। এই হারটাও ৫ ভাগ করা যেতে পারে এবং একসময় উঠিয়ে দেয়া যেতে পারে যখন মনে হবে এই সময়ে আর মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরী প্রত্যাশী সন্তান থাকার কথা না।

সেক্ষেত্রে কোটায় যাবে ৫+৫+১০্+৫=২৫ ভাগ। যাদের অন্তত ৫-১০ ভাগ মেধাবী হবার কথা।

সেক্ষেত্রে মেধাবীদের বেছে নেবার হারটা ৭৫-৮০ ভাগে এসে দাঁড়াবে ৪৫ ভাগ থেকে। এটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়।

আবার দলীয় প্রভাব তো এখন বিশাল ব্যাপার, ওইসব প্রভাব মুক্ত না হতে পারলে এসব করেও বিশেষ সুবিধা হবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.