![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।
আমার এক আত্নীয়া, বেশ স্বাস্থবান (বতী)। সে একটা গরুর সাথে একট ছবি ওঠালো, গরুটা ছোটখাটো। ছবিটা আবার ফেইসবুকের দিয়ে দিলো, নাম হাম্বা সেলফি। তার পর শুরু হলো একেরপর এক মন্তব্য। এক জন লিখলো, “ কী বেপার গরু, সেলফি তুলতেছো”?
একজন লিখলো “জোড়া কাউ”, একজন লিখলো “ পোষ্ট কে দিলো”।
কেউ কেউ আবার প্রশংসা ও করলো, খালি বেহুদা প্রশংসা। যথা, বাহ খুব সুন্দর তো, আপনাকে ঈদ মুবারক, গরুটার খুব সুন্দর আপনিও সুন্দর ইত্যাদি ইত্যাদি। অতহপর ছবি ডিলিট করে বিরম্বনা থেকে মুক্তি।
আশার কথা হলো এবার নেটে গত বছরের চাইতে হাম্বা সেলফী অনেক কম। তবে আগামী কাল কিন্তু অনেক সেলফী হবে। যার মধ্যে বেশির ভাগই হবে মাংশ সেলফী। যেমন কেউ এক তাল মাংশ নিয়ে লেবু টেবু সহকারে একটা সেলফী তুলে দিলো, সাথে চিনিগুড়া চালের ভাত। নিচে লেখা ”সেলফী গুস্ত”। আবার কেউ কেউ হয়তো কয়েকজন এতিম ছেলেমেয়েদের কয়েক টুকরা মাংশ বিতরণ করছে ফাকে তাদের নিয়ে এক পোচ ছবি তুলে ফেললো, নাম ”গুস্ত বাটি”।
কেউ আবার গরুর জবাইয়ের কালে ছুরিটুরি হাতে নিয়ে অথবা মাংশ টাকার সময় কয়েকটুকরা মাংশ কাটলো ফাকে একটা ছবি দিয়ে দিলো, নাম গুস্ত কাটি। খালি সেলফি আর সেলফি। তবে পাগলা গরুর সাথে সেলফি তুলতে যাবেননা এটি আমার বিনিত অনুরোধ।
আচ্ছা সেল্ফ মানে হলো নিজ, তাহলে সেলফি মানে কি দাড়ালো? নিজ্জী? নাও হতে পারে, কারণ আমার একার, মানে সেলফি মতামতে কিছু হবেনা, সবাই বলতে হবে।
সেলফি বিষয়ক এমটি মজার কাহিনী বলা যেতে পারে।
এক ভদ্র মহীলা তার একটি সেলফী তুলে ফেইসবুকের দিলো সকাল বেলা। রাত ৯য়টা নাগাদ সে দেখলো তার সেলফিতে অনেক লাইক, কিন্তু তার স্বামীর কোন লাইক নাই কমেন্ট নাই। ভদ্রমহিলা কান্নাকাটি আরম্ব করলো,
স্বামী বেচারি বলছে, কি ব্যাপার?
ভদ্র মহিলা: তুমি আমারে আর ভালোবাসোনা
স্বামী, কী আশ্চর্য্য আমি তোমারে ভালোবাসিনা কেমনে বুঝলা?
তুমি ইদানিং অনেক রাত করে বাসায় আসো, আমার আগের মতো টেইক কেয়ার কররোনা। এমনকি আমার ছবিতে তুমি লাইকও দাওনা।
স্বামী, কিসের ছবি?
কেনো, তুমি বুঝনা কিসের ছবি? ফেইসবুকে আমি যে আমার ছবি দিসি তুমি তা দেখনি? সেখানে অন্যরা আমাকে কত্ত কত্ত লাইক দিসে।
কিছুতেই স্বামী বেচারা বুঝাতে পারলোনা যে সে তর স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসে। অনেক লাইক করে। আর লাইক করে বলেই তো বিয়ে করা। সেটি ছবিতে লাইক দিয়ে কেনো বুঝাতে হবে?
শেষমেষ গ্লাস ভাঙ্গা আরম্ব হয়ে গেলো। রাতের নিরবতা ভঙ্গ করে ঘটনাটা পাশের ফ্লাটে যাওয়ার আগে স্বামী বেচারাকে ওয়াদা করতে হলো যে এখনথেকে ভালোবাসার পরিমান বাড়বে, এবং কোন ছবিতে লাইক না দিলে যা কিছু ঘটে তার জন্য স্বামী দায়ী।
পর দিনে ঘটনা! স্বামী ইন্টারনেট.অর্গ দিয়ে ফ্রি ফেইসবুক ঢুকে দেখলো তার স্ত্রী আজকেও একটা ছবি পোষ্ট করছে, কিন্তু হায় সেত দেখতে পরছেনা। কিন্তু না দেখতে পারলেও লাইক তো দিতেই হবে। এবং কমেন্টও। হতে পারে এটি তার স্ত্রী নতুন করে পরীক্ষা করার জন্য দিছে, পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
স্বামী ব্যচারা লাইক দিলো সাথে কমেন্ট করলো “তুমি এত সুন্দর, তাইতো তোমাকে এত ভালোবাসি”। আশ্চর্যের বিষয় হলো এটি হলো প্রথম মন্তব্য।
কিছুক্ষন পড়েই স্ত্রীর ফোন: হ্যালো এই তোমার ভালোবাসা? এই তুমি আমাকে লাইক করো। তুমি আসলেই আমাকে আর লাইক করোনা। তুমি রহিমাকেই লাইক করো। আমি আসলে রহিমার ছবি দিয় তোমাকে পরীক্ষা করছিলাম। আমি চলে যাচ্ছি।
আর রশিকতা ভাললাগছেনা। সৌদিতে অনেক হাজ্বী মারা গিয়েছে তাই কিঞ্চিত মন খারাপ। তাদের জন্য বেহেস্ত কামনায় আজকের মতো সেলফি কান্ড সমাপ্ত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
প্রথম বাংলা বলেছেন: সবাইকে ঈদ মোবারক। আজকে গল্প বলবো, আনন্দের গল্প বেদনার গল্প।
ঈদ মানেইতো আন্দ, তাইনা? তাই আনন্দের গল্প, আর আনন্দের ভাজে ভাজেইতো থাকে বেদনা। তানা হলেযে আনন্দ পানসে।
চলুন প্রথমে একটু বেদনায় হাত বুলাই।
আগামি কাল ঈদ, ছোটবেলায় এই ঈদকে গরুর ঈদ বলতাম। আমার মনেহয় অনেকেই একে গরুর ঈদ বা বকরীঈদ বলে থাকবেন। সবার মনে একটা চাপা আন্দ থাকে যে ঈদের দিন গরুর খাব নতুন জামা পড়বো বেড়াতে যাবো। তা অস্বিকার করার উপায় নাই। আমার হচ্ছে আপনারও নিশ্চয় হচ্ছে তাইনা?
কিন্তু আজকে আমাদের বাজারে বেশ পুলট্রি মোরগ বিক্রি হইছে। কাল ঈদ আজ যারা পুলট্রি নিসে তারা কিজন্যে নিছে? উত্তর টাই ব্যদনা।
প্রতি বছর আমাদের নদীতে একদর মানুষ ফেরি বায়, আর তাদের ফেরিতে করে অনেকেই বেড়াতে যায় এ পাড়া থেকে ও পাড়া।
ঈদেরদিন ফেরি বাওয়া বেদনা, আর ফেরিতে করে বেড়াতে যাওয়া আনন্দ, তারা পাশাপাশি। আজব না?
আগামী কালও অনেকের গায়ে জামাই থাকবেনা। অনেকে খয়রাতির মাংশ বিক্রি করে রান্নার চাল কিনে নিয়ে যাবে। আবার অনেকে চর্দা পুলাও দিয়ে মাংশে খাবে।
এবার হজ কাফেলার প্রথম দিকে ক্রেন ভেঙ্গে পরে মারা গেলো ১১১ জন হাজি। শেষ দিকে মারা গেলো ৭১৭ জন পদদলিত হয়ে। আর আমাদের দেশের সরকারে চমতকারে বেবস্থাপনার বেড়াজালে পড়ে হজ করতে পারলোনা কয়েক হাজার হজযাত্রী। মৃত্রদের জন্য মাগফেরাত আর আহতদের জন্য আরোগ্যকামনা করে এবং যারা হজে যেতে না পেড়ে মর্মাহত তাদের জন্য সমবেদনা জানিয়ে এবার আনন্দের অংশে গমন করি।
একবার এক হুজুর বয়ান করছেন,
আমার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভায়েরা, কোরবানির অনেক ফজিলত, যে খাস দিলে কোরবানি করবে হাসরের ময়দারে ফুলসিরাতের কঠিন সময় তার সহায়তরা এগিয়ে আসবে সেই কুরবানি করা পশুটি। আর সোয়াবর তো কোন শেষইনাই। আপনারা সবাই যার যার সামর্থমত কোরবানি দিবেন, পারলে যত পারের বড় দেখে কোরবানি দিবেন। অনেক সুয়াব।
না পরলে যতটুকু পারেন আপত্তি নাই , তবে প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তি এটি দেয়া বাধ্যতা মূলক। । সেই মাহফিলে ছিলো এক চোর। চোর বেটা ভাবলো কোরবানির এত ফজিলত!! তে আর আল্লা যা করছে এবার বড়টাই দিবো।
যেই ভাবা সেই কাজ! রাতে বেলা সে এক মস্ত গুরু কিনে নিযে বাড়িতে রওয়ানা দিসে। ঠিক এমন সময় ঐ হুজুর তাহাজ্বোতের নামাজ পড়ার জন্য উটে বাইড়ে এলো।
দেখে একজন মানুষ একটি গরু নিয়ে চলে যাচ্ছে।
এই কে তুমি, গরু নিয়া কই যাও।
চোর: হুজুর আমার বাড়িতে যাই।
গরু কই পাইছো?
হুজুর চুরি কইরা আনসি, কালকে কুরবানি দিমু। হুজর আপনাকে ধন্যবাদ কোরবানির যে এত ছৌয়াব তা আগে জান্তামনা্
হুজর: আরে চুরির গরুতো হালাল না। কোমার কোরনি কোরবানি দিবো মানুষ তোমার কোরবানির গরু
আমার এই আইডিটায় কেবল আমার দৌলতপুর ইউনিয়নের বন্ধুরা। এর বাইরে আমি কাউকে এতে গ্রহন করিনা। দৌলতপুরের বাইরের যারা ফ্রেন্ড হতে চান তারা আমার ইংরেজি নাম লেখা আইডিতে রিকয়েষ্ট পাথাবেন। আর দৌলতপুরের কেউ সেইটিতে পাটাবেননা। পাটাবেন এই বাঙলা আইডিতে। এটি আমার একটি বিনিত অনুরোধ।