নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৎ মানুষদের পছন্দ করি ! নিজে সৎ থাকার চেষ্টা করি !!!

আসছে নতুন প্রজন্ম , আসবে নতুন দিন !

আহমেদ আলিফ

তোমাকে একটি নতুন সকাল এনে দিবো ...

আহমেদ আলিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন কথা১৪: প্রথম ইলেক্ট্রিক এক্সপেরিয়েন্স (ছোট বেলায়)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

ছোট বেলায় ইলেক্ট্রিক বিষয়ের প্রতি ছিলো আমার প্রচন্ড আগ্রহ। তখন আমার বয়স ৮/৯ । এত মধ্যেই আমি শিখে ফেলেছি কিভাবে একটি হোল্ডার ও একটি টু-পিন প্লাক দিয়ে লাইট জ্বালানো যা। কিন্তু এই বয়সে তো আমার কারেন্ট ধরা মানা।:((



আমাদের টিভির এন্টেনার তার, তিন-চার বছর রোদ বৃষ্টিতে একেবারে ঝুলি ঝুলি হয়ে গেছে। লাগানো হলো নতুন তার। পুরাতন তার টিকে আমি সযতনে রেখে দিলাম। তারপর মিল করলাম একটি পুরাতন হোল্ডার ও একটি টু-পিন। ( আমাদের বাড়ি বেশির ভাগ ইলেক্ট্রিক কাজ করতো আমার ছোট কাকা। কাকা যখনই ইলেক্ট্রিকের কাজ করতো আমি তার এসিসটেন্ট হিসাবে তার সাথে সাথে থাকতাম। তাই যত পুরাতন ইলেক্ট্রিক যন্ত্রাংশ আমার কাছে জমা হতো)



পুরাতন এন্টেনার তার টি আট দশটা জয়েন্ট দিয়ে হোল্ডার ও টু-পিনের সাথে কানেকশন দিলাম। তারের জয়েন্টের স্থানে ইনসোলেশন ট্যাপ না থাকার কারনে ইনসুলেট করতে পারলাম না। মনে করলাম সাবধানে শুধু পিনে মাথায় ধরে কানেক্ট করবো, সমস্যা হবে না।



এখন শুধু সুযোগ খুঁজতে ছিলাম। একদিন বাসার সবাই পাশের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ঘরে শুধু বুলি খালা, পেয়েগেলাম সুযোগ। কারেন্টের প্লাগটি ছিলো বাচ্চাদের হাতের নাগালের বাহিরে, একটু উচুতে। প্রথমে মই দিয়ে বাহিরের লাইট টা খুলে এনে আমার সার্কিটের হোল্ডারের সাথে লাগালাম। তার পর সিন্ধুকের উপরে উঠে সাবধানে টু-পিন টাকে লাগালাম এসি কারেন্টের প্লাগের সাথে।



কিন্তু কপাল খারাপ । আমার সঞ্চালন লাইনের আট দশটা জয়েন্টের কোথায় যেনো শর্ট সার্কিট ছিলো। ফাত করে একটি শব্দ হয়ে একটি স্পার্ক করলো। খালা বিছানায় শোয়ে ছিলেন শব্দ শোনো তিনি তাকিয়ে দেখেন আমি কারেন্টের প্লাগের কাছে। বললেন তুই কারেন্ট ধরেছিস! তোর মা আসুক......



আমি এমনিতেই ভয় পেয়েছিলাম, তার উপর এক্সপেরিয়েন্সটা সাকসেস হলে না হয় মাকে বুঝাতে পারতাম "তোমার ছেলে বড় হয়ে গেছে, তাকে কারেন্ট ধরতে দেওয়া উচিত" এখনতো আমাকে আর কারেন্টের কাছেই আসতে দেবে না:((



তাড়াতাড়ি আমার যন্ত্রপাতি সব সরিয়ে সবকিছু গুছিয়ে রাখলাম। মা'র কাছে বিচার দেবার পর বললাম "খালা না বুঝে উল্টা পাল্টা বলছে, আমি শুধু লাইটের সুইচ দিতে গিয়েছিলাম";)



(আল্লাহর রহমতে সেদিন কোনো বিপদ হয় নাই। কারন আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম খালি পায়ে লোহার সিন্ধুকের উপরে)





জীবন কথার বকি লিখাগুলো এই বিভাগে

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২

সুমন কর বলেছেন: ভাই, এ রকম ভয়ংকর খেলা আর খেলতে যাবেন না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ভাই! এখনতো বড় হয়ে গেছি, তবে আমার ছেলেকে বলবো...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

আদম_ বলেছেন: কারেন্টের লাথ্থি খাইছি কয়েকবার।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২৫

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের কোনো বিপদে পড়ি নাই!

(আচ্ছা, আপনার প্রোফাইলের ছবিটা একটু বুঝিয়ে দেবেন)

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

আদম_ বলেছেন: (আচ্ছা, আপনার প্রোফাইলের ছবিটা একটু বুঝিয়ে দেবেন)
একজন মানুষ মনের আনন্দে অথবা দু:খে রাতের বেলা বৃষ্টিতে ভিজছে।

কেন ছবিটা কি দেখতে খারাপ লাগছে?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ছবিটা সুন্দর, কিন্তু বৃষ্টির সময় আকাশে চাঁদ উঠলো কিভাবে?

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

আদম_ বলেছেন: চাদের আলো কি লাল হয়।
মে বি ইটস আন্ডার এ রেড লাইট ।
আপনি কি মনে করেছিলেন?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
প্রথম যখন দেখেছিলাম ভেবেছিলাম, একটি লোক মনের সুখে বৃষ্টিতে ভিজছে....
পরে আবার মনে হয়েছিলো, একটি লোক চাঁদের আলোতে ভিজছে....

যাই হোক ছবিটা আনকমন ও সুন্দর!!

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

আদম_ বলেছেন: ছবিটা দেখলে মনে হয়
বহু দিন বহু রাত, লোকটা কষ্টে ছিলো
অনেক দিন পর
হঠাত একটা মুক্তির আনন্দে আত্নহারা হয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে।
আবার উল্টোটাও হতে পারে।
প্রশংসার জন্য থ্যাংকু। কাঠি দিয়ে টাকা চুরি কবে লিখবেন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
কাঠি দিয়ে দাদার আলমারি থেকে টাকা চুরির ঘটনাটা ভেবেছিলাম লিখবো না, কিন্তু যেহেতু আপনি শুনতে চেয়েছেন তাই লিখবো ইনশাআল্লাহ!
তার আগে সময় পেলে সাঁতরে ব্রহ্মপুত্র নদ পর হতে গিয়ে কি বিপদে পড়েছিলাম সেটা আগে লিখবো
পড়ার আগাম দাওয়াত দিলাম!

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

সোহেল রনি বলেছেন: ভাগ্য ভালো কোন বিপদে পড়েন নি, ছোট বেলায় আমি আপনার মত চেষ্টা করেছিলাম দু`বার প্রতি বারেই ধাক্কা খাইছি।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
আমিও ছোটো খাটো ধাক্কা খেয়েছি কয়েকবার কিন্তু আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের বিপদ হয় নাই।

( সোহেল ভাই! আপনার চাকরি কেমন চলছে? গার্মেন্টস সেক্টর তো আপাতত শান্ত মনে হচ্ছে!)

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

আদম_ বলেছেন: হুরররে!
ওয়ান নিউ এপিসোড ইজ কামিং

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩০

শায়লা িসিদ্দক বলেছেন: এই ৩১ তারিখ আমার পিকনিক এর লাইট সেট করতে গিয়ে এমন হয়েছিল । কপাল ভালো ছিল যে আম্মু সামনে ছিল না ! কানেক্ট করার তার টা পুরানো ছিল, পরে অবশ্য নতুন তার কিনে আবার সব সেট করেছি :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২১

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ইলেকট্রিকের সব কাজই সাবধানে করা উচিত!
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ!

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২৪

সোহেল রনি বলেছেন: হুম ভালো....বাট আমি কনভার্ট হয়ে গেছি ভাই.....সময় করে বলবো একদিন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১১

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
এখন কোথায় কি করছেন?
সময় করে জানাবেন কিন্তু!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.