নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আন্‌ওয়ার এম হুসাইন। বাংলাদেশী লেখক। দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক বাংলা ও কিশোর বাংলায় গল্প লিখি। প্রকাশিত গল্পের বইঃ প্রত্যুষের গল্প (পেন্সিল)\nউপন্যাসঃ এমনি এসে ভেসে যাই (তাম্রলিপি)।

আনু মোল্লাহ

আন্‌ওয়ার এম হুসাইন এর ব্লগ

আনু মোল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক্স লইয়া কি করিব

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

যাচ্ছিলাম সেগুনবাগিচা। রিকশাওয়ালার সিট কভারটা খুব চমৎকার। হাতে সেলাইকরা কাঁথা মোড়ানো। সুন্দর নকশা-টকশা করা। নর্মালি এররকম দেখা যায় না। শৈল্পিক একটা ব্যাপার। শুধু সিটকভার দেইখাই তার-সাথে কোন দামাদামি না কইরা রিকশায় উইঠা পড়লাম। এইরকম একজন শিল্পমনা রিকশামামার সাথে দরদাম করতে ইচ্ছে হয় না।
আমি তা্রে কইলাম, মামা আপনার সিটকভারটা তো সেই, আপনার বউ বানায়া দিছে?
হ সেই খানকি-মাগীই বানায়া দিছিলো।
কথাটা শুইনা টাস্কি খাইয়া গেলাম। আমি কইলাম, এত সুন্দর একটা জিনিস বানায়া দিল। আর আপনি গালিগালাজ করতাছেন। আমি আর কারো রিকশায় এমন সুন্দর জিনিস দেখি নাই।
খানকি-মাগি আর নাই। আরেক ব্যাটার লগে ভাইগা গেছে।
ক্যান?
কোন উত্তর নাই। রিকশাওয়ালা চুপচাপ। বুঝলাম প্রাইভেসি। তার পার্সোনাল ম্যাটার আমার সাথে শেয়ার করতে চায় না। একটু পরে আমি কইলাম, বউ ভাইগা গেছে, তার সিট কভার তো ঠিকই রাইখা দিছেন। আপনি মনে হয় তারে অনেক ভালো পান।
কি বালের ভালোবাসা টালোবাসা। পোন্দের নিচে থোয়ার জন্য এর চেয়ে ভালা জিনিস আর কি আছে?
শুনেছি আমেরিকানরা এইভাবে এক্সকে সাইজ করে। সেইটা মনে কইরা আমি কইলাম, হ মামা। ঠিকই করছেন। এক্কেবারে আমিরেকানদের মত হইচ্ছে। ওরাও ভাইগা যাওয়া বউ নিয়া এমুন করে।
আরে মামা আমেরিকায় কি রিকসা আছে, যে ওরা পোন্দের নিচে বউয়ের বানানো কাঁথা দিবো?
না না। ওরা একই কাম অন্যভাবে করে। ওখানে স্যার এন্টোনিও নামে একটা জায়গা আছে। সেখানকার চিড়িয়াখানায় এইরকম মজার কামকাজ চলে।
চিড়িয়াখানায় আবার কি করে?
করে করে। আপনের ভাইগা-যাওয়া বউয়ের নাম কি আছিল।
হেই খানকি মাগীর নাম মুখে নিতে মনে চায় না।
তাও কন।
সালমা।
তো ধরেন আপনে সেই চিড়িয়াখানায় খেলেন। বাঘের খাঁচায় বা সিংহের খাঁচায় গেলেন। বাঘের খাঁচার ভেতরে অনেক ছোটো ছোট জন্তু-জানোয়ার আছে। চিড়িয়াখানার লোকদের টাকা দিলে ওরা কোন একটা খুচরা-খাচরা জন্তুর নাম রাখবো সালমা।
এতে আমার লাভটা কি?
লাভ হইল ওই যে একটু পরে আপনার সালমাটারে বাঘে খাই ফেলাইলো। আপনি দেইখা মজা পাইলেন। এখন যেমন সালমার কাঁথা পোন্দের নিচে দিয়া মজা পান। প্রতিশোধ নিলেন।
কামডা ভালো অয় না।
আবারও টাস্কি খায়া গেলাম। কইলাম ক্যান? ভালো অয় না ক্যান?
আমরা ছোটলোক। আমগো আবার কি বালের ভালোবাসা-টাসা। কিন্তু বড় লোকগো এমুন কাম করা ঠিক না। ছাইড়া গেলেও তারে বাঘে খাওয়ানো ঠিক না।
বাঘেরে তো বউরে খাওয়াইতেছে না, তার নামে একটা জানোয়াররে খাওয়াইছে।
তাও ঠিক না।
সেগুনবাগিচা চইলা আসলাম। সিটে বইসা ভাড়া রেড়ি করতেছি, এমন সময় উপর থেকে একটা কাউয়া রিকশা মামার মাথা বরাবর হাইগা দিল।
মেজাজ খারাপ কইরা বেচারা আবার খিস্তি দিতে শুরু করল। আমি কইলাম মামা, এই কাউয়াটার নাম দেন সালমা।
সে কইল, হ মামা, এইডা ঠিক আছে। এই কাউয়া অবশ্যই সালমা।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা হাসতে হাসতে শেষ B-)

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: হাহাহা চমৎকার

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: একটু রাফ লেখা, তারপরেও ভাল লেগেছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

মায়াস্পর্শ বলেছেন: হা হা হা। বেশ বেশ। B-)

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

শায়মা বলেছেন: হা হা কাউয়ার নাম সালমা!!! :P

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

আনু মোল্লাহ বলেছেন: হা হা হা।
অজস্র ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

আজব লিংকন বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, চিড়িয়াখানার বিষয়টা কি সত্যি?

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

আনু মোল্লাহ বলেছেন: হ্যাঁ, চিড়িয়াখানার বিষয়টা সত্যি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন বোঝা গেল এই কাউয়াটা সালমার মতো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

আনু মোল্লাহ বলেছেন: হা হা হা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.