নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

((((এক দিন আমি চলে গেলে- ছেড়ে এ গ্রহ,যদি আর কোন দিন কোন খানে নাহয় জনম, কেমনে ভাবিব আমি এইখানে শতেক বছর, একশত কোটিবার নিয়েছিনু দম!! ছিলো ঝিনুকের মত গোল নদীটার তিরে মোর ঘর।)))) **ধর্ম বিশ্বাস মানুষকে সুখ দেয়, কারণ ধর্ম মানুষকে আশাবাদী করে, মানুষ বুঝতে পারে

প্রথম বাংলা

দুপেয়ের পরিচয়ে এসেছি মাটির ধামে, মানুষের রূপ পেতে হৃদয়ে কামনা করি রোজ। পরিচয় নেই কিছু আর, এর ভালো যদি খুজে পাই! এই আশাটাই মন সম্বোঝ।

প্রথম বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিত্যাবাদী না হলে মাহা পুরুষ

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

সবাইকে ঈদ মোবারক। আজকে গল্প বলবো, আনন্দের গল্প বেদনার গল্প।
ঈদ মানেইতো আন্দ, তাইনা? তাই আনন্দের গল্প, আর আনন্দের ভাজে ভাজেইতো থাকে বেদনা। তানা হলেযে আনন্দ পানসে।

চলুন প্রথমে একটু বেদনায় হাত বুলাই।
আগামি কাল ঈদ, ছোটবেলায় এই ঈদকে গরুর ঈদ বলতাম। আমার মনেহয় অনেকেই একে গরুর ঈদ বা বকরীঈদ বলে থাকবেন। সবার মনে একটা চাপা আন্দ থাকে যে ঈদের দিন গরুর খাব নতুন জামা পড়বো বেড়াতে যাবো। তা অস্বিকার করার উপায় নাই। আমার হচ্ছে, আপনারও নিশ্চয় হচ্ছে তাইনা? যদি তা না হয় তাহরে আপনি হয় মিত্যা বলছেন না হয মহাপুরুষ।

থাক সে কথা, আজ ঈদ গেলো গতকাল আমাদের বাজারে বেশ পুলট্রি মোরগ বিক্রি হইছে। আজ ঈদ কাল যারা পুলট্রি নিসে তারা কিজন্যে নিছে? উত্তরটাই ব্যদনা।
প্রতি বছর আমাদের নদীতে একদল মানুষ ফেরি বায়, আর তাদের ফেরিতে করে অনেকেই বেড়াতে যায় এ পাড়া থেকে ও পাড়া।
ঈদেরদিন ফেরি বাওয়া বেদনা, আর ফেরিতে করে বেড়াতে যাওয়া আনন্দ, তারা পাশাপাশি। আজব না?

আজ যে সব শিশু আমার আপনার বাড়ি বাড়ি একটুকরা গুস্তর জন্য ঘুরছে তাদের অনেকের গায়ে মযলা ছড়া জামা, অনেকের গা খালি। অনেকে খয়রাতির মাংশ বিক্রি করে রান্নার চাল কিনে নিয়ে যাবে। আবার অনেকে রিবিয়ানি পুলাও দিয়ে মাংশে খাবে।

যারা প্রবাসে আছে, যাদের টাকায় দেশ চলে তাদের কি অবস্থা তা কি আমরা খবর নিই। আমরা কেবল তাদের কাছে ঈদে বড় গরু কেনারটাকা চাই, সেটা কিভাবে আসে তার কোন খবর রাখিনা।

প্রতিটি ঈদে তারা কঠোর পরিশ্রম করে। আরবী ধনীক শ্রেনীর মানুষদের ঈদকে আনন্দময় করেতুলে এবং বাঙলাদেশের মানুষের ঈদকে মানে আমাদের ঈদকেও। দুই দেশের মানুষের ঈদের আনন্দ নির্বর করে তাদের কাজের উপর কিন্তু তাদের আর আনন্দের ঈদ হয়না।

এবার হজ কাফেলার প্রথম দিকে ক্রেন ভেঙ্গে পরে মারা গেলো ১১১ জন হাজি। শেষ দিকে মারা গেলো ৭১৭ জন পদদলিত হয়ে। আর আমাদের দেশের সরকারের চমতকারে ব্যবস্থাপনার বেড়াজালে পড়ে হজ করতে পারলোনা কয়েক হাজার হজযাত্রী। মৃতদের জন্য মাগফেরাত আর আহতদের জন্য আরোগ্যকামনা করে এবং যারা হজে যেতে না পেড়ে মর্মাহত তাদের জন্য সমবেদনা জানিয়ে এবার আনন্দের অংশে গমন করি।

একবার এক হুজুর বয়ান করছেন,
আমার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভায়েরা, কোরবানির অনেক ফজিলত, যে খাস দিলে কোরবানি করবে হাসরের ময়দারে ফুলসিরাতের কঠিন সময় তার সহায়তরা এগিয়ে আসবে সেই কুরবানি করা পশুটি। আর সোয়াবের তো কোন শেষইনাই। আপনারা সবাই যার যার সামর্থমত কোরবানি দিবেন, পারলে যত পারের বড় দেখে কোরবানি দিবেন। অনেক সুয়াব।
না পরলে যতটুকু পারেন আপত্তি নাই , তবে প্রত্যেক সামর্থবান ব্যক্তি এটি দেয়া বাধ্যতা মূলক। ।

সেই মাহফিলে ছিলো এক চোর। চোর বেটা ভাবলো কোরবানির এত ফজিলত!! তে আর আল্লা যা করছে এবার বড়টাই দিবো।
যেই ভাবা সেই কাজ! রাতে বেলা সে এক মস্ত গুরু কিনে নিযে বাড়িতে রওয়ানা দিসে। ঠিক এমন সময় ঐ হুজুর তাহাজ্বোতের নামাজ পড়ার জন্য ওটে বাইরে এলো। দেখে একজন মানুষ একটি গরু নিয়ে চলে যাচ্ছে।
এই কে তুমি, গরু নিয়া কই যাও।
চোর: হুজুর আমার বাড়িতে যাই।
গরু কই পাইছো?
হুজুর চুরি কইরা আনসি, কালকে কুরবানি দিমু। হুজুর আপনাকে ধন্যবাদ কোরবানির যে এত ছৌয়াব তা আগে জান্তামনা্
হুজর: আরে চুরির গরুতো হালাল না। তোমার জ্য যা বৈধ্য তোমি তা কোরবানি দিতে হবে। চুরি করা হারাম। অনেক পাপ হবে।

এই কথা শোনে চোর গরু ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে এলো। পরদিন ঈদ, হুজুর গেরো সেই চোরের বাড়িতে। গিয়ে দেখে সে মাংশো কাটছে।
কি ব্যপার তুমি আবার গরুটাকে নিযে এসছো?,
জী হুজুর, ধরেন আমি কোরবানি দিলামনা, আমার কোন গরুচুরির কোন গুনা হলোনা। কোন সৌয়াব ও হলোনা। আমার আর কোন লাভও নাই লসও নাই।
কিন্তু যদি আমি কোরবানি দিই তাহলে আমার একটা লাভ আছে, সেটা হলো আমি গরু চুরি করছি সেখানে আমার অনেক পাপ, কিন্তু আমি কোরবানি দিসি তার জন্য আমার অনেক সওয়াব ও হবে, সুতরাং কাটা কাটি। মানে সমান সমা। ফাকে যে গুস্ত পেলাম সেটা আমার লাভ।

আমাদেরও কি লাভের ঘরে খালি গুস্ত ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.