নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগে কথা বলা যেত না; এখন ঠিক করে দেয় কী বলতে হবে

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪৭


আওয়ামী লীগ সরকার আইসিটি আইন নামে একটা সাংঘাতিক আইন করেছিল। এই আইনের জ্বালায় কতজনের যে জবান বন্ধ হয়েছিল, তার হিসেব নেই। সমালোচনামূলক কিছু লিখলেই বা বললেই শ্রীঘরবাস কিংবা অজ্ঞাতবাস ! খোদ সরকারের লোকেরাই এ আইনের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু কী এক অদৃশ্য টানে সেটা রয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছিল বটে। কিন্তু যা লাউ তাই কদু!

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলো। তার দলের নেতা-কর্মীদের অবস্থা এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। প্রাণে মরল; অনেকে মরছে এখনও। এমন তো হওয়ারই কথা। তার লোকজন তো কম ভোগায়নি বিরোধীদের। অনেক সাধারণ মানুষও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে রেহাই পায়নি। যতই বলুক ওরা প্রকৃত আওয়ামী লীগার না- এ কথা কি ধোপে টিকবে? এস আলম, সালমান এফ রহমান যে কী চিজ শেখ হাসিনা কি জানতেন না? হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব কি উনি দেখেননি? যদি চোখ বন্ধ করে রাখেন, তার খেসারত তো দিতেই হবে?

যাহোক, গত ১৫ বছর যারা আওয়ামী লীগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল, তারা এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। পুরোনো লেনাদেনা মেটাচ্ছে। আইন-কানুনের মায়রে বাপ হয়ে গেছে। আজগুবি সব মামলা হচ্ছে আবার আগের অনেক মামলা বাতিলও হয়ে যাচ্ছে। যদিও বিএনপি-জামায়াতের হাই কমান্ড প্রতিশোধপরায়ণ হতে না করেছে, অনেক ক্ষেত্রে শাস্তিও দিচ্ছে; তাও এদের বেপরোয়া মনোভাব যাচ্ছে না। কেউ যদি প্রতিবাদ করে, এরা বলে, গত ১৫ বছর কোথায় ছিলেন?

মনে হচ্ছে যতদিন এরা থাকবে, অন্যদেরও চুপ করে থাকতে হবে। একটা সময় পর এখনকার অত্যাচারিতরা সুযোগ পেলে তখন প্রতিবাদ করলে তারাও বলবে, এত দিন কোথায় ছিলেন? প্রতিশোধপরায়ণতা চলতেই থাকবে।

সাধারণের হয়েছে বিপদ সবদিকেই। ভালোমন্দ কিছু বলাও যাবে না। আগে কথা বলতে পারত না; আর এখন ঠিক করে দেয় কে কী বলবে, কে কী করবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন।ভোটে নির্বাচিত সরকারই আপাতত ঠিক সরকার।সরকারের মেয়াদ কমিয়ে আনতে হবে।পাঁছ বছর অনেক বেশি সময়।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:১৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভোটে নির্বাচিত হলেও মনে হয় না সব ঠিক হবে। সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানই ঠিক নেই। সব গড়ে নতুন সিস্টেম চালু করতে হবে। নাগরিক সমাজকে সুসংগতি রাখতে হবে।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: বিএনপি ধরেই নিছে তারা ক্ষমতায় যাবে আর তাই তারা তাদের অনুচরদের দিয়ে মানুষ কে বলতে বাধ্য করছে যে বিএনপি ভালো। যা হয়েছে ঠিক হয়েছে। আলীগ চোরের দল। অথচো বেশ কিছু বছর আগে একি চোর উপাদি দিয়ে বিএনপি কে ক্ষমতা চূত্য করা হয়েছিলো।

এখন বিষয় টা এমন দাড়িয়েছে যে, জোর যার মুল্লুক তার। আমাদের রক্ত কেবল রাস্তায় ছড়িয়েছে। এরা রক্তে জুতা দিয়ে সংসদে গিয়ে আবার চুরি শুরু করবে। এটাই শেষ কথা। যে লাউ সেই কদু।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ছাত্র-জনতা মনে হয় বিএনপিকেও চাচ্ছে না। কয়েকদিন লাফালাফি করলেও এখন কিছুটা হতাশ। আওয়ামী লীগ যে এত বছর তাদের ভোগালো; এর প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এখন।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:৩৯

ক্লোন রাফা বলেছেন: সঠিক উপলব্দি , শেখ হাসিনা যদি বলে তার কাছে কারো দুর্নীতির খবর জানা ছিলোনা এটা সর্বৈব চরম মিথ্যা কথা! যে প্রধানমন্ত্রী দায় থাকা কালীন বলে তার পিয়ন চারশত কোটি টাকার মালিক তাহলে অন্যরা আরো কত দুর্ণীতিগ্রস্থ সেটা বুঝতে কোন সাইনটিস্ট হওয়ার দরকার নেই। যেখানে সকল সোর্স তার হাতের মুঠোয় ছিলো তিনি কোনভাবেই সেই দ্বায় এরিয়ে যেতে পারেননা।কাজেই তিনিও একজন সকল অপকর্মের সঙ্গী।
তবে এখন লাগাম টেনে না ধরলে পুর্বের চাইতে বেশি অবনতি ঘটবে। বিগত সরকারের আমলে তাদের কোন সমালোচনা করা যেতনা আর এখন বলে দেওয়া হোচ্ছে কি বলা যাবে আর কি বলা যাবেনা‼️সম্পুর্ণ হিটলারের আইন কায়েম হওয়ার লক্ষন দেখা
যাচ্ছে।
ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আসলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে ধরাকে সরা জ্ঞান করার একটা প্রবণতা চলে আসে। শেখ হাসিনার হয়েছিল সে দশা। উনি মনে করেছিলেন উনি যাব করছেন সবই ঠিক। পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে এটা বোঝার জ্ঞান উনার ছিল না।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:১০

অধীতি বলেছেন: এই নৈরাজ্য বেশিদিন প্রশ্রয় দিলে তা আরেকটা জঞ্জালে পরিণত হবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিএনপির হাই কমান্ড একটু সয়েরয়ে চলতে চাচ্ছে। কিন্তু উইপোকাগুলো বেশি বাড়ছে। পুরোনো ক্ষতে প্রলেপের চেষ্টা আর কী। এদের থামাবে কে?

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

খাঁজা বাবা বলেছেন: সরকার প্রশাসনে কর্তিত্ব নিতে পারছে না।
দলীয়করন এমন ভাবে হয়েছে যে উপরের দুই তিন লেয়ার বাদ দিলেও দল কানারা থেকে যাবে।
দেশ এখনো সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যারা সরকারে গেছে তারা যে ধুয়া তুলসিপাতা বুঝলেন কেমনে? এরাও একই গোছের। বিএনপি-আওয়ামী লীগ ছিল সেয়ানা আর এই নতুনরা বুঝে উঠতে পারছে না এই যা পার্থক্য। তাদের সামনে সমূহ বিপদ। কারণ, তারা তো রাষ্ট্র চালনায় দক্ষ না। হুমড়ি খেয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাসিনা নিজেই ছিল দুষ্টের শিরোমণি। সে তার দলে তার চেয়ে বেশী কোন দুষ্টকে জায়গা দিত না। আওয়ামী লীগ করার শর্ত হল দুষ্ট হতে হবে কিন্তু সে যেন হাসিনার চেয়ে বেশী দুষ্ট না হয়। আসলে সেটা সম্ভবও না। কিন্তু যারা বলতে চায় যে, হাসিনাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল, তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। কারণ সব কুকর্মের মুলেই ছিল হাসিনা। বাকিরা ছিল আজ্ঞাবহ। হাসিনা যে কী চিজ এটা অনেকে এখনও বুঝতে পাড়ছে না।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শেখ হাসিনার পতনে নতুন নকিবের মতো আপনারও মনে জোর এসে গেছে। এতদিন এসব বলেননি কেন?

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এতো দিন বলিনি কারণ গুম হওয়ার আমার কোন শখ ছিল না। গত ১৬ বছরে কথা বললেই গুম হয়ে যেত মানুষ। সেটা কি আপনার জানা আছে? নাকি সেটাও জানতেন না অথবা না জানার ভান করতেন। আমি হাসিনার পতনের আগেও তার এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছি। তবে একটু সংযতভাবে করেছি যেন গুম না হতে হয়। এবার বোঝা গেছে তো? আমার অতীতের মন্তব্যগুলি দেখলে বুঝবেন আশা করি।

হাসিনার সমালোচনার কারণে আপনার গায়ে লাগছে কেন সেটা কি জানতে পারি?

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গায়ে লাগবে কেন? আমার এই পোস্টটাও কি সমালোচনা নির্ভর নয়? রাতারাতি ভাষার চেঞ্জ দেখে অবাক হলাম আরকি। মন্তব্যে অবশ্য বলছেনই গুমের ভয়ে আগে এত সাহস পাননি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.