নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ+ ই কি জীবনের সবকিছু?

১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

জেগে উঠো, এখনো তো অনেক পথ বাকি… Life is not dependent on A+. আজ হয়তো তোমার কাছে মনে হচ্ছে এই পৃথিবীটা আমার নয়, আমি সবার থেকে খারাপ ছাত্র, আমার কোন রকম যোগ্যতা নাই, আমি জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস হারিয়ে ফেলেছি, আমার লাইফে এ+ না পাওয়াতে একেবারেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আসলে বাস্তবতা কি তাই বলে? না কখনো না। একটি রেজাল্ট বা শুধুমাত্র একটি এ+ কখনো মানুষের সব কিছু না। জীবন পথের মাত্র শুরুর পর্যায়ে আছো তুমি যেখানে সফলতা আর ব্যর্থতা দুটোরই সংমিশ্রণ রয়েছে। আর এ দুটো নিয়েই তো আমাদের জীবন। হয়তো তুমিও আজকে অন্য সবার মত হাসতে অথবা মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে তুমিও দৌড়াদৌড়ি করতে। সেটা করতে পারছ না। তোমার ফলাফল খারাপ হয়েছে এতে তুমি ভাবছো আমি হয়ত অন্য সবার থেকে খারাপ ছাত্র। সেটা না। একটু ভেবে দেখ হয়তো তোমার মাঝে এমন কোন গুণ বা দক্ষতা রয়েছে যেটা অন্য কারো মাঝে নেই। হয়তো তুমি এখন নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে নীরবে কাঁদছো । তুমি কি জান, তোমার বাবা মাও হয়তো তোমার কথা ভেবে খায়নি। তোমার জীবনের এখনো অনেক পথ বাকি । যেটা গিয়েছে সেটাকে যেতে দাও। এসএসসি ফলাফলের গৌরব, সুনাম থাকে মাত্র দুই বছর। আর তোমার ভেতরে যদি আগুন থাকে তাহলে নিশ্চই জ্বলে উঠবে, এতো চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নাই । এই কথাটা তুমি কলেজ এ গিয়েই বুঝতে পারবে। হয়ত তোমার ফ্রেন্ডরা আজকে সবাই এ+ পেয়ে নাচানাচি করছে তুমি পারছো না। কলেজ লাইফটা ভাল ভাবে পড় দেখবে তোমার রেজাল্ট এমনিতে ভাল হবে। আবার বলতে পারো, "ভাইয়া পড়লাম তো অনেক কিন্তু রেজাল্টতো ভাল হল না।" জীবনের সব ক্ষেত্রেই মানুষ সফল হয়না। কিছু কিছু সময় মানুষ হোঁচট খায়। আর এটা আমাদের সবাইকে মেনে নিতেই হবে। বিফল হয়েছো তাই বলে কি তোমার বসে থাকলে হবে? না, সেটা হবেনা। বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন হাজার বার চেষ্টা করার পরেও থেমে যান নি। আর তিনি যদি থেমে যেতেন তাহলে কি আমরা বাল্ব পেতাম? ঠিক তেমনই ভাবেও তোমার মাঝে লুকিয়ে আছে সুপ্ত শক্তি। আর সেটার দ্বারাই তোমার নিজের মাঝে লুকিয়ে থাকা মানুষটিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। তোমার রেজাল্ট খারাপ হয়েছে এ জন্য এমন কোন কাজ করোনা যাতে করে তোমার পিতা মাতাকে সারা জীবন সেই কষ্ট বুকে নিয়ে বেড়াতে হয়। অনেক সময় দেখি অনেকে এ+ পায়নি বলে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়, ফাঁসি দেয় অথবা অন্য কোন উপায়ে সুইসাইড করে। আরে এ বোকা সুইসাইড কেন করবি তুই। জীবন কি এখানেই শেষ? এটা সবেমাত্র প্রথম ধাপ। আমি প্রথমেই বলেছি নিজের মাঝে আগুন থাকলে সেটা দেরিতে হলেও জ্বলে উঠবেই। দেখা যাবে তিন থেকে চার বছর পর কে কোন পজিশনে যাচ্ছে। তখন দেখা যাবে তুমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বুয়েটের মত নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের সাথে আডডা দিচ্ছো । আর তোমার সেই বন্ধুগুলো, যারা অনেক এ+ নিয়ে গর্ব করেছিলো তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়ই পা রাখতে পারেনি। এ রকম হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে আমাদের দেশে। একটু চোখ কান খোলা রেখে চারদিকে দেখো। দেখবে তোমার উত্তর পেয়ে যাবে। জীবনে গেলে বড় হতে এ+ লাগে না। লাগে শুধু চেষ্টা, ধৈর্য আর উপযুক্ত কনফিডেন্স। আবারো বলছি তুমি বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তাদের তুমি আজকে মুখে হাসি ফোটাতে পারোনি। প্রাণপণ লড়াই করো যুদ্ধে জেতার জন্য। তখন দেখতে পারবে তোমার মা-বাবার মুখের হাসি কোনদিন শেষ হবেনা। সে হাসির মূল্য তুমি দুনিয়ার কোন মুদ্রায় ক্রয় করতে পারবে না । নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, সামনের লক্ষ্যকে এখন থেকেই স্থির করো। আর কলেজ লাইফের প্রথম দিন থেকেই লেখাপড়ায় মগ্ন হয়ে যাও। ২ বছর দেখতে পারবে জীবনের আসল মিনিং। আর তখন নিজেকে মনে হবে আমি এ পৃথিবীর সব থেকে সুখি এবং দামি মানুষ। আবারো বলছি কনফিডেন্স ধরে রাখো…বিজয় তোমারই হবে অবশ্যই ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



যে সব ছাত্ররা ব্লগিং করবে, তারা নিজকে ও বিশ্বকে বুঝার সুযোগ পাবে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ব্লগিং সম্পর্কে সাধারণের ধারণা স্বাভাবিক নয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.