নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সারে সাত পার্সেন্ট রাবিশ, বাকিটা খবিশ। সম্পূর্ণ রূপক, এবং কল্পগল্প, এটি সত্যনয়। কারো সাথে মিলে গেলে ক্ষমা চাই। অন্তত সারে সাত পার্সেন্ট

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

সারে সাত, মানে (৭ দশমিক ৫) % এর হিসাবটা ঠিক আমার মাথায় ঢুকতেছেনা, অনেক খাটাখটনির পর বুঝলাম এর চাইতে মহাকাশ বিদ্যা বোঝা সহজ, কিন্তু এই সারে সাত পার্সেন্ট বোঝা সহজ না। এটি কোয়ান্টাম কনার মত একি সাথে কনা আবার তরঙ্গ। বার বার বিস্তার লাভ করছে আর সংকুচিত হচ্ছে। গনিতের পরিবেশে একি সাথে ইহাকে দুই যায়গায় পাওয়া যাচ্ছে বিধায় আমার দ্বারা ইহা বোঝা সম্ভব না বিবেচনা করে প্রস্তান।

আমাদের গানের পাখি বাউল ভাই চলিয়া গেলেন। অত্যন্ত বেদনা পাইলাম। মানুষটা একটু রসিক আছিলো, অতটা খারাপ ছিলোনা। অন্তত কারো কারোমত চোরামনি বা রাস্তা/ব্রিজ ইত্যাদি খেকু ছিলোনা, এই একটু বিড়ি ফুকতো আর গানাটানা গাইতো, বাউল মানুষ আরকি। যাক মোটা কথা চলেই গেলেন।

তবে ১০০০ রে ৭৫০ তার পর ১০০০ এক হাজারে ৭৫০০০ হাজার !!! ৭.৫% সারেসাত পার্সেন্টের এই কোয়ান্টাম হিসাব বলিতেছে চলিবার ডাক আরো যেনো কারো কারো দ্বারে দ্বারে আন্তজাগতিক টিকেট নিয়ে অপেক্ষায়। কেবল হাতে ধরাইয়া দিবার পালা। ডাক এসে গেছে, আবুল তাবুল না বলে গাট্টি মাট্টি গোল করে নেয়াই ভালো। মানে আল্লা বিল্লা করা আরকি।

অবশ্য যদি পরকালে বিশ্বাস টিশ্বাস থাকে তবেই,... তবে সমস্যা নাই এখন মোবাইল কম্পানি যে হারে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিজের সামর্থের করা প্রচার করতেছে তাতে মনে হচ্ছে কয়দিন পর সাড়ে সাত জি (৭.৫) জি নেটওয়াক স্থাপনের আর বেশি দেরি নাই্ । একটু কষ্ট কইরা আর কয়টাদিন বাঁচেন, নিশ্চয় বাউলাভাইয়ের কাছে পর্যন্ত মানে পরকাল পর্যন্ত নেটওয়ার্ক পৌচে যাবে। তখন না হয় ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে একটু যাইনা লওয়া যাবে ইনার সুরতহাল কেমন।

এখনতো ব্লগ লিখার সময় আঙ্গুলে ছাকনি লাগাইতে হয়। আগেতো কেবল আমরা আমাদের পাছে লাগতাম। আর আমাদের এই লাগালাগির ফল কি দাঁড়াইলো, এখন সরকারও আমাদের পাছে লাগছে। মনের মতো আর হয়তো লিখাও যাবো না।

তবে একটা গল্প বলা যায়,
এক লোক হঠাত কইরাই স্বপ্ন দেখলো যে সে মারা গেছে। কী কান্ড, উদ্ভট ব্যপার বলা নেই কওয়া নেই হঠাত মরে গেলাম কেনো? তারপরতো যা হবার তাই হলো, লোকটিকে নিয়ে কবরে দেয়া হলো। কঠিন অন্ধকার, কিছুই দেখা যাচ্ছেনা, কিন্তু কী আজব, সেই অন্ধকারের মাঝে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে একটা কাল বিড়ার একটা ট্রেন চালিযে এনে তার কবরের দরজায় হাজির। ট্রোনটা আরো কালো, কিন্তু ট্রেনটা যে ধোঁযা দিচ্ছে সেটা একদম ফকফকা সাদা। ঘটনা কি?

ঘটনা কি? এই বিলাই ড্রাইভার, ট্রেনের ধোঁযা সাদা কেনো?
আরে ভাই এইটা ট্রেনের ধোঁয়া না, এইটা হইরো ওইযে আমাদের এক ভাই আইছেনা আরে ওইযে বিড়ি টিড়ি খায়? তাইনে বিড়ি খাইতাছে।, এই খানে তো পরকাল এখানের সব বড় বড়, বিড়িও বড়, তাই ধোমাও বেশি।

ও, আচ্ছা তুমি যে এই খানে রেলগাড়ি চালাইতেআছো তোমার তো আমাদের বাংলাদশের রেললাইনে থাকার কথা। ঘটনা কি।
আ... ভাই.. বাংলাদেশের রেলকি আর আমাগো মত কালবিলাইদের দখলে আছে? রেলতো এখন সাদা বিলাইদের দখলে।

আচ্ছা!!!... ? আচ্চা ঠিক আছে, আমি তো মরে গেছি, হে? ত আমাকেতো এখন এই কালেই থাকতে হবে। আর এইটাই হইলো বর্তমানে আমার ইহকাল। পরকাল বলেতো আর আমার কিছু নাই আছে পূর্বকাল। আমার জন্য বরাদ্দ যে বেহেস্ত রয়েছে আমাকে সেখানে নিয়ে যাও। ট্রেন তাকে নিয়ে বেহেস্তের দিকে চললো।
বেহেস্তে গিয়েতো তার চোখে চড়ক গাছ। আরেব্বাপরে, এত বড় বড় বড়ই গাছ আঙ্গুরের লড় এত লম্বা। এত বিশাল বিল্ডিং!!! , মা’শাল্লা যাযাকাল্লা আলহামদুলিল্লা ইত্যাদি সকল প্রকারের দোয়া সে পড়তে লাগলো। দারোয়ান দরজা খুলে দাড়িয়ে আছে, একটু ভিতরে ই দাঁড়িয়ে বাহাত্তর জন হুরপরী, বাহ কী চমতকার। কী সুন্দর।
কালা বিলাই বলতেছে, কি নামবেননা?
লোকটি বললো, এটা আমার বেহেস্ত?
জী।
আচ্ছা আমি বেহেস্তে ঢুকার আগে দুজখ দেখবো। আমাকে দুজকে নিয়ে যাও।
গাড়ি চলতে লাগলো। কিন্তু হঠাত যেনো গাড়িটা কেমন ধাক্কার মতো লাগলো তার পর আর নড়া চড়া বোঝা যাচ্ছেনা ঘটনাকি। এই কি ব্যপার?
কালা বিলাই বল্লো, আরে ভাই দুজখতো আর হাতের কাছেনা, সেইটা এক হাজার কোটি আলোকবর্ষ দূরে। তাই টাইম মেশিন চালো করলাম।
ও তাই। কতক্খন লাগবে? জিগ্যেস করলো লোকটি।
বিলাই জবাব দিলো, সারে সাত ঘন্টা সারে সাত মিনিট সারে সাত সেকেন্ড মাত্র। আবার সেই একটি হিসাব, মাথা ঝিম ধরে আছে।
দেন দেন বাউল ভাই একটা বিড়ি দেন ততক্ষনে একটু ফুকি। কিন্তু একি বিড়িআলা ভাই দেখি বেহেস্তে রইয়া গেলো!! এই বাউল ভাই কই?

ইনিতো পোষ্ট অপিসে গেছে, বাংলাদেশের মন্ত্রি পাড়ায় একটা মেইল করবো কইলো। আরেক জনের জন্য মাউন্ট এলিজাবেদ হাসপাতালের সিট বুকিং বিমান টিকেট এবং সর্বুপরি উপরে আসার টিকেট মেইল করতে গেছে।

লোকটি বললো, সেকি কথা, কার টিাকেট কিসের টিকেট।
ঠিক এই মুহুর্তে কার্বনডাই অক্সাকাইড মিশ্রিত এক ঝটকা গরম বাতাস মিশ্রিত এবং অনেক গুলো ধুলা এসে লাগলো লোকটার গায়।
কী ব্যাপার গরম লাগতাছে কেন, আমরাকি এসে পড়েছি?
বিলাই: জি আমরা এখন দুজখের ভিতরে প্রবেশ করতেছি। আর কিছু পথ গেলেই একেবারে মধ্যেখানে চেলে যাবো।
লোকটি: ঠিক আছে তাড়াতাড়ি চালাও, এই খানে আমি আর বেশিক্ষণ থাকতে চাইনা। আহ বেহস্ত কত সুন্দর, কত চমতকার হুরী রা সেখানে, কত ঠান্ডা, তাড়াতাড়ি চালাও।
কেমনে চালামো ভাই, গাড়িতো চলেনা, যাত্রাবাড়িড় জামে আটকা।
যাত্রাবাড়ি ? কী বলো, জাত্রাবাড়িতো পৃথিবীতে, একেবারে বাংলাদশে?
হ্যা আমরা এখানেই তো এসেছি?
......... অসহায় লোকটি......
অবশেষে কী হলো লোকটির ?
অন্তত সারে সাত পার্সেন্ট সমাধান চাই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপাতঃ বিলাই পৌছে দিলেও পাবেন না সমাধান,নিশ্চিত বলছি!!??যাই হোন না কেন??

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

প্রথম বাংলা বলেছেন: মানে এই নরক থেকে মুক্তি নাই?

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বলতে ভয় এই সারে সাত পার্সেন্ট ভ্যাটের জন্য।। কাভার আজকের লেখাটি পড়া অবধি সেই ভয়েই আছি :( ।।
সুতরাং নিজের মত করেই বুঝে নিন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.