নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৃহদাহ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৭


একজনের স্ত্রীর সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ দোষের কিছু নয়, যদি সে সহকর্মী হয়। প্রয়োজনে একজন অন্যজনকে ডাকতেই পারে। তবে সমস্যা হয় তখনই, যখন শোনা যায় দু'জনের মধ্যে আগে থেকেই প্রণয় তো বটেই, বিয়েও হয়েছিল (পরকীয়া জনিত ব্যাপার হলে গুরুতর অন্যায়। সম্পর্ক না রাখলে বাদ। দু নৌকায় পা দেওয়া প্রতারণা)। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরোনো কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেসব দেখলে মনে হয় ঘটনা সত্য। যদিও সব পক্ষই বিয়ের ব্যাপারটা অস্বীকার করেছে।

স্বামী সংসার বাঁচাতে করজোড় করলে বোঝা যায় ঘটনা আসলে অনেকদূর গড়িয়েছে। স্ত্রী অসুস্থ অথচ স্বামী জানেন না। ডাক্তার দেখাতে অন্যজনের শরণাপন্ন হতে হয়। অথচ স্বামীর পদবি আরও ওপরে। আহা হতভাগা স্বামী!

স্বামী লোকজন নিয়ে সিনক্রিয়েট করলে স্বামীকে কিছু করতে না পেরে সাথের লোকদের থানায় নিয়ে নির্যাতন, দাঁত ভেঙে দেওয়া এই বার্তাই দেয় পৃথিবী শক্তের ভক্ত, নরমের যম। যদিও দাঁত ভাঙার জবাব সাময়িক বরখাস্ত। অতঃপর বদলি। ওসি প্রদীপ যেমন হাজার অপরাধ করে পার পেলেও সিনহাকাণ্ডে দণ্ডিত। এটা তো চিরন্তন অত্যাচারীর পতন অনিবার্য।

এতদ্বসত্ত্বেও সহকর্মীর প্রতি স্ত্রীর দরদে এটাই প্রতীয়মান হয়, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। সহকর্মী কর্তৃক চুড়ি উপহার এই বার্তা দেয় জল অনেকদূর গড়িয়েছে। বেচারা স্বামীর সবকিছু বুঝে তবেই বিয়েতে সম্মতি দেওয়া উচিত ছিল না? কেন লোকে অন্যের অভিশাপ কাঁধে নেয়?

সত্য-মিথ্যা অনির্ণীত যে, ভার্সিটি লাইফে গোপনে দু'জনের বিয়ে হয়। স্ত্রী পরবর্তীতে আরেক বিসিএস ক্যাডারকে বিয়ে করে। ব্যাপারটা কেবল লোভ নয়, অসীম উচ্চাকাঙ্ক্ষারও বটে। স্ত্রী জাতি কি এমনই?

মিন্নির ঘটনা মনে পড়ে, মনে পড়ে এসপি বাবুলের ঘটনাও। মানুষ কত বেঈমান অথচ নির্বোধ। ভুলে যায়, তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান জানি না।তাই তালগোল পাকিয়ে ফেলি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: উদ্দেশ্য অসৎ হলে ফলও খারাপ হয়।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই নারী কর্মকর্তার হয়তো কোনই শাস্তি হবে না। মনে হচ্ছে উনি ধোয়া তুলসি পাতা। ওনার হৃদয়ের অসুখের খবর তার বস জানে কিন্তু স্বামী জানে না। মাঝখান দিয়ে নাক ফাটলো আমাদের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অথচ সবচেয়ে বেশি শাস্তি হওয়া উচিত ছিল এই নারীরই।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

ধুলো মেঘ বলেছেন: শাস্তি কারোরই হবেনা। ছাত্রলীগ - যারা পান থেকে চুন খসলেই কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ শুরু করে - এত বড় কিল খেয়েও কিল চুরি করে ফেললো।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ছাত্রলীগ - যারা পান থেকে চুন খসলেই কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ শুরু করে - এত বড় কিল খেয়েও কিল চুরি করে ফেললো। সত্যিই ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: গৃহদাহ একটি বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন সুবোধ মিত্র।
গৃহদাহ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন। উপন্যাসের মূল উপজীব্যই প্রেম। আর প্রেমের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেছে রহস্যময়ী নারী। উপন্যাসটি মূলত তিনটা চরিত্র- অচলা, মহিম এবং সুরেশকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।

“গৃহদাহ” উপন্যাসটি ১৯১৯ সালে রচিত হয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পড়েছি উপন্যাসটা। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.