নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যকোথাও অন্য কোনোখানে- বিজয়ের গানে!

http://www.myspace.com/423882880/music/songs/31785002

অন্যআনন

আবেগের চোখে নয়, সম্ভাবনার চোখে

অন্যআনন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুখী

২৫ শে মার্চ, ২০০৭ ভোর ৪:০৪

1. একটি ভুল ও অনুশোচনা....



স্বীকার করেই নিলাম যে আমি পশু তুল্য। পশুদের রাজ্যে এরকম অপকর্মের কোনো ইতিহাস আছে কিনা- আমার অজানা। তবে মানব ইতিহাসে অমানবিকতার যে কলঙ্ক তিলক আমি স্থাপন করলাম- মানুষ কখনোই আমাকে ক্ষমা করবে না। আমার মা একজন নারী, আমার বোনও। আমি যাকে নিছক প্রতিশোধ প্রবণ হয়ে ধষর্ণ করেছিলাম সেও একজন নারী। তখন সে ছিলো সুসজ্জিত নিষ্পাপ- মায়াবী মুখের এক তরুণী; এখন ছোট্ট মেয়ে সুখীর মা। সুখী আমার মেয়ে। ঘটনার ( ধষর্ণের) তিনদিন পর গ্রামের গণ্যমান্যরা প্রাইমারি স্কুলের মাঠে যখন সালিশি বৈঠক বসালো তখন আত্মহত্যায় ব্যর্থ হয়ে রাহেলা উপজেলা হাসপাতালের একটি ছোট কামরায় অচেতন হয়ে পড়েছিল- চিকিৎসারত। আমি কাঠফাটা রোদে নপুংসকের মতো সালিশ চক্রের মাঝখানটায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। ইতোমধ্যে বাবার দেয়া ত্যাজ্যতার সার্টিফিকেট আর স্বজনদের ভালোবাসা থেকে চিরতরে বঞ্চিত হলাম আমি। মনুষ্যত্ব বিবর্জিত কোনো প্রাণীর কি মানব সানি্নধ্যের আর কোনো প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে? তাই অবধারিতভাবেই আমার পক্ষে কেউ ছিলো না। শুধু বৈঠকচক্র ভেদ করে কোথথেকে বারবার একটা নেড়ি কুকুর আমার পায়ের কাছে এসে উসখুস করছিলো। নোংরা শীর্ণকায় ঐ কুকুরটিই সালিশে আমার অবস্থান সম্পর্কে মানব সমাজকে অবহিত করে দিলো। আমি হাত জোড় করে রাহেলাকে চাইলাম, ভিক্ষা চাইলাম মানবজীবন। আমার কুকর্মের পরামর্শদাতা রইস ও আফতাব দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলো। রইস এখন বড় বাজারের ছোট্ট একটি সেলুনের নাপিত, আর আফতাব ভোলা শহরে রিক্সা চালায়।

অনুশোচনা দগ্ধ হয়ে বাঁচার তাগিদে ওরাও এখন গিয়ে দাঁড়িয়েছে মানবতার পক্ষে, পেয়েছে সমাজের সহযোগিতা।



2. একটি সতীত্ব ও স্বাধীনতা......



মুক্তিযুদ্ধের সময় শুনেছিলাম পাক বাহিনী কতর্ৃক নির্যাতিত হয়েছিলেন আমার বাবা। পরবতর্ীতে হারিয়েছিলেন বাকশক্তি। তার বাকশক্তিহীনতার বদৌলতে রক্ষা পেয়েছিলো আমার মায়ের সতীত্ব। এ দেশও একদিন স্বাধীন হয়েছিলো। অথচ তার সন্তান হয়ে আমি একদিন......ছিহ......ছিহ.....ছিহ.....ঈশ্বর.....ঈশ্বর..!!



3. একটি পরিচয় ও প্রত্যাশা.....



স্বাধীন দেশের ছোট্ট নাগরিক সুখী। তার দাদার বাকরুদ্ধতা এ দেশকে এনে দিয়েছে স্বাধীনতা। এখন তার একটি পারিবারিক, সবের্াপরি একটি দৈশিক পরিচয় আছে। এখানে দুঃখ আছে যন্ত্রণা আছে, আছে বেচে থাকার নিরন্তর আশাবাদীতা। ব্যক্তির একটি ভুল থেকে পরিবার- সমাজ-রাষ্ট্র বিভ্রান্ত হতে পারে, ছিন্ন হতে পারে সকল মানব বন্ধন।

সুখী কখনো ভুল করবে না। মুছে যাবে তাকে ঘিরে থাকা যতো দুখি বিশেষণ।



বিঃদ্রঃ ' সুখীর সুখী বাংলাদেশ' শিরোনামে পাক্ষিক অন্যদিনে প্রকাশিত, বিপ্রতীপ শিকদার ছদ্মনামে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১০:১৪

অতিথি বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০০৭ সকাল ১০:৪৫

অতিথি বলেছেন: খুবই চমৎকার.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.