নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আগুনের কথা বন্ধুকে বলি,দুহাতে আগুন তাড়,কারবালা হয়ে খসে পড়া ফুল রক্তের চেয়ে গাঢ়

অরণ আকাশ

জীবন নামক চৌম্বকক্ষেত্রের টানে ফিরে আসতে হয় বারবার।সুদূরে হয়ত আনন্দনগর

অরণ আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি জানেন সাউন্ড স্পিকারে কিভাবে শব্দ তৈরি হয় :-B

০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৩৪



গত কয়েকদিন ধরে একটা কৌতুহল হচ্ছিল, সাউন্ড স্পিকার কিভাবে কাজ করে? ছোটবেলা স্পিকার ভেংগে কত চুম্বক বের করেছি, শুধু আমি না অনেকেই হয়ত করেছেন,বিভিন্ন এক্সপ্রিরিমেন্ট করেছেন।এমনি জানতাম যে সাধারণ দন্ড চুম্বকের দুই প্রান্তে দুই মেরু কাজ করে কিন্তু গোলাকার চুম্বকের দুই প্রান্ত যে কিভাবে থাকে তা কিছুতেই মাথায় ঢুকত না।যাই হোক হালকা একটু পড়াশোনা করার পর জানতে পারলাম লাউড স্পিকার কিভাবে কাজ করে।তো যারা জানেন স্পিকার কিভাবে শব্দ উৎপন্ন করে তারা তো জানেনই আর যারা জানেন না তাদের জন্য নিচে স্পিকারের মেকানিজম শেয়ার করলাম।



মেকানিজম বুঝতে হলে আমাদের এর ভেতরের মূল অংশগুলোর সাথে পরিচিত হতে হবে।আসুন দেখি এর ভেতর কি কি অংশ থাকেঃ



*পার্মানেন্ট ১টা ম্যাগনেট

*টপ প্লেট

*মেটাল বাস্কেট

*ভয়েস কয়েল

*স্পাইডার

*সারাউন্ড,কোণ এবং

*ডাস্ট ক্যাপ ।



সাউন্ড উৎপন্ন করার মেকানিজম আর কিছুই না স্পিকারের কালো পর্দার নিচে একটা একটা অস্থায়ী ও একটা স্থায়ী চুম্বকের মধ্যে আকর্ষণ ও বিকর্ষণের ফলাফল। অস্থায়ী চুম্বকটা হল ভয়েস কয়েল আর স্থায়ী চুম্বকটা হল এর গায়ে লাগানো কালো গোলাকার চুম্বক যার মাঝখানের ফাকা জায়গায় ভয়েস কয়েলটি লাগানো থাকে। মূলত ম্যাগনেটিক ফিল্ডের আকর্ষণ-বিকর্ষণে স্পিকারের পর্দা কাপাকাপির কারণে সামনের বাতাসে কম্পন সৃষ্টি হওয়ার ফলে আমরা স্পিকার থেকে ভেসে আসা শব্দ শুনতে পাই।

স্পিকারের ভেতরের গঠনটা অনেকটা এরকমঃ পার্মানেন্ট ম্যাগনেটের একপাশে পোল পিস ও অন্যপাশে টপ প্লেট যুক্ত থাকে।টপ প্লেটের গায়ে একটি চাকতি বা্ মেটাল বাস্কেট গ্লু দিয়ে লাগানো থাকে এবং ম্যাগনেট ও টপ প্লেটের মাঝে যে হোল(গর্ত) থাকে তার মধ্যে ভয়েস কয়েল(প্যাচানো তারের কুন্ডলী) বসানো হয়।তারপর ভয়েস কয়েলের সামনের অংশ হলদে বা লালচে স্পাইডার ও তার উপরে কালো কোণের মত পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ঐ কালো পর্দার মাঝখানে দেখবেন একটা গোল উচু অংশ (নিচের চিত্রের মত) থাকে যাকে ডাস্ট ক্যাপ বলে।



যখন ভয়েস কয়েলের ভিতর দিয়ে ইলেকট্রিসিটি প্রবাহিত হয় তখন তা অস্থায়ী ম্যাগনেটিক ফিল্ড লাভ করে।কয়েলের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ইলেকট্রিসিটি অল্টারনেটিভ বা AC current হওয়ায় এর প্রান্ত নির্দিষ্ট সময় পরপর এটি একবার পজেটিভ ও একবার নেগেটিভ চার্জ লাভ করে অর্থাৎ ম্যাগনেটিক ফিল্ডের পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন ঘটে। ভয়েস কয়েলের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের এরূপ পরিবর্তনের ফলে তা এর সাথে সন্নিবেশিত গোলাকার পার্মানেন্ট ম্যাগনেটের ম্যাগনেটিক ফিল্ড দ্বারা পর্যায়ক্রমে আকর্ষিত ও বিকর্ষিত হয়ে সামনে পিছনে যাওয়া-আসা অথবা ভাইব্রেট করে।যার ফলে ভয়েস কলের সাথে লাগানো কালো পর্দাও ভাইব্রেট করে।একটু হালকা জোরে গান ছেড়ে স্পিকারের পর্দার উপর হাত রাখলেই ভাইব্রেশনটা আশা করি টের পাবেন।এই ভাইব্রেশনের কারণেই স্পিকারের সামনের অংশের বাতাস আন্দোলিত হয় এবং শব্দের সৃষ্টি হয়। আর এভাবেই ইলেকট্রিক সিগন্যালের শব্দ শক্তিতে রূপান্তর ঘটে।



লাউড স্পিকারের মেকানিজম তো বুঝলাম তবে এবার ফুল ভলিউমে একটা গান শোনা হয়ে যাক কি বলেন?;)



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫৪

অনিক বলেছেন: আপনার পোস্ট ভাল লাগলো। একসময় নিজের খুব শখ ও আগ্রহ ছিল লাউডস্পীকার নিয়ে, আপনি সেটা স্মরণ করিয়ে দিলেন।

এক সময় লাউডস্পীকার নিয়ে অনেক গবেষণা করেছি, কারণ আমি একজন সিরিয়াস অডিও লাভার ছিলাম। নিজের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী লাউডস্পীকার তৈরী করেছি। বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের স্পীকার কিট আনিয়েছি। "উফার" (woofer)- লো ফ্রিকোয়েন্সী বা বেজ-এর জন্য ২০-৩০০ হার্টজ্, "মিড রেন্জ" (mid range)- ভোকাল বা মধ্যম ফ্রিকোয়েন্সীর জন্য ৩০০-১২০০/১৫০০ হার্টজ্ এবং "টুইটার" (tweeter)- হাই ফ্রিকোয়েন্সী বা ট্রেব্যল্-এর জন্য নিজেই ক্রসওভার (cross-over) ডিজাইন করেছি। জীবনে পৃথিবীর নামি-দামী বিভিন্ন ব্রান্ডের স্পীকারের সাউন্ড শোনার সৌভাগ্য হয়েছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩৩

অরণ আকাশ বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, অনিক ভাই।
আপনি দেখছি তো স্পিকার স্পেশালিস্ট। শুধু কি শখের বশে স্পিকার নিয়ে কাজ করতেন নাকি?

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫৮

শশী হিমু বলেছেন: আমি জিপি মডেম চালাই, লাউডস্পীকার অন করলেই মডেম এর জন্য ক্যা ক্যা পু পু শব্দ হয়, এর থেকে উত্তরন হবে কেমনে জানান যদি জেনে থাকেন।

লেখা ভালো লেগেছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩৮

অরণ আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ, মডেমের চালানোর সময় স্পিকারের প্যা পু X(( X(( শব্দ আসলেই খুব বিরক্তিকর।
এর থেকে উত্তরণের একটা উপায় নিচের কমেন্টে আশাকরি পাবেন।ভালো থাকবেন

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০৮

ডাইনোসর বলেছেন: খুবই সুন্দর পোষ্ট। সব স্পিকারের গঠন কি একই? উফার আর স্পিকারের মধ্যে ব্যবধান কি?




শশী হীমু @ আমারও এই সমস্যা হতো। আমার স্পিকার মনিটর থেকে দুরে রাখার ফলে এখন কোন শব্দ হয়না। আপনিও দেখতে পারেন।

০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫১

অরণ আকাশ বলেছেন: ডাইনোসর@সব স্পিকারের Inernal গঠন মোটামুটি একইরকম।
উফার একধরনের স্পিকার;উফার সাধারণত লো ফ্রিকোয়েন্সির(২০ হার্টজ থেকে ১ কিলোহার্টজ বা তার থেকে একটু বেশী) সাউন্ড Produce করে

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪১

কাঁটা বলেছেন: bujhlam. kintu gramophon ki vabe sound produce kore? akhane to current o nai magnet o nai.

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫২

রাব্বি ! বলেছেন: উপরের মন্তব্যের উত্তর:

স্পিকারে যে শব্দ হয় তা আসলে মোডেমের দোষ না, দোষ আপনার স্পিকার সিস্টেমের। স্পিকার সিস্টেম যদি ভালোভাবে আর-এফ শিল্ডেড না থাকে তাহলে সেটার প্রি এম্প বা পাওয়ার এম্পের ইনপুটের তার বাতাস থেকে মডেমের রেডিও ফ্রিকুএন্সি রিসিভ করে স্পিকারে চালান করে দেয়। ভালো স্পিকার সিস্টেমের সার্কিট সবসময় মেটালের বক্স গ্রাউন্ডেড করে তার ভেতরে থাকে। আপনি সপিকার দুরে রাখলেও ইনপুটের তার যেটা পিসিতে লাগানো সেখান থেকে আরএফ লিকেজ হতে পারে। আর এফ লিকেজ বন্ধ করতে টরএড কোর বা চোক ব্যাবহার করতে হবে তার যেখানে স্পিকারে প্রবেশ করেছে সেখানে। এই চোক বিভিন্ণ রকম হয়, সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায় স্ন্যাপ অন টাইপ। টেলিফোনের প্যাচ কর্ডের মাথায় যে কালো রঙের পাথরের মতো একটা বস্তু থাকে সেটাই এই ফেরিট কোর। ছবিতে দেখলে চিনতে পারবেন:
Click This Link ferrite ring snap.jpg

০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:১১

অরণ আকাশ বলেছেন: রাব্বি ভাই,আপ্নাকে অনেক ধন্যবাদ এই প্যা পু শব্দ তৈরি হওয়ার পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে কৌতুহল নিবৃত্তি করার জন্য

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৫৬

অনিক বলেছেন: বলতে পারেন শখের বশে এবং কিছুটা গবষেণা। আমাদের জানার বিষয় ছিল মানুষ শুধুই গান শোনার জন্য শখ করে এতো দাম দিয়ে (আমার দুই বন্ধুর কাছে দুই জোড়া স্পীকার আছে যার মূল্য তিন লক্ষ টাকারও অধিক ব্রান্ড হলো "ক্লিপস্ হর্ণ" ও "জেবিএল এভারেস্ট") কেন লাউডস্পীকার কেনে? মোটামুটি ভাল একজোড়া স্পীকার হলেইতো হয়। আমরা কয়েক বন্ধু মিলে স্পীকারের ব্লাইন্ডফোল্ড টেস্ট নিতাম। একই ভল্যুউম সেট আপে একই এমপ্লিফায়ারে একই গান বাজিয়ে পাশাপাশি কয়েক পেয়ার স্পীকার কালো পর্দার আড়াল থেকে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনে মার্কিং করতাম। শেষে মিলিয়ে দেখতাম কোনটা শব্দ সবচেয়ে সুন্দর ও পরিস্কার। অবশ্যই দামী স্পীকারের পারফরম্যান্স ভাল হতো। তবে এমপ্লিফায়ারের ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিল উল্টো। ৩ লাখ টাকা দামের "ম্যাকিন্টোশ" বা "ক্রেল" এর চেয়ে ৭ হাজার টাকা দামের পাইওনীয়ার কখনোই খারাপ শব্দ ডেলিভারি দিত না। তাই এমপ্লিফায়ারের পেছনে ইনভেস্টমেন্টটা মোটেও ওয়ার্থফুল ছিলনা বলা যায় ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট। বরং বাড়তি টাকাটা ভাল কোন স্পীকার বা অডিও ইক্যুইপমেন্টে ইনভেস্ট করা বুদ্ধিমানের বিবেচনা করা হতো। বলতে পারেন একসময় অডিও ক্রেজি ছিলাম।

০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:২০

অরণ আকাশ বলেছেন: ৩ লক্ষ টাকা দামের স্পিকার B:-) B:-) ।মানুষের শখের তোলা আসলেই আশি মণ।
ইসস!!!!!আপনার মতো এক্সপিরিমেন্ট করতে পারতাম।যাইহোক সবসময় ক্রেজিই থাকবেন আশা করি।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:২৬

আলআমিন মিরাজ বলেছেন: ভাইয়া এত সুন্দর কইরা লেখছেন। :-B আজীবন খালি গানই শুইনা গেলাম এর ভিতরে কি যে আছে তা জানতাম না। অনেক ধইন্যা। সাথে ++++ :)

০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১:৪২

অরণ আকাশ বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধইন্যা ;) ;) ;) ;) ,আপনার একই অংগে এতরূপ ভাইয়া.।.।.।.। !:#P !:#P .।।।

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:২০

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: হায় ! হায় ! অরন আকাশ এটা কি করলা,তোমার এই পোস্ট ছাড়া যে সোকেচটা খালি খালি লাগবে, তাই কিছু মনে করবা না স্টার বাটন টায় কইশা একটা চিপ দিছি।

পোস্টের ব্যাপারে কি আর বলব, ফাটন্তি পোস্ট দিছ...+
++ +++ +++++ ++++++++

১০ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫০

অরণ আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ,শব্দহীন জোছনা পোস্টটি প্রিয়তে নেয়ার জন্য।পোস্টটা লিখতে সাহায্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ

৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৩

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: নতুন জিনিস জানলাম এই পোষ্ট থেকে। ++++++

১০ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫৪

অরণ আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ@চাটিকিয়াং রুমান।হুম আসলেই জানার আছে অনেক কিছু ;)

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৫

বাংলা আমার প্রাণ বলেছেন: আমি কিছুই বুঝি নাই। কয়েলে মধ্যে দিয়ে শব্দ কিভাবে আসে। চম্বুক গুলো কি শব্দ বাড়াতে সাহায্য করে। গানতো বাজে কয়েলে। শব্দ কয়েলের মধ্যে পাঠায় কিভাবে। কম্পনের মাধ্যমে গান বাজে কিভাবে।

আরো বিস্তারিত জানা জন্য কি করতে পারি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.