নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব ঘটনা মনে দাগকাটে টুকে রাখি। জানি, বেশীর ভাগ লেখাই অখাদ্য হয়; তারপরও লিখি, ভালোলাগে। তবে ইদানিং একটু সংকোচে থাকি, মনে হয়; কখন কি বলি, আর কার কোন অনুভূতিতে গিয়ে আঘাত লাগে!

অনুভব সাহা

যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।

অনুভব সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীগতভাবে চরম অসতর্ক আমরা, এখনও

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

১. রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকায় গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে চার শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৪ জন।
খবরটিকে নিছক এক দূর্ঘটনা ভাবলে ভুল হবে, এটা তো মৃত্যুফাঁদ ছিল। আর স্পস্ট করে বললে, এমনটাই তো হবার কথা ছিল। বেলুন ফোলানোর ক্ষেত্রে নিয়ম হল হিলিয়াম(He) গ্যাস ব্যবহার করা। এটা নিষ্ক্রিয় গ্যাস হওয়ায় নিরাপদ। কিন্তু এর দাম তুলনামূলক বেশী হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ কাজের জন্য হাইড্রোজেন গ্যাস(H₂) ব্যবহার করে। যা মারাত্মক দাহ্য পদার্থ, বাতাসের সংস্পর্শে এলেই বিষ্ফোরিত হয়। এখন জেনে বুঝে এসব জীবন্ত বোমা নিয়ে ঘুরে বেড়ালে এমনটা ঘটা কি অস্বাভাবিক?
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে কিনা জানি না, তাদের প্রতিবেদনে কি আসবে সেটাও জানি না। তবে এটা নিশ্চিত জানি, এরপরও আমরা সতর্ক হবো না।

২. গত কয়েক বছরে অন্যতম এক ঘটনা হল পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে মৃত্যু। নিছক মজা/দুষ্টোমি/কৌতুহলি হয়ে আমরা এমন সব কাজ করে বসি যাতে অন্যের জীবন সংকটময় হয়ে ওঠে।
গাড়ির চাকায় বাতাস দেবার জন্য যেসব কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়, তাতে উচ্চচাপে বাতাস থাকে। এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ে যে পরিমান বাতাস প্রবেশ করে, সেটাই একজনের জীবন নেয়ার জন্য যথেষ্ঠ। আফসোসের বিষয় হল, আমরা দেখছি, শুনছি কিন্তু বাঁদরামি ছাড়ছি না।

৩. আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল: সেপটি ট্যাঙ্কে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু
একে অসাবধানতা, দুর্ঘটনা যাই বলিনা কেন অহরহ এটা ঘটেই চলেছে। অথচ সামান্য একটু সতর্ক হলে ম্যাসের কাঠি বা মোমবাতি দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলে এসব অপ্রয়োজনীয় মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।
উল্লেখ্য পুরাতন কুয়া, ভূগর্ভস্ত রুম/পানির হাউজ, ম্যানহোল, সেপটি ট্যাঙ্ক এসব জায়গায় বিষাক্ত গ্যাস জমা হয়(কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি)। এসব স্থানে কেউ প্রবেশ করলে অক্সিজেন স্বল্পতায় মৃত্যু হতে পারে।

৪. পিটিয়ে মানুষ হত্য
আমরা বড় চেতনা সম্পন্ন জাতি! প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ, অনিয়ম, দূর্নীতি দেখেও আমাদের চেতনা শীতনিদ্রায় থাকে; অথচ ছিঁচকে চোর ধরলে, ছেলেধরা/কল্লাকাটা গুজব শুনে কিংবা কথিত ধর্ম অবমাননার গন্ধ পেলে আমাদের চেতনা জাগ্রত হয়। আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে, সত্য মিথ্যা যাচাই না করে সাপ পেটানো/ভাংচুরেরর প্রতিযোগিতা শুরু করি। একটু সাবধান ভাই, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মানুষটা মারা যেতে পারে।

৫. শহরাঞ্চলে ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড লাইনের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। প্রতিটি পোলে বিদ্যুতের তারের চেয়ে ইন্টারনেট লাইনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশী। এসব ঘিঞ্জিময় লাইন দেখলে বড় বিরক্তি লাগে। কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সচেতন না হলে কে হবে?

৬. আরো কিছু পয়েন্ট:
১) ছবিটা দেখে আমার এক স্যারের কথা মনে পড়লো। ইন্টারে স্যারের কাছে রসায়ন প্রাইভেট পড়তাম। স্যারের বাড়ির গেটে প্রায়ই আবর্জনা ফেলে রাখতো(অন্য সবাই পলিথিনে মুড়ে বা পুরাতন বালতিতে করে রাখতো কিন্তু ওখানে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো)। সেখান দিয়ে যখন যেতাম বড় বিরক্তি লাগতো। মনে মনে ভাবতাম, শিক্ষিত লোকের এই সচেতনতা! স্যার সেই বাসাটা চেঞ্জ করেছে, অভ্যাসটা চেঞ্জ হয়েছে কিনা সন্দেহ।
২) ঢাকাতে থাকতে আমার দম বন্ধ লাগে। শহরটাতে আসলেই বসবাস করা কঠিন। যে দিকে তাকাই অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলা চোখে পড়ে। সরকার, কর্তৃপক্ষ আর আমরা জনগণ, সবাই মিলে শহরটাকে অযোগ্য করে তুলেছি/তুলছি। ভবিষ্যতে এর খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।

গুগল সার্স করতে গিয়ে একটা ইউটিউব লিংক চোখে পড়লো, শিরোনামটা এমন "দেখুন ইহুদিরা কেন অভিশপ্ত এবং পৃথিবীর নিকৃষ্টতম জাতি?" ভিডিওটা দেখি নি, ইহুদিরা কেমন সে তর্কে যাব না তবে জাতি হিসেবে আমরা যে খুব একটা সভ্য নই, এ বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০২

শায়মা বলেছেন: গ্যাস বেলুনওয়াদেরকে পরীক্ষা না করে আর গ্যাসবেলুন বেঁচতেই দেওয়া উচিৎ না। নিশ্চয় এই বেলুনওয়ালাও জানেনা কেনো তার এই বিস্ফোরন হলো?

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের আর ও সতর্ক হওয়া উচিত।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪১

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এজন্যই তো বলি, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক। একগুঁয়েমী শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের সমাজকে পরিবর্তনের বদলে স্বার্থান্ধতা শিখাচ্ছে। আমাদেরকে তৈরী করছে শিক্ষিত চাকর হিসেবে।


অনেক সুন্দরভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ।



"জাতীগতভাবে চরম অসতর্ক আমরা, এখনও" শিরোনামের জায়গায় "জাতীগতভাবে আমরা এখনও চরম অসতর্ক" হলে কেমন দেখায় দেখুন তো !

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫৫

নাহার জেনি বলেছেন: তবে জাতি হিসেবে আমরা যে খুব একটা সভ্য নই, এ বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই... কথাটির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:১৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: সহমত জানাচ্ছি পোস্টের বক্তব্যের সাথে.....

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২০

অনুভব সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:২০

রাশিয়া বলেছেন: আপনি কি জীবনে ১০ জন মানুষের হাতে ধরে বুঝিয়েছেন ভাই যে কাজ করেছেন এটা ঠিক হয়নি। কাজটা এভাবে করলে সবার জন্য ভাল হত? জবাব দিয়েন তো?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৭

অনুভব সাহা বলেছেন:
কয়েকমাস আগে মেডিকেলের আউটডোরে গিয়েছিলাম। ঔষধ নিতে লাইনে দাড়িয়েছি। হুট করে এক পুলিশ কন্সটেবল এসে ওষুধ নিল। প্রতিবাদ করতেই বললো, আপনি কে? একটু তর্ক হতে পাশের এক কাপুড়ে ভদ্রলোক বলে, নির্বাচনে কত অনিয়ম হল যান দেখি সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করুন। বড় অবাক হলাম, ছোটখাট বিষয়ে প্রতিবাদ করতে না শিখলে বড় কিছুর প্রতিবাদ করবো ক্যামনে!


আমি গুনেগুনে প্রতিবাদ করি না। মুড ভালো থাকলে পরিস্থিতি বুঝে প্রতিবাদ করি। অনেক সময় এড়িয়েও যাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.