নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
আরসা নামের এক আরাকানি সশস্ত্র সংগঠন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। প্রতিক্রিয়ায় সে দেশের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালায়। দেশান্তরি হয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশের মানুষ নিজেরা না খেয়ে, না পরে হলেও ওদের পাশে থাকবে মর্মে শপথ নেয়। ঘটনার কিছুকাল পর আর এই দরদ থাকেনি। কেন থাকেনি, সে কথা বলাই বাহুল্য।
চিনের মুসলিম অধ্যুষিত হুয়েই প্রদেশে চিনা সেনাবাহিনী হামলা করেছে; এমন নজির নেই। তবে শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলমানদের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে যাওয়ার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে আসে। তবে অতি জাতীয়তাবাদের জোশে কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণের খবরে ওই ঘটনা চাপা পড়ে যায়। কেউ জিগ্যেস করে না হুয়েই প্রদেশে দমনপীড়ন হয় না অথচ শিনজিয়াং প্রদেশে কেন হয়?
ফিলিস্তিনের দুটো অংশ। পশ্চিমতীর আর গাজা। পশ্চিমতীর পিএলও'র নিয়ন্ত্রণে। আর গাজা হামাসের। যদিও জানা যায় পিএলও'র বিপরীতে ইসরায়েলই হামাস গঠনে পৃষ্ঠপোষকতা দান করে। যাহোক, পশ্চিমতীরে ইসরায়েল হামলা করে; এমন কমই শোনা যায়। অথচ যত গণ্ডগোল সব গাজায়।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায়। এ হামলায় রেকর্ডসংখ্যক লোক মারা যায়। ইসরায়েলের ৭৫ বছরের ইতিহাসে ফিলিস্তিনি হামলায় এত লোক মারা যায়নি। এঘটনায় অনেক মানুষ খুশি হয়েছে। তারা বোধহয় ভুলে গিয়েছে ইসরায়েল ছাড় দেওয়ার পাত্র না। যারা ইসরায়েলি হত্যায় খুশি হয়েছিল, তারা এখন গাজায় হামলায় শোকাহত।
গাজার অবস্থা ভয়াবহ। খাদ্য সরবরাহ বন্ধ। এখন বিদ্যুৎও নেই। রেডক্রস বলছে, গাজার হাসপাতালগুলো এখন মর্গে পরিণত হচ্ছে। হামাস ইসরায়েলে গিয়ে সেনাসদস্যসহ বেসামরিক লোকজন ধরে এনেছে; এ ঘটনায় খুশি হওয়া লোকজন এখন হা-হুতাশ করছে যখন দেখছে গাজায় বাছ-বিচারহীনভাবে হামলা চলছে। এই যে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালাল, ওরা কি বুঝতে পারল না ইসরায়েল নির্মম প্রতিশোধ নেবে? ওরা এমনিতেই খৃষ্টান-মুসলমানদের নিগ্রহের শিকার, সুযোগ পেয়ে আক্রমণ করা ছাড়বে কেন?
পৃথিবীটা একসময় জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে চলত। ফরাসিরা, বৃটিশরা, পর্তুগিজরা, আরবরা একসময় দেশ দখল করত না? যদিও পরে অনেক অঞ্চল ছাড়তে হয়েছে। ইহুদিরা যে দেশ পেয়েছে, এর সর্বশেষ মালিকানা ফিলিস্তিনিদের হলেও দখল ছিল বৃটিশদের। তারা এ অংশটা ইহুদিদের দেয়। অটোমান সাম্রাজ্য কি শেষ পর্যন্ত টিকেছিল? অল্প একটা অংশ নিয়ে তুরস্ক টিকে থাকে। ফিলিস্তিনও তেমনই পরিস্থিতির স্বীকার। যতই বলা হোক সবটুকু ভূমি ফিলিস্তিনের, মুসলমানরা যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ দখল করেছে, সেসবও নিশ্চয়ই ওখানকার আদিবাসীদের? আমেরিকানরাও তো বহিরাগত। ওরা তো রেড ইন্ডিয়ানদের হত্যা করে বসতি গড়েছে। এখন কি কেউ বলে স্থানীয় আদিবাসীদের ভূমি ফেরত দেওয়া হোক?
কোনো দেশে যুদ্ধ লাগলে এ দেশের অনেকেই বাহবা দেয়। রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে যেমন দিল। ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতেও উসকায়। বুঝতে পারে না যুদ্ধ কী ভয়াবহ। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধেও উসকানি আছে। যুদ্ধ কী জিনিস; এটা তারা বুঝতে পারে না।
ভারত ইসরায়েলে থাকা তাদের ১৮ হাজার নাগরিককে ফিরিয়ে আনছে। আমেরিকা, ফ্রান্স তাদের নাগরিকদের নিয়ে চিন্তিত অথচ আমাদের দেশের উসকানিদাতারা ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তার কথা ভাবে না। ইসরায়েল তাদের জিম্মি নাগরিকদের বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। বলছে, তাদের ফেরত দিলে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করবে। এমন উদ্যোগ কি কোনো মুসলমান রাষ্ট্র মুসলমানের জন্য নেয়?
ইরান-রাশিয়া-চিন-তুরস্ক যতই হুঁশিয়ারি দিক, লেবানন, সিরিয়া যতই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারুক, তারা কি অতটা সহায়ক হবে মার্কিনিরা-বৃটিশরা যতটা সহায়তা করছে? হামাস ইসরায়েলে হামলা করায় ফিলিস্তিনের ক্ষতিই হয়েছে। ভোগান্তির শিকার ফিলিস্তিনিরাই, হামাস নয়। এ সংকটের সমাধান কোথায়? সবল দুর্বলের ওপর হামলা চালায়। ওদের উসকে দিয়ে আখেরে আরও ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এই কাজটাই ভালো পারি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আজকে একজনের পোস্ট দেখলাম লিখেছে সারাবিশ্বের সব ভূমি মুসলমানদের। অন্যরা বহিরাগত। এমন ধারণা যারা পোষণ করে তারা বিশ্বের জন্য হুমকি।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:১৯
অধীতি বলেছেন: আমাদের গুজব এবং আজগুবি কথাবার্তা অনেক ভাললাগে। বাংলাদেশের অবস্থাও দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আবেগে ভেসে চলে। বিবেক নিষ্ক্রিয়।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্টের সারাংশ হল আপনি জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে বিশ্বাসী। অনেক ক্ষেত্রেই যে দ্বিমুখী নীতি সেটার ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইহুদিরাও তো আদি ভূমি হারিয়েছে। তাদের ব্যাপারে কেউ কিছু বলে?
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪২
আমি নই বলেছেন: কেউ জিগ্যেস করে না হুয়েই প্রদেশে দমনপীড়ন হয় না অথচ শিনজিয়াং প্রদেশে কেন হয়?
কারনটা সিম্পল, চীন শিনজিয়াং প্রদেশ দখল করেছে। শিনজিয়াংয়ের অধীবাসীরা স্বাধিনতা চায়, তাই দমনপীড়ন।
পশ্চিমতীরে ইসরায়েল হামলা করে; এমন কমই শোনা যায়। অথচ যত গণ্ডগোল সব গাজায়।
আপনি কানে কম শোনেন, এই কয়দিন আগেও পশ্চিমতীরে (সম্ভবত ২৮ আগস্ট) কোনো কারন ছারাই ১৭ বছরের এক ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। লাস্ট ১ বছরে হানাদার ইসরায়েল দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আর এগুলো শুধু গাজায় নয়। পশ্চিমতীরের অবৈধ্য সেটেলারদের কাছেও মারনাস্ত্র থাকে এবং তারা এগুলো ব্যাবহারও করে। পশ্চিমতীরের কৃষকরা ফসল ফলায়, বৈধ্য সেটেলাররা এসে কেটে নিয়ে যায়। এই অন্যায় সহ্য করলে ভাল কিন্তু প্রতিবাদ করলেই সন্ত্রাসী হয়ে যায়, হামাস হয়ে যায়।
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্টের সারাংশ হল আপনি জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে বিশ্বাসী।
সহমত। আমার মনে হয় পোষ্টদাতা পাকিস্তান আমলে যুবক বয়স থাকলে উনি কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন দিতেন না। কারন পাকিস্তান শক্তিশালী ছিল।
একটা কথা শতভাগ সত্য ইসরাইল শুধু সুযোগ খোজে কিন্তু নপুংসক হল তারা, যারা বিভিন্ন অযুহাতে ইসরাইলের গনহত্যাকে সমর্থন করে আর গোল টেবিলে বসে বসে শুধু আহবান জানায়।
আপনার কাছে একটা প্রশ্নঃ আমরা প্রায় শুনি অমুক নেতা/সন্ত্রাসী অমুকের বাড়ী দখল করেছে, আপনার কি মনে হয় বাড়ীওয়ালার নিজের ক্ষতি হবে জেনেও প্রতিবাদ না করে চলে আসা উচিৎ? (আবার বইলেন না বাংলা সিনেমার মত শক্তিমান হয়ে ফিরে সন্ত্রাসীকে পিটায়া বাড়ী ব্যাক নিতে)
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এখন ফলাফল কী? জিহাদ করে গাজার হামলা কমানো গেল?
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩
আমি নই বলেছেন: টাইপোঃ পশ্চিমতীরের কৃষকরা ফসল ফলায়, অবৈধ্য সেটেলাররা এসে কেটে নিয়ে যায়। হবে
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এটা কি গাজার মতো নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে?
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪২
সোনাগাজী বলেছেন:
বিশ্বের কইছু সমস্যা সম্পর্কে বলেছেন, যেগুলো ষ্টখোল্ডারেরা তাদের মতো করে দেখছে; আপনি নিজে কিভাবে দেখছেন, তা বুঝা যায়নি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এসবের মধ্যেই আমার মতামত আছে।
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
সোনাগাজী বলেছেন:
৬ নং মন্তব্যে টাইপর:
বিশ্বের *কিছু সমস্যা সম্পর্কে বলেছেন, যেগুলো *ষ্টকহোল্ডারেরা তাদের মতো করে দেখছে; আপনি নিজে কিভাবে দেখছেন, তা বুঝা যায়নি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওকে।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
গাজা নির্মুল হলে হামাসের কি হবে?
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তাদের ক্ষতি নেই। তারা গাজা নির্মূলেরই আশকারা দিচ্ছে।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫
গেছো দাদা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। কিন্তু এই সামু ব্লগ ছাগু দিয়ে ভরে গেছে। এরা আপনার লেখার বিরোধীতাই করবে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সরকারের তরফে এসব যোদ্ধাদের ফিলিস্তিন পাঠানো হোক।
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০০
কামাল১৮ বলেছেন: এটাতো আল্লার নিজেরো দাবি।সেই হিসাবে মুসলমানদের দাবি ঠিক আছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অবাস্তব দাবি।
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: জানা ও শোনা মতে হামাস নেতানিয়াহু কে সাহায্য করেছিলো ক্ষমতায় আসার জন্য (শতভাগ নিশ্চিত নই)
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হতে পারে।
১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২২
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা কি গাজার মতো নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে?
এরকম ঘটনা গাজাতেই কম হয়, গাজাতে হলে তার খুব ছোট হলেও একটা রিয়াকশন আসে। পশ্চিমতীরে কোনো রিয়াকশন নাই। তাই পশ্চিমতীরে অনেক আগে থেকেই হয় এবং নিয়মিত ঘটনা। অবৈধ্য বসতি পশ্চিমতীরেই।
আপনি চাইলে Dena Takruri এনার "How Israeli Apartheid Destroyed My Hometown" ভিডিওটা দেখতে পারেন। আর জানার ইচ্ছা থাকলে আরো ডকুমেন্টরি খুজে নিয়ে দেখিয়েন।
লেখক বলেছেন: এখন ফলাফল কী? জিহাদ করে গাজার হামলা কমানো গেল?
বিষয়টা এত সহজ হলেতো হতই। ইসরাইল তাদের কথিত কিং ডেভিডের কিংডম আবার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, এজন্য তাদের পুরো ফিলিস্তিন লাগবে। তাদের ধর্মীয় বিলিভ হচ্ছে দুনীয়ার সকল ইহুদি পবিত্র ভুমি তথা ইসরাইলে জমায়েত না হওয়া পর্যন্ত তাদের মসিহার আবির্ভাব ঘটবেনা। তাদের মসিয়াহ দুনীয়ায় এসে আর সকল ধর্মের অনুসারিদের কচু-কাটা করে ইহুদি রাজত্ত কায়েম করবে সুতরাং যারা ভাবে এটা জাস্ট একটা রাজনৈতিক ভুমি দখলের খেলা তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। দুনীয়ার সবচাইতে উগ্রবাদী হচ্ছে ইহুদিরা।
ইসরাইল জন্ম থেকেই আমেরিকার সহযোগিতায় আন্তরজাতিক আইনকে উপেক্ষা করছে। দেখা গেছে বাপ-দাদা চৌদ্দ গুষ্টির কেউ এশিয়ান নয় অথচ সেও পশ্চিমতীরে এসে দাবী করতেছে এটাই আমার দেশ, এর চাইতে বড় নিষ্ঠুর জোক আর কি হতে পারে? জাতিসংঘ সহ দুনীয়ার সকল দেশ যদি ইসরাইলকে আন্তরজাতিক আইন মানতে বাদ্ধ করাতে পারত তাহলেই কোনো সমস্যাই হতনা। যেহেতু ইসরাইলকে আন্তরজাতিক আইন মানতে বাদ্ধ করতে পারতেছেনা সুতরাং জিহাদ করে কিছু হবেনা। তবে ওরা ফিলিস্তিন পুরো গিলবেই, হয় গাজার মত বোমা মেরে আর না হয় পশ্চিমতীরের মত ধিরে ধিরে হত্যা করে, অবৈধ বসতি স্থাপন করে, আর নপুংসক দুনিয়া খালি আহবান জানাবে।
আজকেই সকল সেটেলারকে ফিরিয়ে নিয়ে ইসরাইল ৪৮ এর ম্যাপে চলে যাক, সব ঠিক হয়ে যাবে।
অফটপিকঃ ইহুদিদের মাঝে যারা অর্থডক্স তারা আবার ফিলিস্তিনের সমর্থক এবং শান্তিপ্রিয়। তারা ইসরাইলের অতি প্রযুক্তি নির্ভরতা এবং নারকিয়তা কোনোটাই পছন্দ করেনা। ইসরাইলের ইহুদিরা অর্থডক্সদের উপরেও অত্যাচার করে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গাজা বা চিনের উইঘুর নিয়ে কথা হয় অথচ পশ্চিম তীর বা হুয়েই নিয়ে কথা হয় না কেন? ইহুদিদের আদি নিবাস কোথায়?
১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮
মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সেটাই হওয়া উচিত।
১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪
নিমো বলেছেন: লালসালুতেই বাঙালির আবেগ-অনুভূতির আসল পৃরকাশ ঘটেছে। মন্তব্যের ঘরেও বেশ কিছু মজিদ মামুকে পাওয়া গেছে, যারা গাজায় গিয়ে রকেট বৃষ্টির সামর্থ্য না ধরলেও, ব্লগে অর্থহীন কথার বৃষ্টির ওস্তাদ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওদের জিহাদ করতে পাঠানো হোক।
১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০৬
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @বৈরাগী বাবাঃ
"আরসা নামের এক আরাকানি সশস্ত্র সংগঠন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমন করে। প্রতিক্রিয়ায় সে দেশের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গনহত্যা চালায়"।
কি ইতিহাস রে বাবা......
আরাকানে রোহিঙ্গাদের বসবাস সুদুর অতীত থেকে। অসংখ্য জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রোহিঙ্গারা এমন কি অপর্কম করলো যে ১৯৮২ সালে বিতর্কিত এক কালো আইনের মাধ্যমে তৎকালীন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা মায়ানমার সেনাবাহিনী তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিল? এরপর একটা লম্বা সময়, প্রায় ৩১ বছর পর আরসার জন্ম হয়। রোহিঙ্গারা সসস্ত্র সংগ্রামে নামে। রোহিঙ্গাদের
৩১ বছর ধরে বিভিন্ন নির্যাতন, নিপীরন, বঞ্চিত ও নিগৃহীত হওয়ার গুরতর বিষয়টি বৈরাগী বাবা বেমালুম হজম করে ফেলেছেন। উপস....
মায়ানমারের ত্যানাবাহিনীর প্রতি এতো ভালুবাসা কেনু কেনু...........
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনার মগজ যেমন বুঝেন তেমন। আগে বলেছেন ইসরায়েলের প্রতি দরদ, এখন বলেন মিয়ানমারের জন্য দরদ! আগে জেনে আসুন কেন রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছিল। আরসা হামলা করলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বসে থাকার কথা না, যেভাবে হামাস হামলা করায় ইসরায়েল বসে থাকেনি। দু'দেশেই ভোগান্তির স্বীকার সাধারণ মানুষ। হামাস বা আরসা না।
১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
বাউন্ডেলে বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। সবার কমেন্ট পড়লাম । “মা-মাসী বা শরীয়ত” না বোঝা জংলী জানোয়ার এর আধিপত্য বেড়েছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বুঝতে পারিনি কী বোঝাতে চাইলেন।
১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:২৯
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: গাজা বা চিনের উইঘুর নিয়ে কথা হয় অথচ পশ্চিম তীর বা হুয়েই নিয়ে কথা হয় না কেন?
এটা নিয়েতো বলেছি। ৪নং মন্তব্য দ্রষ্টব্য। শিনজিয়াং প্রদেশ চীন দখল করে স্থানীয় উইঘুর বাস্তুচুত করছিল, হানদেরকে চীনের বিভিন্ন এরিয়া থেকে শিনজিয়াং এ আনা হচ্ছিল। উইঘুররা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে, ফলাফল সবার চোখের সামনে।
ইহুদিদের আদি নিবাস কোথায়?
হাজার হাজার বছর আগে ইহুদিদের আদি নিবাস ফিলিস্তিন, লেবানন, জর্ডান, সিরিয়া এই অঞ্চলেই ছিল। কথিত কিং ডেভিডের সাম্রাজ্য ছিল প্রায় ৩১০০ বছর আগে। সম্ভবত ক্রিস্চিয়ানিটি আসার পর থেকে তারা বিতারিত হতে থাকে। ইহুদিরা এখন কিং ডেভিডের সাম্রাজ্যই দাবী করতেছে। কিং ডেভিডের সময়তো আর এত ইহুদি ছিলনা তাই জায়গা বেশি লাগেনি, এখনতো পরিমানে অনেক তাই নিরিহ ফিলিস্তিনিদের গনহত্যা করে অবৈধ বসতি স্থাপনের মাধম্যে প্লান বাস্তবায়ন করতেছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: চিনের উইঘুরদের নিয়ে যদ্দুর জানি ধর্মীয় ক্যাচাল বেশি হয়।
১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @বৈরাগী বাবাঃ
দুই দিন পর বলবেন যে ৩০ লক্ষ শহীদের জন্য মুক্তিযোদ্ধারাই দায়ী, দখলদার পাকিস্তানী বাহিনী কেবল আত্মরক্ষা করেছে।
আপনাদের এই প্রতিক্রিয়াশীল সিন্ডিকেটের তফসির অনুযায়ী ইসরাইল, পাকিস্তানী আর মায়ানমার বাহিনী কেবল আত্মরক্ষাই করেছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কীসের সাথে কীসের তুলনা করেন, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় জিহাদ করে আসলে কী যে লাভ হয় বুঝতে পারি না। আমি কেবল বাস্তবতার কথা বলেছি। আপনার মতো লোকের উসকানিতে ফিলিস্তিনের কপাল আরও পুড়বে।
১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @বৈরাগী বাবাঃ
আপনাদের এই প্রতিক্রিয়াশীল সিন্ডিকেটের আরেকটা লক্ষনীয় বৈশিষ্ট হলো আপনারা হিন্দুত্ববাদ আর জায়নবাদের একনিষ্ঠ সমর্থক।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনি কীসের সমর্থক? ইসলামি উগ্রবাদ? না কি ইসলামি উগ্রবাদ বলে কিছু নেই?
২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০২
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আপনি ১০০ % সঠিক কথা বলছেন। আপনার কথার সাথে আমি এক মত। আপনি খুব সুন্দর করে যুক্তি দিয়ে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।সস্তা সেন্টিমেন্ট দিয়া দুনিয়া চলে না। ইউরোপ আমেরিকা যুদ্ধ জাহাজ অস্ত্র বিমান সব নিয়া ইসরাইলে হাজির হইছে। টার্কি ,ইরান ,রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়া এগুলা এখন কোথায় ? আরে ভাই মিডেল ইস্ট এর আরব মুসলিম দেশগুলাই তো ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছে না। পাগল পাইলে সবাই নাচায়। নেতা নিয়াহু তো বলছে মানচিত্র পরিবর্তন কইরা দিবে দেখেন কি করে। আমার ধারণা আক্রমণের ব্যাপারে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ আগেই জানতো ওরা সুযোগ কাজে লাগাইছে। একটা বিষয় লক্ষ কইরা দেখেন পুরা ঘটনায় নেতা নিয়াহু লাভবান হইছে। চিকন বিষয়গুলা সবার মাথায় ঢুকে না এটাই স্বাভাবিক।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনি আমার লেখার সারবস্তু পুরোপুরি উপলব্ধি করেছেন। ধন্যবাদ। সস্তা সেন্টিমেন্ট দিয়া দুনিয়া চলে না। ইউরোপ আমেরিকা যুদ্ধ জাহাজ অস্ত্র বিমান সব নিয়া ইসরাইলে হাজির হইছে। টার্কি, ইরান, রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়া এগুলা এখন কোথায়? আরে ভাই, মিডল ইস্ট এর আরব মুসলিম দেশগুলাই তো ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিচ্ছে না। পাগল পাইলে সবাই নাচায়। নেতানিয়াহু তো বলছে মানচিত্র পরিবর্তন কইরা দিবে দেখেন কি করে। আমার ধারণা আক্রমণের ব্যাপারে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ আগেই জানত ওরা সুযোগ কাজে লাগাইছে। একটা বিষয় লক্ষ কইরা দেখেন পুরা ঘটনায় নেতানিয়াহু লাভবান হইছে। চিকন বিষয়গুলা সবার মাথায় ঢুকে না এটাই স্বাভাবিক। এই বিষয়গুলো আবেগি মুসলিমরা বুঝতে পারে না।
২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২৭
রিদওয়ান খান বলেছেন: হামাস আক্রমণ করলে জিহাদ, জঙ্গি আর ইজরায়েল আক্রমণ করলে "জোর্যার মুল্লুক তারা" বাহ ষু*দির ভাই বাহ!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনি আরেকজনকে আক্রমণ করলে আপনাকে সে চুম্বন করবে না, লাথিই দেবে। পা নেই অথচ অন্যকে লাথি দিতে গিয়ে নিজেরই বিপদ।
২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৭
রিদওয়ান খান বলেছেন: সে হিসেবে ইজরায়েল এতদিন যাবৎ ফিলিস্তিনের আক্রমণ করে আসছিলো প্রতিনিয়ত তার প্রতিত্তোরে হামাস পাল্টা জবাব দিয়েছে। তাহলে তাকে গালি দিয়ে ইজরায়েলকে কেন নমস্কার করছেন?
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইসরায়েলকে কেউ নমস্কার করছে না।
২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৩
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: চিনের উইঘুরদের নিয়ে যদ্দুর জানি ধর্মীয় ক্যাচাল বেশি হয়।
আপনাদের সমস্যাই হল আপনারা সর্বশেষ অবস্থাকেই বিবেচনায় নিয়ে কথা বলেন। যেমন ফিলিস্তিনে হানাদার ইসরাইল কতৃক ৪৮ এর পরে থেকেই একটু একটু হত্যা নির্যাতন করে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিন্হ করার চেষ্টা হলেও আপনাদের চোখে হামাসের আক্রমণটাকেই বড় মনে হচ্ছে তেমনি স্বাধীনতাকামী উইঘুরদের ধর্মীয় উগ্রবাদী বানিয়ে গনত্যার পিছনের কারন চোখে পড়ছেনা।
অফটপিকঃ আপনি কি ভারতীয়? দয়াকরে অন্যভাবে নিবেন না, এক ভারতীয় উগ্রবাদীর করা পোষ্টে আমার মন্তব্যর উত্তর দিয়েছেন, যেখানে আমি আরএসএস জংগি মুদির কথা বলেছি। তাই জিগ্গেস করলাম।
রিদওয়ান খান বলেছেন: সে হিসেবে ইজরায়েল এতদিন যাবৎ ফিলিস্তিনের আক্রমণ করে আসছিলো প্রতিনিয়ত তার প্রতিত্তোরে হামাস পাল্টা জবাব দিয়েছে। তাহলে তাকে গালি দিয়ে ইজরায়েলকে কেন নমস্কার করছেন?
কি বলেন ভাই, ফিলিস্তিনের কি আত্বরক্ষার অধিকার আছে? আত্বরক্ষার অধিকার শুধু পশ্চিমাদের।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হামাস কর্তৃক নিরীহ ইসরায়েলি হত্যা নিয়ে কিছু বলেছেন? না কি ইহুদি মানেই খারাপ তত্ত্বে বিশ্বাস করেন? ওদের ওপর চালিত হলোকাস্ট কীভাবে দেখেন?
২৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৭
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @বৈরাগী বাবাঃ[/sb~
জায়নবাদ সারা বিশ্বের ইহুদিদের সুযোগ করে দিয়েছে ফিলিস্তিনীদের ভূমিকে তাদের পবিত্র প্রমিজ্ড ল্যান্ড হিসাবে গন্য করে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে স্হায়ীভাবে বসবাসের।
তেমনি হিন্দুত্ববাদও সুযোগ দিয়েছে সিটিজেনশীপ অ্যামেন্ডমেন্ড অ্যাক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সহজেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া।
বিশ্বে এখন শুধু ইহুদিরাই নয়, হিন্দুরাও তাদের প্রমিজ্ড ল্যান্ড ভারতে চলে যেতে পারবেন। অন্ততঃ হিন্দুত্ববাদী সরকার এই মেসেজই বিশ্ববাসীকে দিয়েছে।
জায়নবাদ আর হিন্দুত্ববাদের এ যেন লতায় পাতায় সম্পর্ক।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এমন কোনো বাদ তৈরি করা যায় না মুসলমানরা বিপদে আশ্রয় নিতে পারে? ফিলিস্তিনিরা বেঘোরে মরছে কই মুমিনরা তো তাদের জন্য কিছু করল না ফেসবুকে-ব্লগে জেহাদ ঘোষণা ছাড়া।
২৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা যদি অতিপ্রাকৃতিক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে না আসতে পারে তাহলে এভাবে শিয়ালকে বাঘ বিবেচনা করে লোকসান পোহাতে হবে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আবাবিল পাখি এসে রক্ষা করবে।
২৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইহুদিরা আদি ভুমি হারিয়েছে। এটা তাদের ধর্মীয় দাবী। আপনার কথা মত বাংলাদেশকে ভারতের মধ্যে নিয়ে নেয়া উচিত, কারণ এটা নাকি রাম রাজ্যের অংশ ছিল। মোদী সাহেবের চ্যালারা এই কথা বলছে। এই বিষয়ে আপনার অভিমত কি?
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মুসার (আঃ) অনুসারী বনি ইসরাইলরা মুসলমান ছিল। তাদের জন্য আল্লাহ এই ভুমির প্রতিস্রুতি দিয়েছিলেন এবং দেয়াও হয়েছিল। কোরআনে বনি ইসরাইল বলতে মুসলিমদেরকে বুঝায় যারা মুসার (আঃ) অনুসারী ছিলেন। মুসা (আঃ), ঈসা, (আঃ), মুহাম্মাদ (সা) সবাই হজরত ইব্রাহিমের (আঃ) বংশধর। আর হজরত ইব্রাহিমকে (আঃ) বলা হয় মুসলিম জাতির পিতা। ঈসা (আঃ) প্রকৃত অনুসারী তো খৃস্টান ছিল না। বর্তমান খৃস্টান ধর্ম চালু করেছে সেন্ট পল। ট্রিনিটি কোন বাইবেলে নেই। এগুলি পরের জমানার চার্চের লোকেরা তৈরি করেছে। পৃথিবীর সকল নবী এক আল্লাহর বাণী নিয়ে এসেছেন। ইহুদি, খৃস্টান হল বিপথগামী লোকজন। যারা তাদের ধর্ম গ্রন্থ বদলে নতুন নতুন কথা বলছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কোনো দেশ জাতিসংঘ স্বীকৃত হয়ে গেলে সেটা দখলের সুযোগ নেই। ভারতের কোন মন্ত্রী কী বলল না বলল তাতে যায় আসে না। এখন প্রশ্ন হলো ফিলিস্তিন জাতিসংঘ রাষ্ট্র কি না? '৪৮ সালে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল রাষ্ট্র হওয়ার সুযোগ ছিল। আরবদের পাকনামিতে হয়নি। অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে যাওয়ার পর তুরস্ক যদি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন না করত, তুরস্কও ফিলিস্তিন হতো।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মুসার (আঃ) অনুসারী বনি ইসরাইলরা মুসলমান ছিল। তাদের জন্য আল্লাহ এই ভুমির প্রতিস্রুতি দিয়েছিলেন এবং দেয়াও হয়েছিল। কোরআনে বনি ইসরাইল বলতে মুসলিমদেরকে বুঝায় যারা মুসার (আঃ) অনুসারী ছিলেন। মুসা (আঃ), ঈসা, (আঃ), মুহাম্মাদ (সা) সবাই হজরত ইব্রাহিমের (আঃ) বংশধর। আর হজরত ইব্রাহিমকে (আঃ) বলা হয় মুসলিম জাতির পিতা। ঈসা (আঃ) প্রকৃত অনুসারী তো খৃস্টান ছিল না। বর্তমান খৃস্টান ধর্ম চালু করেছে সেন্ট পল। ট্রিনিটি কোন বাইবেলে নেই। এগুলি পরের জমানার চার্চের লোকেরা তৈরি করেছে। পৃথিবীর সকল নবী এক আল্লাহর বাণী নিয়ে এসেছেন। ইহুদি, খৃস্টান হল বিপথগামী লোকজন। যারা তাদের ধর্ম গ্রন্থ বদলে নতুন নতুন কথা বলছে। এগুলো চর্বিতচর্বন। পৃথিবীতে ৪৩০০ এর ওপর ধর্ম আছে, সবাই নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে। আব্রাহামিক ধর্মমতগুলো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। এখন ইহুদি-খৃষ্টানদের মুসলমানরা বাতিল করে দিয়ে লাভ কী? ওরাও তো মুসলমানের বাতিল করে দেয়। মুসলমানরা বরং ওদের প্রতি দায়বদ্ধ। কারণ, ওদের নবিকে মুসলমানরাও নবি মানে।
২৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: হামাস কর্তৃক নিরীহ ইসরায়েলি হত্যা নিয়ে কিছু বলেছেন?
প্রথমত কোনো অবৈধ বসতি স্থাপনকারীই নিরীহ নয়। মোটামুটি প্রত্যেক অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র আছে। শান্তিপ্রিয় হলে আপনি এমন কোথাও গিয়ে বাস করবেন, যেখানে প্রতিনিয়ত হয় মারো না হয় মরো অবস্থা বিরাজ করে? আচ্ছা ভারতে চৌদ্দ গুষ্টি জন্ম নেয়া একজন কিভাবে ফিলিস্তিনে জমি দাবী করতে পারে?
যারা নিরিহ ইসরায়েলি তারা অলরেডি দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব নিচ্ছে বা নিয়ে চলে গেছে। শেষ কয়েক মাসে শুধু পর্তুগালেই ২১০০০ এর বেশি ইসরাইলি নাগরিকত্বের আবেদন করেছে।
লেখক বলেছেন: না কি ইহুদি মানেই খারাপ তত্ত্বে বিশ্বাস করেন?
জুডাইজম আর জায়ানিজম সমন্ধে আগে জানার চেষ্টা করেন। ইসরাইলি (অর্থডক্স ছারা) মানেই খারাপ (ওদের রাষ্ট্রীয় ভাবেই উগ্র তৈরি করা হয়), অনেক ইহুদি যেমন অর্থডক্স ইহুদিরা যথেস্ট শান্তিপ্রিয়, তারা ইসরাইলের আগ্রাসন নীতির বিরোধী এবং ফ্রী ফিলিস্তিনের সমর্থক। প্রমান চাইলে অর্থডক্স ইহুদিদের ভিডিও দেখতে পারেন যেখানে তারা ইসরাইলের পতাকা পোড়াচ্ছে এবং ফ্রী ফিলিস্তিন বলে চিল্লাচ্ছে।
লেখক বলেছেন: ওদের ওপর চালিত হলোকাস্ট কীভাবে দেখেন?
অবস্যই খারাপ, দুঃখের ব্যাপার হলো এখন ওরাই আধুনিক হলোকাস্ট চালাচ্ছে ফিলিস্তিনের বিরোদ্ধে। ইতিহাস থেকে ওরা শিক্ষা গ্রহন করেনি। হলোকাস্টে ওরা যে কঠিন সময় পার করেছে তার চাইতেও বেশি কঠিন অবস্থা ফিলিস্তিনিদের।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনি জানেন অনেক, কিন্তু নিজের মতো করে। এসব ইহুদিদের একসময় আরব থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে; এটা তো সত্যি? বৃটিশদের আগে এখানে কর্তৃত্ব ছিল অটোমানদের। তারাও জোর করে দখল করেছে নিশ্চয়ই? বিশ্বযুদ্ধের পর বৃটিশরা এটা ভাগবাটোয়ারা করেছে। ইসরায়েলকে আরবরা আক্রমণ করল। গো-হারা হেরে আরও ভূখন্ড হারাল। এখন ইসরায়েল শক্তিশালী। অবশ্যই অন্যায় করছে। কিন্তু এ জমি নিয়ে তাদেরও তো ধর্মীয় আবেগ আছে। তাদের কী এমন দায় পড়েছে ছেড়ে যেতে?
ভালোমন্দ সব জাতিতেই আছে। পুরো জাতিকে খারাপ বলা কতটুকু যৌক্তিক? ইসরায়েলের অনেকে তো গণহত্যার বিপক্ষে। তারাও খারাপ? না কি গণহত্যার বিপক্ষে বলে তারা ভালো? মুসলমানরা যে দিনরাত ইহুদি-নাসারাদের বদনাম করে, এটা কোন চোখে দেখেন? বিধর্মী মারা গেলে আলহামদুলিল্লাহ'র জোয়ার বয়ে যায়; এগুলো শান্তিপ্রিয় জাতির বৈশিষ্ট্য?
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মিয় এবং জাতিগত এই দুটি উগ্র আবেগই খারাপ।মানবিক হলে আর এই সমস্যা থাকে না।এখন প্রশ্ন হলো মানবিক আবার কি জিনিস।
আমি তার কাছথেকে যেমন ব্যবহার আশা করি তার সাথে তেমন ব্যবহার করাই মানবিকতা।