![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
অনেক খুজেছি আমি তারে শহরের রাস্তায় গুগুলের পাতায়
তবুও পাইনি তারে ও হে জিবনানন্দ ভাই
বিদর্ব নগরটা কুনদিকে তারা তারি বলেন
সেই খানে থাকিলে থাকিতে পারে এ যুগের বনলতা সেন।
এত বনলতার ভিরে কইযে হারাইলো----
আজকে সবাই বনলতা । রাস্তা ভরা বনলতার ভিরে আমার উদ্যান লতা কই যে হারাইয়া বসিয়া আছে তারে গোগোল হারিকেন লইয়া তুকাইয়াও পাইলামনা। ওনার আবার ফেস বুকড়া দিয়া ঢাকা থাকে তাই ফেসবুকেও পাইলামনা। কি আর করা- আবার রাস্তায় বাহির হইলাম। এই বার বনলতার সন্ধানে নহে। উদরের ভূদর তাড়াইবার তাাগিদে। আজিকার এ নব বরষে ১০ টাকায় রিকশা পাইব ভাবিনাই। কিন্তু বড় রাস্তায় আসিয়া করণ খানা বুঝিতে পারিলাম বটে। দলে দলে হন্টন করা হইতেছে এইখা হইতে ওইখানে। সকল বৃক্ষ বনলতা পুষ্প বনলতা এবং কলি বনলতা কেহই রিকশায় উঠিতেছেনা। আর ডারউইনির বান্দর গুলো সব মানুষ হইয়া গামছা মাথা জীবনানন্দ হইয়া গিয়াছে। তাহারা রিকশায় উঠিবে কেন? এমনিইত তাহারা লক্ষ লক্ষ বছর যাবত হাঠিতেছে, আর আজিকার এই নববরষে এত সব বনলতা পথে বাহির হইল হাজার বছর যাহাদের তরে খা লি খাালি হাটিয়া বেড়াইল তাহাদেরকে সামনে পাইয়া আর কি গাড়িতে উঠিবার উপায় থাকিল। পান্তা দিয়ে ইলিশ খাইতে পারেত তা বলে এত বেকুব না।
রিকশা চলিছে, খেয়াল করিলাম আমার রিকশাওয়া যেন একটু খানি মুচকি মুচকি হাসিতেছে।
চারিধারে বনলতা- মুখে মুখে কত কথা
চলিছে রসকথন- জনে জনে প্রতিজন
আমার রিকশাওয়াই বা চুপ থাকিবে কেন। হঠাত দেখিলাম গাড়িতে মানুষে মিলিয়া মিশিয়া একাকার, যেন দলা পাকাইয়া গেল
নারীতে পুরু-তে শিশুতে বুড়োতে হিজিবিজি/হিবিজিবি লাগিয়া গিয়াছে।
আর চলিছে মশল্লা মাখা টিজিং। আস্তে কহিয়া বলিলাম--
"বেপার খাানা বেয়াদবি হয়ে যাচ্ছেনা।"
যেন আমি মহা অন্যায় কিছু কহিলাম, কেহ কেহ চোখের ভাষাায় কহিয়া দিল "এমন কথা এই জগতে কোন মানুষ কহিতে পারে" ? অপরাধ করিয়াছি, মনে মনে কহিলাম ঘাট হইয়াছে বাবাজিরা।
জাাম ছুটিল রিকশা সামনে চলিল- পৌরসভা মেলা বসাইয়াছে। সেই খাানে অনেক মানুষের ভিড়। বেশি অংশই শিশু। মেলা হইতে ডারউইনের ৭(সাত)খানা নব্য বান্দর - (বেশি হইলে ১৪ বৎসর আগেহ বিবর্তিত হইয়াছে। জঙ্গলে নয় মাতৃ গর্ভে) দৌরাইয়া বাহির হইলো এবং সামনের দিকে দৌরাইয়া জাইতে লাগিলো। আমার রিকশাও আগাইতেছে। ঘটনা বুঝিতে নজর দিলাম--
সামনে দুইখানা বনলতার কলি এখনো ফুটিবার নাম গন্ধনাই। কেবল মফস্যল সহরের রাস্তায় একলা চলিতে শিখিয়াছে। অনেকটা পলায়নের মত হাটিতেছে।
কিন্তু ঐ ডারইউনের বান্দরের বাচ্চাগুলো গিয়ে এদের ঘিরে ধরিল কেনো?
এই রিকশা জোরে চালাওত--
রিকশা কাছে আসিলো= তাকাইয়া দেখিলাম পিচ্চি দুইটা মেয়ে বয়স কত হইবে! বেশি ত বেশি ১২ , তাদের অসহায় করুন ভয়াদ্র দৃষ্টি --
বান্দরদের জবানিতে যাহা ছিলো তাহার একটি বাক্য এইখানে তুলিয়া দিলাম--
" হুন্তাইনা কেনে, আমি আফনের সাাথে প্রেম করতাম।"
রিকশার হুট নামাই বইসা আছি এমনিতিই গড়ম। মাথা গরম দেহ গড়ম, এমন পিচ্চি বান্দরের মুখে এমন কথা শুইনা। কান গরম হইয়া মাথা পর্যন্ত গরম হইয়া গিয়াছে। মনে হয় চুলের আগাও গরম হইয়া গিয়াছে। অসহায় করুন চোখে ছেলেগুলোর দিকে তাকাইলাম- ।
তবে আসার কথা এই যে আমার কিছু করিতে হইলো। ইহাদের মধ্য হইতে একখানি বান্দর মনে হইতাছে কিছু ভরকাইয়া গিয়াছে। সে ঐ প্রেমিক বান্দরের মাথায় একটা ধাক্কা মারিয়া কী জানি কহিলো, বাস শুরু হইয়া গেলো মারামারি। বান্দরেরা দুই দল হইয়া গিয়াছে। ইহারা যুদ্ধ্যে লিপ্ত। এই ফাকে মেয়ে গুলো নিরাপদ কোন গলির ভিতর হারাইয়া গিয়াছে। কেহ খেয়াল করিলনা । বনলতা গায়েব।
(আজ কাল ভাালোবাসা শিশুতে বিরাজিত। ঠিক বোঝাা যাচ্ছেনা ভালোবাসার পেকেজ নাম্বার কত। )
ঘটনা আরো ঘটিয়াছে তবে সকল ঘটনা কহিলাম না। কারণ --
যাহারা বেকুব জাাতি খাায় ইলিশে পান্তা ভাত
তাহাদের মনে জাগিতেই পারে ঐতিহ্যের প্রতিবাদ।
আসলে পান্তা আমাদের ঐতিহ্য নাকি বেদনা???
©somewhere in net ltd.