![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা সাধারণ প্রশ্ন করি। জাস্ট কমনসেন্স খাটিয়ে উত্তরটা ভাববেন।
আপনি একটা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহকর্তা। আপনার আয় সীমিত। তবে ব্যয় আয়ের সীমানাকে পার করেছে বহু আগেই। আয় ব্যয়ের সমীকরণটা মেলানো হয়নি কোনদিনই। তাই ধার দেনায় জর্জরিত থাকেন সবসময়।
এমতাবস্হায় আপনি আপনার সীমিত আয় থেকে কোন কাজটা আগে করবেন?
পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ, নাকি তাদের নিরাপত্তা বিধান? আগে ওদের মুখে ভাত দিবেন নাকি বাড়ির দরজায় দারোয়ান নিযুক্ত করবেন? ঘরের মানুষকে পরিধেয় বস্ত্র দিবেন, নাকি প্রহরীর জন্য নুতন টর্চ,লাঠি অথবা লেটেস্ট ভার্সনের রাইফেল কিনবেন?
কোনটা মুখ্য? প্রতিরক্ষা? নাকি মৌলিক চাহিদা??
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান নিঃসন্দেহে প্রতিরক্ষার অসারতা টের পাচ্ছে। কিন্তু জানিনা জ্ঞানী গুণী দেশের মাথাগুলো এই নিয়ে কি ভাবছেন?
আমি এ ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত তাদের ভোটগুলো মনে হয় প্রতিরক্ষার সপক্ষে একগাদা যুক্তি খুঁজে বের করবেন। দেশের সুরক্ষার দোহাই দিয়ে প্রতিরক্ষার আবশ্যকতা বর্ণণা করবেন অনর্গল।
কিন্তু ভাবুন একবার।
ভেবে উত্তর দিন আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সাথে সামরিক চুক্তি আর তাদের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, যখন আমাদেরই দেশে এখনো ৪0% মানুষ দুবেলা খেতে পারেনা। এখনো মানুষ ঠান্ডায় মরে। এখনো মানুষের সুচিকিৎসার অভাব। এখনো মানুষ আগামীর স্বপ্নপূরণের দুঃসাহস বুকে ধরে না। এখনো একজন শিশু জন্ম নিয়ে সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা পায়না।
সেখানে অস্ত্রসজ্জিত আধুনিক প্রতিরক্ষা সিস্টেমে আমাদের কাজ কি?
১০০ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনা হচ্ছে রাশিয়া থেকে। আধুনিক অস্ত্রে সমরে দুর্জয় হবে বাংলাদেশ!
সমীকরণটাকে একটু ঘুরিয়ে দেখুন, আট হাজার কোটি টাকা দিয়ে কতটি পরিবারের খাওয়ার ব্যবস্হা করে ওদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব? প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব কতটি বিদ্যালয়, কলেজ কিংবা পাঠাগার? হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে কতজন দুঃস্হকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব? স্বপ্নপূরণ সম্ভব কতজন মানুষের?
নুতন শিশুর জন্য কি গড়া যায়না একটি উপযুক্ত পরিবেশের বাতাবরণ?
আমরা একটি গরীব দেশের অধিবাসী, যাদের সারাবছরই বহন করতে অন্য দেশগুলোর ঋণের বোঝা। আর তারই মধ্যে যখন আমাদের তথাকথিত বিজ্ঞজনাগণ এধরণের উদ্ভট মতির পরিচয় দেয় তখন নিজেদেরকে অনেকটাই বেকুব মনে হয় বৈকি।
অস্ত্র কিনুন, প্রতিরক্ষা জোরদার করুন। একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষার দরকার অবশ্যই।
তবে যেন তা না হয় এতটাই বেমানান ধরণের।
আগে জনগণের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করুন।
দিন দু’মুঠো ভাতের নিশ্চয়তা। মাথার উপর একটা ছাদ নিশ্চিত করুন।চিকিৎসা ও শিক্ষার গ্যারান্টি দিন, যেন দেশকে না থাকতে হয় অক্ষম হয়ে;
কিংবা অজ্ঞানতার অন্ধকার না ঢেকে দেয় আগামীর কন্টকাকীর্ণ পথ।
তাই কামনা রইল,
একজন অচেতন নেতা না হয়ে একজন সচেতন নাগরিক হোন।।
Click This Link
সাতকাহনীয় ক্যাচাল ~ ১৫
।।সা।ত।কা।হ।ন।।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪
অংকনের সাতকাহন বলেছেন: অবস্হাদৃষ্টে বুঝিতেছি নির্বাচনী খাইখরচা তোলার ব্যাপক তোড়জোড় চলিতেছে !!! :-O :-O :-O
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
মো কবির বলেছেন: সহজেই ধরতে পারছেন ভাই, তয় একটু কম ধরছেন ভাই।
ইউরোপে বাড়ী গাড়ী করার জন্য ও জমাইতাছে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
অংকনের সাতকাহন বলেছেন: হেরা তো তইলে আমাগো থেইক্যাও বড় ফকির!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
মো কবির বলেছেন:
সরকারতো কইল, দুই হাজার ২১ সালের মধ্যে এই দেশকে ডিজিটাল করে দিবে, আর ২০৪০ এর মধ্যে এই দেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করে দিবে।
আর মধ্যে যদি আমাগো মতো কিছু লোক না মরে তো কিভাবে হবে,
সরকারতো জোর করে মারতে পারেনা তাই অন্য উপায়ে মারার চেষ্টা চালাচ্ছে আর কি ।
কথায় আছে না,তোকে হাতেও মারব না ভাতেও মারব না,
চিপায় ফেলে মারব।
আর আমাগো সরকাররা দুই টা প্রয়োগ করে চলছে।
নিজের লিংকে গিয়ে প্রথম পোস্টটি পড়বেন বুঝতে পারেবেন আসলে এই দেশের মানুষের জীবন ভবিষৎতে কেমন হবে।
আসুন এই দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।
গ্রুপ লিংক