![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটি দেশের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকে। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে এটা থাকা খুব জরুরী। কারন এদেশে যেহেতু শিক্ষার হার অনেক কম তাই মানুষ মিডিয়া দিয়ে অনেক প্রভাবিত হয় এবং অনেক সময় টিভি দেখে অনেক কিছু শিখে ফেলে ।
বাংলাদেশের নারী নেত্রীরা একদিকে নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলছেন। বলছেন নারীর যোগ্যতা হবে তার মূল্যায়নের প্রক্রিয়া। অন্যদিকে একটি বহুজাতিক কোম্পানী দেখিয়ে চলেছেন, গায়ের রং ফর্সা হলে চাকরী পাওয়া যায়, বিয়ে হয়, এমনকি ক্রিকেট খেলার কমেন্টেটর হওয়া যায়। শুধু তাই নয় তারা এখন পুরুষদেরও ফর্সা হয়ে ছবির নায়ক হতে উৎসাহ দিচ্ছেন।
বেশ কিছুদিন একটি মোবাইল কোম্পানী বিকৃত ভাষা ও গানে তাদের জ্যুস নামের একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন করেছেন।
প্রতিটি মোবাইল কোম্পানী সারারাত মোবাইলে কথা বলার আমন্ত্রন জানিয়ে বিজ্ঞাপন করেছে এবং একটি কোম্পানী নিশিতে কল কইরো আমারে ফোনে বলে একটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিল। আরেকটি বলেছিল দিনে রাতে কথা বলতে। রাতে কথা বলা , সারা রাত কথা বলা এসব কি কোন সভ্য আমন্ত্রন। রাত কি কথা বলার সময়? যারা কথা বলবে তারা কি নিয়ে কথা বলবে? ব্যবসা, বানিজ্য, স্বাস্থ্য নাকি প্রেম? কোন সুস্থ লোক সারা রাত জেগে কথা বলে? নাকি এটা বলতে কাউকে আমন্ত্রন জানাচ্ছে তারা সুস্থ?
এরপর ঘর থেকে প্রেম করে পালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়ে একটি বিজ্ঞাপন বানানো হয়েছে। তারপর মাসুদ রানা ও স্টেলার প্রেম নাম দিয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার একটি বিজ্ঞাপন বানানো হয়েছে যেটা দেখলে মনে হবে ইন্টারনেট হচ্ছে প্রেম করার উৎকৃষ্ট উপকরণ। শুধু তাই নয় মাসুদ রানা নামটি আমাদের কাছে একটি জেমস বন্ড নামের সমার্থক নাম। একটি কৃশ , বোকা বোকা ছেলেকে ব্যবহার করে মাসুদ রানা নামটির প্রতি ইচ্ছাকৃত অবিচার করা হয়েছে।
একটি বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে একজন গাধাও রিচার্জ করতে পারে। রিচার্জ করা এতোই সহজ। কিন্তু গাধাসদৃশ লোকটির নামটা দেয়া হয়েছে ইউনুস। ইউনুস নামটি এখন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ নাম। শুধু তাই নয়। এটি একজন নবীরও নাম। এটা নিয়ে এভাবে তামাসা করার কারন কি?
একটি সেল কোম্পানী বিজ্ঞাপন করেছে প্ল্যাটফর্ম সহ রাস্তা. মেলা, নাগর দোলা সর্বত্র নাচানাচি দিয়ে। এটি আবার টেলিনর পাকিস্তানের বিজ্ঞাপনের নকল। নাচানাচি নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আপত্তি নকলে।
ব্র্যাক একটি যক্ষা বিরোধী বিজ্ঞাপন করেছে যেখানে ফজলে হাসান আবেদ ভুল উচ্চারনে বলছেন "চিকিৎসা করালে যক্কা বালো হয়" যক্ষা আর যক্কা মানে কি এক?
একটি কন্ডম কোম্পানী দেখিয়েছে যদি আপনি তাদের কন্ডম ব্যবহার করেন তবে আপনার স্ত্রী আপনার সেবা করবে দাসী বাঁদীর মতো। বাহ! নারীবাদিরা এখন চুপ! এটা একটি একটি চরম সেক্সিস্ট বিজ্ঞাপন যেখানে নারীকে একটি যৌনকাতর প্রজাতি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে এবং বলার চেষ্টা করা হয়েছে ভালোমতো শারীরিক কাজটি করতে পারলেই নারী আপনার বশ হয়ে থাকবে। কি অসভ্য অ্যাপ্রোচ!
একটি পেস্ট এর সাথে সানগ্লাস দেয়ার বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে একটি ছেলে ইভটিজিং করছে এবং পরে সানগ্লাস পরে চারটি মেয়ে নিয়ে হাটছে। প্রথমত ইভটিজিং এর মতো একটি বর্বর অসভ্য বিষয়কে উৎসাহিত করা হলো তারপর দেখানো হলো সেই ইভটিজার এর চারটি বান্ধবী। তার মানে ইভটিজারদের মেয়েরা পছন্দ করে? অথচ এই ইভটিজিং এর জন্য বেশ কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে।
একটি কোলার বিজ্ঞাপনে একটি ছেলের সাথে দুটি মেয়ে দেখিয়ে বলা হয়েছিল ডাবল... ডাবল ইওর প্লেজার। এক ছেলের সাথে দুই মেয়ে দেখিয়ে ডাবল প্লেজার বলা মানে কি? দুটি মেয়ে, দ্বিগুন আনন্দ? মেয়েরা প্লেজার মেটেরিয়াল?
শুধু কি তাই? একটি চ্যানেল যারা হৃদয় ভর্তি করে বাংলাদেশ নিয়ে ঘুরে বেড়ান তারা দুবাইতে গত বছর কাওয়ালী নাম দিয়ে উর্দু ভাষার গান দিয়ে শুরু করেছিলেন তাদের অনুষ্ঠান। লাইলি তুম কাহা, মজনু তুম কাহা বলে অনুষ্টানটি প্রচার করেছিলেন ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে।
অনেক অনেক উদাহরন দেয়া যায়। আরো অনেক আছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এ ব্যাপারে আমাদের পত্রিকাগুলো নিরব কারন তাদের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দাতা হলো এই প্রতিষ্ঠানগুলি। যে কারনে তারা আমার এই লেখা ছাপবে না। তাই এখানে লিখলাম। আপনারা কি আমার সাথে একমত?
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৫৩
বিবর্তনবাদী বলেছেন: সিরিয়াসলি একটা উত্তর দেন। আমি সারারাত অনেক কথা বলেছি ফোনে। আমি কি অসুস্থ। যদি তাই হয় তবে, ডাক্তার দেখাব।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২৮
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: মনোবিজ্ঞানী মেহতাব খানমের সাথে কথা বললে জানবেন, মোবাইল ফোনে সারারাত কথা বলার প্রবণতা যে একটি অসুস্থতা।
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৫৮
জেনারেল বলেছেন: গাধাসদৃশ লোকটির নামটা দেয়া হয়েছে ইউনুস। ইউনুস নামটি এখন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ নাম। শুধু তাই নয়। এটি একজন নবীরও নাম। এটা নিয়ে এভাবে তামাসা করার কারন কি?
এই অংশের সাথে একমত হতে পারলাম না। একজন ইউনুচ নোবল পেয়েছে বলে একজন বোকা লোকের নাম ইউনুচ হতে পারবে না বা তার নাম বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যাবে না- এমন যুক্তি আসলেই খাটে না। আর একজন নবীর নামও ইউনুচ ছিল বলে তাঁর নামে কোন লোককে বিজ্ঞাপনে খারাপ বা ভালভাবে ব্যবহার করা যাবে এইটা একটা খোড়া যুক্তি।
------------
এইকথা সত্য যে বিজ্ঞাপনের একটা নীতিমালা হওয়া খুবই জরুরী।
ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৩১
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: অবশ্যই ইউনুস নামের কোন বোকা ব্যক্তি থাকতে পারেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দী একটি কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার ও প্রতিষ্ঠাতাদের একজন যখন ইউনুস, তখন ব্যাপারটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। আর মুসলিম হলে জানবেন নবীদের নাম নিয়ে রসিকতা করা অন্যায়।
৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:০৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
একমত জেনারেল।
এবং পোস্টের জন্য ধন্যবাদ@তুষার।
-----------------------------------
@বিবর্তনবাদী
কোন বিশেষ কারণে বা বিশেষ প্রয়োজনে- সারারাত কথা বলতে হলে- ঠিক আছে। তবে- অভ্যাসমাফিক প্রতি রাতেই ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে আলাপ করলে- আপনাকে অসুস্থ বলতে হবে বৈকি।
সেটা দিনের বেলাতে করলেও- মানে দিনের বেলাতেও ঘন্টার পর ঘন্টা কারো সাথে খাজুরে আলাপ করলেও- আপনাকে অসুস্থ বলা যাবে; তবে- মোবাইলের বিলিং অফারের কারণে ও দিনের নানা ব্যস্ততার কারণে- রাতেই লোকজন এই অসুস্থ প্রাকটিস বেশি করে!!!
আর, সবচেয়ে বড় কথা- এভাবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে- প্রতি সেকেণ্ড হিসাবে আমাদের দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেয়া হচ্ছে কি-না সেটাও ভেবে দেখতে বলবো (ধরে নিচ্ছি আপনি টেলিটকের সিম ব্যবহার করছেন না)। দিনমজুর নামের ব্লগারের "মোবাইলের একটি কল মানে" শীর্ষক পোস্ট পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:০৩
সাইফুর বলেছেন: +
একটা নীতিমালা দরকার
আপনার কথাগুলোর সাথে একমত
৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:০৫
কখগঘ বলেছেন: হুম।
আগেই চিন্তা করছি, কিন্তু লেখার টাইম পাই নাই, আপনি লিখে ফেলছেন, ভালোই হয়েছে।
৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:০৬
পথহারা বলেছেন: ভালো লাগলো...
৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:০৬
মেন্টাল বলেছেন: ফেয়ার এন্ড লাভলীর ব্যাপারে একমত
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:১৫
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
দিনমজুরের পোস্টের লিংকঃ
Click This Link
১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:১৯
জামাল ভাস্কর বলেছেন: পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত...
কিন্তু যেমনে খালি বিজ্ঞাপনের নীতিমালা প্রণয়নের কথা কইলেন সেইটারে খুব বেশি ক্লীশে লাগলো। পণ্য সভ্যতার যুগে খুব স্বাভাবিকভাবেই সবকিছুরে পণ্য বানানো হইবো। নারীর শুভ্র ত্বকের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ নিশ্চিত বিজ্ঞাপনের প্রভাবে হয় নাই!? সমাজে বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিকতারে কেবল পণ্যের বেচাবিক্রির একটা পয়েন্ট হিসাবে গ্রহণ করা হইছে। বিজ্ঞাপন নিশ্চিত শিক্ষামূলক কোন প্রকাশ না...প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিজ্ঞাপন হইলো ভোক্তার দৃষ্টি আকর্ষণের একটা মাধ্যম মাত্র।
আমার মনে হয় আপনের এই ধরণের ক্ষোভের প্রকাশ বরং হিতে বিপরীত হইতে পারে...মনে হইতে পারে সমাজের সকল সমস্যার কারন বিজ্ঞাপন...কিন্তু বিজ্ঞাপন বিদ্যমান সমাজের একটা প্রকাশ বৈ অন্য কিছুই না।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২৬
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: পণ্যের বেচাকেনার জন্য নীতিহীন কর্মকান্ড কোন সভ্য কাজ নয়। ভোক্তার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য যা খুশী করা জায়েজ না। তাহলে সিনেমাতে কাটপিস লাগিয়ে দর্শক টানাও জায়েজ হয়ে যায়। অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সামনে বারবার এধরনের ভুল মেসেজ তাদের ভুল কাজে অভ্যস্ত করে তোলে।
১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২১
এস্কিমো বলেছেন: গ্রামীন ফোনের একটা বিজ্ঞাপনে দেখায় সবাই কিভাবে অবলীলায় মিথ্যা বলছে। এটা যদি নর্মাল হয় - তাইলে তো খবর আছে..
ধন্যবাদ তুষার।
সমাজ নিয়ন্ত্রনের গুরুত্বপূর্ন উপায় (Means of Social Controls) এর মধ্যে বিজ্ঞাপন একটা। সেখানে যদি ভুল ভাবে বা উদ্দেশ্য বিহীন ভাবে সমাজকে উপস্থাপন করা হয় - তাহলেতো বিরাট সমস্যা।
১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২৬
ড. শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ । পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত...
১৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: @ নাস্তিকের ধর্মকথা - আপনাকে ধন্যবাদ। সত্যিই ব্যাপারটা চিন্তার। দেখি তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৪১
জামাল ভাস্কর বলেছেন: পণ্যের বেচাকেনার জন্য নীতিহীন কর্মকান্ড কোন সভ্য কাজ নয়। ভোক্তার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য যা খুশী করা জায়েজ না। তাহলে সিনেমাতে কাটপিস লাগিয়ে দর্শক টানাও জায়েজ হয়ে যায়। অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সামনে বারবার এধরনের ভুল মেসেজ তাদের ভুল কাজে অভ্যস্ত করে তোলে
পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে নীতিমালা মাইনা চলে এইরম একটা কন্ডিশনের উদাহরন দ্যান তো...সিনেমাতে কাটপিস লাগাইয়া সিনেমার দর্শক বাড়াইতে হয় কারন সমাজে এই নীতিহীনতার প্রসার আছে...বাংলাদেশে কাটপিস লাগাইতে হইতেছে কারন এইখানে পর্নোগ্রাফির ব্যাপারে কিছু মূল্যবোধ কাজ করে...কিন্তু পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশে পর্নোগ্রাফি্ অনুমোদিত একটা মাধ্যম। পণ্য সভ্যতা এইরম নোংরা প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়াই আগায়। নোংরা রুচী'র বা জনপ্রিয় রুচীরে ভিত্তি কইরা ব্যবসা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার...
আর আপনের একটা বিবেচনা খুব অস্বস্তিকর লাগতেছে...বিজ্ঞাপন য্যান খালি অশিক্ষিত মানুষরেই বিভ্রান্ত করতেছে এইরম মনে হইতেছে...মনে হইতেছে মানুষ অশিক্ষিত হইলেই তারে আপনে বিবেচনা বোধশূণ্য মনে করতেছেন...
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৪৮
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: আপনার মতামতের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে কিছু শিক্ষিত রোকও বিবেচনা বোধশূণ্য হয়।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৫০
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: আপনার মতামতের মধ্যে দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে কিছু শিক্ষিত লোকও বিবেচনা বোধশুণ্য হয়। আর আইডিয়াল কন্ডিশন নাই বলে আইডিয়াল কন্ডিশন নিয়া বলা যাবে না এটা কোথায় লেখা আছে?
১৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৩৬
বিবর্তনবাদী বলেছেন: প্রিয় হাসিব, আসলে যক্ষা বানানটাও ঠিক নয়। আসল বানান হল যক্ষ্মা ।
ডাক্তারের নাম দেবার জন্য তুষারকে ধন্যবাদ। প্রফেসর মাহতাব খানম খুব সম্ভবত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষিক। (আমি কি ঠিক?)
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৫২
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: আপনি ডা. মোহিত কামাল এর সাথেও কথা বলতে পারেন।
১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:১২
লাল দরজা বলেছেন: বাংলাদেশের বর্তমান বিজ্ঞাপন চিত্র গুলিতে এই সময়ে আমাদের দেশের ক্ষয়ে পরা সমাজেরই যেনো প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। যা দেখে বিবেকবান মানুষ মাত্রই আকুল হয়ে পড়ার কথা। একটা প্রয়োজনীয় বিষয়ে দরকারী পোষ্ট দেয়ার জন্য সাধুবাদ।
আপনি লেখার শেষে জিজ্ঞাসা করেছেন পাঠক এক মত কিনা, লেখার মূল ভাবের সাথে অবশ্যই এক মত। তবে ইউনুস নবীর কথা ঐ বিজ্ঞাপনটি দেখে সত্যিই কোন দিন মনে আসেনি আমার!
আপনি সমাজে চলাফেরা করেন, ক্ষুদ্র হলেও প্রভাব রাখেন। তাই আপনার কথার একটা গুরুত্ব আছে বিধায় এই মন্তব্যটি লিখছি। বলতে গিয়ে দীর্ঘ্য করে ফেললে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।
দেশে এক শ্রেনীর মানুষ ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে সেটা নিশ্চই মানেন। সে কারনে ব্জ্ঞিাপনের ইউনুস নামের সাথে নবীর নাম যুক্ত করে আপনার যুক্তিটি ঠিক ভালো লাগল না, দুঃখিত। আপনার এ যুক্তি শুনে কেউ যদি বেকে বসে বলে, 'আমার নবীজেরে আহাম্মক কইছে যে আই তার এক দিন কি আমার এক দিন' তখন!
খুজে দেখলে দেশে ইউনুস নামে পাঁচটা চোর তিনটা দাগী আসামী দুই একটা রাজাকারের ও সন্ধান মিলতে পারে। সেই মানুষ গুলোকে পুরা জাতি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে না জানুক, তাদের গ্রাম মহকুমার মানুষত ঠিকই জানেন। তাতে সেই মানুষ গুলোর খারাপ চরিত্রের কারনে কি আমার নবীর কোন অসন্মান হয়ে যাবে!
বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি এমনিতেই নাকি ভীষন সুক্ষ, সেই সুক্ষ যায়গায় এমনতর নবী অনুভূতির কথা কোন প্রভাব ফেললে লাভ ক্ষতি কি হবে সে আল্লাহই ভালো জানেন।
০১ লা জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪০
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: ভাইজান, আমার বক্তব্য পরিষ্কার। মফিজ, কুদ্দুস, ইউনুস নামে অনেক বোকা লোক, চোর থাকতে পারে। কিন্তু সেটা এভাবে পাবলিক ফানে পরিনত করলে যাদের নাম তারা আহত হয়। এবং কিছু নাম আছে যেগুলো নিয়ে রসিকতা পরিহার করা উচিত। যেমন আল্লাহর নাম, নবীদের নাম এবং সর্বজনসম্মানিত কিছু ব্যাক্তির নাম। যেমন বীরশ্রেষ্ঠদের নাম...
ব্যক্তি পর্যায়ে আপনি কিছু করেন সমস্যা নাই, পাবলিকলি করাটা ঠিক কিনা, সেটাই ছিল আমার প্রশ্ন। যারা এগুলো করেন, তারাই মৌলবাদীদের উষ্কানী দেন।
আমি বলি না, এতে নবীর অসম্মান হবে, আমি বলেছি পারতপক্ষে এসব নাম ব্যবহার না করলেই ভালো। যেমন এই লোকটার নাম লালু কালু বা আব্দুল বা ফটিক দিলে এমন কোন মহাভারত অশুদ্ধ হতো না।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
১৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৫৩
মাহবুবা আখতার বলেছেন: একমত একমত....
বিশেষ করে যেকোন বিজ্ঞাপনে মেয়েদের টেনে এনে তাদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয় এটা আসলেই আপত্তিকর। এমনকি শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনেও মেয়েদের টেনে আনা হয় (এভাবে যে "কুল স্মুদ শেভ" হলে একটি মেয়ে এসে গালে চমৎকারভাবে(!) হাত বুলিয়ে দেয়... )
বিজ্ঞাপন যেহেতু শিশু ও তরুণ সমাজকে প্রভাবিত করে সেহেতু এ বিষয়ে নীতিমালা অবশ্যই থাকা উচিত।
লেখা ভালো লাগল।
১৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৫৪
জামাল ভাস্কর বলেছেন: তারমানে আপনে শিক্ষা দিয়াই বিবেচনা করতেছেন সবকিছু? যদ্দূর জানি দেশের শিক্ষিত সমাজের মানুষরাই বেশি নীতিহীনতার সাথে জড়িত...আর মতামতের কোন মাধ্যমে আপনে বুঝতে পারলেন শিক্ষিত রোকও বিবেচনাবোধ শূণ্য হয় সেইটা জানাইলে ভালো লাগতো...
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:১২
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: আর আপনের একটা বিবেচনা খুব অস্বস্তিকর লাগতেছে...বিজ্ঞাপন য্যান খালি অশিক্ষিত মানুষরেই বিভ্রান্ত করতেছে এইরম মনে হইতেছে...মনে হইতেছে মানুষ অশিক্ষিত হইলেই তারে আপনে বিবেচনা বোধশূণ্য মনে করতেছেন
আপনার কথা থেকে বুঝলাম
এখান থেকে বুঝলাম যে শুধু অশিক্ষিত না শিক্ষিত লোকেরাও বিবেচনা বোধশূণ্য হয়।
১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৫৫
সাইফুর বলেছেন: অশিক্ষিত লোকদের বিভ্রান্ত করা সহজ
২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৫৫
হমপগ্র বলেছেন: আমার নাম দেখে অবাক হবেন না। আসল নাম ইমরোজ। সেন্ট যোসেফে থাকতে আপনার সামনে ডিবেট করেছি ভিকারুন্নেসায় গিয়ে। যাই হোক, আসল কথায় আসি।
বিজ্ঞাপনে নীতিমালার কথা বলতে চেয়েছেন।
বাংলালিঙ্কের এড দেখে, কালারেশন চোখে পড়ে। যা আমার ভাল লাগে। এইটা আসল কি নকল আমার মাথা ব্যাথা নেই। পাকিস্তানি চ্যানেল দেখি না।
রাত জেগে কথা বলার ব্যাপারটা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছি না। চ্যানেল আই এর কথা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছি না।
তবে ক্লোজাপের এডটা আমি অন্যভাবে দেখি। এইখানে ছেলেটি মেয়েটাকে জোড়-জবরদস্তি করলে আপনার যুক্তি খোড়া হত না, কিন্তু এখানে ফেয়ার একটা জিনিস দেখানো হয়েছে। সেটাও যদি নীতির মধ্যে ফেলে দেন তাহলে তো বিজ্ঞাপনই বানানো যাবে না।
ফেয়ার এন্ড লাভলির এড যদি বর্ণবাদী বলেন, তাহলে খুবই কষ্ট পাব। এড ভাল নাহোক, কিন্তু সেইটা বর্ণবাদী মিন করলে কিন্তু, বিদেশের এই একই ধরণের এডকে আপনি কি বলবেন? ফেয়ার এন্ড লাভলি আমরা মাখি না, মাখে নিম্ন বিত্ত লোকেরা। ওদের জন্য এর থেকে অর্থবহ এড বানানোর কোন মানেই হয় না।
আবার যদি বলি, গ্রামীন ফোনের এডগুলোর কথা। এইখানে, ব্যাপারটা হচ্ছে আপনার গ্রহণ সাপেক্ষ। তবে হ্যা, ইংলিশে বাংলা লিখে ফাইজলামো করার একটা সীমা আছে। এইটা আমারও মনে হয়।
ব্রাকের এডের কথা বললেন, এইটা নিছকই একটা খোড়া যুক্তি। যক্কা, আর যক্ষা নিয়ে আমার সমস্যা হইতো, যদি বানানটা ভুল হইতো।
মেয়েদের পণ্য বানানোর কথাটা নিয়ে দ্বিমত নেই। কন্ডমের এড এ যেভাবে এক্সপোজ করা হয়েছে, তা আসলেই রুচিকর নয়। তবে হ্যা, ডাবল ইউর প্লেজার মেয়ে দুইজনকে দিয়ে দেখানো হয়েছে, এইটা খুব একটা খারাপ কিছুর মধ্যে ফেলা উচিত না। ফেয়ার ভাবে দেখুন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:৪২
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: যক্ষ্মা কে জক্কা বললে আমার ছেলেএটাই ঠিক মনে করে। সে ভুলটা শেখে। বিজ্ঞাপনে হাজার হাজার বার এটা দেখানো হয়। তাই শেখানে শুদ্ধ উচ্চারন জরুরী। উচ্চারনের শুদ্ধতা যদি জরুরী না হয়, তবে বানানের শুদ্ধতাও জরুরী না। কারন যা বানান করা হয়েছে সেটা সঠিকভাবে পড়তে হবে। তা না হলে লেখাপড়া শিখে কি লাভ? তুমি যেদিন বাবা হবে, বুঝবে।
আমি কোন বিজ্ঞাপনকে বর্ণবাদী বলি নাই। বলেছি গায়ের রং দিয়ে কি চাকরী, বা কমেন্টেটর হওয়া যায়? এটা দেখানো কি ঠিক? পণ্যটা কি করে? রং ফর্সা করে। ফর্সা রং চাইলে যে কেউ সেটা ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু যদি বলা হয় রং ফর্সা না হলে বিয়ে হবে না, তাহলে আমরা সেই খারাপ বিষয়টিকেই তো উৎসাহিত করলাম, যেখানে কালো মেয়ের বিয়ে হয় না। কারন সে কালো। পি এইচ ডি থাকলেও সে কালো।
ডাবল ইউর প্লেজার = ডাবল মেয়ে
তার মানে
প্লেজার = মেয়ে???
এটা কি সঠিক?
আমি কিন্তু বলেছি এটা আমার নিজস্ব ভাবনা...
তাই তুমি একমত নাও হতে পারো।
আর রং ফর্সাকারী ক্রিম উচ্চবিত্তরাও মাখছেন আজকাল। মার্কেট সার্ভে সেটাই বলে। এজন্যই আয়ুর্ভেদিক ভ্যারাইটি বাজারে ছাড়া হয়েছে যেটার দাম বেশী। পুরুষের জন্য মেনজ অ্যাকটিভ।
২১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:১৪
জামাল ভাস্কর বলেছেন: আইডিয়াল কন্ডিশন নাই যখন বলতেছেন তখন আসলে আপনের নীচের লিখাটা খুব সুবিধার লাগে না।
"প্রতিটি দেশের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকে।
আপনে আমার মন্তব্য অনেক ব্যক্তিগতভাবে নিয়া তার্কিক স্টাইলে কথা চালাইতেছেন মনে হইতেছে...পণ্যসভ্যতা বিজ্ঞাপনরে কোথায় নিয়া গেছে বা যায় সেটা দেখতে তো অন্য দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেল সার্ফ করলেই বুঝতে পারবেন...এইটাই অবধারিত গন্তব্য...আমি হয়তো অনেক ব্যক্তিগত উদাহরন দিতে পারুম কিন্তু সেইটা এইখানে খুব অপ্রাসঙ্গিক হইবো মনে হয়...
২২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:০৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
জামাল ও তুষার,
এটা যেমন ঠিক- অশিক্ষিতদের অপেক্ষাকৃত ভাবে বিভ্রান্ত করা সহজ; তেমনি এটাও ঠিক- শিক্ষিত অংশটারই মিডিয়ার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা বেশি, মানে এই অংশটিই মিডিয়ার টার্গেট অর্থাত এরা প্রধানত ভোক্তা - মিডিয়াতে প্রচারিত পণ্য সমূহের।
আপনার পোস্টের সাথে একমত এজন্য বিজ্ঞাপন তথা মিডিয়াতে কোন প্রকার নীতিমালার বালাই নেই; বিশেষ করে মিডিয়াতে যেভাবে নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়- আমাদের দেশে ও বহির্বিশ্বে; তা অবশ্যই আপত্তিকর।
কিন্তু, এ সমস্ত কিছুই কিন্তু- সমাজব্যবস্থাটার সাথেই জড়িত। মুনাফাকেন্দ্রিক সমাজে তো সকলে মুনাফা করতে চাইবেই; ফলে- তার পণ্যটিকে বাহারি ঢঙ্গে উপস্থাপন করার জন্য যা করার তাই করবে। ডিজুস কালচারে এদেশের ইয়ং সমাজকে নিমজ্জিত করতে পারলে- রাতভর প্রেমালাপ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে- তো বেশি সিম বিক্রি হয়, বেশি কল বিক্রি হয়- সবকিছুর সাথে ঐ মুনাফার সম্পর্ক বিদ্যমান।
আর, সরকার যদি ঐ মুনাফাকারীদের প্রতিনিধি হয়-তবে তারা সেরকম সমাজব্যবস্থা টিকিয়ে রাখারই চেস্টা করবে; ফলে বিজ্ঞাপনের জন্য আলাদা নীতিমালা করবে না!!!
তবে- আমাদের অবশ্যই নীতিমালা তৈরির দাবী করতে হবে- এজন্য যে, এর মধ্য দিয়ে আমাদের সচেতনা তৈরি হতে পারে; এবং সেইসাথে পুরো ব্যবস্থাটি পাল্টানোর কথাও আমাদের ভাবতে হবে।
২৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:০৯
বহুরূপী মহাজন বলেছেন: আমাদের যখন অনেক বড় বড় সমস্যা আছে তখন আপাতত এসব নিয়ে মাতা মাতি না করাটাই ভাল। একটা কথা আছে যে বাঙ্গালি হুজুগে মাতাল। আর আমাদের দেশের শাসক গোষ্ঠীও এটা ভালভাবেই জানে এবং কাজে লাগায়। বেশ কিছুদিন আগে থেকে যখন দ্রব্যমূল্য মানুষে নাগালের বাইরে চলে যেতে লাগল তখন সরকার ভেজাল বিরোধী আন্দোলনের নামে কিছু তামাশা করল। ভেজাল বিরোধী আন্দোলনকে আমি অবশ্যই সমর্থন করতাম যদি আমি জানতাম এটা একটা আন্তরিক প্রচেষ্টা, সাধারন মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেবার জন্য নয়। কিন্তু বাস্তবিক তা হয়নি। যে প্রতিস্ঠান গুলোকে ভেজালের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছিল তারা বর্তমানে আগের মতই ব্যবসা করে যাচ্ছে কোন সমস্যা ছাড়াই।
তাই বোঝায় যাচ্ছে এটা একটা স্টান্টবাজী ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। সুতরাং আমাদের যে মূল সমস্যা তা নিয়েই আমাদের আগে ভাবতে হবে। কিভাবে আমরা দেশের গরিব মানুষ গুলোর তিনবেলা খাবার নিরাপত্তা বিধান করতে পারি তাই আমাদের মুখ্য বিবেচনা হওয়া উচিত্।
২৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:১৭
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
হাসিব ও জামাল ভাস্করের যুক্তিমূলক কথার উত্তরে আপনি যেভাবে কথা বললেন, তা দেখে এই পোস্টে বা আপনার ব্লগে আলোচনা করার ইচ্ছেটাই মরে গেল।
বিপরীত মতকে কেন ভাই সহ্য করতে পারেননা??
ওনারা কিন্তু কথা খারাপ কিছু বলেননি!!!
২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৩৭
ভাইটামিন বদি বলেছেন: বিজ্ঞাপন আজকাল এমনভাবে বানানো এবং দেখানো হইতাছে....মনে লয়; নাটকে বিজ্ঞাপনরে স্পন্সর করছে......সত্যিকথা কইতে মাঝে মাঝে দেখতে ভালাই লাগে!!!!
(মুক্য সুক্য মানুস....দেকতে বালা পাইলেই হইল!!!!)
২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৪৮
প্রিয়তি বলেছেন: আমি তুষার ভাইয়ের সাথে একমত। দেশের বাইরে অনেকদিন আছি, তাই বিঙ্গাপন গুলো দেখার সুযোগ হয়ে উঠেনি। তবু মাঝে মাঝে এন-টিভি তে যা দেখেছি, শুধু হাসির খোরাক হয়েছে মাএ।
তবে, আমাদের দেশের মানুষের শিক্ষার সংখ্যা বেশী নয় বলে মিডিয়া এটাকে বানিজ্যিক পন্য হিসাবে ধরবে তা ভাবতেই খারাপ লাগছে।
২৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৪৬
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: "একটি চ্যানেল যারা হৃদয় ভর্তি করে বাংলাদেশ নিয়ে ঘুরে বেড়ান তারা দুবাইতে গত বছর কাওয়ালী নাম দিয়ে উর্দু ভাষার গান দিয়ে শুরু করেছিলেন তাদের অনুষ্ঠান। লাইলি তুম কাহা, মজনু তুম কাহা বলে অনুষ্টানটি প্রচার করেছিলেন ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে ।"
এইটার জন্য উত্তম জাঝা !
২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:১৪
অলৌকিক হাসান বলেছেন: পোস্টটা চোখ এড়াইল কেমনে বুঝলাম না। যাহোক, কিছু কিছু বিষয়ে একমত শুধু ইউনুস আর সারারাত কথা বলার বিষয় ছাড়া
----মুসলিম হলে জানবেন নবীদের নাম নিয়ে রসিকতা করা অন্যায়।---
সবকিছুর মধ্যে ধর্ম টাইনেন না।
---- রাত কি কথা বলার সময়? যারা কথা বলবে তারা কি নিয়ে কথা বলবে? ব্যবসা, বানিজ্য, স্বাস্থ্য নাকি প্রেম? ----
সারা রাত কিংবা প্রতি রাতে আসলেই কারা এবং কতোজন কথা বলে? মাঝে মাঝে আমিও রাতে কথা বলি। ধরেন সারামাসে ২/১ দিনে ৩/৪ ঘন্টা। সেগুলোর বিষয় প্রেম ছাড়াও আরো অনেক বিস্তৃত। আপনার সারারাত কম রেটে কথা বলার সুযোগ আছে, এখন আপনি তা কিভাবে ব্যবহার করবেন আপনিই ঠিক করবেন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:০১
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: ধর্ম সবাকছুতেই আছে, কারন আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। প্রগতির সাথে ধর্মের বিরোধ নাই আবার প্রগতির নামে ধর্ম বিসর্জন দেওয়ার কোন অর্থ নাই।
২৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:২৯
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: সারারাত কেউ কথা বললে সে নিজের ইচ্ছায় বলবে। বিজ্ঞাপন করে সেটাকে প্রমোট করা ঠিক না। আর কথা বলা উৎসাহিত করার জন্য রাতে দাম কম থাকে সব টেলিফোনেই। টি এন্ড টি তেও আছে। কিন্তু সেটা এভাবে ডেকে ডেকে বললে যা হয় সেটা তারুণ্যের অপচয়। শুধু তাই নয় মোবাইল ফোনের দীর্ঘক্ষন ব্যবহারের কুফল এখন আস্তে আস্তে জানা যাচ্ছে। তাই ১০-১৫ বছর বহু কঠিন রোগে ভোগার জন্য আজকের তরুনকে ঠেলে দেয়া কি যৌক্তিক?
৩০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:৩০
কাবিল কৈতর বলেছেন: ঢুঁশার ভাই কি উত্তর না দিতে পাইরা আমার কমেন্ট মুইছা দিলেন?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:৪৬
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: জি না। আপনি কিছু আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছিলেন ...তাই। .....ল ....ল সংক্রান্ত বক্তব্য মুছে দিয়েছি।
৩১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:৪০
অলৌকিক হাসান বলেছেন: সরি। তারুণ্যের অপচয়ের ব্যাখ্যাটা হাস্যকর।
এতো সব বিজ্ঞাপনের চটকের মাঝেও আমি এমন কোনো তরুণ/দের খুঁজে পাই নাই যে কম রেটের সুবিধা নেয়ার জন্য প্রতিরাতেই বহুঘন্টা ধরে কথা বলছে। তরুণরা কাদের সঙ্গে কথা বলবে? কোনো নারীর সঙ্গে। এতো নারী তারা পাবে কোথায়, কথা বলার জন্য যারা জেগে বসে আছে।
গুলশান বনানীর কিছু উঠতি বাংলিশ পোলাপাইনের লাইগা ঢাকা শহরের অন্যান্য অঞ্চলের তরুণদের দিকে আঙ্গুল উঠানো ঠিক না। কি জানি, দেশ ছেড়ে আছি ৩ বছর। হয়তো এরই মধ্যে দেশের প্রতিটি তরুণের জন্য ১ জন করে নারী রাত জাগছে কথা বলার জন্য।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:৪৯
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: আমি মনোবিজ্ঞানী মেহতাব খানমের কাছে রোগাক্রান্ত তরুনদের আসতে দেখেছি যারা সারারাত কথা বলে। আর এখানে তরুনদের অভিযুক্ত করা হয় নি, যারা লোভ দেখাচ্ছে তাদের কথা বলা হয়েছে।
৩২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:৫২
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
৩৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:১০
অলৌকিক হাসান বলেছেন: মেহতাব খানমের কাছে কারা আসে সেই রেফারেন্স আপনার বক্তব্যকে জোরালো করে না। তার কাছে আসা তরুণ রোগীরা ঢাকা শহরের কতো পার্সেন্ট তরুণের প্রতিনিধিত্ব করে? যেখানে পুরো ঢাকা শহরে মোবাইল কম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন চলে।
তরুণ রোগীরা সারারাত কথা বলে এইটা শিওর হওয়া গেল। কিন্তু সেসঙ্গে তাদের আর কি কি সমস্যা আছে সেইটা বোঝা গেল না।
ক্লিয়ার করবেন?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:৫৯
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: যদি একজন তরুনও অসুস্থ হয় সেটাই যথেষ্ট। তার মূল্য অপরিমেয়। কারন সে কারো সন্তান, কারো ভাই, সে এই দেশের ভবিষ্যত।
৩৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:৩৪
মানুষ বলেছেন: বিজ্ঞাপনগুলো দেখিনি তাই সেভাবে মন্তব্য করতে পারছি না। তবে আমার যেটা মনে হয় বিজ্ঞাপনগুলো বানানো হয় মানুষের মনের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে। সেটা আমার আপনার কাছে রুচিকর না মনে হলেও অপর আর একজনের কাছে ভাল লাগবে। যেমন আমার কাছে বর্তমান যুগের বাংলা সিনেমাগুলো অখাদ্য মনে হয় কিন্তু সেসব সিনেমারও দর্শক আছে এবং তাদের পরিমানও কম নয় বরং সংখ্যাতে আমার মতো দর্শকই কম। তাই আমাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে, টার্গেট করা হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের। একইভাবে বিজ্ঞাপনগুলোতেও তাই। নীতিমালা বানানোটা আসলে যত সহজ মনে হচ্ছে কার্যক্ষেত্রে ততো সহজ নাও হতে পারে। আফটার অল সব কিছুই হচ্ছে ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে আর ব্যাবসায় লাভবান হতে কে না চায়?
৩৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:৪৯
ডাক্যাইত বলেছেন: অনেকের কমেন্ট দেইখা মনে হইতেছে তারা তর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য তর্ক করতেছেন। তুষার তো শুরুতেই বলছে এইটা তার নিজস্ব ভাবনা। সেখানে সে ইউনুস নবীর নামের অযাচিত ব্যবহার সমর্থন করেননি। কিছু অতি উৎসাহী লোক এর মাঝেও ধর্মান্ধতা দেখতে পান। মনে আছে বাংলালিংক-এর দিন বদলের একটা এ্যাড থেকে "মাশাল্লাহ" শব্দটা তুলে নেয়া হয়েছিল। এই ধরনের নরাধমরাই সম্ভবত সেদিন এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে কাজটি করা হয়েছিল। অথচ মাশাল্লাহ আমরা যত্র-তত্র ব্যবহার করি, কোন প্রকার ধর্মান্ধ চিন্তায় বুঁদ না হয়েই। ইউনুস নবীর রেফারেন্সও আসছে একইভাবে। এইসব নিয়া কেওয়াজ সৃষ্টিকারীদেরও বোধহয় ডাক্তার দেখানো দরকার।
৩৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:০৭
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ইউনুস নাম নিয়ে রসিকতাটা নবীর নাম বলে মনে হ্য় করে নি। প্রতিদ্বন্দীকে জব্দ করার জন্য করতে পারে।
আপনারা বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, এখানে নেগেটিভ এ্যাড খুব কমন। এটি এন্ড টি র এ্যাডে এম সি আই এর বদনাম। আর এম সি আই এর এ্যাডে এটি এন্ড টি র বদনাম। বিরক্তিকর।
৩৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:১৪
অলৌকিক হাসান বলেছেন: তুষার বলেছেন: যদি একজন তরুনও অসুস্থ হয় সেটাই যথেষ্ট। তার মূল্য অপরিমেয়। কারন সে কারো সন্তান, কারো ভাই, সে এই দেশের ভবিষ্যত।
---------------------------------
সেটা তো ভাই মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন না চললেও হতে পারত। বিষয়টা কি এমন যে, ডা. মেহতাব খানের কাছে, মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন প্রচারের আগে, কোনো রাতজাগা-কথাবলা তরুণ রুগী হয়ে আসেন নি?
ডাক্যাইত @ নিজস্ব ভাবনা বলে পার পাওয়া যায় না। আপনি কথা বলবেন অথচ কেউ শেয়ার করতে পারবে না তা কি হয়? আপনে তাহলে লিখলেন কেন? নিজস্ব ভাবনা নিজস্ব জায়গায় রেখে দিলেই পারেন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:২২
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: আমি বিষয়টি জেনে লিখেছি। রাত জেগে কথা বলা তরুন আসলেই আগে আসে নাই। কারন এ সুযোগ আগে ছিল না। তবে এটার প্রভাবে মাথা কেমন গোল হয় সেটা আপনার মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার সব কিছু রাতে কথা বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। আপনাকে বলি এমন ছেলেও এসেছে যে ৪ জন মেয়ের সাথে কথা বলে এবং একবার যখন ফুল ফ্রি দিল তখন রাতে ফোন কানে রেখে ঘুমিয়ে যেত এক ঘন্টা পর ইয়ারফোনে তাকে ডেকে গান গেয়ে জাগাত তার এক বান্ধবী। এরকম শত শত কেস।এবার এই পোস্টটার মন্তব্য গ্রহন বন্ধ করে দিচ্ছি।
৩৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:১১
রাতুল" বলেছেন: আপনার কথাগুলোর সাথে একমত
৩৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:৫৭
হাশেম পোদ্দার বলেছেন: ভাল্লাগছে +
৪০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:০৭
হাশেম পোদ্দার বলেছেন: লাইলি তুম কাঁহা, মজনু তুম কাঁহা- ঐটা আমাগো হুমায়ূন আহমেদ সাহেবের নাটকের গান উনি নিজেই মনে হয় লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৫৩
রাগিব বলেছেন: ধন্যবাদ, তুষার ভাই।
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির বিজ্ঞাপনগুলি রীতিমত অরুচিকর। ঘেন্না লাগে, গায়ের রঙ নিয়ে বর্ণবাদী এই বিজ্ঞাপন দেখতে।