![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্ন- নারীর চাকরির উদ্দেশ্য কি? বা নারীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হয় কি জন্য?
উত্তর- কেন বসদের মনোরঞ্জনের জন্য! বসদের আকর্ষন করার জন্য! বসদের খুশি রাখার জন্য! নারীদের আর কি কাজ সেখানে!
প্রতিক্রিয়া- কি অসভ্য কথাবার্তা?! নারীদের আপনারা কি মনে করেন? আপনাদের এসব বাজে কথার উদ্দেশ্য হলো নারীদের ঘরে আবদ্ধ করে রাখা! নারীদের অপমান করা!
উপরের কথাবার্তাগুলো পড়লে কি মনে হয় না কাঠমোল্লা টাইপের কেউ নারীদের চাকরি নিয়ে ওই মনোভাব পোষন করে?!
হ্যাঁ, তাইতো মনে হচ্ছে! মোল্লারা তো সব সময় ওই রকম! তাদের কাজই নারীর অগ্রযাত্রায় বাঁধা সৃষ্টি করা। ওই ধরনের ফালতু কথাবার্তা মাধ্যমে মোল্লারা চায় নারীদের সেই মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিতে! এই ধরনের মনোভাব যারা পোষন করে তাদেরকে আর যায় হোক নারী অধিকারপন্থী বলা যায় না! নারীর চাকরী পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য- এই ধরনের বাজে কথা কিভাবে বলা হয়? কি অসভ্য ও বর্বর তারা!
হুমম... আসলেই তো অসভ্য ও বর্বর! কিন্তু এবার যারা নারীর ব্যাপারে ওই ধরনের মন্তব্য করেছে তারা কিন্তু কাঠমোল্লা নয়! মোল্লারা কখনোই ওই ধরনের মন্তব্য করেনি। এসব কথা যারা বলেছে তারা এদেশের সবচেয়ে সুশীল, আধুনিক, প্রগতিশীল, নারী অধিকারপন্থী বলে দাবীদার মিডিয়া! নারীদের চাকরি নিয়ে প্রথম আলো অভিসার থেকে অফিসে শিরোনামে ও banglanews24.com বসকে আকর্ষণে যে রঙে ঠোঁট রাঙাবেন! শিরোনামে একই দিন দুটি রিপোর্ট করে। মোটামুটি তারা যা বলতে চেয়েছে তা হলো-
১। রঙিন ঠোঁটের হাসিতে যদি একবার বসের হৃদয় নাড়া দিতে পারেন, তবে পদোন্নতির পথ পরিষ্কার! লাল ঠোঁটের অভিব্যক্তি কেবল অভিসারের দিন কিংবা নৈশ নিমন্ত্রণের জন্য তুলে রাখার দিন শেষ।
২। গাঢ় ও আবেদনময়ী মেকআপ মেখে বসদের প্রতি দুর্বলতার ভান করে আচরণ করলে কর্মস্থলে পদোন্নতির পথ গতিশীল হয়।
৩। বসদের মন পটানোর জন্য ছোট সাইজের ব্লাউজ ও হাই হিলের জুতা পরা।
৪। বসের সঙ্গে ‘ফ্লার্ট’ করা বা বসকে আকৃষ্ট করতে পারাটা চাকরিতে উন্নতির একটা অন্যতম চাবিকাঠি।
অর্থাৎ নারীর অন্য কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই, ছোট-খাট, খোলামেলা ড্রেস পরে, উগ্র মেকআপ নিয়ে, ঠোঁট লাল করে, বসের সাথে ফ্লার্ট করে, বসকে আকৃষ্ট করতে পারলেই নারী সফল! এসব করবেন তো জিতবেন, না হলে হারবেন! বসরা নারী কর্মীর কাছে এসবই চায়, এসব যে নারী দিতে পারবে তারাই শুধু এগিয়ে যাবে! অফিসে নারী নিয়োগ দেয়া হয় এসবের জন্যেই!
এসব কথা কিন্তু কোন কাঠমোল্লার নয়, গ্রাম্য কোন অশিক্ষিত মানুষের নয়! এসব পরামর্শ আমাদের দেশের উচ্চমার্গীয় সুশীলদের! যারা নারী অধিকার নিয়ে সারাদেশ তোলপাড় করে! ওদের নারী অধিকারের শ্লোগানের আসল উদ্দেশ্য কি, সুশীলরা ঠিক কোন পথে নারীকে তথাকথিত প্রগতির পথে নিয়ে যেতে চায় তা একেবারে উদাহরণ সহ বলে দিলো!
হেফাজত ইসলামের মাওলানা সফি সাহেব নারীদের সতর্ক করে বলেছিল নারী, তোমরা ঘরের বাইরে অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দাও, খুব প্রয়োজন না হলে ঘরে থাকো, নিজের পরিবারকে সময় বেশি দাও। বাইরে যেতে হলেও এমন ভাবে যাও, যাতে তোমার সৌন্দর্য সবার সামনে উম্মূক্ত না হয়ে পড়ে। কারণ বাইরে লম্পট পুরুষরা তোমাদের তেঁতুলের মতো মনে করে, তোমাদের গিলতে চায়!
এটা বলার পর তথাকথিত সুশীলদের কি চিৎকার, গালাগালি! নারীকে তেঁতুল বলেছে মোল্লারা! বলেছিলাম না ওরা নারী অধিকারের পরিপন্থী! মোল্লাদের দৃষ্টি নারী যোগ্যতার দিকে নয়, ওদের দৃষ্টি শুধু নারীর শরীরের দিকে ইত্যাদি ইত্যাদি!
শফি সাহেব কি বলতে চেয়েছিল আর সুশীলরা কি বুঝলো! শফি সাহেব নারীদের সতর্ক করেছিল লম্পটদের যে লালসার ব্যাপারে সে লালসাই কি প্রথম আলো ও banglanews24.com এবার প্রকাশ করে দেয়নি? নারীকে কে তেঁতুল বানাতে চায়? মোল্লারা না সুশীলরা? তথাকথিত নারীবাদীদের ঠিক এসব নষ্ট ও অশ্লীল লালসা থেকেই তো নারীদের মুক্ত রাখতে চেয়েছিল শফি সাহেবরা। যারা নারীদের সম্মান দিতে চাইলো তারা হয়ে গেলো অপরাধী আর যারা নারীদের নানা রঙ্গে, আঙ্গিকে, স্টাইলে, কৌশলে ভোগ করতে চায় তারাই হলো সুশীল!
এসবের মাধ্যমে সুশীলরা কি আবারও প্রকাশ করে দিলো না, ওদের দৃষ্টিতে নারী আসলে পণ্য, ওই পণ্যেকে যার সুযোগ আছে, ক্ষমতা আছে সে তার ইচ্ছে মতো ব্যবহার করবে, নারী শরীর সর্বস্ব জীব, নারীর কাজই নষ্টদের লালসা পুরণ করা। নারীর আর কোন যোগ্যতা নেই, কাজ নেই, নারীর একমাত্র যোগ্যতা- শরীর ও তা কত বেশি আকর্ষনীয় ভাবে পুরুষের কাছে তুলে ধরতে পারা! যে বেশি আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করতে পারবে, যত্রতত্র বিলিয়ে দিতে পারবে, সেই নারীই সফল! এসবই কি ওরা বলতে চায়নি ওই রিপোর্টগুলোর মাধ্যমে?
তাহলে নারীদের অসম্মানিত করলো কে, তেঁতুল বানালো কে, মাওলানা সফিরা না সুশীলরা?
বিষয়: বিবিধ
৪৭৬৩ বার পঠিত, ১২৩ টি মন্তব্য
Advertisement
?
পাঠকের মন্তব্য:
©somewhere in net ltd.