নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

অনুভব সাহা

যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।

অনুভব সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কথা তুললে আপনার বিচার ঠিকই করবে, কিন্তু অপরাধীর না

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

অ নে ক দিন আগের কথা। এক দেশে ছিল এক বিচার বিভাগ। একদিন তার সামনে স্থাপন করা হল এক ভাষ্কর্য/মূর্তি(ছবিতে দেখে নিন)। সেই নিয়ে শুরু হল তুমুল হট্টগোল। একদল বললো, "এ বাঙালি পোষাকে দেবী থেমিস, ন্যায় বিচারের প্রতীক।" আরেকদল প্রতিবাদ শুরু করলো, তাদের কথা "বিচার বিভাগের সামনে মূর্তি কেন? দেশ মূর্তি, শিরকে ডুবে গেল .... অবিলম্বে সব মূর্তি ভেঙে ফেলা হোক।" পক্ষে-বিপক্ষে ফেসবুক, ব্লগ, টকশো, নিউজপেপার, রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে রইলো। এদিকে সরকার পড়লো বেকায়দায়, তাঁর "শ্যাম রাখি না কুল রাখি" অবস্থা! দেবী মূর্তি/ভাষ্কর্য সরাতে চাইলে রব উঠলো, "দেশ রসাতলে গেল। ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লাটে উঠলো। জঙ্গীবাদে দেশ ভরে গেল...."। অবশেষে দেবীকে প্রধান ফটক থেকে সরিয়ে অন্যখানে রাখা হল। দেশ ঠান্ডা হল, দেবীও অক্ষত রইলো। তবে বড়ই পরিতাপের বিষয়, "এক মূর্তি/ভাষ্কর্য নিয়ে সবাই লঙ্কাকান্ড বাঁধিয়ে ফেললো, অথচ বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললো না, ন্যায় বিচার চাইলো না, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, শম্ভুক গতি নিয়ে প্রশ্ন তুললো না।"

দেশ এখন ডিজিটাল। আমরাও ডিজিটাল, সরকার হাতে হাতে মোবাইল দিয়েছে। চরম কোন ঘটনার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলি, ভিডিও করি, লাইভে আসি। তাতে ফায়ার সার্ভিসের গড়ি আটকালেই কি, উদ্ধার কাজে দেরী হলেই কি, আর কুপিয়ে মানুষ মারলেই বা কি! আমার লাইক, কমেন্ট পেতে হবে না, ভাইরাল হতে হবে না!
আজকাল বিচারও হয় পাবলিক সেন্টিমেন্ট অনুসারে। ঘটনা ঘটবে, ফেসবুকে শেয়ার করবো। আমরা তার ভিডিও দেখবো, উত্তপ্ত হব, লাফালাফি করবো। মিছিল হবে, মিটিং হবে, প্রতিবাদ সভা হবে। সেটা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হবার পর উপরমহল ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসবে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,... কাউকে ছাড় দেয়া হবে না মর্মে অপরাধীদের ধরতে আদেশ করবে। শুরু হবে বিচার ..... এর মধ্যে চলে আসবে নতুন কোন ইস্যু। আমরা বানর প্রজন্মের সেটা নিয়ে শুরু করবো লাফালাফি। নতুন ইস্যুর হিস্যুতে পুরাতনগুলো চাপা পড়ে যাবে। একের পর এক কেস ফাইল বন্দি হয়ে থাকবে। কালেভাদ্রে দু-চারটা মামলার অাধা চিবানো বিচার হবে(অপরাধীর পেশীশক্তি বিবেচনায় রেখে)। এই দু-একটা কলা নিয়েই খুশি থাকতে হবে আমাদের। কিন্তু এভাবে আর কত??


আমাদের বিচার ব্যবস্থার অবস্থা-
.....ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় অস্বচ্ছ তদন্ত কাজ প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে সমাজে বাস করি সেখানে বিত্তশালী ও ক্ষমতাধররা কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়মুক্তি পেয়ে যায়। অপরাধ করার পরও প্রভাব খাটিয়ে তারা খুব সহজেই তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যায়। এরকম অনেক মামলা আছে যেখানে পুলিশ, অপরাপর তদন্ত সংস্থা, চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞব্যক্তি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন দিয়ে অপরাধীকে সাহায্য করেছে। অনেক সময় রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব খাটিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তারা বেআইনিভাবে এমনটা করে থাকে। এভাবে অসৎ ও উদ্দেশ্যমূলক তদন্ত কার্যক্রম চলতে পারে না। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীকে অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে এবং তার জবাবদিহি থাকতে হবে। বিচার বিভাগ অপরাধীকে সাজা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যদি ভূমিকা না রাখে, নিরাপরাধ জনগণকে যদি নিরাপত্তা না দেওয়া হয় তবে আইনের শাসন মুখ থুবড়ে পড়বে। (সাম্প্রতিক সময়ে কোন এক মামলার রায়ে এটা বলা হয়েছে।)


মনে পড়ে গেল ১৯৭৫'রে দেয়া বঙ্গবন্ধুর এক ভাষণের কথা:
"..... বিচার বিচার। বাংলাদেশের বিচার, ইংরেজ আমলের বিচার, পাকিস্তান আমলের বিচার। আল্লার মর্জি, যদি সিভিল কোর্টে কেস পড়ে, সেই মামলা শেষ হতে লাগে ২০ বছর। আমি যদি উকিল হই, আমার জামাইকে উকিল বানিয়ে কেস দিয়ে যাই। ঐ মামলার ফয়সালা হয় না। আর যদি ক্রিমিনাল কেস হয়, তিন বছর, চার বছরের আগে শেষ হয়ে না। এই বিচার বিভাগকে নতুন করে গড়তে হবে। থানায় ট্রাইবুনাল করবার চেষ্টা করছি। সেখানে যাতে মানুষ এক বছর, দেড় বছরের মধ্যে বিচার পায়, তার বন্দোবস্ত করছি। আশা করি সেটা হবে।"
শ্বশুর-জামায়ের সেই সিরিয়াল এখনো চলমান আছে। খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশ যাচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এভাবে যদি চলতেই থাকে; বিশৃঙ্খলা, অরাজগতা সামনে আরো বাড়বে। দেশের আইন ব্যবস্থা শতাব্দি ভব বলেছিলেন, "আইন একটা *াড়া, জায়গামত শিথিল, বেজায়গায় খাড়া"। শেষ করবো দুজন মহাপুরুষের বাণী দিয়ে,
"শাসক যদি হয় ন্যায়বান তাহলে আইন অনাবশ্যক, আর শাসক যদি দুর্নীতিপরায়ণ হয় তাহলে আইন নিরর্থক। " _____প্লেটো
"ক্ষমতা মানুষকে নীতিগ্রস্থ করে, আর চরম ক্ষমতা মানুষকে চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ করে।" ____ বার্ট্রান্ড রাসেল

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: প্রধানমন্তী হুকুম না দিলে যথাযথ বিচার হবার সম্ভবনা নেই।

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৯

অনুভব সাহা বলেছেন:


সেটাই তো হচ্ছে...

২| ২৮ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




বিচর ব্যবস্হা নিয়ে লিখতে গিয়ে, শেখ সাহেবকে এনেছেন; শেখ সাহেব যেই সমস্যাটা দেখেছিলেন, সেটার সমাধান উনি করেছিলেন?

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:১০

অনুভব সাহা বলেছেন:

শেখ সাহেব করতে পারেন নি(তার আগেই তো উনাকে হত্যা করা হল), কিন্তু উনার মেয়েও তো করছেন না!

৩| ২৮ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


সেই দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য সবদিক দিয়ে সেই দেশের বিচার বিভাগ পুরোপুরি দায়ী। তাদের ব্যাক্তি স্বার্থ, অর্থের লোভ সেই দেশের মানুষগুলিকে পশু বানোর চেষ্টা করছে।

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:১২

অনুভব সাহা বলেছেন:

যথাসময়ে ন্যায় বিচার না পেলে মানুষ অপরাধ প্রবন হয়ে পড়বে

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: চরম ক্ষমতা মানুষকে দানবে পরিনত করে

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৭

অনুভব সাহা বলেছেন:

সেটাই এখন দেখছি। চারদিক ক্যাসিনো

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: যারা আইন বানায়,তারাই আইন ভাঙ্গে। দেশের বিচার ব্যবস্হা সম্পর্কে পাবলিক অবগত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেই দেশে,জনসম্মুখে যদি এদেরকে ফাঁসি দেওয়া হতো,তাহলেই এসব সন্ত্রাসীদের মনে ভয় প্রবেশ করতো। আইন কঠোর নয়,তাই অপরাধ আর অপরাধী বাড়ছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

অনুভব সাহা বলেছেন:


আইনের প্রয়োগ কম, অপপ্রয়োগ বেশী

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৫১

ভবিষ্যত বলেছেন: সত্যি বলতে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন...এটাই সত্য..... বাংলাদেশ ভারতের একটা অঙ্গরাজ্যে হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র...

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৯

অনুভব সাহা বলেছেন:

ভারতের তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, ১৬-১৭কোটির বোঝা তাদের উপর চাপাবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.