নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের মারপ্যাঁচ

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪


জাতীয়তাবাদী হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিনেতাদের মধ্যে সিরাজুল আলম খান ছিলেন যুবনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী । তবে তিনি ৬ দফার গণতন্ত্রবাদের সমর্থক ছিলেন না । তিনি “দ্বিতীয় ধারার রাজনীতি” নামে সন্ত্রাসবাদী বা তথাকথিত বিপ্লবী রাজনৈতিক পথের অনুসারী ছিলেন ।
তিনি একজন আবেগী ব্যক্তি । ১৯৬২ উত্তর মার্ক্সবাদী হন । একদা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকায় তিনি গোপনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অভ্যন্তরে মার্ক্সবাদ ছড়ান । পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামোতে গোপনে তৎপর ছিলেন । স্বাধীনতা উত্তর অনুকূল পরিবেশ পেয়ে প্রথমে মুজিববাদ স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগ ও সংবিধানে রাষ্ট্র-পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সমাজতন্ত্রকে অন্তর্ভূক্ত করাতে সমর্থ হন ।
চাপ সৃষ্টি করে সমাজতন্ত্রবাদ গ্রহণে বাধ্য করায় তাঁর সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কের অবনতি হয় । বঙ্গবন্ধু একবার “বেশী রাজনীতি শিখেছিস” বলে অসন্তুষ্টি প্রকাশও করেন । এরপর শেখ মনি ও আব্দুর রাজ্জাকও তাঁকে এড়িয়ে চলতেন । বঙ্গবন্ধুও তাঁকে আর সময় দিতেন না । ছাত্রলীগের সম্মেলনকে সম্মুখে রেখে বঙ্গবন্ধু তাঁকে নিজের মতো একটি প্যানেল করতে বলেন । শেখ মনিকেও আরেকটি প্যালেন তৈরী করতে বলেন (এটা উনি জানতেন না) । বিশ্বাস ছিল, তাঁর প্যানেলের প্রাধান্য রেখে ছাত্রলীগের প্যানেল চূড়ান্ত হবে । কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মনির প্যানেলটি আওয়ামী সমর্থিত হিসেবে অনুমোদন দেন এবং তাঁকে নিজের প্যানেল নিয়ে আলাদা ছাত্রলীগ ও রাজনৈতিক দল তৈরী করতে বলেন (সিরাজুল আলম খানের কথানুসারে) । “বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র” স্লোগান দিয়ে প্রথমে আলাদা ছাত্রলীগ এবং পরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ব্যানারে সন্ত্রাসবাদী রাজনীতি শুরু করেন । স্বাধীনতাত্তোর ১৯৭২-৭৫ চরম সংকটময় রাজনীতি, স্বৈরমুখী রাষ্ট্রপরিচালনা, রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার ও হাজার হাজার খুন ও পরবর্তী ঘটনা প্রবাহের জন্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, না সিরাজুল আলম খান দায়ী; তা ইতিহাস মূল্যায়ন করবে । তবে সবচেয়ে বেশী দায়ী ছিল স্বৈরমুখী রাষ্ট্র-অবকাঠামো, স্বৈরমুখী প্রতিরক্ষা কাঠামো ও স্বৈরমুখী সাংবিধানিক সরকারব্যবস্থা । এ কাঠামো-ব্যবস্থাগুলো নির্বাচিত সরকার ও প্রশাসনকে উত্তরোত্তর স্বৈরমুখী করেছে, একদলীয় রাজনীতি এনেছে এবং সামরিক শাসন দিয়েছে । একদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সমাজতন্ত্র ও বেসরকারী ব্যক্তি অনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হলে সামরিক শাসন বিশ্বে নতুন কিছু না ।৪/৫টি থেকে ৯টি আঞ্চলিক ক্যান্টমেন্ট ভিত্তিক হওয়ায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কাঠামো গণতন্ত্রমুখী হয়েছে । ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা-বিভাগ পুনর্গঠনের ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা বিভাগ হলে রাষ্ট্র-অবকাঠামোও সুষম-গণতন্ত্রমুখী হবে । বাংলাদেশ আরও উচ্চমাত্রার সম্মৃদ্ধিশীল রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাকী থাকবে সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থাকে গণতন্ত্রমুখী করা । যে দেশে সংবিধান বিশেষজ্ঞ নামে খ্যাত ডঃ কামাল হোসেন, ব্যারিঃ আমিরুল ইসলাম, ব্যারিঃ মওদুদ, প্রমূখরা “দুইকক্ষ সংসদব্যবস্থা” বুঝেন না, সেখানে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা না বুঝলে তেমন কিছু দোষের নয় । তবে সিরাজুল আলম খান রাষ্ট্র-অবকাঠামো, প্রতিরক্ষা কাঠামো, জাতীয় বেতন কাঠামো ও সাংবিধানিক সরকারব্যবস্থার গণতন্ত্রমুখী পুনর্গঠন কর্মসূচী ১৯৮৭ থেকে জাসদের কর্মসূচী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেছেন । আপনাদেরও স্মরণে থাকার কথা ।
http://dhakarnews.com/index.php/mukto/item/29661-2015-07-02
-04-54-28#sthash.sKn4aBc0.dpuf
Mohiuddin Ahmad
Nizam Mohammad Serajul Alam Khan (74+). Some people used to say that he was a terrorist; some people branded him as a Trotskyte; to some people, he had the image of an agent provocateur and thus was a conspirator; and many people think that he has been a catalyst of destruction and thus earned the name 'Kapalik'. Often I feel that he was a prototype of the pied piper of Hamelin, who led a generation of the youth to a world from where they could hardly return. I know this person for over 45 years. I had opportunities to interact with him on many occasions. Today evening, we talked for over an hour. He unfolded his heart and spoke at length on different pertinent issues. I hope to make a narrative out of this discussion, soon.

মহিউদ্দিন আহমেদের লেখা থেকে নেওয়া

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাজনীতির ‘রহস্যপুরুষ’ খ্যাত সিরাজুল আলম খান দীর্ঘদিন রাজনীতির দৃশ্যপটে অনুপস্থিত। এখন বছরের অধিকাংশ সময় বিদেশী প্রভাবের মূল কেন্দ্র 'স্বপ্নের' আমেরিকায় থাকেন এবং বিপ্লব ভুলে (সে সমাজতান্ত্রিকই হোক আর 'জাতীয় গণতান্ত্রিকই' হোক) 'মুজিবের' বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর গবেষণা করে ও গ্রন্থ লিখে সময় কাটান। তিনি বছরের যে সামান্য সময় বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন, তার অধিকাংশই ব্যয় করেন পাঁচতারা হোটেলে (সোনার গাঁ/শেরাটনে) রব-সিরাজ বা অন্যান্য সাবেক 'বিপ্লবী' পরিবেষ্টিত হয়ে আড্ডা দিয়ে। লক্ষণীয়, এত কাল পরও 'বিপ্লব তাড়িত'' হয়ে রাখা শ্মশ্রু ও দীঘল কেশ শোভিত হয়ে মার্ক্সের অবয়ব ধারণ করে এবং অকৃতদার থেকে তিনি বিপ্লবী ঐতিহ্যের দৃষ্টান্ত্ম হয়ে আছেন। আর্থ-সামাজিক বিশেষনে সিরাজুল আলম খানের তাত্বিক উদ্ভাবন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়। মার্কসীয় ‘দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদে’র আলোকে বাংলাদেশের জনগণকে শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী হিসাবে বিভক্ত করে ‘রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক’ মডেল হাজির করেছেন সিরাজুল আলম খান। তাঁর দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য ছাত্র-যুব নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এক বিষ্ময়কর ব্যাপার। ৬৭ বছর বয়স্ক সিরাজুল আলম খান এখন দেশে-বিদেশে ‘রাজনৈতিক তাত্বিক ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে পরিচিত।

বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাজনীতি মঞ্চে ফের উচ্চারিত হচ্ছে তার নাম। গত মে মাসের ১০ মে এই ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বলা হচ্ছে, বিএনপির এই ‘ভিশন-২০৩০’র গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো সিরাজুল আলম খানের ১৪ দফা থেকে নেয়া।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিপ্লব ভেস্তে গেছে!

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৭

Al Rajbari বলেছেন: অ্যাঁ :)

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: :-/

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এইসব বস্তাপচা বামাতীদের কারণে স্বাধীনতা পরবর্তীতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরী হইয়াছিল ! বঙ্গবন্ধু ইহাদের প্যাদানি দিয়া ঠিকই করিয়াছিলেন। পরবর্তীতে জিয়াও পোন্দানো অব্যাহত রাখেন ! আর এরশাদের সময় এরা মাসোয়ারা নিয়া গৃহপালিত বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করিত ! এখনতো ইহারা সরকারের যাত্রামঞ্চের ভাঁড় হিসেবে লোক হাসাইয়া থাকে !

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃস্টি করেছিলো এরা; এসব বামপন্থিদের পুুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন নি বঙ্গবন্ধু । অন্যান্য বামদের মধ্যে এদের পার্থক্য এই এরা সবাই একসময় আওয়ামীলীগার ছিলেন; স্বাধীনতার পেছনে এদের যথেষ্ট অবদান ছিলো । আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধু যদি এদের দলে রেখে দিতে পারতেন, অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক পরিস্থিতিই এড়াতে পারতেন ।

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুষ্টলোক।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিভ্রান্ত

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:

ছাগলকে হরিণ বানায়ে ফেলেছেন?

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: :)

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩১

থার্মোমিটার বলেছেন: এই লোকটার জন্য কত মেধাবী ছাত্রের জীবন নষ্ট হয়েছে তার খোজ কেউ রাখে না, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র= বৈজ্ঞানিক ভন্ডামি । X((

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.