নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

অনুভব সাহা

যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।

অনুভব সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরি: অগাস্ট-নভেম্বর ২০১৯

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

০৮/০৮/১৯
বাসায় যাব। রাস্তায় যানবাহনের সংকট। বাস ভাড়া বাড়ায়নি, কিন্তু মাঝপথের কোন টিকিট দিচ্ছে না। যেখানেই নামেন, লাস্ট স্টপেজ পর্যন্ত টিকিট করতে হবে। তারপরও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
৫০কিলোর মত রাস্তা সিএনজিতে এসেছি। বাসে নিচ্ছে ১২০টাকা, সিএনজি ভাড়াও ১২০৳। বাসের টিকেট করতে লাইনে খাড়ালাম। সিরিয়াল আসতে আসতে দেখি টিকিট শেষ। পরের বাস আসতে বেশ দেরী হবে। এদিকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। দেরী করতে ইচ্ছে হচ্ছে না। সিএনজিতেই উঠে পড়লাম। মাঝ রাস্তায় ভীষণ জ্যামে পড়লাম, ঈদের জন্য গরু ছাগলের হাট বসেছে। ট্রাফিক পুলিশ সাক্ষি গোপাল হয়ে বসে আছে। এদিকে বৃষ্টি, কাদা, হৈহুল্লোড়, গালিগালাজ, গাড়ির হর্ণ সব মিলেমিশে একাকার....

ঘন্টাখানেকর মত জ্যামে ছিলাম। এরপর ছাতামাথায় ওয়াকিটকি হাতে এক পুলিশ অফিসার আসলো। তার তৎপরতায় যেসব পুলিশ দোকানে গল্প করছিল তারাও যানজট ঠিক করতে নেমে পড়লো। ৮-১০মিনিটের মধ্যে সব ক্লিয়ার হয়ে গেল। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিগণ নিজেদের কাজগুলো ঠিকমত করলে অনেক সমস্যাই দুর হয়ে যেত...বেশ কিছুক্ষণ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের ঝাপটায় ডানপাশটা ভিজে গিয়েছে। রাস্তার কিছু অংশ খানাখন্দে ভরা, পানি জমে আছে। এক বছর থেকে দেখছি রাস্তা ঠিক হচ্ছে, হতেই আছে...

মাঝ রাস্তায় বাস সমিতির লোকেরা সিএনজি থামিয়ে দিল। অনেকদিন থেকেই দেখছি মহাসড়কের সোজা রাস্তায় সিএনজি চলতে দেয়না, ওদের নাকি যাত্রী কমে যায়। গাড়ীতে রোগী ছিল তার উপর এখন ঈদের সময়, ভেবেছিলাম এখন হয় তো যেতে দেবে। কয়েকজন মিলে অনুরোধ করলাম, কাজ হলো না, ঘুরেই যেতে হবে....

14/08/19
সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। টিনের চালে টুপটাপ শব্দ হচ্ছে। আমাদের বাসাটা ছোট কিন্তু বৈচিত্রময়। এখানে ছাদ আছে, টিনের চালা আছে আবার মাটির টালির রান্নাঘরও আছে। আগে খড়ের চালা ছিল, এখন নেই।গত রাতে ঘুম আসছিল না। বেশ কয়েকটা নাটক, সিনেমা দেখেছি। সকালে উঠতে উঠতে সাড়ে দশটা। যুদ্ধের একটা টেলিফিল্ম দেখলাম। সেখানকার কয়েকটা বিষয় দেখে বেশ লেগেছে: টাইট জিন্স পরে একটা মেয়ে যুদ্ধ করছে,বয়লারের ফিডের বস্তায় করে লুটের মাল নিয়ে যাচ্ছে! আচ্ছা, ৭১সালে কি এসব ছিল!?


16-08-19। 17:24
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। মূষলধারে যাকে বলে। টিনের চালে কেমন একটা মড়মড় শব্দ হচ্ছে। নীচের ছাদওয়ালা রুমটাতে গিয়েছিলাম। টিনের চালের ঝমঝমানির শব্দটা সেখানে নেই। আমার বৃষ্টি ভালোলাগে তবে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোলাগে না।
১৭:৪১
বৃষ্টির তেজ কিছুটা কমেছে, তবে বিদ্যুৎচমকানো বেড়েছে। বজ্রপাতের প্রচন্ড শব্দ হচ্ছে। মনে হচ্ছে রুমটা কেঁপে উঠছে। বজ্রপাত আমার পছন্দ নয়। কেমন জানি ভয়ভয় করে...


২৬/০৯/১৯
ঢাকা যাচ্ছি। ৭:০০ টায় ট্রেন, বনলতা এক্সপ্রেস।
৭:৫৭
আব্দুলপুর জংশনে
৮:৪২ _ বড়াল ব্রীজ
৮:৫০ চলনবিলের মাঝ দিয়ে যাচ্ছি। জেলেদের মাছ ধরা, নৌকায় করে লোকদের পারাপার সে এক অন্যরকম দৃশ্য। আফসোস হচ্ছে, ক্যামেরাটা নিয়ে আসলাম না ক্যান!?

৯:৩৫ বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম
হালকা ঘুম ধরেছিল। ট্রেন থামায় ঘুম কেটে গেল।
হরেক রকম ফেরিওয়ালার
ফ্রেস হয়ে নাস্তা সারলাম।
১২.৪৫
বিমানবন্দর নামলাম
লোকে লোকারণ্য অবস্থা





০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯
১. কি একটা পরীক্ষা, সম্ভবত ক্লাস চেস্ট। বেসীরভাগ প্রশ্ন অানকমন। কিছু লিখতে পারছিনা। ক্লাস খাতা খুলে দেখি, এই টপিকটা নেই। স্যারকে বললাম, "স্যার, এগুলোতে ক্লাসে পড়ানো হয় নি!"। পরে বের হল, স্যার পড়িয়েছে, ঐ সময় আমি ক্লাসে দাঁড়িয়েছিলাম, পরে আর খাতায় তুলিনি।

২. নদীর উত্তর পাড়ে এক গাছের মগ ডালে উঠেছি। নামছি চিকন একগাছ দিয়ে। কিছুটা নামতে গাছ গেল ভেঙে। অভিকর্ষের প্রভাবে নীচে পড়ছি। মাথায় এক বুদ্ধি এল, ডালটাকে ধরে রাখলে তো প্যারাশুটের কাজ করবে। কিন্তু হলো বিপরীত। গিয়ে পড়লাম এক বরই গাছে। আশ্চর্যের বিষয়, একটাও কাঁটা বিধলো না। গাছের নীচে পানিতে বরই পড়ছে। বেশ বড় বড় রসালো সাইজ। দিলাম পানিতে ঝাপ। কিন্তু এত গভীরে চলে গিয়েছি যে, আমি আর উপরে উঠতে পারছিনা। এদিকে দম ফুরিয়ে যাচ্ছে, মারা যাব নাকি!

৩. এক পরীক্ষা দিতে গিয়েছি। কেন্দ্র শহর থেকে একটু দূরে, তবে ভালো ব্যাপার হল, এখানে কলম হল থেকেই দেবে। আমি তিনটি নকল ক্যাপের ভেতর রেখেছি। স্যার নকলের কথা বলে ক্যাপ দেখতে চাইলো। অবাক হলাম, নকলের কথা স্যার জানলো কীভাবে! ধরা পড়েছি দেখে ক্যাপ থেকে ওগুলো বের করলাম। এগুলো আকারে এক বর্গ ইঞ্চিরও কম, সব কটা সাংকেতিক ভাষায় লেখা। একটায় শুধু বারকোড। স্যার ফেল করিয়ে দেয় নাকি, ভেবে ভয়ে আছি। স্যারকে একটা ডোজ দিলাম। বললাম, "স্যার, আমার দোষ নেই। দোষ শিক্ষা ব্যবস্থার। আমরা এমন পরিবেশে শিখছি যে নকল করা খারাপ/অপরাধ জেনেও ত্যাগ করতে পারছি না...." ওষুধে কাজ হল।

৪. এক অনুষ্ঠানে খাচ্ছি। মাছের ভর্তা, আলুভর্তা, চিকন ভাত। একজন এসে অনেকখানি ডাল দিলো যে বিরক্ত হলাম। তবে খেতে বেশ। অনুষ্ঠানে দেখি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনও বউসহ এসেছে কিন্তু তাদের দুই সন্তান নেই। ওরা সম্প্রতি মারা গিয়েছে। ব্যাপারটা ভেবে কষ্টে চোখে পানি চলে এল। মনে মনে ভাবছি অনুষ্ঠানে তার ছেলেদের উদ্দেশ্য করে লেখা একটা গান গাইবো, "তুমি রোদ পোহাবার ছুতোয় ছাদে আসতে নিয়ে গভীর বাসনা। আর এভাবেই জমবে মেলা, আমার বয়সে...."

"সাগর, নদী আর পাহাড় জলে... " অ্যালার্মের শব্দ ঘুম ভেঙে গেল। ধূর! এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম! রুম থেকে বের হতে দেখি দুজন মর্নিং ওয়াক করতে যাচ্ছে। রাত আড়াইটার দিকে ঘুমিয়েছি, আমার যাবার মুড নেই। ফ্রেস হয়ে এসে আবার ঘুম দেব। ৬:৪৮, কি মনে করে স্বপ্নটা টাইপ করতে বসলাম। কিন্তু লিখতে গিয়ে বুঝলাম আরও কিছু অংশ ছিল, যেগুলো এখন ভুলে গেছি। দিনশেষে আরও ভুলবো। অন্যদের কি হয় জানি না, তবে আমি স্বপ্ন দেখার পরপরই তার প্রায় সবটাই বলে দিতে পারি। মাঝে মাঝে লিখেও রাখি। কিছু স্বপ্নের যুক্তি হয়তো মেলাতে পারি, আর বাঁকিগুলো পুরাই অযৌক্তিক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৫

অনুভব সাহা বলেছেন: আজকের ডায়েরি(২৭.১১.১৯)

১. গতকাল বাড়ি এসেছি। মোবাইলের ডাটা ব্যবহার করতে হচ্ছে। নেটওয়ার্কের অবস্থা তেমন সুবিধের নয়। কাল এক মেসেজ পেয়েছি[মাত্র ২টাকায় ১০০MB, ৩দিনের জন্যে কিনতে রিচার্জ ৳১২ (৳১০ মেইন ব্যালান্সএ যোগ হবে) ৩০নভেম্বরের মধ্যে ১বার], সেটাই এখন চালাচ্ছি। টুজিতে(EDGE -83dBm 15asu) এই ডাটাই হয়তো শেষ করতে পারবো না। হে হে হে...

২. দোতলায় লেপের ভেতর শুয়ে টাইপ করছি। চারপাশটা বেশ নীরব, এরমধ্যেই প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। গ্রামের দিকে সবাই আগেই ঘুমায়। তারউপর এখন আমন ধানের মৌসুম। সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুম তো আসবেই। আমি বিকেলে এক ঘুম দিয়েছি, এখন আর ঘুম আসতে চাচ্ছে না।

৩. আমি বাড়ি আসলে তেমন কাজ করিনা। সোজা করে করে বললে, কাজ করতে পারিনা। আরও স্পষ্ট করে বললে, আমি কাজ করলে কামের চেয়ে আকামই হয় বেশী। আজ ধান তোলার জন্য লোক নিয়েছে(সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩০০টাকা)। দুপুরের আগে কয়েক ভার ধান পালা দিলাম, এক ঘন্টাও হয়নি এর মধ্যেই হাত ফুটো হয়ে গেল! এখন খেতে বসলেই হাত জ্বলছে। মা খাসির গোস্ত রান্না করেছে। ঠিকমত খেতেও পারলাম না।

৪. একটু আগের নিউজ পড়ছিলাম। আজ হলি আর্টিজান মামলায় ৭ জঙ্গির ফাঁসির রায় হয়েছে। রায়ে অবাক হইনি, এটা প্রত্যাশিত রায় ছিল। তবে অবাক হয়েছি এক আসামিক কথা শুনে। এত মানুষকে মারার পরও এরা বলে, "আমরা কোনো অন্যায় করিনি" !
এরা কী পরিমান ব্রেন ওয়াশড, আর কতটুকু অমানুষ, ভাবা যায়!

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৫

অনুভব সাহা বলেছেন: পুরোনো ডায়রির পাতা থেকে.....

সকালে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে এক ডায়রি চোখে পড়লো। ২০১৫-১৬তে লিখেছিলাম। সেটার কিছু অংশ টাইপ করছি:
ডায়রি নংঃ ০৬
"স্বাধীনতা তুমি যেমন ইচ্ছে লেখা আমার ডায়রির পাতা"..

২৬/১২/১৫
শনিবার, 8:40 PM
"দিনগুলো ভালোই যাচ্ছে, শুধু মনটাই মাঝে মাঝে কেন জানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই খাতা-কলমের খুনসুটিতে সময় পার করছি।... "

[শুরুতে দুটো ভ্রমণকাহিনী আর একটা প্রবন্ধ ছিল। ওসব এখন টাইপ করা যাবে না]
20.03.16
নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ECE বিল্ডিং এর চার তলায়। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে আর নামতে জান শেষ। ক্লাস হচ্ছে চক-ডাস্টারে। কী যে বিরক্তিকর----!

১৪.০৪.১৬
কাল ছোট একটা ভূমিকম্প হয়েছিল। আজ পহেলা বৈশাখ। পান্তা-ইলিশ দুরে থাক হলে মিলটা পর্যন্ত বন্ধ।...

২০/০৪/১৬
কদিন থেকে যা গরম পড়েছে তা বলার বাইরে। রাত্রেও ঘুমাতে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টির নাম-গন্ধ পর্যন্ত নেই।

০২/০৫/১৬
মিড ব্রেকে বাসাতে গেলাম। এখন ইরি ধান কাটছে। তাই সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কী অমানুষিক এক পরিশ্রম!...
৫/৫/১৬
ছুটি শেষে বাসা থেকে () আসলাম। আসতে যে খুব একটা ইচ্ছে করছিল তাও না, কিন্তু উপায় নেই!
বাসাতে কয়েকটা মজার ঘটনা হয়েছে। আমাদের বারান্দাতে চড়ুই পাখি বাসা বেধেছে।....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.