নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এনামুল কাবির

মোরা এক বৃত্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান

এনাম কবির

মোরা এক বৃত্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান

এনাম কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেসির হাতে বিশ্বকাপ

০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭



মানুষের হাতে সৃষ্টি তালিকার মধ্যে ফুটবল খেলা উৎকর্ষ শৈল্পীকতার মধ্যে পড়ে। বড় বড় দল ও ক্লাবগুলোর সংঘ্যবদ্ধ আক্রমন চোখ ধাদিয়ে দেয়। রবার্তো কার্লোসের ফ্রি কিককে মনে হতো কোন তীরকে ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে। জিদানের খেলা দেখে ভাবতাম পৃথিবীতে আপন বলতে শুধু বলটি তার আপন। জাভি- ইনিয়েস্তাদের পাসিং, আরে বল কি তাদের গোলাম নাকি? রোনালদোর পায়ে বল মানে অসংখ্য সৈনিকের মাথা কেটে কোন বীর সদর্পে এগিয়ে চলছে। ডি বক্সের মধ্যে মেসি, যেন কোন নৃত্য শিল্পী তার জগত বিখ্যাত নৃত্য প্রদর্শন করছে। ফুটবল অসংখ্য শৈল্পীকতার সৃষ্টি করে চলেছে প্রতিনিয়ত।

ফুটবলের চারণভূমির অন্যতম হচ্ছে ব্রাজিল। তার বুকে প্রস্তুত হচ্ছে এই নৃত্যর মঞ্চ। তাই বাংলাদেশে ব্রাজিলের অন্ধ সমর্থকরা তাদের ঘরের দেয়ালে খোদাই করে ফেলেছেন। সাম্বাদের মাঠে হলুদের খেলা, বড় স্ক্রিনে না দেখলে কি চলে? তাই দেয়াল খুঁড়ে লাগিয়ে দাও বড় স্ক্রিনের এলইডি টিভি।

বিশ্বকাপ এলেই যাদের ধ্যানজ্ঞান হয়ে যায় ব্রাজিল এমন একজন মানুষ হলেন আমার বড় মামা। উনার দেখা দেখি বাসার যত পিচ্ছি কাচ্চি ছোট বড় ছেলে মেয়ে আছে সবাই নিয়ংকুশ ব্রাজিলের সমর্থক। গত বিশ্বকাপে বড় মামার সে দিনটা ছিল বড়ই বেদনার দিন। যেদিন হেরে গিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদাইয় নিয়েছিল ব্রাজিল। বড় মামা ঐদিন বিকেলে ব্রাজিলের পতাকা সাদৃশ্য বিশাল এক কেক নিয়ে বাসায় হাজির। ব্রাজিল সমর্থকদের মাঝে সাজ সাজ রব পড়ে গেল। মামা টিভি টাকে বেড রুম থেকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে এলেন। বাসার স্কুল পড়ুয়া সমর্থদের মুখে বাজতে লাগল আফ্রিকানদের ঐতিহ্যবাহি বাঁশি বুবুজেলা। তারা ছাদে বারান্দায় গিয়ে পুরো এলাকাকে মাথায় তুলতে লাগল (বুবুজেলা এনেছিলেন মামার শ্যালক। তিনি কোকাকোলা থেকে স্পন্সর পেয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। কাজের প্রয়োজনে প্রথম দিকের কয়েকটি খেলা দেখে চলে এসেছিলেন। আর সংগে এনেছিলেন অনেক গুলো বুবুজেলা ও জাবুলানি ফুটবল)। মামা কয়েক বন্ধুকেও ফোন করে নিয়ে এসেছিলেন। তার মধ্যে আর্জেন্টিনার সমর্থকও ছিল। মামা ঘোষণা দিলেন ব্রাজিল জিতলে রাতে বিরানির ব্যাবস্থা হবে। খেলা শুরুর কিছুক্ষন আগেই পুরো ড্রয়িং রুম ভরে গেল। আমি আর ছোট মামা আর্জেন্টিনার সমর্থক। আমরা কেক ও বিরানির লোভে রুমের ভিতর গিয়ে অবস্থান নিলাম। খেলা শুরু হয়ে গেল। সবার ভিতর আগ্রহ ও উত্তেজনা দেখে ভাবলাম ব্রাজিলের জায়গায় বাংলাদেশ হলে কেমন হতো?

হায়রে কপাল এভাবেই বুঝি মানুষের মন ভাঙ্গে। মামার এতো আয়োজন এতো উৎসাহকে মাটি করে হেরে গেল ব্রাজিল। আমরা আর্জেন্টিনার সমর্থকরা বুবুজেলা নিয়ে ভুভু করে বাজাতে লাগলাম। মামার ওয়ানে পড়া ছোট মেয়েটি পাশের রুমে গিয়ে কাঁদতে লাগলো। আর্জেন্টিনার এক সমর্থক বলল ভাই, বিরানির ব্যাবস্থা কালকে হোক। বড় মামা বিষণ্ণ মুখে উনার ছেলেকে বললেন নাভিল ছাদ থেকে পতাকাটা আজই নামিয়ে ফেল। আমরা তাদেরকে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁচাতে লাগলাম। তারপর থেকে তারা আমাদেরকে খোঁচাতে লাগল।

“একহালি”

বিঃ দ্রঃ ভাই শিরোনামের সাথে লেখার কোন মিল নাই।ব্রাজিল সমর্থকদের ভরকে দেওয়ার জন্য এই শিরোনাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

জেরিফ বলেছেন: :) :)

২| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

তাসজিদ বলেছেন: ১০০ টা - -----------------

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.