নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিকেত মাহমুদের ব্লগ

অনিকেত মাহমুদ

মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী

অনিকেত মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারাগারে আরাম আয়েশেই দিন কাটাচ্ছে রানা

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০১



কারাগারে আরাম-আয়েশেই রয়েছেন সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা। কোনো কিছুর কমতি নেই। সেলে বসে চাহিদা মোতাবেক সবই পাচ্ছেন তিনি। সাক্ষাতের ক্ষেত্রে বাধা ধরা নিয়ম নেই। টাকা দিলে হরহামেশা সাক্ষাৎ করা যায় রানার সঙ্গে। সবই সম্ভব হচ্ছে কারাগারের কতিপয় কর্মকর্তার সহযোগিতায়। কারা সূত্র জানায়, রানার খাবারের মেন্যুতে সকালের নাস্তায় রুটি, সব্জি, ডিম। ১১টায় সিঙ্গারা-সমুচা বা ফল। দুপুরে মাংস বা মাছ দিয়ে ভাত। বিকেলের নাস্তায় কফি-বিস্কুট। রাতে মাছ, সবজি, ডাল ও ভাত। কারাগারে বসেও নিত্য এমন খাবারই খাচ্ছেন রানা। এসব খাবারের কিছু সরবরাহ করছে কারা কর্তৃপক্ষ। বাকিগুলো নিজের টাকায় ক্যান্টিন থেকে প্রিজনার্স ক্যাশের (পিসি) মাধ্যমে কিনে খাচ্ছেন তিনি। খাওয়া-দাওয়া, ঘুম ও পাশাপাশি অন্যবন্দিদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় কারাগারে বেশ আরামেই আছেন রানা। যার বিরুদ্ধে রয়েছে হাজারেরও বেশি পোশাক শ্রমিক হত্যা মামলার অভিযোগ। সূত্র আরও জানায়, গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি কারগারের আছেন রানা। ঐ কারাগারে কক্ষ আছে এক হাজার ২০টি। বেশিরভাগ কক্ষেই রাখা হয়েছে একাধিক বন্দিকে। কিন্তু সাভারের সোহেল রানাকে রাখা হয়েছে একা এক কক্ষে। গত ২৪ এপ্রিল সাভারে নয়তলা বিশিষ্ট রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে বিপুল শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে করা মামলায় ২৮ এপ্রিল সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৯০ সেলের বিশেষ কক্ষে রাখা হয়। পরে তাকে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারগারে পাঠানো হয়। কারা সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগারে থাকা অবস্থায় বিশেষ সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেন রানা। পুরনো ঢাকার নান্নার মোরগ-পোলাও, সাতরওজা এলাকার আনন্দ বেকারীর নাস্তা, নাজিমউদ্দিন রোডের হোটেল নীরবের হরেক রকমের ভাজি-ভর্তা ও চিকন চালের ভাত খেতেন রানা। ঠাণ্ডা পানীয় সরবরাহ করা হতো কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে প্রিন্স ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে। এছাড়া প্রয়োজনে কারারক্ষী ও মেট-রাইটারদের মোবাইল ফোনেও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলতেন। পরে এসব অভিযোগ নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে রানাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগার থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। তবে কারা কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলা হচ্ছে এগুলোর কোনো কিছু সরবরাহ করার প্রশ্নই আসে না। কোনো অভিযোগের কারণে নয় বরং নিরাপত্তাজনিত কারণে সোহেল রানাকে ঢাকা থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার আব্দুর রাজ্জাক জানান, হাই সিকিউরিটি কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য কারাগারের চেয়ে অনেক উন্নত। এছাড়া সুযোগ-সুবিধাও বেশি। তাছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সেল সংখ্যা কম বন্দির চাপ বেশি। তাই তাকে ঢাকা থেকে গাজীপুরের কাশিমপুরে পাঠানো হয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাসে দুইবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান রানা। কারাগার থেকে দেয়া খাবারই খাচ্ছেন তিনি। ইচ্ছে হলে কারাগারের ক্যান্টিন থেকে খাবার এনে খেতে পারেন। তবে এর বাইরে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে না বলে জানান এই কারা কর্মকর্তা। গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ার ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত রানাসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই বর্তমানে কারাবন্দি। তাদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনজন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মারা যান মোট ১ হাজার ১৩১ জন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪৩৮ জনকে।



তথ্যসূত্র

Click This Link



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.