নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির পাশে আরশিনগর সেথা পড়শী বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমরান খান পারেননি, শেখ হাসিনা পারবেন?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬


ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাশিয়া সফর করছিলেন। এরও আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল তিনি রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছেন। যদিও বলা হচ্ছিল এই সফর পূর্বনির্ধারিত ছিল। চিনের সাথে পাকিস্তানের সখ্য তো আগে থেকেই। এ কারণেও আমেরিকা পাকিস্তানের ওপর নাখোশ ছিল। যাহোক, রাশিয়ার সাথে পাকিস্তানের সখ্য আমেরিকা ভালোভাবে নেয়নি। ফলাফল ইমরানকে হঠাতে পাকিস্তানের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আমেরিকার হুমকি। অবশ্য সেনাবাহিনীতে হস্তক্ষেপের চেষ্টায় ইমরানের ওপর সেনাবাহিনী ক্ষিপ্ত ছিল। তাছাড়া ইমরান যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তা রাখতে পারেননি। পাকিস্তানের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছে। যাহোক, ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। ইমরানপন্থিদের অভিযোগ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মদদ ছিল। জানা যায়, এই সেনাবাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করেই ইমরান ক্ষমতায় এসেছিলেন।

মিয়ানমার-পাকিস্তান মূলত সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বাধীন রাষ্ট্র। সূচি বা ইমরান চেষ্টা করেও পারেননি তাদের কর্তৃত্ব কমাতে। সেনাবাহিনীর সাথে বিরোধ তৈরি হওয়ার ভুগছেন। সূচি গৃহবন্দী। ইমরান তোশাখানা নামলায় জেলে। নির্বাচন করতে পারবেন না ৫ বছর। যদিও মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন, তবে শিগগিরই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।

৫৬ সালের দিকে পাকিস্তান সর্বপ্রথম আমেরিকার দিকে ঝুঁকে। আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের অস্ত্র-চুক্তির জেরে সোহরাওয়ার্দীর সাথে বিরোধে মওলানা ভাষানী আওয়ামী লীগ ছেড়ে ন্যাপ গঠন করেন। সোহরাওয়ার্দী আমেরিকার দিকে ঝুঁকলেও রাশিয়া-চিন কিন্তু কোনো বাধা তৈরি করেনি। অথচ '৭৫ সালে বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান যখন রাশিয়ার দিকে ঝুঁকলেন, সিআইএ পাকিস্তানি ভাবধারাপুষ্ট কিছু সেনাসদস্য ও রাজনীতিবিদদের সাথে ষড়যন্ত্র করে শেখকে থামায়।

চিনের সাথে শেখ হাসিনার সখ্য বেড়েছে। ভারত কিছুটা নাখোশ। স্বাধীনতার পর থেকেই শেখের ওপরও নাখোশ ছিল দেশটি। শেখ বেশি স্বাধীনচেতা হওয়ায় ক্ষুব্ধও ছিল। তাই তো শেখ সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ইন্দিরা গান্ধী তেমন উচ্চবাচ্য করেননি।

বাংলাদেশের নির্বাচন, ইউনূস বা নানা ইস্যুতে আমেরিকা বাংলাদেশের ওপর বিরক্ত। শেখ হাসিনা বা তার মন্ত্রীরাও আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। বিশ্ব মোড়ল আমেরিকার বিরুদ্ধে এমন হম্বিতম্বি আগে দেখা যায়নি। জলে নেমে কুমিরের সাথে বিবাদ করা যেমন কঠিন, আমেরিকার বিরুদ্ধে গিয়ে শেখ বাঁচতে পারেননি, ইমরানও ভুগছেন। শেখ হাসিনা কি টিকতে পারবেন? যদিও এটা সত্যি শেখ বা ইমরানের পরিণতি সচক্ষে শেখ হাসিনা দেখেছেন। তার পরিপক্বতা তাদের চেয়েও বেশি। ভারতও আমেরিকাকে বলেছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে এই অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। আমেরিকাও হয়তো মনে করে এ অঞ্চলে ধর্মপন্থিদের উত্থান তাদেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে। এসব নানা বিষয় ভেবে ভারত বা আমেরিকা কি শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেবে? শেখ হাসিনা কি নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে পারবেন? শেখ হাসিনা বিপদে পড়লে চিন বা রাশিয়া কি তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন? যদিও ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় চিন-রাশিয়া বরাবরই সবাইকে গাছে তুলে মই কেড়ে নিয়েছে।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

অরণি বলেছেন: যদি মধ্যরাতের ভোট বা আগের দিনের ভোট এই টাইপের ভোট করতে পারে তাহলে ভারতের সমর্থনে হয়তো টিকা যাহবো। ভারত ভোট শেষ হওয়ার আগেই বলবে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমেরিকা কী করবে? বিএনপি খুব আশাবাদী আমেরিকা তাদের ক্ষমতায় বসাবে। এই আশাতেই জামায়াতকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ইমরান খান আইএসআই এর হাত ধরে ক্ষমতায় আরোহণ করেছিলেন। তাই পাক সেনাবাহিনী তাকে থামিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা এই চ্যালেঞ্জ উৎরে যাবেন । বিএনপি জামায়াত একসময় বিলীন হয়ে যাবে বলে আমার ধারণা ।
তাই বলে শুধু আওয়ামী লীগ থাকবে আর কেউ থাকবে না। বিষয়টা এমন না। প্রকৃতি কখনো শূন্যতা পছন্দ করে না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আইএসআইয়ের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেও সেনাবাহিনীর ওপর হস্তক্ষেপ করায় সেনাবাহিনী সংক্ষুব্ধ ছিল।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

মুক্তাঙ্গন৫৭ বলেছেন: খুব সময়োপযোগী আলাপ পেড়েছেন বিশেষ করে পাক-আমেরিকার অস্ত্র চুক্তির জেরে ভাসানি ন্যাপ গঠন করেন , এটা জানা ছিল না । দেশে ঠিক কি ঘটছে বলা মুশকিল তবে খালেদার কিছু হলে বিপ্লবে নতুন হাওয়া লাগবে । জনতা রাস্তায় নামবে জীবনযাপন উচ্চ মুল্যের কারনে । নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও লীগ কম ব্যাবধানে জিতবে । আপনার কি মনে হয় লীগ তলে তলে একটা ধর্মীয় ইমেজধারি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্যাস্ত । ভারত অনেক আগে থেকে তাই চাইছে ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনার কি মনে হয় লীগ তলে তলে একটা ধর্মীয় ইমেজধারি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত? ভারত অনেক আগে থেকে তাই চাইছে। ২০০৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ খেলাফতে মজলিশ নামে ধর্মভিত্তিক দলের সাথে জোট করে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ফয়জুল হক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল। তার ছেলেই মামুনুল হক, যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলতে চেয়েছিল। যাহোক, খেলাফতে মজলিশের সাথে আওয়ামী লীগের মতো অসাম্প্রদায়িক দল কেন জোট করল? বোধকরি আওয়ামী লীগ চেয়েছিল ধমান্ধ শ্রেণির কিছু ভোট টানতে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে তখনকার পাতানো নির্বাচন বাতিল করে আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে দেয়। এজন্য বলছি খেলাফতে মজলিশের সাথে চুক্তি বাতিল হয়। খেলাফতে মজলিশের দাবিগুলো জানলে বুঝবেন আওয়ামী লীগ কী ফাঁদে পা দিয়েছিল।

ভারত বিজেপিতে ভর করে ধর্ম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টার সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশে চাইবে না। কারণ, আমেরিকা চায় না বাংলাদেশে ধর্মরাষ্ট্র হোক।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: স্যরি মামুনুল হকের পিতার নাম শায়খুল হাদিস আজিজুল হক।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা পারবেন। উনি অন্য ধাতুতে গড়া।
আমেরিকা সেই ৭১ থেকেই আমাদের খুব একটা ভালো নজরে দেখে না। চীন জানে আমরা ক্ষতিকত নই। বরং চীন থেকে লোক এসে আমাদের বড় বড় ইমারত করে দিচ্ছে।

আল্লাহ্‌ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখুক। তাহলেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: চিন-রাশিয়া কিছু করবে না, করলে করবে ভারত-আমেরিকা।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


মুক্তাঙ্গন৫৭ বলেছেন: খুনির্বাচন সুষ্ঠু হলেও লীগ কম ব্যাবধানে জিতবে । তাহলে তত্ত্ববায়ক সরকার দিতে সমস্যা কোথায়? তিন মাসের জন্য উনি ক্ষমতায় না থাকলে তো না খেয়ে মারা যাবেন না, নির্বাচন শেষ হলে আবার শপথ নিয়ে ক্ষমতায়!!
দেশে তাহলে সবাই খুশি থাকতো অযাথা কেন চীন মীন রাজনীতি করার দরকার?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: নতুন কিছু থাকলে বলেন। এক প্যাঁচাল আর কত? বিএনপি ক্ষমতায় এসে আগের টার্মগুলোয় কী কী করেছে তা তো দেশবাসী জানে। তাই তো খালেদা জেলে গেলেও দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া একজনও রাস্তায় নামেনি। বিএনপি যদি নির্বাচিত হয়, তাদের রূপরেখা কী? কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? খাম্বা বাবা?

শেখ হাসিনা কি ২১ আগস্টের ঘটনা ভুলে গেছেন? উনি বিএনপিকে কোলে তোলে ক্ষমতায় এনে বোমা হামলায় মরবেন? খালেদা জিয়া কি একাধিকবার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চেষ্টা করেননি? বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়ছেন। জিয়া তো সাত্তারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ক্ষমতা দখল করেছেন। এসব ইতিহাস ভুলে যান কেন?

বিএনপি পারলে জনগণকে সাথে নিয়ে গণভবন দখল করুক। না কি বলবেন পুলিশ ছাড়া নামুক? আওয়ামী লীগ তাহলে কীভাবে তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়েছে? তখন কি পুলিশ ছিল না? আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের রাস্তায় ফেলে পেটানোর ইতিহাস ভুলে যান কেন?

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা সেই ৭১ থেকেই আমাদের খুব একটা ভালো নজরে দেখে না। চীন জানে আমরা ক্ষতিকত নই। বরং চীন থেকে লোক এসে আমাদের বড় বড় ইমারত করে দিচ্ছে।
তবে মনে রাখতে হবে চীন আমাদের কবে স্বাধীনতার স্বীকৃত দিয়েছিল? সেদিন কে মারা গিয়েছিল অবশ্য আওয়ামলীগ ক্ষমতার জন্য ইনু, মতিয়ার মত বঙ্গবন্ধু চরম অপমানকারীদের বগলের নিচে নিয়ে রাজনীতি করতে পারে সেখানে চীন তো বহুদূরের রাস্তা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: চিন ভারতের চেয়েও ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের কৌশলে ব্যবহার করাই মঙ্গল।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

উপরের দুইটা মন্তব্য অন্য মন্তব্যের প্ররিপেক্ষিতে আপনার লেখা পড়ে একটা মন্তব্য কররো- আমেরিকা যদি চায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে পৃথিবীর কোন রাষ্টে্র পক্ষে সম্ভব নয় টিকে রাখা। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের দেশ যাদের দুই তিনটা অর্থনীতি অবরোধ দিলে দুই দিনে লাফালাফি শেষ। মনে রাখতে হবে চীন বিক্রেতা আর উইরোপ আমেরিকা ক্রেতা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমেরিকা যদি চায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয় টিকে রাখা। সহমত। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের দেশ যাদের দুই তিনটা অর্থনীতি অবরোধ দিলে দুই দিনে লাফালাফি শেষ। মনে রাখতে হবে চীন বিক্রেতা আর উইরোপ আমেরিকা ক্রেতা। সহমত এখানেও।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

নতুন কিছু থাকলে বলেন।
যে দলের কর্মী সমর্থক এখনো ৭৫ সালের পেরিয়ে আসতে পারে নাই, যাদরে ইতিহাস ৭১-৭৫ পর্যন্ত তারা আবার পুরানো কথা নিয়ে আপত্তি করে!! এই না হলে আওয়ামলীগ?

বিএনপি যদি নির্বাচিত হয়, তাদের রূপরেখা কী? কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? এটা বিএনপি আর জনগন বুঝবে লীগের তো মাথা ব্যাথার কথা নয় বরং খুশি হওয়ার কথা তারা এলোমেলো দলের বিপক্ষে সহজে লড়বে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যে দলের কর্মী- সমর্থক এখনো ৭৫ সাল পেরিয়ে আসতে পারে নাই, যাদের ইতিহাস ৭১-৭৫ পর্যন্ত তারা আবার পুরানো কথা নিয়ে আপত্তি করে! এই না হলে আওয়ামী লীগ? আওয়ামী লীগ ২০০৯ থেকে ২০২৩ নিয়েও কথা বলে যদিও বিএনপি তা নিয়ে কটাক্ষ করে। বিএনপির উল্লেখযোগ্য অর্জন কী? থাকলে সেসব নিয়ে কথা বলে না কেন?

আর বিএনপির রূপরেখা তো সাধারণ নাগরিক হিসেবেও জিজ্ঞাসা থাকতে পারে। আপনার কি মনে হয় এলোমেলো একটা দলের হাতে ক্ষমতা চলে গেলে তারা বিরাট কিছু ঘটিয়ে ফেলবে? না কি ২০০১-০৬ এর মতো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি?

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

আপনার কি মনে হয় এলোমেলো একটা দলের হাতে ক্ষমতা চলে গেলে তারা বিরাট কিছু ঘটিয়ে ফেলবে? না কি ২০০১-০৬ এর মতো হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি?
৭১ সালে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ট জনগন ভুল সিধান্ত নেই নি, জনগনের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে তারা ভুল সিধান্ত নিবে না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জনগণকে যা বোঝানো হবে তাই বুঝবে। বিএনপি কি এমন কোনো ফর্মুলা দাঁড় করিয়েছে যা দেখে লোকজন আকৃষ্ট হবে? অনেক মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর বিরক্ত; এর মানে এই না যে তারা বিএনপিকে চায়। বিএনপিকে চাইলে তারা বিএনপির সাথে একাত্ম হতো।

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

বাউন্ডেলে বলেছেন: সব কথার শেষ কথা “বর্তমান বাংলাদেশের অন্যাণ্য যে কোন নেতার চেয়ে শেখ হাসিনা উত্তম” এবং দলের ক্ষেত্রে “আওয়ামীলীগ” অন্য যে কোনো দলের চেয়ে অধিক জনপ্রিয় ও সু-সংগঠিত। আমেরিকা বাংলাদেশকে উত্তর কোরিয়ার মতো অবস্থায় ফেললেও “শাপে বর” হতে পারে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপাতত তাই মনে হচ্ছে।

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমিও রিপ্লাই দিতে এলাম।

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

বাকপ্রবাস বলেছেন: বিমান বন্দর লকার থেকে সোনা উধাও

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কাস্টমসের লোকেরা নিজের মনে করে মেরে দিয়েছে।

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

কামাল১৮ বলেছেন: ইলেকশনের পর সব পরিস্কার হয়ে যাবে।যেমন হয়ে ছিলো তেরো এবং আঠারোতে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হ্যাঁ।

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:




শেখ হাসিনার এই ছবিটা আগে কখনও দেখিনি, ভালো লেগেছে।
থ্যাংকস শেয়ার করার জন্য।

প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন একজন মানুষ, যিনি অনেক কিছু করেছেন এপ্রিশিয়েট পাবার মতো।
কিন্তু যেটা উনি করতে পারতেন কিন্তু করেননি সেটা হচ্ছে শক্ত হাতে দুর্নীতি দমন।

আগের কোন সরকার যা করেনি, সেই কাজটা শেখ হাসিনা করতে পারতেন, ওনার মাঝে সেই যোগ্যতা ছিলো।
কিন্তু দুঃখজনক এতো বছর ক্ষমতায় থেকেও উনি দুর্নীতি দমনে কোন ভুমিকা রাখেননি।
আমরা সাধারণ মানুষের একটা প্রত্যাশা ছিলো ওনার কাছে।


০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে মনে হয় দুর্নীতি কখনোই দমন সম্ভব না। এত অসৎ জাতি বোধহয় পৃথিবীতে কম আছে। আবার এই আমরা সভ্য জাতিদের মতো গণতন্ত্র চাই কিন্তু তাদের মতো সৎ হতে পারি না। এদেশে বেড়ায় খেত খায়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এই নিন আরেকটা।

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: শেখ হাসিনা নিশ্চিত কিছু ক্ষেত্রে অসফল(এর মুল হল দুর্নীতি), বেশ একগুঁয়ে, নিজের বুদ্ধির উপর ভীষণ আস্থাবান কিন্তু ইমরান খানের রাজনৈতিক বুদ্ধি তাঁর হাটুর সমান নয়।
এসবের পেছনে অনেক বড় মাপের দুরভিসন্ধি আছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইউনূস ইস্যু বা আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বলায় উনি বড় বিপদে পড়তে পারেন।

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪০

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ইমরান খানের সাথে তুলনাটা ঠিক হয়নি। পাকিস্তানের আমেরিকা বিরোধিতা ও আমাদের দেশের ভিসা স্যংশনের প্রেক্ষাপটে আমেরিকার বিরোধিতা একই বিষয় নয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক তুলনা না। ইমরানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও শেখ হাসিনার সমান নয়। ইমরানের মতো শেখ হাসিনাও আমেরিকার চক্ষুশূল হতে পারেন; এটাই ধারণা করা যায়।

১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: িনি বিদায় নিলে দেশের ভাল হবে বলে বুঝা যায়।
মধ্যবিত্ত শেষ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কীভাবে বুঝলেন তিনি বিদায় নিলে ভালো হবে? অবস্থা তো আরও খারাপ হতে পারে। রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে।

১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: ভারতদেব যতদিন হাসিনার মাথার উপর তার পাখা মেলে আছে, ততদিন আমেরিকার সাধ্য হবেনা উনার কেশাগ্র স্পর্শ করার।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: চিনমুখী হওয়ায় ভারত কতটুকু শেখ হাসিনাকে সাপোর্ট দেবে?

১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

কাঁউটাল বলেছেন: ডিসকো গাজী কই গেলেন? এই বিষয়ে উনার বক্তব্য কি?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: উনিও মনে করছেন ইউনূসের মামলাটা চালু করা অপ্রয়োজনীয় ছিল।

২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মিরোরডডল-এর মন্তব্যের সাথে পূর্ণ সহমত পোষণ করি।

প্রধামন্ত্রী আসলেই বেশ কিছু কাজ করেছেন যা সাুধবাদ পাবার যোগ্য। বিগত কয়েক সরকারের আমলে বাংলাদেশ এতটা উন্নতি দেখেনি। তবে দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। তিনি কঠোর হলে, পাতি নেতা-নেত্রী নিয়ন্ত্রন করতে পারলে, তিনি বাংলাদেশের সফলতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হতে পারতেন। এছাড়া আমি তাকে ভালোই জানি।

ব্যক্তিগত কথা বলছি, শুনলে অনেকে হাসতে পারেন। তিনি দেখতে অনেকটাই আমার ছোট ফুপুর মতো, তাকে দেখলে আমার ফুপুর মতোই মনে হয়। সন্তানের মতো এক ধরনের মমত্ববোধ আর শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে তার ব্যাপারে। :``>> :``>> ফুপু একটু কঠোর হলেই পোলাপাইনগুলা লাইনে আসতো, দেশটা আরো সুন্দর হতে পারতো। #:-S

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: উনার এই ছবিটা আমাকে একজন দিয়েছিল। ছবিটা আসলেই খুব সুন্দর। উনার চেহারার মধ্যে একটা মায়া আছে।

২১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ইমরান খানকে পছন্দ করি। সে ব্যর্থ বা সফল কি না সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। সে পাকিস্তানের জন্য ভালো কিছু করতে চেয়েছিল। ইমরান খানের কূট বুদ্ধি নাই মনে হয়। উনি সোজাসুজি চিন্তা করেন সব কিছু। এই কারণে ক্ষমতায় টিকতে পারেন নি।

অ্যামেরিকার সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক অনেক আগেই শীতল হয়েছে মনে হয়। পাকিস্তান চালায় সেনাবাহিনী। অ্যামেরিকার পক্ষে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নগ্ন হস্তক্ষেপ একটু কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু সামরিক বাহিনী দেশ চালালে সেই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। ব্যতিক্রম হোল মিয়ানমার। মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ চীন নিয়ে নিয়েছে অনেক আগেই। পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ ছাড়া কোন ব্যক্তি বা দল ক্ষমতায় বেশী দিন টিকতে পারে না।

১৯৭১ সালের যুদ্ধে পরাজয় শুধু পাকিস্তানের ছিল না অ্যামেরিকার জন্যও বড় পরাজয় ছিল। তখন শীতল যুদ্ধ চলছিল। বাংলাদেশের পক্ষে ছিল রাশিয়া আর বিপক্ষে অ্যামেরিকা। তাই অ্যামেরিকার জন্য এই পরাজয় ছিল রাশিয়ার কাছে পরাজয়। মুক্তিযুদ্ধে অ্যামেরিকা, রাশিয়া জড়িয়ে গিয়েছিল। আর ১০ দিন সময় পেলে অ্যামেরিকার সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতো। যুদ্ধের মোড় ঘুরে যেত। পাকিস্তান এটার জন্য অপেক্ষায় ছিল। সপ্তম নৌবহরের বিপরীতে রাশিয়া সামরিক হুমকি দিয়েছিল। ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধ শেষ না হলে বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার সম্ভবনা ছিল।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধ লেগে যায়। পাকিস্তান গায়ে পড়ে যুদ্ধ লাগায় যেন যুদ্ধটি আন্তর্জাতিক একটা যুদ্ধে পরিনত হয়। কারণ পাকিস্তানের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। এই আক্রমণের পরেই ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং সরাসরি ভারতীয় সেনা এবং বিমান আক্রমণ শুরু হয়। ১০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানের পরাজয় ঘটে। ইন্দিরা গান্ধীর বঙ্গবন্ধুর সাথে সুসম্পর্ক ছিল। ১৯৭৫ সালে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে নিরাপত্তা দেয় ভারত। কাদের সিদ্দিকি তার দল নিয়ে কিছু সময় ভারতে পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করে। কিন্তু ১৯৭১ আর ১৯৭৫ এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। কাদের সিদ্দিকে থামাতে টাঙ্গাইলে সেনানিবাস তৈরি করে জিয়া। টাঙ্গাইলে সুগঠিত কোন সেনানিবাস ছিল না। তাড়াহুড়া করে করা হয়। ১৯৭৫ সালে একজন ব্যক্তির জন্য ভারত কেন যুদ্ধ করতে যাবে। বাংলাদেশ ভারতের জন্য কোন হুমকি কখনও ছিল না। তবে ভারত আওয়ামীলীগকে পছন্দ করে এবং বিএনপিকে অপছন্দ করে। তার যথেষ্ট কারণও আছে। আওয়ামীলীগ থাকলে ভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধা।

আমার ধারণা আওয়ামীলীগ অ্যামেরিকা নিয়ে নাটক করছে। অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে এই ধরণের কথা বলার সাহস থাকার কথা না। এটার পরিণতি ভালো হওয়ার কথা না। অ্যামেরিকার ইচ্ছাতেই হয়তো এই নাটক হচ্ছে। ভারত বা অ্যামেরিকা উভয়েরই পছন্দ শেখ হাসিনা। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে নির্বাচন ও গনতন্ত্রের উন্নয়ন চায় অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকা চায় তাদের প্রিয় আওয়ামীলীগ আরেকটু সভ্য হউক। এই কারণেই চাপ দিচ্ছে বলে মনে হয়।
নির্বাচন নিয়ে এতো আপত্তি থাকলে অ্যামেরিকা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন মেনে নিত না। তবে অ্যামেরিকা চায় এই দেশে একটা গণতান্ত্রিক ধারা তৈরি হোক। বছরের পর বছর এই অনিয়ম চলুক অ্যামেরিকা সেটা চায় না।

আওয়ামীলীগ যে কোন ভাবে অ্যামেরিকাকে সন্তুষ্ট করবে। তা না হলে সমস্যা।

চিন বা রাশিয়া কখনওই এই ধরণের ব্যাপারে নাক গলাবে না। চিনের তো প্রশ্নই ওঠে না। রাশিয়া নিজেই কঠিন সমস্যায় আছে। রাশিয়া কিছুটা অ্যামেরিকা বিরোধী কথা বলতে পারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিশ্বাস ছিল চীন সরাসরি যুদ্ধে সহায়তা করবে। কিন্তু চীন হতাশ করেছে পাকিস্তানকে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমারও মনে হয় আপাতত আওয়ামী লীগকে ছাড়া অন্য কোনো দলকে আমেরিকা-ভারত সমর্থন দেবে না। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হয়তো আওয়ামী লীগকে চাপ দেবে কিন্তু নগ্ন হস্তক্ষেপ করার কথা না। কারণ, আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে বিএনপিকে তাদের সমর্থন করার কথা না। তবে শেখ হাসিনার বাড়াবাড়ির দরুণ ইউনূস গংদের জন্য তৃতীয় কোনো শক্তিকে আনতেও পারে।

২২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মামুনুল হকের পিতার নাম ফয়জুল হক না বরং শায়খুল হাদিস আজিজুল হক। মওলানা আজিজুল হক ১৯৭১ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমিরের দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ছয় দফা ঘোষিত হওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষের অধিকার বিষয়ে শেখ সাহেবের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক হয়। শেখ সাহেব সেই সময় শায়খুল হাদিসের চিন্তাধারার বেশ প্রশংসা করেন। এখানে উল্লেখযোগ্য, শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরীকে শ্রদ্ধা করতেন, গুরু মানতেন, তাঁর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য লালবাগ মাদরাসায় যেতেন, তারা দু’জন একই এলাকার লোক। মাওলানা আজিজুল হক মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরীর শুধু ছাত্রই নয়, রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক শিষ্যও। এই সূত্রেই মাওলানা আজিজুল হকের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠতা ছিল। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যখন অন্য অনেক ইসলামপন্থী পাকিস্তানের পক্ষে ময়দানে সক্রিয় ছিলেন তখন শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের ভূমিকা ছিল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। ওনাকে যুদ্ধাপরাধী মনে করার কোন কারণ নাই। ওনারা ইসলামী আন্দোলন করতেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: স্যরি মওলানা আজিজুল হক নামটা খেয়াল ছিল না। আপনাকে ধন্যবাদ।

উনার একটা ভিডিও আছে অনলাইনে, ১৯৯৭ সালের সেই ভিডিওতে উনি '৭১ এ উনার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বলেছেন। ভিডিওটা কোথাও সেভ করে রেখেছি, খোঁজে পাচ্ছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.