নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

অনুভব সাহা

যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।

অনুভব সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অসমাপ্ত অাত্মজীবনী" থেকে কোট করা কিছু লাইন

০৪ ঠা জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২

১।। "আমাদের বাঙালির মধ্যে দুইটা দিক আছে। একটা হল ‘আমরা মুসলমান, আরেকটা হল, আমরা বাঙালি।’ পরশ্রীকাতরতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধহয় দুনিয়ার কোন ভাষায়ই এই কথাটা পাওয়া যাবে না,’পরশ্রীকাতরতা’। পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয় তাকে ‘পরশ্রীকাতর’ বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষায়ই পাবেন, সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে, কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয় না। এই জন্যই বাঙালি জাতির সকল রকম গুণ থাকা সত্ত্বেও জীবনভর অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। সুজলা, সুফলা বাংলাদেশ সম্পদে ভর্তি। এমন উর্বরজমি দুনিয়ার খুব অল্প দেশেই আছে। তবুও এরা গরিব। কারণ যুগ যুগ ধরে এরা শোষিত হয়েছে নিজের দোষে। নিজকে এরা চেনে না, আর যতদিন চিনবে না এবং বুঝবে না ততদিন এদের মুক্তি আসবে না।"

২।। যুদ্ধ করে ইংরেজ, আর না খেয়ে মরে বাঙালী; যে বাঙালীর কোন কিছুর অভাব ছিল না। ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি যখন বাংরাদেশ দখল করে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায়, তখন বাংলার এত সম্পদ ছিল যে, একজন মুর্শিদাবাদের ব্যাবসায়ী গোটা বিলাত শহর কিনতে পারতো। (পেজ নং- ১৮)


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান মিয়ানমার আক্রমন করলে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বাংলাতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৩৫০ বঙ্গাব্দে ( খ্রি. ১৯৪৩) এই দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বলে এটিপঞ্চাশের মন্বন্তর বলে। এ দুর্ভিক্ষে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন লোক মারা যায়।
উল্লেখ্য, ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে(বাংলা ১১৭৬; ইংরেজি ১৭৭০) প্রায় এক কোটি লোক মারা যায়। ১৯৭৪সালের দুর্ভিক্ষ, অনাহার, অপুষ্টিতে কয়েক হাজার লোক মারা যায়।

৩।। ছাত্রদের আপদে বিপদে আমি তাদের পাশে দাড়াতাম। কোন ছাত্রের কি অসুবিধা হচ্ছে, কোন ছাত্র হোস্টেলে জায়গা পায়না, কার ফ্রি সিট দরকার, আমাকে বললেই প্রিন্সিপাল ড জুবেরী সাহেবের কাছে হাজির হতাম। আমি অন্যায় আবদার করতাম না। তাই শিক্ষকরা আমার কথা শুনতেন। ছাত্ররাও আমাকে ভালবাসত”
.. এই লাইনটি বঙ্গবন্ধুর কলকাতার বেকার হোস্টেলে ছাত্রজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। এখনকার ছাত্ররাজনীতির সাথে লেখাটা মেলাতে গেলে অবাক হই।

বই: অসমাপ্ত আত্মজীবনী
ISBN 978 984 506 195 7
ভার্সন- ফেব্রুয়ারি ২০১৬(দ্বিতীয় মুদ্রণ)


সহায়ক পোস্টঃ
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’: বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অসমাপ্ত উপাখ্যান

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: বইটি পড়েছি।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বইটা পড়েছি :)

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মহামানবের বাণী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.