![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
এত দিবস হয়েছেনা আমাদের, যে এখন আর কোনো মুক্ত দিবস পাওয়া মুসকিল। রাতগুলো মুক্ত হলেও ঘুমেই কেটে যায়। হায়রে দিবস, আমাদের অনুভূতি গুলোকে সীমাবদ্ধ করার সব চাইতে বড় হাতিয়ার এখন এটি। এখন আর আমাদের সম্পর্ক নিয়মিত নাই। হয়ে গেছ দিবস কেন্দ্রিক। উদাহরণ দিই-- প্রায় ১ মাস আগে এক বন্ধুকে ফোন দিলাম- নো অ্যানসার, দুই দিন পড়ে আবার দিলাম, কাজ হলোনা। কয়েকটা মেসেজ দিলাম তাও হলোনা। আজ মেসেজ দিসে। "জীবন হলো কবিতা, আর বন্ধুত্ব হলো তার ছন্দ" ।
-কি ব্যপার তোমাকে তো আমি অনেক ফোন দিলাম, তুমি উত্তর দিলেনা কেন।
" আস- দোস্ত ব্যস্ত আসিলাম।"
আজ বন্ধু দিবসে বেস্তনা নাই, আর থাকলেও আজ যে সমাজ রক্ষার দিন।
সারা বছর ধরে সরকারি লোকজন গাছ কেটে পথের ধার কলেজের মাঠ বনভূমি উদ্যান উজার করে দিলেও বৃক্ষ রোপনের একটা দিবস আছে, সেই দিবসে প্রধান মন্ত্রি সহ বড় বড় নেতারা বৃক্ষ রূপন করবে। এবং সবাইকে গাছ লাগাবার উদাত্ব আহবান জানানো হবে- বিটিভির (বদর বদর) টিভির মাধ্যমে।
ভালোবাসা দিবসে তো বাজারে ফুলই থাকেনা। কেও যদি (১৪ ই কি মাস যেন) তারিখ বিকাল বেলা ঐষধ খেতে চায় তাও একটা ফুল পাবেনা কিনা সন্ধেহ। আ জাতীয় দিবসের তো অভাব ই নাই, যে মহিয়ষী নারী যখন খমতায় থাকেন তার পচন্দ মতো নতুন নতুন দিবস এসে হাজির হবে আমাদের পুলকিত মনে। আমরা নেচে গেয়ে দিবস পালন করি।
আচ্ছা আমরা এত নাচি কেনো? নাচার কোন নির্দিষ্ট দিবস থাকলে ভালোহতো। আমরা আর কোলটা রাজনীতির জন্য সারাবছর নাছতাম না। একদিন ঘটা করে নাচলেই শেষ। নাম হবে বিশ্ব রাজ-নৃত্য দিবস। আচ্ছা এত দিবস বানায় কে?
©somewhere in net ltd.