নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাপ-পুণ্যের কথা আমি কার কাছে বা শুধাই?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ছোট্টবেলায় শুনতাম গান-বাজনা হারাম কিন্তু মানতে পারতাম না। সব বাধা সত্ত্বেও গান শুনতাম, ছবি দেখতাম। বুঝতে পারতাম না কেন পাপ হয়? এগুলোর মাধ্যমে কী ক্ষতি হয়? দোযখে যাব এই আশঙ্কাতে অবশ্য ভয় পেতাম খুব। তবুও গান শোনা বাদ দিতাম না। প্রাণের আকুতি কেউ কি কখনো অস্বীকার করতে পারে?
পয়লা বৈশাখ নিয়েও এরকম একটা কথা প্রচারিত হত; এখনো হচ্ছে। এটা নাকি হিন্দুদের উৎসব। হিন্দুদের উৎসব হলেই সমস্যাটা কী বোধগম্য হত না। আমি তো আমার হিন্দু বন্ধুদের কখনো আলাদা করে দেখি নি; তারা তো আমার মতই রক্তমাংসে গড়া মানুষ। তারাও আমার মত ভাত খায়, বিছানায় ঘুমায়। যদিও পরে জেনেছিলাম সম্রাট আকবর বৈশাখের সূচনা করেছিলেন রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে; এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। ধর্মের সাথে সম্পর্ক থাকলেও সমস্যা কী ছিল? আমার কি জাত চলে যেত?
সমস্যাটা পেঁচার মুখোশ নিয়ে, মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে! বলা হচ্ছে, একটা জন্তুর কাছে কী নাকি চাওয়া হচ্ছে। আসলেই কি কিছু চাওয়া হচ্ছে? মানুষ উৎসবের সাজে সজ্জিত হয়ে নাচানাচি করছে, আনন্দ-উল্লাস করছে; এখানে ধর্মবিরোধী কী হচ্ছে আমার বোধে আসে না। যারা অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে, এদের উদ্দেশ্যটা আসলে কী? দেশ-জাতিকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেওয়া?
এসব কুচক্রীমহল সবসময়ই ছিল; এদের উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। দেশের মানুষ নিশ্চয়ই এদের অশুভ পাঁয়তারাকে রুখে দেবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: 'ভাত একটা হিন্দুয়ানি খাবার। মুসলমানরা এ দেশে আসার বহু আগে থেকে হিন্দুরা এটা চাষ করতো। ভাত মুসলমানদের জন্য নাজায়েজ।'
আল্লামা Kamal Pasha Chowdhury

এই গুলাকে জুতা দিয়ে পটানো দরকার।
নির্বোধের শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দিন বুঝি আজ তাদেরই। প্রতিবাদ করতে গেলেও মুশকিল!

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


পানতা নিয়ে থাকলে বসে
ইলিশ মাছের আশায়,
একটা ইলিশ পথ ভুলে কী
ঢুঁকবে আমার বাসায়?
কেষ্ট বলে, শুনছো কথা!
বলে কী মোর দুলায়,
এই বাজারে ইলিশ নিয়া
কেমনে মাথা ঘামায়?
থালায় নিয়ে রাখছি পুঁটি
উদযাপনের আশায়,
লও সবে বৈশাখী মোর
রাঙা নিমন্ত্রণের খাতায়,
খেজুর পাতার আসন পেতে
বসবো সবাই দাওয়ায়,
করবো ভাগ মহা আনন্দে
পুঁটি-পান্তার থালায়।।

................শুভ নববর্ষ।
.......ব্লগে স্বাগতম।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ছড়া ভালো হয়েছে! বৈশাখের শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.