নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বরাহশাবকদের বাক-স্বাধীনতা

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৫


জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলা হয়। তিনি আসলে কী ধরনের গণতন্ত্র এনেছিলেন? জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠনগুলোকে রাজনীতি করতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়াই কি বহুদলীয় গণতন্ত্র? তিনি নিজে একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অথচ জামায়াতসহ সমমনা যারা আছে তাদের অতিপ্রিয় ব্যক্তি তিনি। যারা একাত্তরকে স্বীকারই করে না তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জিয়াকে ডিফেন্ড করতে মরিয়া। কারণ তো ওটাই না যে জিয়া জামায়াতসহ অন্যদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন?

জিয়া স্বাধীনতাবিরোধীদের একজন শাহ আজিজুর রহমাকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন। খালেদা জিয়া নিজামী-সাঈদিসহ অনেককে মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন। একাত্তরে শহিদের সংখ্যা নিয়েও বিতর্ক তৈরি করছেন। কারণ কী? আওয়ামী লীগকে ডিফেন্ড করা? এখন আওয়ামী লীগ নেই। বিএনপি একাত্তরকে ভিত্তি ধরে রাজনীতি করতে পারত। বিএনপি দল হিসেবে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও জিয়ার আবির্ভাব তো একাত্তরে। আগে-পরে যাই হোক, এখন তো মুক্তিুযুদ্ধভিত্তিক রাজনীতি করতে পারত। করছে না কেন? মনে হয় টেম্পোস্ট্যান্ড নিয়ে ব্যস্ত আছে।

সম্প্রতি একাত্তর প্রজন্মকে ‘নিকৃষ্টতম প্রজন্ম’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বক্তা কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘একাত্তর প্রজন্মের মতো ‘খারাপ প্রজন্ম’ মনে হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না। একাত্তর প্রজন্মটা এত মিথ্যুক, এদের নেতা মিথ্যুক, এদের কর্মী মিথ্যুক, এদের সমর্থক মিথ্যুক, এদের যুদ্ধ মিথ্যা, এদের স্বাধীনতা মিথ্যা, এদের সবকিছু মিথ্যা।

এগুলোকে আপনি বাক-স্বাধীনতা বলা যায়? হিটলারের দেশ জার্মানিতে কেউ হিটলারের মতো করে গো‍ঁফ রাখতে পারবে? হিটলারের প্রশংসা করতে পারবে? ইহুদি গণহত্যা, যাকে হলোকাস্ট বলে এটা অস্বীকার করে পৃথিবীর কোনো দেশে বক্তব্য দেওয়া যাবে?

স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ওই ভিডিওতে ১৯৭১ নিয়ে তিনি আরো বলেন, স্বাধীন হয়েছি ’৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট। বাংলাদেশিরাই ৬০ ভাগ যুদ্ধ করেছে পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য। আর পাঞ্জাবি পাঠানরা করেছে ৪০ ভাগ। আমাদের শেরে বাংলা ফজলুল হকসহ শেখ মুজিবও ছিল এই আন্দোলনে সমস্ত আলেম ওলামারা মিলে। অধিকাংশ সংগ্রাম-চেতনা দিয়েছে কারা- এই বাংলাদেশিরা। সেটা কি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না?

কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তুমি তো জোহর পড়ছই। এখন আবার কী পড়ো এটা?  তুমি তো জোহর পড়ছ, ফরজ তো পড়ছ।  আবার জোহরের নিয়ত, এটা শয়তানি না? তুমি তো আছর পড়ছ, ফরজ তুমি তো পড়ছ, আদায় হয়ে গেছে কিনা? আছর তো পড়ছ, এখন তুমি এক ঘণ্টা পরে সূর্য ডুবো ডুবো এ সময় আবার তুমি কইতাছ আবার আছর পড়ব। এটা কী? তুমি যে ’৪৭-এ স্বাধীন হইলা ’৭১ এ আবার পুরোটাই পিলখানার মতো ভারতীয় চক্রান্ত ছিল। পুরোটাই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। সঠিক মামলা ছিল। এই দেশ, এই জাতিকে খুন করেছে ৭১-এ ভারত আর আওয়ামী লীগ মিলে। ঠিক নয় কি? পিলখানা দেখিয়েছে যে, এরা বিদ্রোহ করেছে ডালভাত বিদ্রোহ। শয়তানি কথা।

একাত্তর বাংলাদেশের নামক রাষ্ট্রটার ভিত্তি। একে এবং যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করল তাদের সম্পর্কে যা খুশি বলা গণতন্ত্র বা বাক-স্বাধীনতা? মনে হয় তাই। ইলিয়াস-পিনাকীরা স্বাধীনতা নিয়ে যা খুশি বলে যাচ্ছে, এমনকি ১৬ ডিসেম্বরকে বল দিবস বলছে। অথচ গত ১৬ বছর শুনে এলাম শেখ মুজিব স্বাধীনতা চায়নি, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে কুক্ষিগত করেছে। এখন কি সময় হয়নি আওয়ামী লীগ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সবার মাঝে স্বীকার করে নেওয়ার? নাকি আওয়ামী লীগ খারাপ করেছে বলে মুক্তিযুদ্ধও খারাপ? কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনি খারাপ কাজ করতে পারেন, ভালো কাজ করেতে পারেন। এর দায় কি কম্পিউটারের?

মুক্তিযোদ্ধাদের যা খুশি বলছে সবই মনে হয় বাক-স্বাধীনতা। গত ১৬ বছর এগুলো দেশে থেকে বললে যে কারো জেল হয়ে যেত। এখন যেহেতু দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে, জুলাই নিয়ে মাতুক জাতি। একাত্তরকে কটাক্ষ করলেও সমস্যা নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার লেখার শিরোনাম ঠিক নাই। লেখা উচিত ছিলো : ৭১ জেনারেশন কি নিকৃষ্ট জেনারেশন? :)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এমনই ভাবছিলাম। জিয়া-বিএনপি, ইলিয়াস-পিনাকী প্রসঙ্গও চলে আসায় সামগ্রিকভাবে ভেবেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.