নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৎ মানুষদের পছন্দ করি ! নিজে সৎ থাকার চেষ্টা করি !!!

আসছে নতুন প্রজন্ম , আসবে নতুন দিন !

আহমেদ আলিফ

তোমাকে একটি নতুন সকাল এনে দিবো ...

আহমেদ আলিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন কথা১৫: সাইকেল এক্সিডেন্ট

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

ছোট বেলায় যখন সাইকেল চালাতে শিখি নাই তখন ভাবতাম সাইকেল চালানো খুব একটা কঠিন কিছু না। আমার যদি বড়দের মত লম্বা লম্বা পা থাকতো তাহলে আমিও চালাতে পারতাম। কারন সাইকেলে চড়ে প্যাডেল মারবো যদি কাত হয়ে পড়ে যেতে চাই তাহলে পা নামিয়ে দিবো (কত সোজা)



এক সময় আসলো টাবো সাইকেল (ছোটদের সাইকেল) । এটা দোকানে ৪টাকা/ঘন্টা ভাড়া পাওয়া যেতো। আমি আর আমার ছোট ভাই আলোচনা করলাম এটা আমরা চালাতে পারবো। কারন এই সাইকেল থেকে আমাদের পা মাটি পর্যন্ত পৌছাবে।



তো একদিন দুই টাকা মিল করে আধা ঘন্টার জন্য একটি সাইকেল ভাড়া করলাম। কিন্তু চালাতে গিয়ে বুঝলাম থিওরিক্যাল আর প্র্যাক্টিক্যাল এক না।/:) সাইকেল চালাতে আরও কিছু আয়ত্ব করতে হয়।



যাই হোক চালানো শিখে প্রথম যেদিন সাইকেল নিয়ে মেইন রোড়ে বের হলাম, দেখি সামনে এক লোক পানের বিরা মাথায় নিয়ে যাচ্ছে। আমি বেল দিতে বা ব্রেক করতে ভুলে গিয়ে বলতে থাকলাম "সরেন,সরেন " লোকটি তো আমার কথায় সরলো না, কি আর হবে সাইকেলের হেন্ডেল গিয়ে লাগলো লোকটার পিঠে।



লোকটার মাথা থেকে পানের বিরা পরে গেলো। রাগান্বিত হয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে ছোট একটি ছেলে। রাগ সামলে বললো "সাইকেল চালাতে শিখো নাই তো সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছো কেনো" আমি চুপ থেকে মাথা নিচু করে সে যাত্রায় বাঁচলাম।



এর অনেক দিন পর, আমার চাচাতো ভাই অমিত একটি নতুন লাল রং এর ফনিক্স সাইকেল কিনেছে। সাইকেল এর চাকার টায়ার গুলো ছিলো চিকন, তাই খুব স্পিডে চলতো। অমিতকে পিছনে নিয়ে রোজ সাইকেল নিয়ে বেড়াতে বের হতাম।



একদিন সাইকেল চালিয়ে গেলাম আমাদের বাড়ির কাছেই ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর ঘাটে। এখানে ট্রাক দিয়ে বালু তোল হতো। ঘাটটি লম্বা ও ঢালু এবং নরম বালুর। অমিতকে বললাম দেবো নাকি নামিয়ে? অমিত একসাইটেড হয়ে বললো "দাও আরমান ভাই নামিয়ে" আমি বললাম শক্ত করে ধরো...। (সাইকেল নামিয়ে দিলে যে একটা ঝামেলা হতে পারে সেটা অনুমান করেছিলাম কিন্তু এ থেকে যে নির্মল আনন্দ পাওয়া যাবে তা থেকে বঞ্চিত হতে চাচ্ছিলাম না।)



কিছু দূর যাবার পরই সাইকেলে স্পিড গেলো বেড়ে (নিয়ন্ত্রনের বাহিরে) তারপর নরম বালুতে সামনের চাকা ডেবে সাইকেল উল্টে ছিটকে পড়লাম দুই জন দুই খানে। নরম বালুতে পড়ার কারনে কেউই ব্যাথা পেলাম না, কিন্তু আমি মনে করলাম অমিত ব্যাথা পেয়েছে তাই নিজেও ব্যাথার অভিনয় করে উঁ আঁ করতে লাগলাম।:P



পিছন থেকে অমিত বললো "আরমান ভাই ভঙ্গী পরে করো, দেখো সাইকেলের অবস্থা কি হয়েছে"

তাকিয়ে দেখি সত্যিই সাইকেলে অবস্থা খারাপ। সামনের চাকা বেঁকে গিয়ে "ব" পাইপের সাথে লেগে গেছে। আমাকে চিন্তিত দেখে অমিত আবার বললো "চিন্তা করো না আরমান ভাই,এরকম আমি আর একবার করেছিলাম, ভোলার দোকানে নিয়ে যাও ২০ টাকা দিলে ঠিক করে দিবে"



বুঝলাম ছোট ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমার চেয়েও বেশি;) কি আর করা , পিছনের চাকার উপর সাইকেল দাঁড় করিয়ে দুজনে ধাক্কিয়ে নিয়ে আসলাম মেইন রোড়ে। সেখান থেকে টলিতে করে ভোলার দোকানের দিকে.......



জীবন কথার বাকি লেখাগুলো এই বিভাগে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২

আদম_ বলেছেন: কত যে হাটুর ছাল গেছে এই কাম শিখতে যেয়ে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২১

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
কবি বলেছেন: হাঁটিতে শিখেনা কেউ, না খেয়ে আছাড়!

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

উদাস কিশোর বলেছেন: :P

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ইয়াম! ইয়াম!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.