নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মজার সব তথ্য

মজার সব তথ্য

সাধারণ জ্ঞান নিয়ে আমার মাতামাতি একটু বেশী বেশ.

মজার সব তথ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুটি বসন্তের টিকা আবিষ্কার এর কাহিনি

০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৯

এডওয়ার্ড জেনার সাহেব কে বলা হয় গুটী বসন্ত টিকার জনক। হয়ত এটা সঠিক কারণ জেনার সাহেব তাঁর সারা জীবন ব্যয় করেছেন গুটি বসন্ত টিকার পদ্ধতির প্রচলন ঘটাতে। ১৭৯৬ সালে জেনার সাহেব গুটিবসন্তের টিকা তাঁর মালির ৮ বছরের পুত্র জেমস ফিপস এর উপর প্রয়োগ করেন। এর মাধ্যমেই পৃথিবী জানতে পারে গুটিবসন্তের টিকার কার্যকারিতার কথা।



এর ২০ বছর আগের ঘটনা। ইংল্যান্ড এর গ্লস্টারশায়ারের এক কৃষক বেঞ্জামিন জেস্টী বারান্দায় বসে বসে ভাবছেন গুটি বসন্তের ভয়ানক অবস্থার কথা। সারা গ্রামে গুটি বসন্তের তান্ডবে শয়ে শয়ে মানুষ মরছে। এর কোন টিকাও নেই ।শুধু ঈশ্বর এর কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া কিছুই করার নেই কারো। বেঞ্জামিন সাহেব ভঁয় পান। তাঁর সমস্ত চিন্তা তাঁর স্ত্রি পুত্রের জন্য। বেঞ্জামিন সাহেব ভাবতে থাকেন। তাঁর মনে পড়ে যায় এলাকার গরু খামারি যারা গরুর পক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছিল তাদের কারোই গূটি বসন্ত রোগ হয়নি। হয়ত এই দুই রোগে যোগাযোগ থাকতে পারে।



একবার এক গ্রামে ব্যাপক ভাবে গুটি বসন্ত হল। এনা আর মেরি নামের বেঞ্জামিন সাহেবের ২ কর্মচারীর গো-বসন্ত রোগ হয়েছিল আগে ।তাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের গুটি বসন্ত হলেও এই ২ জনের কিছুই হলনা। বেঞ্জামিন সাহেব আর দেরি করলেন না। স্ত্রি আর পুত্র কে নিয়ে গেলেন এক খামারে যেখানে কিছু গরু গো-বসন্তে আক্রান্ত। গরুর পুঁজ সংগ্রহ করে স্ত্রী পুত্রের শরীরে প্রয়োগ করলেন বেঞ্জামিন সাহেব। এর ফলে স্ত্রি পুত্রদ্বয় হালকা গো-বসন্তে আক্রান্ত হল। ২ পুত্র খুব দ্রুত সুস্থ্য হল কিন্তু বেঞ্জামিন সাহেবের স্ত্রি অনেক অসুস্থ্য হলে গেলেন। ভঁয় পেয়ে ডাক্তার নিয়ে আসলেন বেঞ্জামিন সাহেব। আস্তে আস্তে সেরে উঠল এলিজাবেথ। গ্রামের সেই গুটি বসন্ত কিছুই করতে পারল না বেঞ্জামিন সাহেবের স্ত্রি পুত্রদের। বেঞ্জামিন সাহেব বুঝতে পারলেন গুটি বসন্তের টিকা তিনি আবিষ্কার করে ফেলেছেন। গো-বসন্তের পুঁজ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হলেই সেই মানুষ আর গুটি বসন্তে আক্রান্ত হবে না। মানব জাতি পেয়ে গেল এক মহাঔষধ।



কিন্তু বেঞ্জামিন জেসটি সাহেব কে তাঁর প্রাপ্য সম্মান কখনই দেয়া হয়নি।



জেনার সাহেব বেঞ্জামিন সাহেবের পদ্ধতি ব্যাপক ভাবে মানুষের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন আর বিজ্ঞানি আর চিকিৎসক দের এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন এর কারনে জেনার সাহেব কেই সম্মানিত করেছে চিকিৎসক সমাজ।



সম্মান জানাই বেঞ্জামিন জেস্টিকে। মানবজাতি কে রক্ষা করার জন্য।



In science credit goes to the man who convinces the world, not the man to whom the idea first occurs.

—Francis Galton





লেখক- নুরুল আলম অনিক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.