নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৎ মানুষদের পছন্দ করি ! নিজে সৎ থাকার চেষ্টা করি !!!

আসছে নতুন প্রজন্ম , আসবে নতুন দিন !

আহমেদ আলিফ

তোমাকে একটি নতুন সকাল এনে দিবো ...

আহমেদ আলিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলিফে এর কথা...!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

আমার ছেলে নাম "আলিফ আহমেদ" তার জন্ম ৩০/৬/২০০৯

সে আমার একমাত্র সন্তান। (আর একজন অবশ্য সিরিয়ালে আছে)

আমার ব্লগ আইডি টা তার নামে করা। এবং প্রোফাইলের ছবিটাও তার। তার নামে আইডি খুলার কারন সে যখন ব্লগিং করবে তাকে যেনো কয়েক মাস ওয়াচে থাকতে না হয় (মজা করলাম)। আসলে এই ব্লগ পড়ে তার বাবা সম্পর্কে একটি পষ্ট ধারনা হবে (যখন আমি থাকবো না এই ব্লগটি তার বাবার স্মৃতি ভান্ডার হিসাবে কাজ করবে)



আগে আমি ডায়রি লিখতাম। চাকরির পর বিশেষ করে বিয়ের পর এটা লিখার আর সময় করতে পরি না। কিন্তু কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন ব্লগ ভিজিট করতাম। হঠাৎ ভাবলাম ব্লগে একটি আইডি খুলে আমি ব্লগকে ডায়রি হিসাবে ব্যবহার করতে পারি। যে ভাবা সেই কাজ খুলে ফেললাম একটি আইডি।



ব্লগে লিখার একটি সুবিধা হলো, এখানে ভালো একটি লেখা লিখলে অনেকেরই উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য পাওয়া যায়। এতে মনটা যেমন ভালো লাগে তেমনই লিখার উৎসাহও থাকে। কিন্তু কিছু লিখা আছে যেটা আমি চাই না গনহারে সবাই পড়ুক (কেউ কেউ পড়ুক)।



তাই একটা বুদ্ধি করলাম। আমার পুরাতন একটি পোস্টকে ইডিট করে নতুন শিরোনাম দিলাম ও এর কমেন্ট গুলি মুছে দিলাম। যেমন এই পোস্টটি। তার পর এখানে আমি ইচ্ছা মত লিখবো । এতে পোস্টটি প্রথম পাতায় যাবে না কিন্তু যারা আমার ব্লগে ঢুকবে তার হয়তো পড়তে পারবে

এখানে আমি লিখবো, আমার অতিত, বর্তমান , ভবিষ্যত। আমার প্রত্যাশা, প্রাপ্তি। আমার সফলতা, ব্যর্থতা। আমার ভালো লাগা , কষ্ট পাওয়া। আরো লিখবো নতুন প্রজন্মের প্রতি প্রত্যাশা তাদের প্রতি উপদেশ, নিষেদ, চলার গাইট লাইন.........



চলবে......







বাবার কাঁধে আলিফ







আলিফের সাথে তার আব্বু



১১/১২/১৩: আলিফ কে খায়াতে সাথে একটি পানির গ্লাস সাথে রাখতে হয়। প্রতিটি লোকমার সাথে তার এক ঢুক পানি খেতে হবে। সারা দিন যে পানি খায় তার চেয়ে বেশি পানি খায় ভাত খাবার সময়। মাঝে মাঝে তার মা যখন খাওয়ায় আমি পানির গ্লাস নিয়ে রেড়ি হয়ে থাকি । পানি দিতে দেরি হলে সে শুধু হাত ঝাঁকাবে এতেই বুঝতে হবে পানি দিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।



ভুলে যদি তার পিঠে হাত পড়ে যায় তাহলেই বলতে থাকবে পিঠ চুলকিয়ে দাও। নোখ দিয়ে.... একটু উপরে.... বেশি করে....



তার শিশ করার জন্য বিশেষ একটি লাল রং এর শিশ পট আছে।



২০/১২/১৯: আলিফের বয়স এখন ৪ বছর ছয় মাস, কিন্তু তার লেখাপড়ার অগ্রগতি মোটেই সন্তুষ্ট জনক নয়। তার সমবয়সী অনেক বাচ্চাই অ, আ শিখে লিখতেও পারে আর সে এখনও মুখস্তই করতে পারলোনা । তাকে যখন পড়াতে বসানো হয় সে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। মনোযোগ দিয়ে পড়তে তাকে কখনোই দেখি নাই।



তার মা এর কাছে তাও একটু পড়ে কিন্তু আমার কাছে একটু কথাও শোনে না। কারন আমি এখনও শাসন শুরু করি নাই। তার মা একটু আকটু হাত তুলে।



ভাবতেছি আগামী বছর থেকে একটু শাসন করতে হবে। কারন ছেলের ভালোন জন্যই এটা দরকার। আসলে ছোটবেলায় এতো বেশি শাসনে ছিলাম/ মার খেয়েছি যে নিয়ত করেছিলাম আমার ছেলেকে কখনোই মারবো না ।



লেখাপড়ায় অমনোযোগী হলেও অন্য দিকে তার খুব আগ্রহ। যেমন এই বয়সেই সে এসি কারেন্ট ডিসি কারেন্ট, নেগেটিভ পজেটিভ, অক্সিজেন হাইড্রোজেন নাইট্রোজেন কার্বন ডাই অক্সাইড , সালফিউরিক এসিড, সায়ানাইড বিষ, নাইট্রাইড বিষ, টপসিন বিষ ইত্যাদির নাম তার জানা আছে।



১৬/০১/১৪: আলিফ মোবাইলে সাপ গেমটা খেলতে শিখেছে কয়েকদিন হলো। প্রথম প্রথম ২-৩ এর বেশি করতে না পালেও এখন সে ৪০ পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু যখনই সাপটা ওয়ালের সাথে বেজে গেম ওভার হয়ে যায় তখন সে রেগে আমাকে বলে

: আব্বু গেমের ভিতরে ওয়াল কে দিয়েছে?

আমি: যেহেতু চায়না মোবাইল তাই মনে হয় চায়না লোকেই দিয়েছে!

আলিফ: চাইনা লোককে ধরে নিয়ে আসো, তাদের খাবো!

আমি: চিন্তা করে...... চায়না লোকদের আমি একা কিভাবে ধরে নিয়ে আসবো? তাদের সাথে কি আমি একা পারবো?

আলিফ: বন্দুক নিয়ে যাবা!

আমি: বন্দুক কোথায় পাবো?

আলিফ: আর্মির কাছ থেকে নিবা!

আমি: ঠিক আছে, অপিস থেকে আসার সময় দেখবো।





অফিস থেকে আসার পরে আবার খেলতে গিয়ে গেম ওভার হলে রেগে আমাকে বললো

তোমাকে না বলেছি চায়না লোকদের ধরে নিয়ে আসবা, আসোনি কেনো?

আমি: আর্মিতো আমাকে বন্দুক দিতে চায়না। বলে কি সরকারের অনুমতি ছাড়া বন্দুক দেওয়া যাবেনা।

আলিফ: সরকারকে ধরে নিয়ে আসো, সরকারকেই খাবো!

আমি: এখনতো রাতের বেলা, সরকার ঘরে চলে গেছে দেখি সকালে ধরে নিয়ে আসবো

আলিফ: না এখনই যাও, সরকারকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে আসো

আমি: সরকার তো ঘরের দরজা বন্দ করে ভিতরে বসে আছে। এখন তো রাতের বেলা দরজা খুলবে না

............................



১৭/০১/১৪: আলিফ সি এন কার্টুন চেনেলে দুইটি কার্টুন বেশি দেখে এক- টম এন্ড জেরী দুই-ওগী । এই দুটি কার্টুন শুরু হলে অন্য কোনো চেনেল দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। বিশেষ করে টম এন্ড জেরীর সময়। টম এন্ড জেরী শুরু হলে সে শিশ পর্যন্ত চাপিয়ে রাখে। আর এই সময় তাকে খায়ানো খুবই সহজ। সে কি খাচ্ছে সেদিকে তার খেয়াল নেই। এই সুযোগে তাকে তার অপছন্দের খাবারও খায়ানো যায়।

মাঝে মাঝে তার পছন্দের পর্ব শুরু হলে আমার মাথা জুর করে টিভির দিকে করে রাখে। বলে তাকিয়ে থাকো, দেখে কি হয়। আমিও টম এন্ড জেরী পছন্দ করি কিন্তু আমার ছেলের মত নয়।

তার মা যখন অন্য চেনেল দেখে তখন মাঝে মাঝে সে বলে "দেখি তো চেক করে কোন কার্টুন টা হচ্ছে।







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

আদম_ বলেছেন: বহু দিন তো হযে গেল এবার লিখেন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ভাই! আপনার অনুরোধে কিছু লিখলাম!

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

জো জো বলেছেন: আমারও ওগী কার্টুন প্রিয় !:#P !:#P !:#P

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আমার ব্লগে স্বাগতম!
কার্টুন দেখা আমার ছেলের নেশার মত হয়েগেছে।
কিভাবে যে কমাবো....

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

জো জো বলেছেন: আমি সুযোগ পেলে এই বয়সেও দেখি আর ওরাতো দেখবেই।

আপনার ছেলে এবং ছেলের মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.