![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের সাথে মিশতে ও কথা বলতে পছন্দ করি।
সাপে কামড়ালে করনীয় কি ?
সাপের কামড়ে সাধারন মানুষের পাশাপাশি অনেক সাপুড়ের মৃত্যুর কথা শোনা যায় । তবে এনাকন্ডার মত বড় বড় সাপের কামড় খেয়ে বেঁছে আছে অনেক বিদেশী সাপুড়ে কিন্তু হারাতে হয়েছে তাদের তর্জনী আঙ্গুল । সাপে কামড়ালে তারা বেদেদের কাছে যায়না যাই হাস্পাতালে সাধারন ডাক্তারের কাছে । আমাদের দেশের অধিকাংশ ডাক্তার এক রকম মফিজ , তাই ওদের নিয়ে কথা বাড়াবোনা ।
সাপে কামড় দিলে প্রথমে পায়ে তার পর তর্জনী ও বিদ্ধা আঙ্গুলে বাঁধন দিবেন ।হাতে কামড় দিলে কব্জির ওপরে বাঁধন দিবেন বাড়তি সাবধানতার জন্য । রোগীকে ঘুমুতে দিবেন না । চালের ঘরের মত কোন প্রকার বাঁধন দেয়া ঘরের ভীতরে প্রবেশ করতে দিবেন না । পাশে যদি ডাক্তার বা গুণী থাকে তাদের কাছে নিয়ে যাবেন ।
যদি না থাকে নিজে একটা রিস্ক নিতে পারেন । সাপের বিষের একটি সাধারন বৈশিষ্ট্য হল রক্তের সাথে মিশতে শুরু করে পায়ের তালু থেকে । আর কামড় দেবার সাথে সাথে যদি বাঁধন দিতে পারেন তবে তো আপনি বাংলা হিন্দি সিনেমার নায়ক হয়ে যাবার সুযোগ পাবেন । এর মূল মন্ত্র হল বিষ মিশ্রিত রক্ত বেড় করা , আপনার দাঁত যদি ভাল থাকে অর্থাৎ মাড়ি দিয়ে যদি রক্ত না পড়ে । মুখ দিয়ে রক্ত টেনে বেড় করতে চেষ্টা করুন । ভয় নেই সিনেমার নায়কদের মত আপনিও মরবেন না । এভাবে বিষ টেনে বেড় করলে (রোগ টির নাম ভুলেগেছি অনেক আগে পেপারে পড়েছিলাম তো) সেই রোগের প্রতিসেধক হিসেবে কাজ করবে । সামান্য মাথা ঝিম ঝিম করতে পারে আপনার মানুষিক ভিতির কারনে ।
আপনি নিশ্চিত নয় যে সম্পূর্ণ বিষ উঠেছে । তাই একটি ব্লেড দিয়ে এক্স চিনহের মত কয়েক জায়গা কেটে দিন রক্ত বেড় করতে থাকুন । যদি কালো রক্ত বেড় হয় ভাববেন বিষ আছে । লাল রক্ত বেড় হওয়া পর্যন্ত রক্ত বেড় করুন ।
২। আরও ভাল হয় যদি আপনি রোগীর পায়ের বুড় থেকে তিনটি আঙ্গুলে পাট বেঁধে মাদারের কাঁটা দিয়ে ফুড়ে ফুড়ে রক্ত টেনে বেড় করতে পারেন । কিন্তু সেই পাট বাধার নিয়ম আছে । আপনার পরিচিত কোন গুনির কাছে শিখে নিতে হবে । (শুনেছি মাদারের কাঁটা নাকি সাপের বিষের জম । তাই গুণীরা মাদারের কাঁটা ব্যাবহার করে থাকে । )
বাড়তি সাবধানতার জন্য কিন্তু ডাক্তারের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে ভুলবেন না । তবে যদি দেখেন সাপের কামড়ে একাধিক ছিদ্র রয়েছে তবে ভয় নেয় । বিষাক্ত সাপে কামড়ালে দুটি ছিদ্র হবে । মনে রাখবেন যে সাপের লেজ চিকন সেই সাপে বিষ বেশী ।
যায় হোক সাপ মারবেন না । সাপ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ও খুব মুল্যবান । সাপের উপদ্রব আপনার দৃষ্টি গোচর হলে সাপুড়ে বা যারা সাপের চাষ করে তাদের বলুন । ওরা ধরে নিয়ে যাবে ।
- http://www.tunerpage.com/archives/34537
১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৫১
অ্যাঙ্গেল বয় বলেছেন: +++++++++
অনেককিছু জানলাম।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
Observer বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৫২
রিপেনডিল বলেছেন: আপনি কি ডাক্তার? যদি না হন তাহলে বলি চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্যাপারটি ডাক্তারদের হাতেই ছেড়ে দিন। অযথা ভুল ভ্রান্তি ছড়াবেন না। আপনি যা লিখেছেন সেটি সাপে কাটার ফার্স্ট এইড তো নয়ই বরং ক্ষতির কারন। আপনার উদ্যোগটি ভাল, তবে তথ্য ভূল। শুধরে দিচ্ছি---
সাপে কাটলে যা করবেন---
সবার প্রথম কাজ হচ্ছে রোগীকে শান্ত করা, মানসিক সাপোর্ট দেয়া কারন বেশীরভাগ রোগী মারা যায় ভয়ে।
এরপর ক্ষতস্থান পর্যবেক্ষন করে বুঝতে হবে আসলে কিসে কামড়েছে বা বিষধর কোন সাপ কামড়েছে কিনা। এটি বোঝার উপায় হচ্ছে, বিষধর সাপ কামড়ালে আক্রান্ত স্থানে পাশাপাশি ২টি গভীর ছিদ্র দেখা যাবে আর যদি সেটি বিষধর সাপ না হয় তাহলে পাশাপাশি এবং দু সারিতে কয়েকটি দাতের চিহ্ন পেতে পারেন।
এটি বিষধর সাপের কামড়ের চিহ্ন
বিষহীন সাপের কামড়ের চিহ্ন।
যদি নিশ্চিত হন এটি বিষধর সাপের কামড় তাহলে খুব দ্রুত ক্ষতস্থানের উপর পরিষ্কার কোন কাপড় দিয়ে শক্ত করে বাধুন। খুব বেশি শক্ত করে বাধার দরকার নেই, এমনভাবে বাধতে হবে যেন ধমনীগুলোর রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে না যায়। এবার সম্পূর্ন পা অথবা হাত (যাখানে কামড়েছে) ব্যান্ডেজ দিয়ে বেধে ফেলুন মোটামুটি শক্ত করে এবং আক্রান্ত হাত বা পা যেন কোন নড়াচড়া করতে না পারে সে ব্যাবস্থা করুন, যেমন পায়ের দুপাশে দুটি টুকরো কাঠ বা বাশ বেধে দিন।
কোন ভাবেই, ক্ষত স্থান ব্লেড দিয়ে কাটা যাবে না, মুখ দিয়ে টেনে রক্ত বা বিষ বের করা যাবে না, বরফ ঘষা বা আগুনে ছেকা দেয়া বা কোন কেমিকেল অথবা এন্টিসেপটিক ব্যাবহার করা সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ।
ব্যান্ডেজ বাধার আগে ক্ষতস্থান সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া যেতে পারে।
রোগীকে বাম বা ডান দিকে কাত করে শোয়াতে হবে যেন তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা না হয় এবং রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস এর গতিবেগ যদি খুব কমে আসতে থাকতে তাহলে কৃত্রিমভাবে শ্বাস দিতে হবে।
এবার রোগীকে যর দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে, সেখানে উপযুক্ত এন্টিভেনম দিয়ে রোগীকে সম্পূর্ন সুস্থ করা যাবে।
আর সাপ দেখলে অযথা মারার দরকার নেই কেননা সাপ এমনিতেই মানুষ্কে ভয় পায়। সে আপনাকে এড়িয়ে চলবে যদি না আপনি তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।
অযথা ঝাড়ফুক আর সিনেমা দেখে ট্রিটমেন্ট দেবার চেষ্টা করবেন তাতে রোগীর মৃত্যু আরো এগিয়ে আসবে।