নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

কনভেনশন সেন্টারের বিড়ম্বনা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৩


আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ভাগ্নির বিবাহ। খুব করে দাওয়াত দিয়েছে। আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছি, যাবো না। বিয়ের দাওয়াত, খৎনার দাওয়াত, জন্মদিনের দাওয়াত- এগুলো আমার ভালো লাগে না।
এসব উৎসবে গেলে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি না। বস্তুত কোন প্রকার আনন্দ উৎসবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি না। কেমন সঙ্কোচ লাগে। নিজেকে গরিব আর ছোটলোক মনে হয়।

যাবো না, যাবো না কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে যেতেই হলো। বন্ধু রাগ করছিলো। না গেলে অবস্থা বেগতিক হয়ে যাবে বলে বন্ধুত্ব রক্ষার্থে যেতে রাজি হলাম।

শহরের সবচেয়ে বড় কনভেনশন সেন্টারে বিবাহ। গেটে গিয়ে দেখি এলাহি কান্ড। সাজ সাজ রব। শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আসছেন।
মহা মুশকিলে পড়া গেলো। দিলাম বন্ধুকে ফোন।
সে এসে আমাকে ভেতরে নিয়ে গেলো।

ঘুরেফিরে দেখছিলাম কে কে এসেছেন। দেখলাম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সহ অনেকেই এসেছেন।

বন্ধু আমাকে খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে কোথাও গিয়েছে। ওয়েটার খুব যত্ন করছিলো আমার। হয়তো ভেবেছিলো কিছু বখশিশ দেবো। বেচারার নসিব মন্দ। পকেটে টাকা-পয়সা ছিলো না।

বন্ধু আসতে আসতে আমার খাওয়া দাওয়া শেষ। পায়চারি করছিলাম। সে এসে খেতে বসলো। আমি তার পেছনের একটা ফাঁকা চেয়ারে বসলাম, যে টেবিলটায় আপাতত কেউ নেই।

হঠাৎ একজন আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ভাইয়া, রাইস নিয়ে আসেন।
আমি বিব্রত। বন্ধু, সেও বিব্রত। সে বললো, ও তো গেস্ট।

আমি একটু শুকনো হাসি দিলাম। ও বেচারার কোন দোষ নেই। ওয়েটারেরা যে ড্রেস পরে, মানে কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট আমার পরনেও একই রকমের পোষাক। ও কী করে বুঝবে আমি গেস্ট না ওয়েটার।



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে আমরা অনেকেই ভালোভাবে মিশে যেতে পারি না। এর নানা কারণ রয়েছে। অনেকগুলো যৌক্তিকও। কিন্তু আমি মনে করি এগুলো নিয়ে না ভেবে উপভোগ করাই শ্রেয়।

আর চেহারা ও পোশাকের কারণে এ ধরণের বিড়ম্বনাতে অনেককে অনেক জায়গাতেই পড়তে হয়। দোকানে গিয়েছেন, হয়ত কেউ আপনাকে সেলসম্যান ভেবে বসে আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো স্বাভাবিকভাবে নেওয়ায় ভালো। যদিও...।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সত্যি বলতে কী এমন বিড়ম্বনায় আরও বহুবার পড়তে হয়েছে। একবার এক স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছি। উত্তীর্ণ হয়ে যেই ক্লাস নিতে গেলাম, শিক্ষার্থীরা বলে উঠলো, স্যার, আপনাকে আমরা পিয়ন মনে করেছিলাম।
এই হলো অবস্থা।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি পাঁচ বছর কোনো বিয়ে সাদি বা অন্যান্য কোনো অনুষ্ঠানে যাই নি। হে হে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যে ঘটনাটা বললাম, এর পরে আমিও আর কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই নি। আগে কবে গিয়েছিলাম ঠিক মনে নেই। বছর তিনেক তো হবেই মনে হয়।
পারতপক্ষে এসব অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে পারলেই বাঁচি।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এটা কোন যৌক্তিক কারন না
কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে না যাবার।
এসকল অনুষ্ঠানে অনেক নিকট আত্মীয়দের
সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয় যা প্রতিনিয়ত হয় না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এসকল অনুষ্ঠানে অনেক নিকট আত্মীয়দের
সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয় যা প্রতিনিয়ত হয় না।
। যথার্থই বলেছেন। মিশতে না পারাটা আমারই অক্ষমতা।

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য,





আখেনাটেন এর মন্তব্যের সাথে সহমত। নূর মোহাম্মদ নূরু ও কিন্তু ঠিক কথাই বলেছেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.