নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একের পর এক পিটিয়ে হত্যা চলছেই, সাথে সমানতালে চলছে বাবা-মার হাতে সন্তান খুনের ঘটনা, কিন্তু কেনো?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৬

আমার গ্রামে একেবারে আমার বাড়ির কাছে একটি ভয়াবহত ঘটনা ঘটলো। একটা ৭-৮ দিনের শিশু বাচ্চা অনবরত কানতেছে, থামানোই যাচ্ছেনা, সারা রাত সারাদিন। মাঝে মাঝে চোখ উল্টে যাচ্ছে। ঐ বাচ্চার দাদি স্বঘোষিত কবিরাজ। সে ঘোষণা করলো বাচ্চাকে ঠাকুরনি ধরছে। এইটা মানুষের বাচ্চানা, এইটা একটা পেতনির বাচ্চা। পেতনি বাচ্চাটাকে চুরি করে নিয়া গেছে, পরিবর্তে তাদের একটা বাচ্চা দিয়ে গেছে।
কাছেই একটা প্রকান্ড মেড়াগাছ, মগডালে বেশ কিছু পাখির বাসা আছে। আছে দাঁড়কাকের বাসা এবং শকুনে বাসা। ওই মহিলা চোখ বন্ধ করে কয়েক পাক বচ্চাটার চার পাশ ঘুরলো। তার পর একটু জুড়ে ফিস পিস করে বললো ঐ গাছের আগায় আছে আসল বাচ্চা। তারে পাইতে হলে এই বাচ্চাকে গরম পানিতে চুবাইতে হবে। এরে গরম পানিতে চুবাইলেই ঐ পেতিনি তার বাচ্চাকে বাচাইতে গিয়ে আমাদের আসল বাচ্চা দিয়ে যাবে।

কিন্তু প্রতিবেশির বাধার মুখে তারা এই জঘন্য কাজটি তাতক্ষনিক ভাবে করতে না পারলেও গভীর রাতে ঠিকই এই জঘন্য কাজটি তারা করলে। চুলার আগুনে পাকতোলা পানিতে তারা বাচ্চাটিকে ছেড়েদিলো!! নিমেসে সিদ্ধ হয়ে গেলো বাচ্চাটা, কী ভয়াবহ। কিন্তু ভুতে আর আসল বাচ্চ দিয়ে গেলোনা।
ঘটনাটি মিডিয়া বিপ্লবের আগে, যে কারনে হয়তো দেশের মানুষ বা ভিনগায়ের কেউ জানেনি। কিন্তু পড়ে ঐ কবিরাজ মহিলা ধিরে ধিরে মানুষিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলেছিলো।
কিন্তু এখানে ভাবার বিষয় হচ্ছে ঘটনাটা ইচ্ছাকৃত নৃশংসতা নাকি একটি ভুল বিশ্বাসের বলিদান? একজন মায়ের সামনে তার শিশুকে গড়ম পানিতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে আর মা ঘটনাটির ভয়াবহতা উপলব্ধি করেও নির্বিকার, এমনটা কেন হলো?
আজকের প্রথম আলোর নিউজটা দেখেন:
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে ‘জিনের আসর’ ছাড়াতে গিয়ে সাড়ে তিন বছরের মেয়ে সুমাইয়াকে পিটিয়ে ও নির্যাতন মাধ্যমে হত্যা করেছেন মা-বাবা
আচ্ছা একটা সন্তান জন্ম দিতে যে কষ্ট হয় তার তুলনা দেয়ার মত দৈহিক কষ্ট কি আর এই পৃথিবীতে আছে? আমার ধারণা নাই, আপনারও তাই হবার কথা। সুমাইয়ার মার যদি ভালবাসা নাই থাকতো তাহলে এত কষ্ট করে একে জন্ম দিতোনা। নিশ্চয় ভালোবাসা তাদের মাঝেও ছিলো। তার পরও এমনটি কেনো হলো?
সুমায়ার মা বলেছে অভাবে সংসারে একাধিক এনজিওর ঋনের বোঝা। এই সব বইতে না পেড়ে তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জিনে ধরা রুগির চিকিতসা করতো।

কয়দিন আগে চিটাগং এর এক বাবা কাজ হারিয়ে তিন মাস বেকার থাকার পর নিজেই তার দুই সন্তানকে কুপিয়ে মেরে ফেলে।
এনাম হাসপাতালের ৮ তলা থেকে আরেক বাবা তার শিশু সন্তানকে ফেলে দিয়ে হত্যা করলো।

এমন ঘটনা অহরহই ঘটছে, আপনি অনলাইন মিডিয়ায় যান অথবা অন্য যেকোন মিডিয়া। কয়টা উল্লেখ করবো? উদাহরণ হিসাবে সদ্য ঘটিত এই কয়টিই দিলাম।
কিন্তু আমার প্রশ্ন:
এরা কি এদের সন্তানকে ভালোবেসে জন্ম দেয়নি? অবশ্যয় ভালোবেসে জন্ম দিয়েছে। তবে কেনো আবার মেরে ফেলছে? অথবা আমি বলবো বাধ্য হচ্ছে?

ঘটনাগুলি কি এমন, যে জীবনটাই তাদের কাছে অর্থহীন হয়ে গেছিলো? তারাকি আর জীবেনর বোঝা বইতে পারছিলোনা। যার ফল হিসাবে ভালমন্দ বোধ তাদের লোপ পেয়েছিলো। এক পর্যায়ে নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার যে মানুষসিক যন্ত্রনা তা যেন সন্তানকে সইতে না হয় অথবা আত্নমুক্তির আর কোন বিকল্প পথ না দেখে এই সকল ভয়ানক কর্মকান্ডকেও তাদের কাছে আর ভয়ানক মনে হচ্ছেনা?
জাতি হিসাবে কি আমরা হতাসা গ্রস্থ?
প্রথম যে ঘটনাটি উল্লেখ করেছি এটি সম্পূর্ণ কুসংস্কারের ভয়াবহতম ফল, যেখানে আমাদের শিক্ষার অভাবটাই ফুটে উঠে। কিন্তু পড়ের গুলোকে আপনি কী বলবেন? এগুলোকি সামাজিক অবক্ষয় নয়। আমাদের যে আর্থসামাজি বৈসৈম্য তার জন্য কি এককভাবে আমরা দায়ী নাকি পুরা সমাজব্যবস্থাই দায়ী? আমি জানিনা। আমার কাছে এসকল কোন আলোচনার উত্তর নাই। আমি কোন বিচারও করছিনা এবং কাউকে নির্দূষ ও দেখানোর চেষ্টা করছিনা। আমি কেবল যা অনুধাবন করতে পারছি তাই বলছি।
আমরা কি পারিনা কুসংস্কার দুর করার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে এবং যে সকল মানুষ জীবন চলার পথে খেই হারিয়ে ফেলে এবং হতাসাগস্ত হয়ে পড়ে তাদেরকে বুদ্ধি দিয়ে সাহস দিয়ে পরামর্শ দিয়ে আবার আশাবাদী করতে? কিংবা স্বপ্ন দেখাতে?

স্বপ্ন ছাড়া যে মানুষ সুস্থভাবে বাঁচেনা, মরে যায় অথবা মানুষিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলে।
আমাদের সামাজিক ব্যবস্থাটাকি আস্তে আস্তে আমাদের স্বপ্ন কেড়ে নিচ্ছে?
পিটিয়ে যাদের হত্যা করা হলো তাদের জন্য বুকের মধ্যে যে ক্ষতর মতো হয়েছে সেখানে আবার নতুন করে ঘা দিলো শিশু রবিউল হত্যা। আজ আর লিখতে ইচ্ছে করছেনা। অন্য দিন বলবো , জাতি হিসাবে আমরা মানুসিক বর্বরাগ্রস্ত। মানে বর্বর নাকি আমাদের মনের গভীরে কাবিলের জিন বসত করে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: স্বপ্নহীন সমাজ...

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

মাসূদ রানা বলেছেন: শিরোনাম দেখে খুব আগ্রহ নিয়ে এসেছিলাম পোস্টটা পড়তে ......... কিন্তু পড়ে হতাশ হলাম । ভেবেছিলাম আপনি সমাজের মানুষগুলোর ক্রমেই নৃশংস হয়ে ওঠা নিয়ে কিছু লিখেছেন । কিন্তু আপনি লিখেছেন কুসংস্কার নিয়ে । শুধু কুসংস্কার নিয়ে লিখলেও অসুবিধা ছিল না যদি না সেটাকে এনাম হসপিটালের শিশু হত্যাকান্ডের সাথে গুবলেট করে দিতেন।

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২০

প্রথম বাংলা বলেছেন: শিরোনাম দেখে আপনি আগ্রহ নিয়ে এসেছিলেন আমার পোষ্টে, কিন্তু এসে হতাশ হলেন। আর ভালো লাগেনি আপনার, আপনি চলে গেলেন। ঠিক একনটি ঘটছে আমাদের দেশের কিছু মানুষের মনে। জীবন এখন আর তাদের ভলো লাগেনা। তারা হতাস। তাই তারা জীবন থেকে পালাতে চাইছে। এটা আমাদের সমাজ বাস্তবতার অংশ হয়ে গেছে। আমি মানুষ গুলো কতটুকো নৃশংস তা বলতে আসিনি। সেটা সবাই জানে। আমি খোজার চেষ্টা করেছি কেনো আমরা নৃশংস হচ্ছি। কেনো হচিছ আপনি কি বলতে পারেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.