নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ পৃথিবী আমার নয়, কারণ আমি যুদ্ধ করতে জানিনা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

অয়লানের বাবার নাম মুহাম্মাদ। আমাদের নবীর নাম মুহাম্মাদ। নবীজী হিজরত করে মদীনায গিয়ে ছিলেন। মদিনাবাসী তাকে স্বাগত জানিয়ে ছিলো হাসি মুখে। নবীজী আরেক বার অবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলো। সেখানেও সে স্বাগত হয়েছিলেন। আর এখন সমস্ত পৃথিবীর অর্ধেরক স্থলভাগ মুসলিমদের দখলে। কিছু দেশ গরিব হলেও কয়েকটি দেশ আছে বেশ ধনী। যারা পারে অন্তত কোটি খানেক অভিভাসীকে আশ্রয় দিতে। কিন্তু অয়লান ফেমিলি সিরিয়ার হয়েও তাকে আশ্রয়ের জন্য পাড়ি জমাতে হলো ইউরোপ।

আশ্চর্চ পৃথিবী সাগরের মাঝখনের মানুষগুলো যেনো এলিয়েন। তাদের কোন দেশে নাই!! কেউ তাদের গ্রহন করেনা!!!!। মরণ পর্যন্ত সাগরে ভেসে চারবছর বয়সি শিশু যখন মৃত্যুর আগমূহুর্তে কেঁদে কেঁদে বলে ”আমি আল্লার কাছে গিয়ে সব বলে দেবো” তখন হয়তো এ শিশুটি জানেনা যে মানুষের পৃথিবীতে এখন আর আল্লার আইন চলেনা। চলে আমাদের তৈরি জাত বর্ণ ধর্ম আর ধনী গরিবের শ্রেণী বিন্যাস। আর চলে নিজশ্ব সীমান্তের অহমিকা।

যে শিশুটি মরেগিয়ে স্রষ্টার কাছে নালিশ জানাবে যে তোমার পৃথিবীর মানুষ এখন সব বর্বর সার্থপর আর যুদ্ধবাজ আর অইলান এবং তার মত হাজার হাজার শিশু এই হিংসার এই বর্বরতার স্বাক্ষী হয়ে দাাঁড়াতে তার দরবারে। তার বিচারের দায় মুক্তি না নিয়েকি আমরা পার পেতে পারবো। আমরাকি যে স্বর্গ আশাকরে বসে আছি সেটা আমাদের কপালে জুটবে।

যুদ্ধবাজ আমেরিকার ক্ষপ্পরে পড়ে আজ পৃথিবীর পায় ৩০ ভাগ মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ। জীবন সম্পর্কে তাহার হতাস। দরিদ্র দেশগুলোয় নেমে আসছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। যার প্রভাব পড়ছে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মাথা থেকে পা পর্যন্ত। বিপযস্থ শ্রমিক শ্রেনি। অসহায় মানুষরা একটু সহায়তার আসায পাড়ি জমাচ্ছে ইউরোপ এবং আমেরিকায়। মালেসিয়ায়ও যাচ্ছে দেদার। এটি সারা পৃথিবীর চিত্র। পৃথিবীর অর্থনীতি এখনো মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক। আমেরিকা সেখানে একটা চিপা দেয় আর রস ঝড়ে সারা পৃথিবীর।

ধার্মীকদের মাঝে আমরা মুসলমানরাই দাবি করি যে আমরাই সবচাইতে উদার। আমরাই সবচাইতে মানবিক। আমরাই ভালোবাসি বেশি নিজের থেকে অন্যদেরকে। আর আজকে দেখেন যখন পৃথিবী ব্যপী শরনার্থীর প্রায় ৯০ ভাগই মুসলিম অথচ তাদের ঠাই হয় ইউরোপে। অমুসলিম হয়েও তারা আমাদের ঠাই দেয়। আমরা দিইনা। পৃথিবীর ২য় বৃহত্তরা অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব মুসলিশ বিশ্বের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছেনা এমনটা বলার সাহস আমার নাই তবে মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে করে।

স্মরনার্থী সব দেশের জন্যই একটা সমস্যা। তাই প্রথমে ইউরোপের দেশ গুলো হয়তো বাধা বিপত্তি দিয়েছিলো কিন্তু অয়লান মরে যেনো জাগিয়ে দিয়ে গেলো সবাইকে, জাগিয়ে দিয়ে গেলো সারা পৃথিবীর বিবেক। তাবে জগেনি আমাদের, মানে মুসলিমদের বিবেক এবং বুদ্ধি। যে সৌদির প্রত্যক্ষ মদদে আমেরিকা এই স্মরনার্থী সমস্যা সৃষ্টি করলো সেই সৌদি কোন স্মরণার্থীর দায় নিতে রাজি নয়। ইরান ও চাপ নিতে চাচ্ছেনা।
মুসলিম নেতাদের বুদ্ধির দোষে মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশিল। হাজার হাজার মানুষ মরছে, হাজার হাজার হচ্ছে উদ্ধাস্তো। শরনার্থী হয়ে পাড়ি জমাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে। সিরিয়ায় উদ্ধাস্তো বসনিয়া চেচনিয়ায় উদ্বাস্তো। ইরাক ইরানে উদ্বাস্তো আফগানইস্থানে উদ্বাস্তো পৃথিবীর সব জায়গায় এমন কি স্মরণ কালের ভয়াবহ তম উদ্বাস্তো সংকট দেখাদেয় থাইলেন্ডের সাগর পারে।
জাতিগত দাঙ্গায় রুহিঙ্গারা যখন উদ্বাস্তো তখন একটা মুসলিম দেশ হয়েও আমরা কিন্তু পারিনি তাদের আশ্রয় দিতে। সিরিয়ায় শরনার্থী তৈরি করলো সৌদি আর আমেরিকা, ইয়েমেনে শরনার্থী তৈরি করলো সৌদি, ইরাক যুদ্ধে আমেরিকার অন্যতম সহযোগী ছিলো সৌদি, কিন্তু তারা নিচ্ছেনা এক জন শরনার্থীকেও।

মক্কা বিজয়ের পর নবী করিম সাঃ দেখলেন অনেক মানুষ হঠাত করে স্মরনার্থী হয়ে গেছে। মানুষ মানবীক বিপর্জযে পড়ে গেছে। একজন বৃদ্ধ মহিলাও পালিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। কিন্তু তার কাছে এমন একটি বোঝা যা সে বহন করতে পারছিলোনা। নবীজী তার কাছে গেলেন এবং সেচ্ছায় তার বোঝাটি মাথায় তুলে নিলেন। বুড়ি যখন তার লক্ষ্যস্থলে গিয়ে পৌছলো তখন যারা যারা নবীকে চিন্তু তরা বলতে লাগলো হায়, বুড়ি এটি কী করলো। যার ভয়ে আমরা পালিয়ে এলাম তাকেই নিয়ে এলো সাথে করে? নবী জী তাদের অভয় দিলেন। এবং বল্লেন আজথেকে মক্কার সবলোক স্বাধীন।

শরনার্থী সৃষ্টিতে যাদের পত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা থাকবে তারা শরনার্থীদের আশ্রয় দিতে হবে, এটি আমার দাবি, এছাড়া আর কিছু বলার নাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.