নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি দেশের ভালো চান, ভেদাভেদ ভুলে যান। মনটা করি পবিত্র, গড়তে মোদের চরিত্র। চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করে দেশের সর্বনাশ। ক্যাডার চাইনা মানুষ গড়ো, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবার জন্য অধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য সুবিচার। দূষণমুক্ত পরিবেশ, সুস্থ মানুষ সবুজ দেশ।
সকালে উঠে ভাবলাম যাই আজ ৪৫টাকা কেজির পেঁয়াজ দেখে আসি। ৯:১২, তখনো পেঁয়াজের গাড়ী আসেনি। মাঝারি সাইজের দুটো লাইনে নারী পুরুষরা দাঁড়িয়ে আছে। আমিও দাঁড়ালাম। লাইনে নিন্ম আয়ের মানুষরাই বেশী। আছে মাদরাসার ছাত্র, বয়স্ক মুরুব্বী, শিক্ষার্থী, কাজের মেয়ে(গৃহকর্ত্রী হয়তো পাঠিয়েছে)। ধীরে ধীরে মানুষ বাড়ছে, লাইন নিয়ে হুড়োহুড়ি হচ্ছে, মেয়েরা কিচিরমিচির করছে। পুলিশের গাড়ি এসেছে কিন্তু পেঁয়াজের দেখা নেই। এদিকে দশটা পেরিয়ে গিয়েছে। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে সবাই হাপিয়ে যাচ্ছে, অনেকে বসে পড়েছে। কয়েকজন মেয়ে দেখলাম চলে যাচ্ছে। আমি নাস্তা না করেই এসেছিলাম। তাই পাশের জনকে বলে রুমে আসলাম।
খেয়ে দেয়ে আবার গেলাম। তখন প্রায় পৌনে এগারোটা , দেখিগাড়ি এসেছে। তবে এখনো বিক্রি শুরু করে নি। সামনে এত লোক দেখে অবাক হলাম, আগে যেখানে ২০-২৫জন লোক ছিল, এখন দেখি ৫০ জনেরও বেশী! কে ছিল আর কে ছিল না কিছুই বুঝতে পারছি না। লোকজন এক প্যাকেট করে নিচ্ছে আর যাচ্ছে(দু একজন একবার নিয়ে আবার নেবার পরিকল্পনা করছে)। এক পুলিশ দেখি এক প্যাকেট নিল, আরেকটা ছেলেকে দু প্যাকেট নিল।
এদিকে সাড়ে এগারোটা পেরিয়ে গেল কিন্তু লাইন তেমন আগায় না। সামনে জটলা করা অনেকেই পরিচিতদের পাশে গ্যাটিজ হিসেবে ঢুকে পড়েছে, অনেকে ঢুকে পড়ার সুযোগ খুজছে। পেছনের আমরা এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু করলাম, পুলিশ এসে জটলা সরিয়ে দিল, লাইন আগাতে থাকলো। অনেক আন্ডা ববাচ্চাকেও লাইনে দেখলাম। এক মুরুব্বী দুজনকে ভেতরে ঢুকালো। বিরক্তি লাগলেও আমি চুপ করে আছি, এক পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে কত হুড়ো হড়ি করবো! আমার পাসের জন প্রতিবাদ করলো(ওরা ৮-১০জন এক সাথে পেঁয়াজ নিতে এসেছে)। পুলিশ আসায় সামনের জটলা অনেকটাই কমে গেল। একটু পর আবার আরেকজন এসে ঢুকতে চাইলে আমি রেগে গেলাম, এক পুলিশ এসে তাকে জোর করে সরিয়ে দিল(এক পেঁয়াজ নিয়ে কত কান্ড!) লাইন ধরে পেঁয়াজের গাড়ির সামনে আসলাম। গাড়িতে একজন প্যাকেট করছে আরেকজন ওজন করে টাকা নিচ্ছে। একবার ছেলেদের দিচ্ছে আরেকবার মেয়েদের দিচ্ছে। দুই পাশে পুলিশ আছে, তার ফাঁকদিয়ে মাঝে মধ্যে দু-একজন সাইড থেকে পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে। আবশেষে আমি প্যাকেট পেলাম। প্রতি প্যাকেট ৫০ টাকায়।(৪৫টাকায় দিলে খুচরার একটা ঝামেলা হয় তাই ৫০টাকা নিচ্ছে আর ১কেজির একটু বেশী দিচ্ছে)। গুনে দেখলাম পাঁচ খানা পেঁয়াজ আছে। চেহারা দেখে বুঝলাম এটা সম্ভবত মিশরীয়/তুরস্কের পেঁয়াজ।
রুমে এসে দেখি বারোটা পেরিয়ে গিয়েছে। মনে মনে ভাবলাম, দাম যাই উঠুক এক কেজি পেঁয়াজের জন্য লাইনে আর দাঁড়াবো না। গুড বাই টিসিবি।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
অনুভব সাহা বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হায়রে পেঁয়াজ কবে যে তোর ঝাঁঝ কমবে
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬
অনুভব সাহা বলেছেন: আরো কয়েক সপ্তাহ এভাবেই চলবে
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
ওমেরা বলেছেন: যাক তাও তো শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন এটা ভালো।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
অনুভব সাহা বলেছেন: সেটাই
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: পুরাতন অভাসটা এখন রয়েছে তাই পেঁয়াজের প্রয়োজন
শুধু অপ্রয়োজন লাইন--------------
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
অনুভব সাহা বলেছেন: শুধু অপ্রয়োজন লাইন--------------???
মানে কী?
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
হাবিব বলেছেন: পেঁয়াজ পাবার পর কি এভারেস্ট জয় করার মত অনুভূতি হয়েছে? কোথায় পাওয়া যায় পেঁয়াজ, আমাকে তথ্য দিন। লাইনে দাঁড়াবো নি.......
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
অনুভব সাহা বলেছেন: সে রকম কিছু হয়নি, একটু ভালো লাগছিল এই আর কি।
টিসিবির পরিবেশকরা ঢাকা মহানগরীর ৩৫টি স্থানে, চট্টগ্রামে১০টি স্থানে, বাকি ছয়টি বিভাগীয় শহরের পাঁচটি করে স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করবেন।
ঢাকার যেসব জায়গায় পাওয়া যাবে টিসিবির পণ্য:
১. সচিবালয়ের গেইট, ২. প্রেস ক্লাব, ৩. কাপ্তান বাজার, ৪. ভিক্টোরিয়া পার্ক, ৫. সায়েন্সল্যাব মোড়, ৬. নিউ মার্কেট/নীলক্ষেত মোড়, ৭. শ্যামলী/কল্যাণপুর, ৮. ঝিগাতলা মোড়, ৯. খামারবাড়ি, ফার্মগেইট; ১০. কলমীলতা মোড়, ১১. রজনীগন্ধা সুপার মার্কেট, কচুক্ষেত; ১২. আগারগাঁও তালতলা ও নির্বাচন কমিশন অফিস, ১৩. রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স, উত্তরা; ১৪. মিরপুর-১ নং মাজার রোড, ১৫. শান্তিনগর বাজার, ১৬. মালিবাগ বাজার, ১৭. বাসাবো বাজার, ১৮. আইডিয়াল স্কুল, বনশ্রী; ১৯. বাংলাদেশ ব্যাংক চত্বর, ২০. মহাখালী কাঁচাবাজার, ২১. শেওড়াপাড়া বাজার, ২২. দৈনিক বাংলা মোড়, ২৩. শাহজাহানপুর বাজার, ২৪. ফকিরাপুল বাজার ও আইডিয়াল জোন, ২৫. মতিঝিল বক চত্বর, ২৬. খিলগাঁও তালতলা বাজার, ২৭. রামপুরা বাজার, ২৮. মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, ২৯. আশকোনা হাজি ক্যাম্প, ৩০. মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার, ৩১. দিলকুশা, ৩২. মাদারটেক নন্দীপাড়া কৃষি ব্যাংকের সামনে ও পলাশী মোড়ে।
এসব পেঁয়াজের মান তেমন ভালো না।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমারও মাঝে মাঝে এরকম লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে ইচ্ছা করে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
অনুভব সাহা বলেছেন: হাতে সময় থাকলে যেতে পারেন
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সুপারডুপার বলেছেন: আলিবাবা ডট কম -এ $১০০ - $২০০ / টন দরে কয়েক টন পিঁয়াজ অর্ডার করে দেন।Link 1 Link 2
$১ = ৮৫ /- হলে, আপনি প্রতি কেজি পিঁয়াজ প্রায় ৮.৫ - ১৭ /- টাকায় ঘরে বসে থেকে পাচ্ছেন। নিজে খান; আত্নীয়স্বজন, পাড়া - প্রতিবেশী ও বাংলাদেশী সামু ব্লগবাসীদের মাঝে সুলভ মূল্যে পিয়াজ বিতরণ করুন।
সামনে ব্লগ ডে -তে এই সুযোগ ভালো মত কাজে লাগাতে পারবেন । অনেকের কাছে থেকে আগাম অর্ডার ও নিতে পারবেন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
অনুভব সাহা বলেছেন:
খাতা কলমে তো বলে দিলেন ঘরে বসে ১৭টাকা কেজিতে পেয়াজ পাওয়া যাবে। বাস্তবে কি এটা এতোই সোজা! এলসি খোলা, ইমপোর্,ট, কাস্টমস এসবে তো জান বের হয়ে যাবে। আপনার জানা শোনা থাকলে নিয়ে আসুন, আমি ৫০টাকা কেজিতে কিনবো। সিরিয়াসলি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৫
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয় করার জন্য অভিনন্দন!