নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

অনুভব সাহা

যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।

অনুভব সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রযুক্তির ফাঁদে বন্দি সবাই/আম-ছালার কাহিনী

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৮


ঘটনাটা গত মার্চের। বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার সময় নাম্বার ভুল হওয়ায়, অন্য নাম্বারে ১০,০০০৳ চলে যায়। বিষয়টি বুঝতে পারার পর ঐ নাম্বার কল দিলে ওপাশ থেকে বলে, "এ নাম্বারে কোন বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই, টাকাও আসে নি"(ডাহা মিথ্যা কথা)। ট্রান্জেকশন আইডির কথা বলেও লাভ হল না। তারপর থেকে ঐ নাম্বার বন্ধ(তড়িঘড়ি করে কল দেয়ায়, কলটা রেকর্ডিংও করা হয় নি)।
ওপাশেরর কথা শুনে মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্থা। নিন্ম মধ্যবিত্তদের কাছে দশ হাজার টাকাই অনেক কিছু। বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে(১৬২৪৭) কল দিয়েও কোন লাভ হল না, ওরা গ্রাহকের কোন তথ্য দিতে রাজি নয়। পরে ঠিক করা হল, থানায় জিডি করা হবে। বিকাশের ঐ নাম্বার, ট্রানজেকশন নাম্বার নিয়ে থানায় যাওয়া হল। কয়েক দিন পর থানা থেকে বগা মিয়ার(মি. ম) লোকেশন জানানো হলো(ঐ নাম্বারটা যে NID থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল, তার ঠিকানা)। দেখা গেল সেটা আমাদের এক পরিচিতের পাশের ইউনিয়নে। স্থানীয় এক ভাইকে(ক) তাদের ঠিকানা দিয়ে খোঁজ নিতে বলা হল। ওই ঠিকানায় গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হলে ওরা(ম) টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। কথা শুনে আমরা তো পুরাই অবাক! এ কোন মগের মুল্লুক রে বাবা! যাই হোক, এলাকার হাবভাব দেখে সেদিনের মত অভিযান সমাপ্ত করা হল।
এরপর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিল। সোজা কথায় কাজ না হওয়ায় ওখানকার ছাত্রলীগের ছেলেদের(আরেক ভাইয়ের লিংকে) সাথে যোগাযোগ করা হল। পরের দিন ওরা দলবল নিয়ে গিয়ে ওদের বাড়ীতে তুলকালাম কান্ড শুরু করলো। এরপর আসলো ফোন, তাও আবার অন্য নাম্বার থেকে অারেক জনকে দিয়ে। তাঁর বর্ণনা থেকে বোঝা গেল, সিমটা এক ছেলের আইডি দিয়ে খোলা। সেটা ব্যবহার করতো তার মা। কয়েক দিন আগে উনার ফোনে টাকা গিয়েছে, আর খুশিতে(ঠেলায়) তিনি টাকা তুলে নিয়ে খরচ করে ফেলেছেন।(এর আগে তার কয়েক হাজার টাকা নাকি ভুলে কার কাছে চলে গিয়েছিল। তিনি মনে করেছিলেন, ওরা টাকা ফেরত দিয়েছে) .... আরো অনেক কাহিনী। কথার শেষে, ওরা সাত হাজার টাকা দিতে সম্মত হল। এর ওর কাছ থেকে ওরা টাকাটা সংগ্রহ করেছে, ওদের কাছে আর টাকা নেই।

এটা শোনার পর আমাদের পক্ষ থেকে কল দেয়া হল। যথারীতি ফোন ধরলো তৃতীয় ব্যক্তি। ভাল-মন্দ অনেক কথা হল, উনারা সময় নিতে চাইলে সেটার প্রস্তাবও করা হল। উনাদের শেষ কথা, আট হাজার টাকা ফেরত দিবে বাঁকিটা দিতে পারবে না/দিবে না।
যাক, অন্তত ৮০০০টাকা তো পাওয়া গেল। এটা ভেবে ২০০০টাকার শোক যখন কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে তখন ঘটলো আরেকটি ট্র্যাজেডি। ছাত্রলীগের ওরা দাবী করে বসেছে ৩০০০টাকা, ওরা পিকনিক করবে। আমি ভেবেছিলাম, মিস্টি খাবার জন্য ১০০০-১৫০০টাকা দিলেই চলবে। জোরাজুরি করলে না হয় আরো ৫০০ যাবে। শেষে কীনা দিতে হল পুরো ৩০০০! এ যে আম ছালা দুই শেষ!

হিসেব পাতিঃ ("নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল")
টাকা গিয়েছে= ১০,০০০৳ সাথে জিডি করা(টাকার পরিমানটা জানি না)
পাওয়া গেছে= ৫,০০০(বিকাশে) ও ৩০০০(ছাত্রলীগ)
পাওয়া যেতে পারে= ৫০০(ওরা পরে দিতে চেয়েছে, তবে দেবে কী না সন্দেহ।)
প্রশ্ন উঠতে পারে, পুলিশকে দিয়ে কাজটা করানো হল না কেন? বিষয়টি আমিও ভেবেছি। উত্তর পাই নি। বরং মনে প্রশ্ন জেগেছে, তখন কী ৩০০০টাকায় কাজটা হত? তাও আবার একদিনে?

(ঘটনাটা ঘটেছে, আমার পাশের রুমের এক পরিচিতের সাথে। আমি ঘটনার সাক্ষী, দু-পক্ষের ফোন কলগুলো কাছ থেকে শুনেছি, মতামত দিয়েছি।)
[এমন ঘটনা যে কারো সাথে হতে পারে, মোবাইলে টাকা লেনদেনের সময় সতর্ক থাকবেন।]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: সমস্যা সমাধানের দ্বায়িত্বটা বিকাশের ছিল।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

অনুভব সাহা বলেছেন:

ওরা তো গা বাঁচিয়ে চলে।

বিকাশ থেকে কোন হেল্প পাওয়া যায় নি

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার টাকা নেই। বিকাশ নেই। কোনো ঝামেলাও নেই।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

অনুভব সাহা বলেছেন:

মিথ্যে বলেন কেন?

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

বাংলার মেলা বলেছেন: পথে ঘাটে বিকাশ ক্যাশব্যাকের নামে নানারকম লোভের হাতছানি ছড়িয়ে রেখেছে। আমি এই নাদান ভুলেও কখনও বিকাশের পাতা ফাঁদে পা দেইনি। কারণ আমি জানি, মানুষের ভুল হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এত ছোট ভুলে এত বড় ক্ষতি মেনে নেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই এইসব আকাইম্যা প্রযুক্তি থেকে দূরে থেকেছি।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

অনুভব সাহা বলেছেন:
ভালো করেছেন

বিকাশের অনেকে প্রতারণা/চুরির সাথে জড়িত। এদের পাতা ফাঁদ বোঝা মুশকিল.

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: বাহ

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

অনুভব সাহা বলেছেন:

ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.