![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকে একটি নতুন সকাল এনে দিবো ...
আগের পর্বের পর....
তো চলছিলো SMS চালাচালি। একটা SMS আসলেই প্রায় সারাটা দিনই ভালো যেতো। আর প্রথম দিকে সে দিনে প্রায় ৫-৬ টা SMS পাঠাতো, পরের দিকে এই সংখ্যা আরো বাড়ে।
এখনকার মতো তখন সার্ভার থেকে মিনিটে মিনিটে ভূয়া SMS আসতো না। SMS এর রিং বাজা মানেই তার SMS এসেছে। অন্য কেউ আমাকে SMS করতো না তাই SMS এর রিং এর শব্দটা আমার খুব প্রিয় ছিলো। SMS আসলেই হার্ট বিট বেরে যেতো আর বুকের ভিতর শুরু হতো উথাল-পাতাল।
সপ্তাহ খানিক SMS চলার পর এক সন্ধ্যায় সে ফোন করে, আমি তখন মাগরিব নামাজ পড়ছিলাম। রিং বাজছে... রুমে ছিলো আমার সম্পর্কে এক মামা। মামা মোবাইলে দেখে এক বিশেষ ধরনের নাম লিখা। আমি তার নামটা সাংকেতিক ভাষায় লিখেছিলাম যদিও তখনও আমি তার রিয়েল নামটা জানতাম না। আবার রিং হলে মামা রিসিভ করে।
অপর প্রান্ত থেকে জানতে চায় আমি আরমান বলছি কিনা। মামা বলে আরমান নামাজ পড়ছে, আমি তার মামা। সে বললো তাকে বলবেন আমি (তার নাম) ফোন করেছিলাম।রাত্রে সে আবার ফোন দেয়। অবশেষে তার সাথে কথা হয় শুরু হলে দ্বিতীয় পর্ব।
প্রথম থেকেই তাকে আমার অবস্থাটা বুঝিয়ে বলি এবং আমার সম্পর্কে প্রত্যেকটা কথাই সত্য বলি। ঠিক আছে সিদ্ধান্ত হয় আমরা দুজনে ভালো বন্ধু হবো। আমি SMS এ কোনো কথা যে ভাবে সাবলিল ভাবে লিখতে পারতাম কিন্তু ফোনে কথা বলার সময় সে ভাবে গুছিয়ে বলতে পারতাম না।
এক মাসের মধ্যেই আমার শারিরিক ও মানসিক অসুস্থতার জন্য আমি চাইছিলাম সম্পর্কটা ইতি হোক এবং কয়েক বার চেষ্টাও করলাম কিন্তু ইতোমধ্যেই আঠা অনেকটা লেগে গেছে। যাই হোক সম্পর্কটা চলছে। তার SMS এ খুশি হতাম আবার ঝগড়া হলে মন দ্বিগুন খারাপ হতো।
একবার সে বলে তোমার কোনো ছবি পাঠাতে পারবা? আমি বললাম ঠিক আছে তোমার কোনো মেইল এড্রেস থাকলে দাও। সে বললো না আমার কোনো মেইল এড্রেস নেই। হঠাৎ আমার মাথায় একটি প্লান আসলো। আমি বললাম ঠিক আছে আমার এক ফ্রেন্ডকে পাঠাতে পারি। সে বললো ঠিক আছে আমার কলেজের সামনে আসতে বলবা। কোথায় থাকবে, কি কাপড় পড়ে আসবে জানলে খুঁজে পেতে সমস্যা হবে না।
তার পর আমি আমার একটা সুবিধা মত ডেট দিলাম এবং কি কাপড় পড়ে আসবে জানিয়ে দিলাম। তখন আমার কম্পিউটারে আমার পাসপোর্ট সাইজের ছবি ছাড়া আর কোনো ছবি ছিলো না। সেটাকে বড় করে প্রিন্ট করলাম আর নিচে লিখলাম
"ভালোবাসা কখনো নীল আকাশ, কখনো অথৈ সমূদ্র"
ছবিটাকে খামের ভিতরে ভালো করে আঠা দিয়ে লাগালাম, যেনো আমি সামনে থাকতেই সেটা সে খুলে দেখতে না পারে।
তার পর সেই দিন আসলে সকাল সকালই আল্লাহ নাম নিয়ে বের হলাম। তাকে ফোনে জানালাম আমার বন্ধু রওনা হয়ে গেছে।
চলবে......
জীবন কথার বাকি পর্বগুলো এই বিভাগে
©somewhere in net ltd.