নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো গল্প করি anjanroysnextworld.blogspot.com

anjanroysnextworld

পেশায় আমি একজন ম্যানেজমেন্ট কর্মী। সাইকোলজি ও হিউম্যান বিহেভিয়ার আমার প্রিয় বিষয়। আমি একজন ট্রেইনড হিপ্নোথেরাপিষ্ট। লেখালেখি, বিভিন্ন নতুন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া ও ভিন্ন সংস্কৃতিতে মানুষের জীবন শৈলী পর্যবেক্ষণ করা আমার প্রিয় নেশা।

anjanroysnextworld › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুদের হাতে মোবাইল : গোটা প্রজন্ম ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৮



এখনকার দিনে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল একটা সাধারণ ব্যপার। অনেক মা বাবা কেই বেশ গর্ব করে বলতে শোনা যায়, তাদের বাবুসোনা কী ভীষণ স্মার্ট! এই ছোট্ট বয়সেই মোবাইলের সব ট্যাকনিকেল ব্যাপার স্যাপার আয়ত্ত করে ফেলেছে। তিন বছরের বাচ্চা বাবার মোবাইলের প্যাটার্ন লক ওপেন করে ফেলছে! বাবার তো আনন্দ হবেই 'ট্যাক উইজার্ড' সন্তান পেয়ে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি এদের শৈশব আদতে আমরাই নষ্ট করছি। কোনো এক্টিভিটী নেই, সামাজিকতার শিক্ষা নেই, খেলাধুলা নেই। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে গাঁট হয়ে বসে থাকছে। বাবা মা ও নিশ্চিন্ত , বাচ্চা বিভিন্ন প্রশ্ন করে জ্বালাতন করছে না, খেলার জন্য বায়না করছে না, যা দিচ্ছেন বিনা বাক্য ব্যয়ে গিলে ফেলছে, বেশিরভাগ সময় ঘরেই থাকছে বাইরে যেতে বায়না করছে না। এখন তো আবার নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি , বাবা মা দুজনেই ব্যাস্ত, বাচ্চা সামলাবে কে? এতো সময় কৈ!! নিজেদের সুবিধার কথা ভেবে আমরাই ওদের হাতে মোবাইল তুলে দিয়েছি। ইন্টারনেট সংযুক্তির ফলে মোবাইল হয়ে উঠেছে এক অত্যন্ত শক্তিশালী ডিভাইস। কী নেই এতে? লিটেরালী গোটা দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। এই বিপুল পরিমাণ তথ্য ( abundance of information) কে হ্যন্ডেল করার মতো ম্যাচুয়রিটি অনেক বড়োদের ই থাকে না, আর ওরা তো বাচ্চা! অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত কনটেন্ট শিশুমন কে দুষিত করছে। বয়সের আগেই ওরা অনেক অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে exposed হচ্ছে। তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন মানসিক সমস্যা, এর হাত ধরে ধীরে ধীরে শারীরিক অসুবিধাও দেখা যাচ্ছে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে শিশুদের মধ্যে যে সমস্যা গুলো বেশী দেখা যাচ্ছে সেগুলি হলো-
● চোখে জ্বালা , বা ড্রাই আই। দৃষ্টি শক্তির দুর্বলতা। শর্ট সাইটেডনেস।
● কানে কম শোনা। মাথা ব্যথা।
● বয়সের আগে হরমোনাল চেঞ্জ।
● মনোযোগের অভাব। দুর্বল স্মৃতি শক্তি।
● স্থূলত্ব বা obesity
● দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
● অপরিমিত ও অপর্যাপ্ত ঘুম।
● খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ( Eating disorder)
● মূড সুইঙ , এঞ্জাইটি ও ডিপ্রেশনে র মতো মানসিক জটিলতা ও দেখা যায়।
● সোশিয়াল স্কিল ডেভেলপ করে না। আচরণ গত ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়।
● বাচ্চাদের মধ্যে ইদানিং হরমোনাল ইমব্যালেন্স, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা ই বেড়ে গেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.