নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।।

অংকনের সাতকাহন

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।।

অংকনের সাতকাহন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাতকাহনীয় ক্যাচাল ~ ১৪

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

ফেলানী।

শুধু একটা নাম নয়, একটা দৃষ্টান্ত।

একটা শিক্ষার নাম ফেলানী। তবে কিনা ব্যর্থ শিক্ষা যা আজও আমাদের চোখের পট্টি খুলতে ব্যর্থ।



২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি পত্রিকার পাতায় পাতায় দেখা সেই ছবিটি আজ আর কজনের মনে আছে?

দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল দুটি বছর। সেই তারকাঁটায় ঝুলন্ত কিশোরী ফেলানীর দেহটা আজও যেন ঠিক বাংলাদেশের প্রতিটি সীমান্তে ঝুলে চাইছে বিচার। কিন্তু, তাকে সেই কাঙ্খিত বিচার দেয়ার কেউ নেই।



৭১এ পাকিস্তানিরা মেরেছিল আমাদের, আমাদের পিতা-মাতা-ভাই-বোনকে, আর ৭১ এর পর থেকে ক্রমাগত মেরে চলেছে ভারত।

মৌলিক দিক থেকে আমাদের অনুকূলে নয় কেউই। একজন জলের কুমীর তো একজন ডাঙার বাঘ। সাপ সে যতটাই বন্ধুভাবাপন্ন হোক আর যতই পোষ মানান, স্বার্থের সামান্যতম ব্যতয়ে সে ছোবল হাঁকাবেই। তাই সাপ নিয়ে খেললেও উচিত নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।

ভারতের বন্ধুত্বের হাত কতটুকু ফায়দাজনক তা দেখেছি আমরা বহুবার টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে, সীমান্তের একের পর এক হত্যায়।



আমাদের পূর্বসূরিরা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন ঠিকই; কিন্তু বোধহয় স্বাধীনতার প্রকৃত সংজ্ঞা শেখাতে হয়েছেন ব্যর্থ। কিংবা হয়তা জ্ঞানের অতিস্বল্পতার দরুণ আমরাই পারিনি অনুধাবন করতে স্বাধীনতার মর্ম। তাই আমরা স্বাধীনতা রক্ষা শিখিনি, শিখেছি অপব্যবহার।

ভারত-পাকিস্তান বলতে এখনো আমরা উদ্বেলিত হই। বি.এস.এফ এর ক্ষমা প্রার্থনায় গদগদ বিগলিত হই। চুপচাপ হাসিমুখে শুনি হিনা রাব্বানীর আমাদেরই দেশের মাটিতে বলে যাওয়া অতীত ভোলার আহবান।



আমরা ওদের খেলায় আপ্লুত হই। ম্যারি মি আফ্রিদি প্ল্যাকার্ড নিয়ে গলা ফাটাই। শেহওয়াগ-ধোনীর বাইন্ডারীতে আউলা তালে বাউলা নাচি। আমরা সন্মিলিত কন্ঠে চিৎকার করি পাকিস্তান জিন্দাবাদ।

আরে আবালের দল- একবার ভেবে দেখ, ঠিক এই স্লোগানটাই যেন কখনোই আমাদের কন্ঠে ধ্বণিত না হয় সেজন্যেই রক্ত ঝরিয়েছেন তোর বাবা-দাদারা, মা-বোন হয়েছেন বীরাঙ্গনা। তাদের ত্যাগের আজ এই ফসল! আজ স্বাধীন দেশে তাদের স্বাধীন নাগরিকের কন্ঠেই শুনতে হচ্ছে দেশশত্রুদের জয়ধ্বণি। এরচেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে।

ভারতের প্লেয়াররাও তো আরো সরেশ। নির্দ্ধিয়ায় বলে বসেন- ‘ওগুলো ইংলিশ উইকেট, ওরা তো আর বাংলাদেশ নয়’। বাংলাদেশ ক্রিকেট তাদের কাছে হাসির পাত্র।

কজন পাকি-ভারতীয়কে দেখেছেন বাংলাদেশের খেলায় বাংলাদেশের স্বপক্ষে জয়ধ্বণি দিতে? আর কিছু না হোক দেশের প্রতি শ্রদ্ধাটা ওদের কাছ থেকেই নাহয় শিখুন।



কি বললেন?

খেলার সাথে রাজনীতির কি সম্পর্ক?

অবশ্যই সম্পর্ক আছে। কিছুই রাজনীতির উর্ধ্বে না, দেশের উর্ধ্বে না। ফেলানী অরাজনৈতিক ছিল, কিন্তু বলি হয়েছে রাজনীতিরই। ওদের রাজনৈতিক চক্রেই ঘুরছে সব।

কিন্তু, কথা হল আমরাই বা ঘুরব কেন?



আমরা রুখব।

অবশ্যই রুখব। ক্ষমা প্রার্থনায় কাজ নেই আমাদের।



আর কোন ঝুলন্ত ফেলানী চাই না আমরা।

চাইনা একটা স্বপ্নার্দ্র চারুচোখ ঢেকে যাক অন্ধকারে।



ফেলানী একটা জাগরণ একটা অভ্যুত্থানের দৃষ্টান্ত হয়েই থাক।

কেবলই একটা নাম, আর একটা বিশেষ দিন নয়।



।।সা।ত।কা।হ।ন।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

নেক্সাস বলেছেন: এই পোষ্টি নির্বাচিত পতায় নেওয়ার জন্য মডারেটরদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাই।

দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, চেতনার বিকাশে কিংবা ক্ষয়ে যাওয়া চেতনার পূনরুদ্ধারের জন্য এই পোষ্ট সবার পড়ার প্রয়োজন আছে। আর সেই জন্যই এমন পোষ্ট ষ্টিকি হওয়া প্রয়োজন।


২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

অংকনের সাতকাহন বলেছেন: মানবতা ঝুলছে তবু স্বপ্নের ভারে অথর্ব চোখ বন্ধ আমাদের।
ধন্যবাদ নেক্সাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.