নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতল গহবর

Mariner. Work on ships, travel around the world. Love to read, watch movies, listen to music and travelling.

অতল গহবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছদ্মবেশী খুনি ওরা (কপি - পেস্ট)

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫০



নুরুজ্জামান: ওরা ছদ্মবেশী খুনি। রুমমেট সেজে ওঠে ধনাঢ্য ব্যাচেলরদের মেসে। কর্মহীন থেকেও পরিশোধ করে ফ্ল্যাটের ভাড়া। সুযোগ বুঝে টাকা লুট করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। বাধা পেলে হত্যাকাণ্ডও ঘটায়। রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় জোড়া খুনের তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে র‌্যাব। গতকাল এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পেশাদার খুনি মিলন প্রামাণিক ওরফে বাদল (৪০) ও তার সহযোগী সোহেল রানা (২৫) গ্রেপ্তারের পর পেশাদার ছদ্মবেশী এ খুনিচক্রের

বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। শনিবার মধ্যরাতে র‌্যাব-এর মেজর আনোয়ারুল হক, অতিরিক্ত এমপি রায়হান উদ্দীন খান ও সিনিয়র এএসপি বশির আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম উত্তরা পূর্ব থানাধীন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে নিহত বাশার ও রাজীবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট, কম্পিউটার, আইফোন ও নগদ ৯১৩ টাকা, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ও তাদের ব্যবহৃত কাপড়-চোপড়সহ ৪৭ ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মিলন জানায়, তার সঙ্গে বাশারের দ্বন্দ্ব ছিল। সে বড় পদে চাকরি করে তাকে খোঁটা দিতো। রাস্তার ছেলে বলে গালাগাল করতো। এছাড়া কাজের বুয়া নিয়ে রুবেল ও নিহত রাজীবের মনোমালিন্য ছিল। এরই মধ্যে বাশারের কাছে নগদ দু’লাখ টাকার খোঁজ পেয়ে তা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা শুরু করে। ওই টাকা লুটের উদ্দেশ্যেই ঘটনার দিন রুবেল বাইরে থেকে তিনজন লোক ভাড়া করে আনে। তাদের একজন বাসার ভেতরে ঢোকে। পরে তিনজনে মিলে লোহার রড ও ছুরি দিয়ে প্রথমে বাশারকে আঘাত করে। এ ঘটনা রাজীব দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, রাজীব ও বাশারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। মিলন ও সোহেল রানা তাদের পেশাদার গ্রুপের কথা স্বীকার করেছে। আগেরও একাধিক ঘটনার তথ্য সরবরাহ করেছে। প্রাথমিকভাবে জোড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত পেশাদার গ্রুপের চারজনের তথ্য মিলেছে। এদের মধ্যে রুমমেট মিলন, ফারুক ও একজন বহিরাগত ঘাতক সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। বাকিরা নেপথ্যে সহযোগিতা করেছে। তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। র‌্যাব জানায়, ৩১শে মে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। প্রথমে খায়রুল বাশারকে খুন করে ওরা। ঘটনা দেখে ফেলায় আনহারুল ইসলাম ওরফে রাজীবকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই দুই রুমমেট করিম, ফারুক হোসেন ওরফে রুবেল ও কাজের বুয়া বকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। তবে কাজের বুয়া বকুল জানায়, হত্যাকাণ্ডের আগে সকাল ১১টার দিকে সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। ওই সময় বাসায় ছিল বাশার, রাজীব ও মিলন। তারা তিনজনেই শোয়া ছিল। ওই সময় মিলনকে চিন্তিত মনে হয়েছে। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া মিলন র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, এ জোড়া খুনের পরিকল্পনাকারী ফারুক হোসেন রুবেল। তার কথামতো সে ওই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। তাদের সঙ্গে বহিরাগত আরও কয়েকজন ছিল। তবে মিলনের কথা অস্বীকার করেছে ফারুক হেসেন রুবেল। সে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে, এ হত্যাকাণ্ডে সে নয়, মিলন জড়িত। তার পরিকল্পনাতেই জোড়া খুন হয়েছে। র‌্যাব ২-এর অতিরিক্ত এমপি রায়হান উদ্দীন খান বলেন, প্রধান সন্দেহভাজন আসামি মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পুলিশের তদন্ত ও তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদেই প্রকৃত খুনিদের পরিচয় উদ্ঘাটিত হবে। গত শুক্রবার দুপুরে শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির ওই মেস থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা খায়রুল বাশার হাওলাদার (২৮) ও বেসরকারি গ্রিন ইউনিভার্সিটির এমবিএ-র ছাত্র আনহারুল ইসলাম রাজীব (২৮)-এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। খায়রুলের চাচা মোস্তফা কামাল মামুন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ঘটনার পরপরই ওই মেসের দুই সদস্য ফারুক, করিম ও গৃহপরিচারিকা বকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। বকুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মিলনকে খোঁজা হচ্ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মিলন নিখোঁজ ছিল।

মামলা ডিবিতে: এদিকে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে থানা পুলিশের কাছ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলার যাবতীয় ডকেট ও নথি বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডের রাতেই নিহত বাশারের চাচা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। এরপর থেকেই মামলার তদন্ত করছিল থানা পুলিশ। পাশাপাশি জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে র‌্যাব ও ডিবি পুলিশের দু’টি টিম কাজ করে।



Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.