নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

অনুভব সাহা

যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।

অনুভব সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডায়রির পাতা থেকেঃ বরেন্দ্র অঞ্চলের কথা ও কিছু ভাবনা

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২২

২১মার্চ ২০১৯, একটা অনুষ্ঠানে গ্রামে গিয়েছিলাম। প্রথমে বাসে তারপর অটোতে করে মোড়ে(পাশের গ্রামে) যখন নামলাম, তখন প্রায় মধ্য দুপুর। মোড়ের বেশীরভাগ দোকান বন্ধ। বছর কয়েক আগে গ্রামের স্কুল মাঠ পর্যন্ত পাকা রাস্তা করেছে, ওদিক দিয়ে বাসায় গেলে পথ দুই কিলো। একদিকে ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে রাস্তায় কোন ভ্যান নেই। বেশীক্ষণ বসে থাকতে ইচ্ছে করলো না, বিধায় ব্যাগ কাঁধে সর্টকার্ট রাস্তায় হাঁটা শুরু করলাম। এ পথে হাঁটতে হবে প্রায় এক কিলো। এর মধ্যে হাফ কিলো মাঠের(ধান ক্ষেত) মধ্যে দিয়ে, মাঝখানে পড়বে ছোট নদী/খাড়ি, ওটা পেরিয়ে বাঁশঝাড়ের ভেতর দিয়ে স্বল্প দূরত্বের পায়ে হাঁটা পথ(কাঁচা রাস্তা)।

চলতে চলতে খেয়াল করলাম কয়েকটা বিষয়। আগের চাইতে এখন ধানের চাষ বেশী হচ্ছে(আগে গম, ভূট্টাও চাষ হতো), সেচের জন্য প্রায় সব জায়গাতে সাব-মটার ব্যবহার করা হচ্ছে(আগে শ্যালো মেশিন/ডিজেল ইঞ্জিনে সেচ দিতো), নদী পুরোটা শুকিয়ে গেছে, চৈত্রে বাঁশের পাতা ঝরে পড়ায় চারিদিকে কেমন একটা রুক্ষ শুষ্ক ভাব।

বাসায় পৌছে টিউবয়েলে ফ্রেস হতে গিয়ে দেখি পানি ওঠে না! আবাক হলাম, ৫০-৬০ফিট নীচেও পানি নেই!(আগে ৩০-৪০ফিট নীচেই পানি পাওয়া যেত) পরে শুনলাম পাশের সাব-মটার(সেচপাম্প/বড় সাবমার্সিবল পাম্প। ওটা প্রায় ২০০ফিট দূরে অবস্থিত) যখন চলে টিউবয়েলে পানি থাকে না। ওটা বন্ধ করলে বা বিদ্যুৎ চলেগেলে টিউবয়েলে পানি ওঠে। আশ্চর্য হলাম, ডিপ টিউবয়েলের ১৫-২০ফিট দুরেই পুকুর। তারপরও পানি নেই। আগে দেখতাম নরমাল টিউবয়েলেই পানি উঠাতো। শুধু চৈত্র, বৈশাখে একটু সমস্যা হতো, তখন বড়িং(সেচ কাজে ব্যবহৃত) থেকে পানি নিয়ে আসা হতো।


বিকেলে ঘুরতে বের হলাম। পুরো মাঠ শুধু ধানের আবাদ, সবুজ আর সবুজ। হঠ্যাৎ খেয়াল করলাম মাঠের মাঝখানের উচু জমিগুলো(কয়েক একর) পড়ে আছে। পানির সংকটের ওখানে এবার ধান চাষ হয় নি। সবুজের মধ্যে জায়গাটা টাক মাথার মত বেখাপ্পা মনে হলো। আগে এখানে গম চাষ হতো, এক বছর ভূট্টার চাষ করেছিল। আমাদেরও কিছু জমি পড়ে ছিল। জ্ঞান হবার পর থেকে এবারই প্রথম দেখলাম ওখানে ইরির চাষ হয় নি।
মাঠের মাঝখানের থ্রী ফেজ ডিপ(বড় মটার) নষ্ট, ওখানে সিঙ্গের ফেজের সাব-মটার লাগিয়েছে। তাই আগের মত বেশী জামিতে পানি দিতে পারে না। আগে ৮-১০টা ডিজেল ইঞ্জিন/শ্যালো মেশিন দেখেছি, এবার একটাও চোখে পড়ে নি।[আমাদেরও একটা মেশিন ছিল, গর্ত করে(উপরের ছবির মত) মাটির নীচের পানি ওঠাতো।]

পরে বিষয়টা ক্লিয়ার হল। ডিজেলের দাম বেশী, পানির স্তরও নীচে চলে গিয়েছে। এখন গর্ত করলেও শ্যালো মেশিন দিয়ে বেশী পানি উঠানো যায় না। লাভ না হওয়ায় ওগুলো এখন বন্ধ। তার চেয়ে মটার/সাব-মটার সুবিধার। সেচ খরচ কম(সেচ পাম্পের পার ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ কম, লোডশেডিংও কম), সাব মার্সিবল পাম্পে পানিও ভালো ওঠে। ওই পানি মাটির নীচে লাইন করে এক-দেড় কিলো দুরে জমিতে দেয়া হয়। সমস্যা হল, আগের চাইতে পানি ওঠার পরিমান কমে গিয়েছে। কিন্তু এভাবে আর কত? ধান চাষ করতে প্রচুর ভূগর্ভস্ত পানি ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশ ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। এর বিকল্প ব্যবস্খা চিন্তা করা দরকার।

ধান চাষ করে খুব একটা লাভ হয় না -
ঘটনাটা গত ডিসেম্বরের। প্রায় পাঁচ বিঘা(১বিঘা= ৩৩শতাংশ) জমিতে আমন ধান(স্বর্ণা ৫) করেছিল। সব মিলিয়ে সেখানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬৫হাজার টাকা। মাড়াই শেষে ধান হয়েছি প্রায় ৯০মণ। ডিসেম্বরে ধানের দাম ছিল ৬৯০টাকা(মণ প্রতি), পরে দাম উঠলো ৭০০, ৭১০, ৭২০টাকা পর্যন্ত। আব্বা বললো নির্বাচনের পর দাম বাড়বে, ধান রেখে দেই। সেই শুনে লাভের আশায় আম্মা জমানো টাকা দিয়ে কিছু ধান কিনেও রাখলো। গত সপ্তাহে(এপ্রিল) শুনলাম প্রায় ৬০০টাকা দরে সব ধান বিক্রি করে দিয়েছে। লস তো লস, তার উপর লস। আশার কথা হল, টিউবয়েলের জায়গায় সাব মার্সিবল পাম্প বসিয়েছে। এবার আর পানির সমস্যা হবে না।


প্রশ্ন জাগতে পারে, ধান চাষ করে সবার কি লস হয়/লস হয়েছে। উত্তর- না। যারা নিজে থেকে শ্রম দেয় তাদের কিছুটা লাভ হয়, সেটাও নির্ভর করে ধানের বাজারের উপর। আমাদের যাবতীয় সব কাজ(জমি চাষ, আইল কাটা, ধান লাগানো, ঘাস তোলা, সার-বিষ দেয়া থেকে কাটা, বাঁধা, মাড়াই) লোক দিয়ে করাতে হয়। আমি পড়াশোনার কাজে শহরে থাকি, আব্বা একটা ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকে। কাজের লোকেরা হল ফাঁকিবাজ, গেরস্থের কেউ না থাকলে ওরা কাজ করতে চায় না। তাই এই হাল।

ডিসেম্বরের প্রায় পুরোটাই গ্রামে ছিলাম। ধান মাড়াইয়ের ঐ সময়টায় দেখেছি নারী-পুরুষের অমানুষিক পরিশ্রম। সবার কাজ করা দেখে মনে খুব জোশ আসলো, সালা আমি একটু কাজ করি। ট্রাক্টর দিয়ে ধান তোলা, ধান মাড়াইয়ের মেশিন স্টার্ট দেয়া, আর মাড়াই করার দিন লোকদের সাথে টুকটাক এটা ওটা। ফলাফল: হাতের ফোস্কা, গায়ের ব্যাথা আর অলিখিত উপাধী, 'তরে দিয়া কোন কাজ হইবে না'


ঈশ্বর থাকেন শহরের ভদ্র পল্লীতে; চাষাদের মাঝে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।
ধান চাষে উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। চাষের পুরো সময়টা অনিশ্চয়তা, উৎকন্ঠার মধ্যে কাটে। অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঝড় এসব হলে ফলন কয়েকমণ কমে যায়। অমানুষিক এত কষ্টের পর যথাযত দাম না পেয়ে কৃষকের মুখে হতাশার দেখলে খুব কষ্ট লাগে। খুব।
'বরেন্দ্র' নাকি ইন্দ্রের বর(আশির্বাদ) থেকে প্রাপ্ত ভূমি। মাঝে মাঝে ভাবি, এ কেমন বরের নমুনা!

বর্তমানে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোটা খুব দরকার। তাদের বাঁচাতে হলে ধানের দাম যথাযত পর্যায়ে রাখতে হবে(সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হুট করে দাম কমানো/বাড়ানোটা আমার ভালো লাগে না)। আবার ধানের দাম বাড়ানো অযুহাতে চালের দাম বেশী করা যাবে না(চালকল মালিকরা/চাল ব্যবসায়ীরা যেটা করে)। ধান-চালের দামের মধ্যে একটা সমন্বয় রাখতে হবে। সরকার থেকে কম মূল্যে চাল দিতে দেখেছি, বেশী দামে ধান কিনতে দেখিনি। হয়তো কেনে, যখন হাতে ধান থাকে না তখন।

অনেকে হাইব্রীড ধানের কথা তুলতে পারে। ওই ধানের ফলন আসলেই বেশী। তবে চাল মোটা হওয়ায় দাম কম। ফলাফল লাউ আর কদু।
©অনু সাহা


(ছবিগুলো নেট থেকে সংগ্রহ করা)
// Water Resource Management/Engineering - মোস্তফা কামাল পলাশ এর ব্লগ

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নদী মরে গেছে। প্রকৃতি মরে যাচ্ছে!

পানির স্তরের সাথৈ নদীর নিয়মিত স্বাভীবক ফ্লো একটা বড় ফ্যাক্টর!
আর জোর করে গভির স্তরের পানি তুলে ফেলার ফল ভুগবে পুরা জাতি!
ভুমিকম্প ভমুধ্বস সহ ভবিস্যতে মরুকরনের কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে।

আবার সো কল্ড রাজনীতিবিদরা কখনো আসল সস্যা চিহ্নত করে না।
তার সমাধানতো দূরের।
তাদের চাই ঝালমুড়ি ইস্যু আর ক্ষমতার মোহে তাতেই ঢোলে বাড়ি দেয়
মটিভেটেড আমজনতার একটা অংম তাতেই নাচতে নাচতে উন্নয়নের গীত গায়!

নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও সময়ের সাহসী উচ্চারন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৭

অনুভব সাহা বলেছেন:

মন্তব্যে ধন্যবাদ। সহমত


গ্লোবাল ওয়া্র্মিং, ভারতের বাঁধ, নদী দখল করে মেরে ফেলা, ভূগর্ভের পানির অতিরিক্ত ব্যবহার সব মিলিয়ে আমরা মরুকরণের দিকেই আগাচ্ছি। জানিনা সামনে কী হবে!

সুভরাত্রি

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সূরা আল হজ আয়াত ৫ঃ মহান আল্লাহ বলেছেন,

তুমি যমীনকে দেখতে পাও শুষ্কাবস্থায়, অতঃপর যখনই আমি তাতে পানি বর্ষণ করি, তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয় এবং উদগত করে সকল প্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০২

অনুভব সাহা বলেছেন:

এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আউশ, আমন ধানেও কয়েকবার সেচ দিতে হয়। ইরি কাটার সময় বৃষ্টি শুরু হয়, নীচু জমির ধান তলিয়ে যায়।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গ্লোবাল ওয়ার্মিং প্রভাব সারা পৃথিবীতেই।
ভুগর্ভস্ত পানির অতি ব্যাবহারে সমস্যা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০০

অনুভব সাহা বলেছেন:

মাটির নীচের পানির ব্যবহারে সংযমি হতে হবে।
ভারতের থেকে পানির নায্য হিস্যা আদায় করতে হবে

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: নদী না বাঁচলে দেশও বাঁচবে না। :(

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

অনুভব সাহা বলেছেন:

সহমত

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০

বাংলার মেলা বলেছেন:
সব দোষ এখন গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের। তাহলে মেনে নিতেই হচ্ছে যে গজলডোবা বাঁধের ভারতীয় অংশে পানির সয়লাব আর বাংলাদেশ অংশে যে মরুভূমির পত্তন, তার জন্যও দায়ী ঐ বেচারা গ্লোবাল ওয়ার্মিং!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

অনুভব সাহা বলেছেন:

ধন্যবাদ। সুন্দর ছবি দিয়েছেন।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কিছুটা দায়ী। কিন্তু পদ্মা, তিস্তার অবস্থা তো চোখের সামনে। আবার সব দোষ ভারতের উপর চাপালেও চলবে না।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: খুব ভালো ভাবে লিখেছেন। আমারও একটা পোস্ট আছে, ঢাকা দেবে যাচ্ছে বলে। এর কারণ হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানি রিচার্জ হচ্ছে না, আবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানি বেশি উঠানো হচ্ছে, ফলে অতি দ্রুত পানি নামছে...... এই অবস্থার ফলে কিছুদিন পরে এমন হবে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর সমুদ্রের পানির স্তরের নিচে নেমে যাবে। তখন বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানিতে সামুদ্রিক লোনা জলের অনুপ্রবেশ ঘটবে, সব পানি লোনা হয়ে যাবে এবং ফসলের কি হবে সেটা আর বললাম না.......

চমৎকার একটা পোস্ট লেখায় অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫১

অনুভব সাহা বলেছেন:

সুন্দর মন্তব্য করেছেন। বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা দরকার।

ভালো থাকুন

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভু গর্ভস্থ পানি আর কিছুদিন পর একেবারেই পাওয়া যাবে না, আমি নিশ্চিত।


একটা প্রশ্নের উত্তর আমি কোনদিন মেলাতে পারিনি। ধান চাষে লাভ নাই--এই কথাটা আমি আমার জ্ঞান হবার পর থেকে শুনে আসছি। কিন্তু বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে ফসলের চাষ হয়, সেটা হল ধান। যে ফসল আবাদ করে লাভ হয় না, কৃষককে লোকসান দিতে হয়, সেই ফসল তো স্বাভাবিক নিয়মেই আবাদ হওয়ার কথা নয়। তাহলে?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৮

অনুভব সাহা বলেছেন:

ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাপারে আমিও চিন্তিত


"ধান চাষে লাভ নাই"
কথাটা আপেক্ষিক, সব সময় লাভ হবে বা লস হবে এমনটা নয়। এর সাথে অনেক বিষয় জড়িত। নিজে জমিতে খাটতে পারলে, দু-চারবার বৃষ্টি হলে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকে অবস্যই লাভ হয়। অপরদিকে সবকাজ যদি কাজের লোক/কামলা দিয়ে করাতে হয়, দূর্যোগ বেশী হয়(ঝড়, শিলাবৃষ্টি, ধান কাটার সময় বৃষ্টি, নীচু জমি/হাওরে ঢল) তবে লাভ কম হয়, ক্ষেত্র বিশেষে লসও হতে পারে। আবার লাভ/লস কতটা হবে এটা নির্ভর করে ধানের দামের উপর/কত দামে সেটা বিক্রি করা হবে তার উপর। পুরোটাই অনিস্চিত বিষয়। [আপনি নিজেই ধান চাষ করে, বিষয়টা পরীক্ষা করতে পারেন]

লাভ লস যাই হোক, কোন কৃষকই চায় না তার ছেলে বড় হয়ে কৃষক হোক, কৃষিকাজ করুক। কেন চায় না, সেটা তো অজানা নয়!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

অনুভব সাহা বলেছেন: গতকালকের(২০.৪.১৯) প্রথম আলোর ৮নং পেজের ৫-৬কলাম দেখতে পারেন

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

অনুভব সাহা বলেছেন:

পড়ুনঃ ধানগাছ এখন গোখাদ্য
২৩.০৪.১৯, প্রথম আলো ৮নং পেজ ৫-৬কলাম(রাজশাহী অঞ্চল)

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার ইচ্ছা আছে আমি গ্রামে চলে যাবো। বাকিটা জীবন চাষবাস করে কাটাবো।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪

অনুভব সাহা বলেছেন:

চলে আসুন আমাদের গ্রামে। চাইলে আমাদের জমিগুলো বর্গা নিতে পারেন। (কৃষিকাজে কিন্তু খুব খাটুনি)

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:১৯

নির্বাসিত বাঙালি বলেছেন: খাবারের সংকট কাটানো যাবে, কিন্তু পানি সংকট কিভাবে সামাল দিবে আমার প্রিয় বাংলাদেশ??? চিন্তার বিষয়।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫২

অনুভব সাহা বলেছেন:

সেটাই। আমাদের আরো সচেতন হতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.