নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসিতে আমার কান্না ঝরে...

andharrat@জিমেইলডটকম

আন্ধার রাত

একদিন ভোর হবে নতুন সূর্য্য চারিদিকে জ্বলমল করে আলো ছড়াবে হেসে উঠবে আমার পৃথিবী। সব পাখি মিষ্টি স্বরে গান গেয়ে উঠবে, চারিদিকে ছড়াবে আনন্দের দ্যূতি। সেই দিনের অপেক্ষায় আমি।

আন্ধার রাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওরা নেতা না তেনা

১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:২৯

আজকের দৈনিক সমকালের খবরে আমার মন খুব আলোড়িত হয়েছে। সেটি কপি পেষ্ট করলাম।





তারেক-মামুনের মাধ্যমে ব্যবসায় প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছে কালা জাহাঙ্গীর সুব্রত বাইন

ভারত থেকে আনা তিন সšúাসীর চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীর কুমার দে





চাঞ্চল্যকর স্ট^ীকারোক্তি দিয়েছে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা তিন শীর্ষ সšúাসী। এদের একজন হাবিবুর রহমান তাজ। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে তাজ জানিয়েছে, বিএনপির সিনিয়র যু¹§ মহাসচিব তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মাধ্যমে ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে পুরস্ট‹ার ঘোষিত শীর্ষ সšúাসী কালা জাহাঙ্গীর ও সুব্রত বাইন। তবে কত টাকা বিনিয়োগ রয়েছে সে ব্যাপারে তাজ কিছু জানে না। সুব্রত বাইন গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ঘনিষ্ঠ বল্পব্দু হওয়ায় হাওয়া ভবনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলত তারা। তাই পুরো সšúাসী নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক। আর এতে নেতৃÍ^ দিত কালা জাহাঙ্গীর ও সুব্রত বাইন।

পুরস্ট‹ার ঘোষিত শীর্ষ সšúাসী আরমান যোগাযোগ রক্ষা করত সাবেক স্ট^রা®দ্ব্র প্রতিমšúী লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে। পুরস্ট‹ার ঘোষিত আরেক শীর্ষ সšúাসী ইমাম হোসেন যোগাযোগ রক্ষা করত সাবেক প্রধানমšúী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে। হাবিবুর রহমান তাজ রিমান্ডের ™ি^তীয় দিনে সিআইডি কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা জানিয়েছে। তাজ জানিয়েছে, ইমাম হোসেন বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের পাঁচ বছর খালেদা জিয়ার গাড়ির বহরের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছে। আর এ কারণে আইন-শৃগ্ধখলা বাহিনীর সদস্যরা তার কাছে ঘেঁষতেও সাহস করেনি। ইমাম হোসেন তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের এজিএস ছিল। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের সহৃত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কালা জাহাঙ্গীর মারা গেছে : হাবিবুর রহমান তাজ গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, কালা জাহাঙ্গীর সুইসাইড করেছে। কাফরুলের ৫৫৪, উত্তর ইব্রাহিমপুরে কালা জাহাঙ্গীরের নিজের বাড়ি। এ বাড়ির দোতলায় নিজে মাথায় পিস্টøল ঠেকিয়ে আͧহত্যা করে জাহাঙ্গীর। বর্তমানে এখানে একটি টিনশেড ছাড়া আর কিছু নেই। এ সময় তাজ নিজে ভারতে অবস্ট’ান করছিল। তাজ ছাড়াও পিচ্চি হাল্পুান, কিলার আব্বাস, শাহাদতও কালা জাহাঙ্গীরের শিষ্য। কালা জাহাঙ্গীরের লাশটি তার মাকে দেখানোর পর পিচ্চি হাল্পুান স্ট’ানীয় একটি কবরস্ট’ানে তাকে দাফন করে। কিন্তু ত্রক্রসফায়ারে পিচ্চি হাল্পুান মারা যাওয়ার কারণে সে তথ্য অজানাই থেকে যাবে বলে মনে করছেন সংশিè®দ্বরা। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিষয়টি ঘনিষ্ঠ দু’একজনকে ছাড়া আর কাউকে জানায়নি পিচ্চি হাল্পুান। কালা জাহাঙ্গীর মারা গেলেও তার নামে এখনো মাঝে মধ্যেই ফোন করে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কালা জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবর গোপন রেখে তার নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি চালিয়ে যেতে চেয়েছিল তার সহযোগীরা। শেষ পর্যšø বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।

টেন্ডারবাজি নিয়šúণ করত সšúাসীরা : গোয়েন্দাদের তাজ আরো জানায়, তারেক রহমান ছিলেন সবকিছুর উপরে। তিনি সব জানতেন। তার শেল্কল্টারেই মামুনকে ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য টাকা দিত কালা জাহাঙ্গীর ও সুব্রত বাইন। সুব্রত বাইন মামুনের খুব ঘনিষ্ঠ বল্পব্দু। তাই হাওয়া ভবনের শেল্কল্টারেই গড়ে উঠেছিল সšúাসীদের মহৃল নেটওয়ার্ক। কালা জাহাঙ্গীর ও সুব্রত বাইন পুরো নেটওয়ার্কটি নিয়šúণ করত। একটি টেলিভিশন সাংবাদিকের স্টúী পল্কèবীর মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার মাহমুদা বেগম ত্রিক্রকের সঙ্গে তার সব ধরনের স¤ক্সর্ক ছিল বলে তাজ স্ট^ীকার করেছে। ত্রিক্রকের পক্ষে টেন্ডারবাজি করত তাজ। আর পল্কèবী এলাকার আরেক ওয়ার্ড কমিশনার আহসান উল্কèাহ হাসানের পক্ষে টেন্ডারবাজি করত শাহাদত। সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছোট ছেলে সিদ্দিকুর রহমান সাজুর সঙ্গে শীর্ষ সšúাসী শাহাদত ও খোরশেদের খুবই সখ্য ছিল। শাহাদত ও খোরশেদকে সব ধরনের শেল্কল্টার দিত সাজু। তাজ জানায়, তার সহযোগী হাজী শাহ আলম, পনু, মন্টু, বাবা মনিসহ বেশ কয়েকজন র‌্যাবের ত্রক্রসফায়ারে মারা গেছে। যে কারণে তার বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন অবস্ট’ায় তাজ দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায়।

ব্যবসায়ী আফতাবের খুনিরা ভারতে : প্রিন্স হোটেলের মালিক হাজী শহিদুল্কèাহ ও নিউটন কমিশনার হত্যার সঙ্গে নিজের সংশিè®দ্বতার কথা স্ট^ীকার করে তাজ জানায়, চাঁদা না দেওয়ায় তার নির্দেশেই এ দুই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়। এছাড়া ব্যবসায়ী আফতাব, রিপন ও ১০ নল্ফ^রের মনিরকে শাহাদত হত্যা করেছে বলে জানায় তাজ। তাজ আরো জানায়, ব্যবসায়ী আফতাবের পাঁচ হত্যাকারী শাহাদত, খোরশেদ, শাহীন, রেজোয়ান ও রিপন এখন ভারতের মুর্শিদাবাদে অবস্ট’ান করছে। এর মধ্যে খোরশেদ মুর্শিদাবাদের একটি মেয়েকে বিয়ে করে আস্টøানা গেড়েছে। তার শেল্কল্টারেই রয়েছে অন্যরা।

কারাগারে বসেই অপরাধ জগৎ নিয়šúণ : অন্য দুই পুরস্ট‹ার ঘোষিত শীর্ষ সšúাসী কিলার আব্বাস ও বিকাশ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের কারাগারে বন্দি রয়েছে। এদের দু’জনকে রাখা হয়েছে পাশাপাশি দুটি সেলে। এদের দু’জনের কাছেই মোবাইল ফোন রয়েছে। এরা কারাগারে বসেই নিজেদের মধ্যে কথা বলে। আদেশ-নির্দেশ মোবাইলের মাধ্যমেই পৌঁছে দেয় গ্র“পের সদস্যদের কাছে। এখনো যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যšø পুরো এলাকার চাঁদাবাজির নিয়šúণ এদের দু’জনের হাতে। তাজের সঙ্গেও কিলার আব্বাস ও বিকাশের বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে বলে তাজ স্ট^ীকার করে। কিন্তু সে সময় তাজ ভারতে অবস্ট’ান করায় কিলার আব্বাস ও বিকাশের পক্ষ হয়ে কোনো কাজ করতে পারেনি। এসব কৃতকর্মের জন্য কোনো অনুশোচনা নেই ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা এ শীর্ষ সšúাসীর। তাজ জানায়, তার বস কালা জাহাঙ্গীর সব সময় একটা কথা বলত, তা হলো ‘হিট করতে হবে সব সময় প্রতিপক্ষকে, কোনো সাধারণ মানুষকে নয়।’

খালেদা জিয়ার গাড়ির বহরে ঘুরে বেড়াত ইমাম : লল্ফ^ু সেলিম গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের এজিএস ইমাম হোসেন বিএনপির শাসনামলের পাঁচ বছরেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গাড়ির বহরে ঘুরে বেড়িয়েছে। ১১ জানুয়ারির আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও ইমাম হোসেন বাংলাদেশেই ছিল। ইমাম হোসেনের মাধ্যমে হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে লল্ফ^ু সেলিমের পরিচয় হয়েছে বলে সে স্ট^ীকার করেছে। হারিছ চৌধুরীর নির্দেশমতো চলত ইমাম বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া সোহেল ওরফে ইব্রাহিম ভাসানটেক এলাকায় দেহ ব্যবসা থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসার চাঁদা আদায় করত। এক পর্যায়ে কালা জাহাঙ্গীরের নির্দেশে তার গ্র“পের সদস্যরা নিজ নিজ এলাকার নিয়šúণ নেয় বলেও স্ট^ীকার করেছে ইব্রাহিম।

তদারক কর্মকর্তা যা বললেন : ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা তিন সšúাসী হাবিবুর রহমান তাজ, সোহেল ওরফে ইব্রাহিম ও বিপ্টèব রহমান ওরফে লল্ফ^া সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল্কèাহ আরেফ। তিনি সমকালকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সšúাসীরা অনেকের নামই বলছে। তবে এরা যেসব তথ্য দিচ্ছে তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। আবদুল্কèাহ আরেফ স্ট^ীকার করেন, এক ডজনেরও বেশি সšúাসী এখন ভারতে অবস্ট’ান করছে। এরা মুর্শিদাবাদে সংগঠিত হয়েছে। দেশে ফিরিয়ে আনা এ তিন সšúাসী স্ট^ীকার করেছে, ভারতে ওই গ্র“পটির সঙ্গে এদেরও সখ্য ছিল।





মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪৪

তারিক হাসান খান নিপু বলেছেন: ১০ !

তেনাদের কাছেই আমরা চাকরীর জন্য ধন্যা দিয়েছি তেনাদের বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোতেই আমরা চাকরী করেছি ।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:১৯

এহহামিদা বলেছেন: তারেক-দাউদ ইব্রাহিম গল্পের ৮ মাস পার হইল!!! সেই গল্পেরই কিনারা হইল না!!!
এবার শুরু হইছে নয়া তারেক-কালা জাহাংগীর গল্প!!!

হাহাহাহাহ!!!

কালা জাহাংগীর হাওয়া ভবনে যাইত!! এইটা এত এত আওয়ামী বা বিরোধী দলীয় পত্রিকাগুলা জানত না!! জনকন্ঠ বা প্রথম আলোর চোখ এড়াইয়া গেল!!!

হাহাহা!!
এখন ভারত(!) থেইকা ফেরত পাঠানো পাবলিকের কথা বিশ্বাস করতে হইব!!

মালয়শিয়া শ্রমিক রপ্তানী বন্ধ, গার্মেন্টসের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা থেইকা চোখ অন্য দিকে ফেরানোর জন্য এর চেয়ে ভালো আর কোন গল্প বুঝি পাওয়া যায় নাই!!! হাহাহা!!!

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১১:৪৩

বিবণ বলেছেন: ওদেরকে বানাইয়া হয়তো ইশ্বর নিজেই টাশকি হয়ে গেছেন, একি বানালাম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.