নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

অনুভব সাহা

যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।

অনুভব সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

র ্যাগিং, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুটি ঘটনা

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

অ্যাডমিশনের সময়টা বেশ চাপেই কাটছে। পড়াশোনা, কোচিং, ফর্ম পূরণ, আজ এ ভার্সিটিতে পরীক্ষা তো কাল ও ভার্সিটি। দম ফেলার জো নেই। দৌড়াদৌড়ির মধ্যে বেশ কয়েকটা ভার্সিটিতে চান্স পেলাম। শেষে পরিবারের সম্মতিতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।

ঘটনা ১: "আপনাকে চিনবো কীভাবে?"
সেদিন ছিল রবিবার। ভার্সিটির প্রথম ক্লাস। সময় না জানায় ক্যাম্পাসের বাস ধরতে পারলাম না। ল্যাবে গিয়ে দেখি প্রায় সবাই চলে এসেছে। স্যার এলে পরিচয় পর্ব দিয়ে ক্লাস শুরু হল। এরপর সিআর(ক্লাস ক্যাপ্টেন) নির্বাচনের পালা। আমরা যেহেতু সবাইকে ঠিকমত চিনিনা, তাই ঠিক হল: আপাতত অস্থায়ী সিআর থাকবে, সপ্তাহ খানেক পর ভোটাভোটির মাধ্যমে স্থায়ী সিআর নির্বাচিত হবে। স্যার দু গ্রুপ থেকে দুজকে স্বেচ্ছায় নাম দিতে বললেন। কিছুটা সংকোচ আর খানিকটা ভয় মিশ্রিত কন্ঠে স্যারকে বললাম, "স্যার, আমি সিআর হতে রাজি আছি"।

ল্যাব শেষ হল। পরের ক্লাস অন্য বিল্ডিংএ থাকায় সবাই সেদিকে যাচ্ছে। আমরা ক'জন আছি শেষের দিকে, নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথা বলতে বলতে এগুচ্ছি। ডিপার্টমেন্টের কাছে আসতে পাশ থেকে একজন আমার রোল ধরে ডাকলো। আমি জানালাম এই রোলটা আমার, কী প্রয়োজন ?(ছেলেটা গড়নে ছোটখাট/আমাদের মতই। তাই ভেবেছিলাম আমাদের ব্যাচের কেউ হয়তো। আর সবে একটা ক্লাস করে বের হলাম, অন্য কেউ আমাকে চেনার/আমার রোল জানার কথা নয়)। হুট করে ওদের একজন একটু ভাব নিয়ে বলে ওঠে, "বড় ভাইকে সালাম দিতে হবে না?"। হুট করে এভাবে সালাম চাইতে দেখে/সালাম না দেয়ায় জবাবদিহিতে পড়ে একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। কথার খেই হারিয়ে বলে বসলাম, "আপনি যে বড় ভাই, সেটা চিনবো কীভাবে?"
[বলে রাখি, কথাটা বলার পর আমি বুঝতে পারেছিলাম, এভাবে বলাটা ঠিক হয় নি। ইন্টারে প্রাইভেট পড়ার সময় র্যাগিং নিয়ে এক বন্ধু গল্প বলেছিল: এক সিনিয়র নতুন ছাত্রকে র্যাগ দিতে গেলে জুনিয়রটা বলে, "আপনি যে সিনিয়র চিনবো কীভাবে? কপালে স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়াবেন"(যাতে চেনা যায়)। গল্প আর বাস্তবতা যে এক নয় প্রথম অংশটা বলতেই টের পেয়েছিলাম। তাই পরের অংশটা আর বলিনি(বললে তখনই হয়তো মাইর খেতাম]

আমার জবাব শুনে বড় ভাই(!) বিব্রত। ফোনে কাকে যেন আসতে বলছে। অবস্থা বেগতিক দেখে একজনের পিছে ডিপার্টমেন্ট অফিসে গেলাম। গিয়ে আইডি কার্ডের ফর্ম রেডি হয়েছে কিনা সেটা জানতে চাইলাম। অফিস সহায়ক জানালো, সব ফর্ম তৈরী হয় নি, রেডি হলে স্যারের হাতে ক্লাসে পৌছে দেবে। ক্লাস থাকায় নীচে নামলাম। রাস্তায় বের হতেই দেখি, ওরা কয়েক জন দাঁড়িয়ে আছে। কাছে আসতেই আমাকে ঘিরে ধরলো। তখন কথা কি হয়েছিল পুরোটা মনে নেই। কয়েকবার বলেছিলাম, ক্লাসের টাইম হয়ে গিয়েছে, আমি ক্লাসে যাব। তারপরও খানিকটা সময় আটকে রেখেছিল। এক সময় ক্লাস রুটিন দেখতে চাইলো। সেটা দেখে রুমের লোকেশনটা বললো। ছাড়া পেয়ে আমি খুশি, এই তাহলে র্যাগিং!


সেদিন বৃহস্পতিবার। ক্লাস শেষ করে বারান্দায় আসতেই, এক বড় ভাই আমাদের কয়েক জনকে হলে নিয়ে গেল। এক বন্ধু বলেছিল র্যাগ খেলে বড় ভাইদের সাথে পরিচিত হওয়া যায়, র্যাগ শেষে এটা ওটা খাওয়ায়। কিন্তু আমার একদমই যেতে ইচ্ছে করছিল না। একরকম বাধ্য হয়েই ওদের সাথে যাচ্ছি। হলে আসলে আমাদের দুজনকে একরুমে নিয়ে আসলো(এখনো মনে পড়ে সেদিন জিন্স আর কেডস পরেছিলাম)। দু-একটা কথার পর অপরজনকে(পরে সে ছাত্রলীগে জড়িয়ে পড়ে) আরেক রুমে নিয়ে যেতে চাইলো। আমি ওর হাত ধরে বললাম, "সে এখানেই থাকবে"। কাজ হল না, আমাদের দুজনকে আলাদা করে দরজায় পড়লো খিল।

চার সিটের রুম, মাঝখানে একটা কাঠের চেয়ার রাখা। ভেবেছিলাম চেয়ারে বসতে দিবে। কিন্তু না রুমের মাঝে গিয়ে দাঁড়াতে বললো।
দরজার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছি। আমি একা, ওরা মিনিমাম ৬-৭জন। শুরু হল গিনিপিগ টেস্ট। নানা প্রান্ত থেকে একের পর এক প্রশ্ন: নাম কী? বাড়ি কই? কোথায় পড়েছি?.... সচরাচর যা হয়, নাম জিজ্ঞেস করলে ডাকনামই বলি, এবারও বললাম। বলেই বিপদে পড়লাম। পুরো নাম কেন বলি নি! নামের আগে মোহাম্মাদ/মোসাম্মাদ কেন লাগাই নি! শুরু হল ম্যানার শেখানোর পালা।
আরেক জন প্রশ্ন করলো, ইঞ্জিনিয়ার বানান কর?
করলাম, ওরা বলল ভুল।
- ডিপার্টমেন্ট হেডের নাম বল?
বললাম। কিন্তু এখানেও ভুল। স্যারের নামের আগে পদ/টাইটেল বাদ পড়েছে। ডিপার্টমেন্টের নামের স্পেলিংও ঠিক হল না। একজন জিজ্ঞাসা করলো, "আমি সিআর হতে চাচ্ছি কেন?" বললাম জনগণ চাচ্ছে। আবার ভুল ধরলো, ওদের ভাষায় "পোলাপাইন" বলতে হতো, আমি জনগণ বলেছি দেখে হাসাহাসি শুরু করলো। বুঝলাম আমি ঘাবড়ে গিয়েছি, প্রশ্নের উত্তর জানলেও ঠিকমত বলতে পারবো না আর বললেও ওদের মনমত হবে না।

এর মধ্যে কিছুক্ষণ রুমের মাঝে এক পা তুলে দু হাত প্রসারিত করে কাকতাড়ুয়ার মত দাঁড়িয়ে থাকতে হল। সন্ধি, প্রত্যয় থেকে কয়েকটা প্রশ্ন করলো। মনে যা আসে বললাম।
একজন আর্মির মত করে ওদের সালাম দিতে বললো। আমি দিলাম না, বললাম, "এভাবে সালাম দেবার নিয়ম ধর্মে নেই"।(আমি ধর্ম কম মানি, সত্যি হল: ওভাবে সালাম দিতে তখন ইচ্ছে করছিল না)।
আমি মাথা নিচু করে না থেকে, হাসি হাসি মুখে আছি(ওদের ভাষায়), এখানেও সমস্যা। আমি ওদের ভয় পাচ্ছি না কেন, আমি বেয়াড়া, বড়দের সন্মান করতে জানি না, ম্যানার জানিনা, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্য না, ঘারত্যাড়ামি করলে পাশ করতে পারবো না,-- -- এমন অনেক কথা। এর মধ্যে বেশ খানিকটা সময় চলে গিয়েছে, ওদের কথা শুনে বেশ খারাপ লাগছিল, চশমা খুলে চোখ মুছলাম। ওদের একজন বললো, আমি নাকি অভিনয় করছি।

মনে একটা বিরক্তি ভাব আসলো। এতক্ষণ প্রশ্নের বাইরে তেমন কথা বলি নি। এবার বললাম, আমাকে এক্ষুণি রুমে যেতে হবে। আমার বাবা এই শহরে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে, বৃহস্প্রতিবার করে বাসায় যায়, আমিও যাব(আমার যাবার কথাটা অবস্য মিথ্যে ছিল)। এরপর এক ছেলে তার বেডে ডেকে নিয়ে পাশে বসালো। বেশ নরম সুরে বললো, ক্যাম্পাসে পড়তে হলে বড় ভাইদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে, নোটপাতি পেতে হলে পরিচিত হতে হবে....। এ কথা সে কথায় আবেগে পড়ে আমি বলে বসলাম, অ্যাডমিশনে আমি আরো কয়েকটা ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছিলাম। পরিবার থেকে না বললে এখানে ভর্তিই হতাম না। কথা শুনে সে তো রেগে আগুন। প্রতিক্রিয়ায় সে কি বলেছিল মনে নেই, তবে তার মর্মার্থ এমন, "আমি আসলেই ত্যাঁড়া"(তাদের কাছে)।

এরপর আরেক জনের হাতে পড়লাম। ক্যাম্পাসের কোন সংগঠন সম্পর্কে জানি কি না বা কোন সংগঠনে যুক্ত আছি কিনা জানতে চাইলো। আমি বললাম, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কোন সংগঠনে আমি যুক্ত নেই, যুক্ত হবার ইচ্ছেও নেই, এসব দলটল করতে আমার ভালো লাগে না। পরের ঘটনা মনে নেই। বের হবার আগে সবার কাছে গিয়ে আলাদা করে সালাম দিয়ে(কয়েক জনের জন্য প্রথম ও শেষ সালাম) পরিচিত হলাম।
আমাদের জেলার এক বড়ভাই এসে কাঁধে দুটো চাপড়(মৃদু থাবড়া) মেরে রুমের বাইরে নিয়ে গেল। অবস্য এটা আমাকে তেমন বিব্রত করে নি। বের হয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। এরপর আমরা তিনজন(পরে জেনেছিলাম অপরজনও আমাদের জেলার। ইমিডিয়েট সিনিয়র ব্যাচ, ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট(অন্য ক্যাম্পাসের), বেশি ত্যারামি করলে আমাকে মারার জন্য তাকে অানা হয়েছিল) অন্য হলে এক ভাইয়ের রুমে যাই। সে ছাত্রলীগ নেতা, আমাদের জেলার। মনে মনে ভাবছি, আরেক দফা টর্চার হবে নাকি!

না, তেমন কিছুই হল না। বরং ভাই বেশ ফ্রেন্ডলি কথা বললো, আমাদের জেলা নিয়ে লেখা একটা বই ফ্রী দিলো। এরপর ক্যাম্পাসের মাঠে গিয়ে ব্রেঞ্চে বসে খানিকটা সময় গল্প হলো, ভাই বরই খাওয়ালো। সেদিনের মত রুমেও ফিরলাম।
এরপর যে খুব বেশী চেঞ্জ হয়েছিলাম তা না, তবে সমস্যায় পড়ি নি। বাসে পুরো দু সেমিস্টার যাতায়াত করেছি, কোন দিন কেউ সিট থেকে উঠতে বলে নি। অনেকে প্রথম বর্ষে ক্যাফেটেরিয়াতে যেতে ভয় পায়, আমাদের ক্ষেত্রে সেটা হয় নি। আমার বন্ধুদের বেশীরভাগই ছিল স্থানীয়, আমরা শুরু থেকেই ক্যাফেটেরিয়ায় ঢুকতাম। মাঝেমাঝে পুরো টেবিল আমাদের দখলে থাকতো, খেতাম, পড়তাম, আড্ডা দিতাম(ব্লগ নিয়েও দু-একদিন কথা হয়েছে)। তবে হ্যাঁ, এই ঘটনার পর আমি সিআর পদে আর দাঁড়াই নি। পুরো ক্যাম্পাসে ঘুরতাম কিছু মনে হতো না কিন্তু সেই হলটার পাশ দিয়ে যাবার সময় কেমন এক অস্বস্তিতে ভুগতাম। কালের বিবর্তনে জুনিয়র থেকে সিনিয়র হলাম, ছোট বড় অনেকের সাথে পরিচিতও হয়েছি। তবে রুমে ডেকে কারো সাথে দাদাগিরি করি না। শেষ বর্ষে র্যাগ ডে নামে একটা অনুষ্ঠান হয়। এই নামটাও আমার পছন্দ নয়। কি জানি আমি হয়তো একটু অানসোশ্যাল, একগুয়ে, আর কারো কারো কাছে ত্যাড়া!


...


ঘটনা-২ঃ "সরো তো ভাই"
সবে হলে উঠেছি। একদিন বিকেলে শহরে আগে যেখানে থাকতাম সেখানে ঘুরতে গেলাম। পরিচিতদের সাথে দেখা করার পর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য মেইন রোডে আসলাম। এখান দিয়ে ভার্সিটির বাস যায়, ঝালমুড়ি খেতে খেতে বাসের অপেক্ষা করছি। হঠ্যাৎ দেখি বাস চলে আসলো, সিটও ফাঁকা। আমি স্টপেজ থেকে একটু দুরে থাকায় বাস চলে যাচ্ছিল। কি মনে করে হাত নেড়ে বাস থামাতে বললাম। এই রুটে যাতায়াত করায় হেল্পার মামা কিছুটা পরিচিত ছিল, সে দরজায় বাড়ি দেয়ায় বাস থামালো। যাওয়ার ভাড়াটা বাঁচলো বলে মনে মনে ভালোই লাগলো। দৌড়ে গেলাম বাসের দিকে। পেছনের গেটে দেখি গেট আগলে এক ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সিট ফাঁকা থাকার পরও না বসে এভাবে গেট আগলে থাকায় বিরক্ত লাগছিল। মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, "সরো তো ভাই"।

বাসে ঢুকে পেছনের দিকে থ্রি সিটের একটা সিটে বসে পড়লাম। ঝালমুড়ি তখনও শেষ হয় নি, মুখে পুরে চাবাতে থাকলাম। গেটে দাঁড়ানো ছেলেটা কয়েকধাপ উঠে মৃদুস্বরে ঝাড়ি দিচ্ছে। তার কথার বিষয়বস্তু যে আমি সেটা বুঝতেই ভেতরটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো। প্রায় দেড় বছর বাসে করে ক্যাম্পাসে গিয়েছি কখনো তো এমন হয় নি! ঘটনার আকষ্মিকতায় আমি কিছু ঘাবড়ে গিয়েছি।


বাঁকিটা ১ম মন্তব্যে


(মোবাইল থেকে ২^১৩=৮১৯২ ক্যারেক্টরের বেশী টাইপ করা যাচ্ছে না)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

অনুভব সাহা বলেছেন: ২য় গল্পের (বাঁকি অংশ)


বাস চলছে। একবার ভাবলাম স্টেশনের পাশেই নেমে যাব, পরে ভাবলাম না থাক, এ আর এমন কি! সেদিন বাসে কোন কথা বলেছিলাম কি না মনে নেই। তবে মেইন গেটের আগেই নেমেছিলাম। এখান থেকে গলি দিয়ে হলে যাওয়া যায়। বাস থেকে নেমেই দ্রুত হাঁটা শুরু করলাম। পেছন থেকে ডাক আসলো, "এই ছেলে দাঁড়াও"
এরপর রাস্তার মধ্যেই শুরু হল নানা প্রশ্ন। নাম কি, কোনডিপার্টমেন্ট, কোন ইয়ার ইত্যাদি। আমাকে অন্য কথা বলার সুযোগই দিচ্ছিল না। পরে আমি বেশ কয়েকবার বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে স্যরি বললাম, ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করলাম। শেষে আমার হল আর রুম নাম্বার জানতেচাইলো। আমি মিথ্যা কম বলি, তাই সত্যটাই বললাম। এরপর ভাই আমাকে ছেড়ে দিল। ভেবেছিলাম ঘটনা এখানেই শেষ। কিন্তু শেষ হল না।

পরের দিন সন্ধ্যা এক বন্ধুর রুমে আড্ডা দিচ্ছিলাম। রুমমেটের ফোন পেলাম, "তুই কই? বড় ভাইয়েরা এসেছে, রুমে আয়"। আমার তো জানে পানি নাই। আবার কি হলো! আগের দিন সঠিক রুম নাম্বার কেন বললাম ভেবে নিজের উপরই রাগ হচ্ছিল। একবার ভাবলাম রুমে না গিয়ে পালিয়ে যাব। পরে ভাবলাম, রুমেই যাই যা হবাব হবে।
রুমে গিয়ে দেখি ৫-৬জন লীগের ছেলে। কয়েকজন রুমের ভেতর কয়েকজন বাইরে। আমার পরিচয় পেতেই বললো, "উমুক হলে চল। বড় ভাই তোরে ডাকে"। এদিকে রুমমেটরাও চুপ হয়ে আছে। ততক্ষণে আমার ভেতর জিদ চেপে বসলো, মুখের ওপর বলে দিলাম, "আমি কোথাও যাব না।" ছাত্রলীগের ওরা ধমকের সুরে আমাকে শাসাতে লাগলো। আমার একই কথা, কারো দরকার থাকলে সে এই হলে আসুক, আমি যেতে পারবো না।(তখন হল প্রভোস্টকে বিষয়টা জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি থাকতাম আরেকজনের সিটে, তাই জানাই নি)

পরে ওদের একজন বড় ভাইকে ফোন দিল, আমাকে ফোনটা ধরিয়ে দিল। বেশ নরম সুরে ওপাশ থেকে বললো, "তুমি এখানে আসো ভাইয়া, কোন সমস্যা হবে না"। তারপরও সীদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না, যাব নাকি যাব না। ফোনেই বললাম, আমার গায়ে যদি হাত তোলা না হয়, তাহলে যেতে পারি। ওরা রাজি হল। এর মধ্যে ঐ হল থেকে একজন মোটর সাইকেল নিয়ে এলো। থ্রী কোয়ার্টার আর হাফহাতা শার্ট পরে ছিলাম। কাপড় পাল্টাতে চাইলে না করলো, দুরুদুরু বুকে ওভাবেই রওনা দিলাম। মোটর সাইকেলের পেছনে বসেই দুলাভাইকে ফোন দিলাম। ঘটনার সারসংক্ষেপ বলার চেষ্টা করলাম।



কার বিচার কে করে!
এদিকে মোটর সাইকেল থেকে নামতে না নামতেই ওরা মোবাইল কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিল। এরপর তৃতীয় তলার এক রুমে নিয়ে গেল। মেঝেতে বসিয়ে শুরু হল জেরা। যার মধ্যে প্রথম পয়েন্ট, আমি আসতে চাইনি কেন? আমি কোন নবাব যে আমাকে আনতে মোটরসাইকেল পাঠাতে হল?
( আমি মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে ছিলাম, একটা লিমিটের মধ্যে চুপ থাকবো। সেটা ক্রস করে গেলে মারামারি শুরু করবো, যা থাকে কপালে) প্রথম প্রথম কোন কথাই বলতে পারছিলাম না। ওরা হয়তো বুঝতে পারছিল আমি প্রচন্ড ভয়ে আছি। নরম সুরে ওদের একজন আমার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জানতে চাইলো। টুকটাক কথা হল, সাথে এটাও বললাম আমার বাবা আওয়ামিলীগ করে। যেখানে থাকতাম, ওই ওয়ার্ড লীগের নেতার নাম জানতে চাইলো , পারলাম না।

এসব কথার ফাঁকে গতকালের প্রসঙ্গ আসে। ফোর্থ ইয়ারের একজনকে কেন তুমি বললাম, তার জবাব চাই। আমি বলার চেষ্টা করি, "ওই ভাইকে আমি চিনতাম না, তুমি শব্দটা ভুল করে বলে ফেলেছি। আর সেজন্য গতকালই তো ভাইকে স্যরি বলেছি"। কথার মধ্যেই দু গালে দুহাতের দুটো সশব্দের চড় এসে পড়লো। আমি দুইগালে দুহাত রেখে চুপ মেরে গেলাম। ফোনে যার সাথে কথা হয়েছিল(হল নেতা) সে ঐ ছেলেকে বললো আমাকে কেন মারলো? কিন্তু আমি তো জানি মুখে যাই বলুক আগেই নির্দেশ থাকে, পাকনামো করলে যেন সাইজ করে। আর ওদের নির্দেশও দিতে হয় না, ওদের মুখের আগে হাত চলে।
[বুয়েটের আবরার কান্ডের পর ঘটনাটা লিখছি। আগে বেশ কয়েকবার লিখতে চেয়েছি কিন্তু কেন জানি একটা সংকোচবোধ কাজ করতো। কিন্তু গত কয়দিনে যেসব ঘটনা পড়েছি তাতে মনে হল: আমি হয়তো একটু ভাগ্যবান যে দুটো চড়ের উপর দিয়ে মেঘ কেটে গিয়েছে]

সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের ব্যাপার হল, যাকে আমি তুমি বলেছিলাম সেই ছেলেটা ওখানে ছিলই না। তুচ্ছ একটা বিষয় যে এতদুর গড়ালো ভাবতেই মাথা হেট হয়ে যাচ্ছিলো। এরপর ম্যানারের উপর কিছু লেকচার দিয়ে আমাকে ডায়নিং রুমে নিয়ে গেল। রুটি কলা ছিড়ে নিয়ে খেতে বললো। না তো আর করতে পারি না, এক রকম বাধ্য হয়ে লাগলাম। আমি যে রাগ করে নেই বোঝাতে আরেকটা কলা ছিড়ে খেলাম। একটু পর চা এলো। সবার সাথে আমিও খেলাম। রুমে ফিরলাম।

পরদিন দুলাভাই একটা নাম্বার দিল। তার এক ফ্রেন্ড ক্যাম্পাস সংলগ্ন থানাতেই থাকে, তার সাথে যেন দেখা করি। থানার মোড়ে চা খেতে খেতে পুলিশ ভাইয়ের কথা হল। গতকাল কি হয়েছে বললাম। ঘটনা শুনে আমাকে নিয়ে তখনই সেই হলে যেতে চাইলো, আমি যেতে চাইলাম না। রুম নাম্বারটা মনে ছিল না, আর ক্যাম্পাসে যেহেতু থাকতে হবে ছাত্রলীগের সাথে কোন গন্ডগোল করতে চাচ্ছিলাম না। এর মধ্যে ক্যাম্পাসের বাস চলে আসে, কাজ আছে বলে বাসে উঠে বসলাম। যদিও সেদিন কোন কাজ ছিল না, ঘটনাকে আসলে এড়িয়ে যেতে চাইছিলাম।

এরপর ওই হলের ছাত্রলীগ নেতার রুমে কয়েক বার গিয়েছি। ওদের রাজনীতিতে ঢোকার একটা ঝোঁক কিছু দিন ছিল। নানা কারণে সেটা হয় নি। এখনো মনে পড়ে, ওদের রুমে ঢুকলেই সিগারেটের কড়া গন্ধে দম নেয়া দায় হয়ে যেত।


আজ এডিট করতে বসে মনে হচ্ছে, খুব একটা গুছিয়ে লিখতে পারলাম না।

একটু আগে টেক্সটাইলের এক ভাই ফোন দিয়েছিল। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে তাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। ছোট-বড় এমন হাজারও ঘটনা আছে। এসব নিয়ে প্রায়ই লেখালেখি, আলোচনা হচ্ছে। তারপরও খুব যে একটা পরিবর্তন হয়েছে/হচ্ছে, সেটা মনে হচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের স্রেফ একটা সার্টিফিকেট দিচ্ছে, প্রকৃত মানুষ করে তুলছে না। আমরা যদি সমাজব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থাকে ঠিক করতে না পারলে, মানবিকতা বর্জিত জিডিপির প্রবৃদ্ধি আর মাথাপিছু আয় দিয়ে আদৌ কোন লাভ হবে কিনা সেটাই এখন ভাবার বিষয়।

(স মা প্ত)

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

সাাজ্জাাদ বলেছেন: সত্যি খুব আশ্চর্য লাগে এতো বড় একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম ঘটনা গুলো শুনলে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচু পদের লোক গুলোর কি কোনও দায়িত্ব নাই? এরকম হলে রাজনৈতিক দল গুলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিলে হয়।
মেধাবী ছেলেরা যখন খারাপ হয় তখন তাদের খারাপের মাত্রাও খুব উন্নত মানের হয়।
আমার বারবার শুধু মনে পড়ে আবরার হত্যাকারিরাও কিন্তু মেধাবী, বুয়েটের ছাত্র। কিন্তু হয়ে গেল খুনি। তাদের খুব সুন্দর লাইফটা নষ্ট হয়ে গেল। এর জন্য দায়ী কে ??

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

অনুভব সাহা বলেছেন: মেধাবী ছেলেরা যখন খারাপ হয় তখন তাদের খারাপের মাত্রাও খুব উন্নত মানের হয়।
কথাটা ঠিক।

সমস্যা হল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তেমন সক্রিয় নয়। আমাদের প্রতি সেকশানে একজন সুপারভাইজার ছিল। শুধু নামে। DSW র কাছে কিছু অনুষ্ঠানে বক্তৃতা আর লাস্ট ইয়ারে একটা সিগনেচার ছাড়া আর কোন উপকার পাই নি। হল প্রশাসন হাতে গোনা কয়েকটা অকর্মন্য সেটাও দেখেছি। আমি ঘটনা দুটি নিয়ে রিপোর্ট করার কথা ভেবেছিলাম। সাহস পাইনি, যদি বিচার না পাই/আরো বড় কোন সমস্যাতে পড়ি! সব ভার্সিটিতে একই হাল। অথচ সবাই যদি আন্তরিক হতো, আবরার কান্ড ঘটতো না। এসবের জন্য ছাত্রদের সাথে প্রশাসনও দায়ী

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

শায়মা বলেছেন: রর‌্যাগের কথা শুনলেই আমার গা জ্বলে যায়।
এইসব কাজগুলো যে কিভাবে এতদূর গড়ায় আল্লাহ জানে! যারা রর‌্যাগ দেবার নামে ছাগলামী করে বীরত্ব দেখায় তাদের বুদ্ধি শুদ্ধি কি সে সময় লোপ পায়? জানতে ইচ্ছে করে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

অনুভব সাহা বলেছেন: র্যাগিং আমারও অপছন্দ।

হলে থাকার সময় এক জুনিয়রের সাথে ধাক্কা লেগে চশমা ভেঙে যায়।
এক জুনিয়র ক্যামেরার মেমরিকার্ড নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয় নি।
পলিটেকনিকের এক ছেলে(জুনিয়র) তুমি বলেই সবসময় ডাকতে।
এমন আরো অনেক ছোট-বড় ঘটনা আছে, চাইলেই এসব নিয়ে র্যাগিং বা গন্ডগোল করা যায়। আবার চাইলে এড়িয়েও যাওয়া যায়। "একটা র্যাগ খেয়েছি দশজনকে র্যাগ দেব" এই ইগো থেকেই এসব ঘটে।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৩

জগতারন বলেছেন:
প্রিয় অনুভব সাহা আমি প্রবাসে; আজ এখানকার সময় সকাল বেলা আপনার জীবন অভিজ্ঞতা পড়লাম।
এর আগেও মনে হয় এই প্রবন্ধের কিছু অংশ এই ব্লগে পড়েছিলাম আবরার'কে মারার পর পর।
কি বলবো ইহাকেঃ
১) বিরক্তকর ?
২) দুঃখজ্জনক ? নাকি
৩) অভিশপ্ত কার্জকলাপ ? নাকি
৪) শেখ হাছিনার অনুসারীদের জাহান্নামে যাওয়ার আগে আরাই-দারাই ?

আমি যখন আপনার মতো বয়সে ছিলাম ১৯৮০ সালে ঢাঃ বিঃ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতে আর হয়ে উঠে নি। প্রচেষ্টা করতে করতে ভাগ্য ভালো হওয়ায় ও আল্লাহর সহায় যুক্ত রাষ্ট্রে এসে পড়াশুনা করেছিলাম। কোন দিনও আমাকে এই দেশে এই অভিশপ্ত বিরম্বনায় পড়তে হয়নি। আমার ছেলে এখন আপনার বয়সী সে 'U T A'-তে পড়ে। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাকেও এই অভিশপ্ত বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয় না।
আল্লাহর কাছে শুধু প্রার্থনা করিঃ
ইয়া আল্লাহ, তুমি বাংলাদেশের মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল ছেলে মেয়েদের সহায় করো, এবং তাদের হেদায়েদ দাও। তারা যেন ভালো মানুষ হয়ে আমাদের দেশকে প্রগতিশীল পথে আগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৫

অনুভব সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব। লেখার ২য় অংশটা ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কিত এক পোস্টে লিখেছিলাম। আসলে ভার্সিটিতে এই দুই টাইপের র্যাগিংই বেশী হয়। যেটা একই সাথে দু:খজনক, হতাশাজনক আর অভিসপ্ত কাজ। সাথে সরকারদলীয় ছাত্ররাজনীতির ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্র।

আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা। আপনার প্রার্থনা কবুল হোক(তবে আমরা যে পরিবেশে বড় হই তাতে হেদায়েত পাওয়া(মানবিক হওয়া/মানবিক থাকাটা) কঠিনই বই কি)

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০০

মা.হাসান বলেছেন: আমি ছাত্র থাকার সময়ে র‌্যাগিঙ শব্দটার সাথে পরিচয় ছিল না। অনেক পরে শুনেছি ভারতে এটা কমন ছিল, কয়েকজন ছাত্র মারা যাবার ঘটনাও ঘটেছে ওখানে । বাংলাদেশে এটা অপেক্ষাকৃত নতুন কালচার। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিৎ এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানো, দু একজন পার্মানেন্ট বহিষ্কার, জেল, আজীবন সরকারি চাকরীর জন্য নিষিদ্ধ হলে এই ঘটনা আর ঘটতো বলে মনে হয় না।

মোবাইলে ২^১৩ ক্যারেকটারের বেশি না নেওয়ার কারণ বুঝলাম না। আমার একটা পোস্ট আছে, পুরো মোবাইল থেকেই করা। শুভ জন্মদিন হে প্রিয়/ মান্যবর কম্পিউটার মানব, এর সাইজ আপনার পোস্টের চেয়ে কিছুটা বড়ই হবে মনে হয়। ব্লগার জনাব পদাতিক চৌধুরী শুধু মোবাইল থেকেই লেখেন। মডারেটর হয়তো এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

অনুভব সাহা বলেছেন: আগে না থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে বড় হতাশার ব্যাপার হল, ফান/শাসন/ম্যানার শেখানোর নামে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের মত ফৌজদারি অপরাধ হচ্ছে। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স কিন্তু সেটা কথাতেই। বাস্তবে এর সঠিক প্রয়োগ নেই। সমস্যাটা এখানেই, অপরাধ করে ছাড়া পেলে অপরাধ আরো বাড়ে।

আমার মতে প্রতিটি ঘটনা বিশ্লেষণ করে অপরাধ অনুযায়ী দু-এক সেমিস্টার ড্রপ বা কিছু ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করার ব্যবস্থা রাখলে এসব অকর্ম আর থাকবে না।

[আপনার লেখা কপি করে চেক করলাম। সামুতে বেশ বড় বড় লেখা দেখেছি কিন্তু আমার হয় না। সমস্যাটা হয়তো আমার ব্রাউজারে।]

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৩

মা.হাসান বলেছেন: আবরারের বিষয়ে সহমত, এজাহারে হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নাম আসা উচিৎ ছিল। মধু খাবে আর দায় নেবে না তা হয় না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩১

অনুভব সাহা বলেছেন: হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবস্যই জড়িত। এদের কারণেই সাধারণ ছাত্র হতে মনস্টার তৈরী হয়। আবরারের খুনিদের মধ্যে একজন ভ্যানচালকের ছেলে, তাকে খুনি বানালো কে?

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩৫

চাঙ্কু বলেছেন: এই নষ্ট কালচারটা আমরা কিভাবে এডাপ্ট করলাম? আমাদের সময়তো র‍্যাগিং ছিল না!

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এসব বিদেশী কালচার গ্রহণ করেই শেষ হয়ে যাচ্ছি।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



র‍্যাগ জিনিশটাই খারাপ

আপনি টেবিল নাম্বার ২১ মুভিটি দেখতে পারেন ।

তবে রাজশাহীতে আমার কোন সমস্যা হয়নি । তাছাড়া আমরা রুমে নিয়ে এসে তাদের সাথে ফ্রী হতে চাইতাম । তাদের এলকায় দেখার মত কি আছে । ঘুরতে যাওয়া যাবে কিনা । এসব কথা বলতাম । অনেক ফ্রী হয়ে যেতাম ।

জাহাঙ্গীরনগর এও আমি দারুন ভাবে আনন্দে কাটিয়েছি ।

হ্যা আমার পরিস্থিতি হয়ত আলাদা ছিল বা সবার মত ছিল না । তবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দলীয় করন জিনিশ ছেটে ফেলতে হবে । রাজনীতির যে থাবা রয়েছে সেটা কে দূর করতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.