![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত সেমিষ্টারে মিমো ক্লাশে এক চাইনীজ মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল, নাম লি। তার আর আমার ল্যাব ভিন্ন। আমি বিবাহিত এবং স্বামী বাংলাদেশে শুনে খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞ্যেস করল, তোমার স্বামী তোমাকে আসতে দিল? আরো বললো, সে আর তার স্বামী দু'জনেই ইঞ্জিনিয়ার, তার স্বামীর আর পি. এইচ. ডি করার ইচ্ছা নাই, কিন্তু তার খুব ইচ্ছে, তাই সে এখানে এসেছে। এটা স্বামীটির পছন্দ হয় নাই এবং বলেছে তাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়ে বিয়ে করবে। সে এতোদিন একা থাকতে পারবে না।
তারপর সে আমার ব্যাপারে জানতে চাইল। তখন আমি বললাম, দেখ বাংলাদেশে ছেলে-মেয়েদের বিয়েটা সাধারণতঃ পারিবারিকভাবেই হয়, হোক সেটা নিজেদের পছন্দে অথবা বাবা-মায়ের পছন্দে। আর এতো সহজে কেউ ডিভোর্সের কথা চিন্তা করে না। দক্ষিণ এশীয় পরিবারগুলোতে পারিবারিক বন্ধন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশী দৃঢ়। হ্যাঁ, আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটটা এমন যে, স্বামী দেশে থাকবে আর স্ত্রী বিদেশে পড়াশোনা করবে, এটা একটা ব্যতিক্রমই বটে। তবে আজকাল কারো কারো ক্ষেত্রে এই ধরণের ব্যাপারটা ঘটছে।
বললাম, মূল ব্যাপারটা হচ্ছে সমঝোতার, আর পারস্পরিক বিশ্বাসে সততার। আমার স্বামীও প্রথমে আপত্তি করেছে। কিন্তু আমি তাকে বুঝিয়েছি, বাস্তব প্রয়োজনীয়তাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, আমার ক্যারিয়ারের জন্য এটা প্রয়োজন, ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সে সেটা মেনে নিয়েছে। তার যেহেতু সরকারী চাকুরী, আর উচ্চতর শিক্ষাটা তার খুব বেশী প্রয়োজন নেই, নিজেরও তেমন একটা ইচ্ছে নেই, তাই সে দেশেই আছে। কিছুদিনের দূরে থাকার কারণে সরাসরি ডিভোর্সের কথা আমরাতো এতো সহজে ভাবতে পারি না। এই ধরণের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যত প্রজন্মের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, বাচ্চারা হয় বাবাকে হারায়, নয়তো মাকে। অথচ শিশুদের সঠিক মনোবিকাশে বাবা-মা দু'জনেরই প্রয়োজন আছে। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই পরিবারে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব। প্রতি সেমিস্টার শেষে ছুটি তো আছেই। টাকা-পয়সায় কুলালে দেশ থেকে ঘুরে আসা তো কোন সমস্যাই না।
গতকাল কোরিয়ান ভাষার ক্লাশ ছিল। স্বাভাবিকভাবে সেই মেয়েটিরও এই ক্লাশে থাকবার কথা ছিল। তাকে না দেখে তার ল্যাবের আরেকজন পরিচিত চাইনীজ মেয়ের কাছে জানতে চাইলাম। সে বলল, লি'র স্বামী তাকে দেশে ফিরে যেতে বলেছে, বাচ্চা নিতে হবে......।তাই সে ফিরে গেছে, এই মূহুর্তে পি. এইচ. ডি টা আর চালিয়ে যাবে না। শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল, ওই মেয়েটিও তার সামাজিক ব্যবস্থার কাছে হার মেনে গেল, পারলো না তার স্বামীকে বোঝাতে। কে বলে চীন অনেক উন্নতি করেছে??? সামাজিকভাবে তো দেখতে পাচ্ছি আমাদের মতোই। বিয়ের পর মেয়েদের এই পরাধীনতা কবে দূর হবে???
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৭
নাজনীন১ বলেছেন: হু্মমম, ঠিকই বলেছেন। বাচ্চা থাকলে ব্যাপারটা নিয়ে আরো গভীরভাবে ভাবতে হয়। সে সাথে আত্মীয়-স্বজনদের সাহায্যেরও প্রয়োজন হয়।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৪
জইন বলেছেন: আমি নারী স্বাধীনতার বিপক্ষে....
লেখাটা ভাল লাগলো খুব......
আমি কিন্তু পুরুষ স্বাধীনতারও বিপক্ষে.....
কেউ কেই স্বাধীনতা দেয়া যাবে না...
দুজন দুজনের কাছে পরাধীন..............
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৯
নাজনীন১ বলেছেন: ভালই বলেছেন।
দুজন দুজনের কাছে পরাধীন..............
এ কথা যদি আমাদের প্রবাসী শ্রমিক ভাইদের কাছে বলতে যান, বাস্তবতার কাছেই হার মানবে বেশী।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৫
ঋফায রহমান বলেছেন: সব সমস্যা এক নয়।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:০২
নাজনীন১ বলেছেন: ঠিক কথা। তবে সমস্যাকে সমঝোতা দিয়েই দূর করতে হয়, রূঢ়তা দিয়ে নয়।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৬
ত্রিভুজ বলেছেন:
"দুজন দুজনের কাছে পরাধীন.............. "
ওয়েল সেইড... @ জইন
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:০৩
নাজনীন১ বলেছেন: জটিল কথাও বটে।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:০৪
মুক্ত বয়ান বলেছেন: সেই দিন সবাই চিল্লাইল.. নারী-পুরুষ সম অধিকার। সবার সমান স্বাধীনতা। এখন দেখি কয়, কেউ স্বাধীন না!! অাজিব!!
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭
নাজনীন১ বলেছেন: জগতটাই বড় আজিব!!!
৬| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:০৭
শাফ্ক্বাত বলেছেন: আসলে বাচ্চা হয়ে গেলে জীবন টা আর নিজেদের থাকেনা।বিশেষ করে মায়ের জীবন হয়ে যায় ওদেরকে কেন্দ্র করেই। দেখা যায় স্বামীর প্রয়োজন টা "অপ্রয়োজন" হয়ে যাওয়ার পরেও বাচ্চাদের "বাবা"র প্রয়োজন টা ফেলে দেওয়া যায়না। এটা ঠিক আজকালকার যূগে যেখানে মেয়েরা ভালোই ইনকাম করে, একহাতে তাদের পক্ষে বাচ্চা পেলে সংসার চালানো কোনও ব্যাপার ই নয়। তবুও কেন নিজেদের অমিলের কারণে বাচ্চাটাকে ফ্যামিলি এনভায়রন্মেন্ট থেকে বন্চিত করবো আমরা?
ডিভোর্স তাই "আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে" অত সহজ নয়।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:২৩
নাজনীন১ বলেছেন: ১০০% সহমত।
৭| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:১১
সহেলী বলেছেন: পারস্পরিক সমঝোতা বেশী জরুরী । লেখার বিষয়ে সমকালীন যে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তা ভেবে দেখার বিষয় ।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:২৪
নাজনীন১ বলেছেন: ঠিক, আধুনিক যুগের নতুন সমস্যা।
৮| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:১৮
মুহিব বলেছেন: তসলিমা নাসরিনের বইয়ে মনে হয় পড়েছিলাম, এক লোক এক মেয়েকে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে দেখেই পছন্দ করে বিয়ে করল। । আর বিয়ের পর বলল, গান ছেড়ে দিতে। কারন হিসেবে লোকটি তার ভালবাসার কথা বলেছিল যা ছিল একটা ফ্রড।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৩২
নাজনীন১ বলেছেন: মেয়েদের বিয়ে করার আগে যোগ্যতা দেখা হয় কতটা সুন্দরী, শিক্ষিত কিন্তু বিয়ের পর কতটা রান্না-বান্না পারে, সাংসারিক কাজে কতটা পটু, তখন সৌন্দর্য আর গুণের মধ্যেই পড়ে না,।
এস. এস. সি পাশ করা আর এম. এস. পাশ করা মেয়েদের মর্যাদা আলাদা থাকে না, যতক্ষণ না নিজ হাতে উপার্জন করছে। পার্থক্যটা শুধু থাকে চাকুরীজীবি বৌ আর গৃহিনী বৌ। অর্থটাই মর্যাদা এনে দেয়, বাকী সব নগন্য।
৯| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:২৫
আইসিস বলেছেন: াসার িপিথিবেতই আমার েমেয়ার পদদিলত।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৪২
নাজনীন১ বলেছেন: ছেলেরাও আজকাল কিছু নিপীড়নের কথা বলে, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে যেটা শুধু মানসিক, আর পর্যালোচনা করলে দেখা যায় স্ত্রীদেরকে আগের চেয়ে বেশী সময় দিতে হয়, বাসার কাজ-কর্মে স্ত্রীর পাশাপাশি হাত লাগাতে হয়, আগের চেয়ে স্ত্রী-র অনেক কথাকে গুরুত্ব দিতে হয়......এই হল নিপীড়ন।
মেয়েদের পিছন থেকে এগিয়ে আসাতে , সুষম অধিকার নিশ্চিত করতে ছেলেদের একটু সহনশীল হতে হয়, এটাই অনেকের কাছে নিপীড়ন।
১০| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৩২
চাচা িময়া বলেছেন: বূঝলাম না পি এইচ ডি করার এত কি দরকার। ভেড়া র্মাকা পোলাপান ই পি এইচ ডি করা মেয়ে বিয়ে করে।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৪৪
নাজনীন১ বলেছেন: যুগ পাল্টাচ্ছে, কোন কোন যুবক কিন্তু চাকুরীজীবি মেয়েদের বেকার ছেলে বিয়ে করার দাবীও তুলছে.........। যদিও সংসারের কর্তৃত্ব নিজের হাতেই রাখতে চায়...।
১১| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৪৪
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: স্বাধীনতা .... স্বাধীনতা ....
কতজন কতভাবেই না চায় ।
===========================
চাহিদা ..... চাহিদা
যার কোন শেষ নেই ।
কতজন একচাহিদাকে কত ভাবেই তো আশা করে।
চাহিদা কারো কাছে টাকা-পয়সা , কারো কাছে চাকুরী, কারো কাছে ব্যবসা, কারো কাছে সুন্দর-সুন্দরী, কারো কাছে দ্বিতল বাড়ি, কারো কাছে উচ্চ শিক্ষা, কারো কাছে ঘরে থাকা, কারো কাছে বিদেশ যাওয়া।
কত রঙ্গ চাহিদা নিয়ে।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৫৪
নাজনীন১ বলেছেন: কবিতা সুপাঠ্য হয়েছে।
১২| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:০০
জেমসবন্ড বলেছেন:
ছেলেরাও আজকাল কিছু নিপীড়নের কথা বলে, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে যেটা শুধু মানসিক, আর পর্যালোচনা করলে দেখা যায় স্ত্রীদেরকে আগের চেয়ে বেশী সময় দিতে হয়, বাসার কাজ-কর্মে স্ত্রীর পাশাপাশি হাত লাগাতে হয়, আগের চেয়ে স্ত্রী-র অনেক কথাকে গুরুত্ব দিতে হয়......এই হল নিপীড়ন। (ভালই বলেছেন ---সত্যি কথা ---বাবুদের মত ওদেরও কিছুটা সময় দিতে হয়...)
...........সব সময় কি পারষ্পরিক সমঝোতা হয় ? যেখানে কাউকে না কাউকে স্যাক্রিফাইস করতে হয়, সেখানে কে করবে ?
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮
নাজনীন১ বলেছেন: এতদিন মেয়েরাই বেশী স্যাক্রিফাইস করেছে, এখন মেয়েরাও ছেলেদের কাছ থেকে কিছু স্যাক্রিফাইস আশা করে।
১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:০৫
ক্যামেরাম্যান বলেছেন: অনেকাল আগে ষ্টকহোমে আমার কাজের (অড জব) সুপারভাইজার ছিলেন এক মহিলা - লুলু। তার খূব আগ্রহ ছিল বাংলাদেশের মহিলাদের সম্পর্কে জানার। একদিন আলাপের সময় তাকে প্রশ্ন করলাম একটা উন্নত দেশের মহিলা হিসেবে তার জীবনের ট্রাজেডীটা আসলে কি, মানে কোন জায়গাটাতে তার মনে হয় তার আর গরীব কোন দেশের মহিলার সাথে আসলে কোন পার্থক্য নেই। লুলু একটু চিন্তা করে বললো ছেলেরা আসলে ছেলেই, এটাই বড় ট্রাজেডী। ডিউটির পর বাসায় ফিরে তাকেই ঘর-সংসার দেখতে হয়, ছেলে-মেয়ের খোজখবর করতে হয় আর তার স্বামী প্রবরটি পত্রিকা হাতে বসে যান টিভির সামনে।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭
নাজনীন১ বলেছেন: এখন অনেক স্বামীরাই স্ত্রীদের সাংসারিক কাজে সহায়তা করে, আবার কেউ কেউ তাতে একটু দীর্ঘশ্বাসও ছাড়ে, আগে মা-খালাদের দেখতাম একাই ঘরের সব কাজ করতে পারতো, আর এখন স্বামীদেরও হাত লাগানো লাগে......
তখন স্ত্রীটিরও ঝটপট জবাব, আগে মা-খালারা সংসারের আর্থিক ব্যাপারে তেমন কোন সহায়তা করতে পারতো না, এখনকার মেয়েরা তা পারে...
১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২৮
মুহিব বলেছেন: আমার মনে হয় অবস্থা এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অনেক পজিটিভ হয়েছে যার উদাহরন আপনি নিজে। আমার পরিবারে আমার বোনরা, বউ, মা-খালারা যথেষ্ট সহজ লাইফ লীড করে।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:০২
নাজনীন১ বলেছেন: আমার এখানে একজন নেপালী এবং আরেকজন দক্ষিণ ভারতীয় মেয়েকে চিনি আমার মতো একা আছে, পরিবার দেশে। কিন্তু আমরা সংখ্যায় নগণ্য। আর অবস্থা এমনি এমনি উন্নতি হয় না। উন্নতির জন্য মেয়েদেরকেই আগে আন্তরিক হতে হয়।
১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৩১
কামাল পারভেজ বলেছেন: আপনাদের কথা শুইনা আউলা লাইগা যায়।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:০৮
নাজনীন১ বলেছেন: "আপনাদের" বলতে আমি সহ আর কে কে????
১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৩৩
সত্যদীপ বলেছেন: কনজারভেটিভ সমাজ ব্যাবস্থাটাই এ রকম
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:১০
নাজনীন১ বলেছেন: আমাদের দেশে কনজারভেটিভ ব্যবস্থা, কিন্তু চীনে তো সেটা না। কিন্তু মেয়েদের অবস্থা কাছাকাছি।
১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৫০
চিকনমিয়া বলেছেন: এইডা ডিপেন্ড করে,
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:০৬
নাজনীন১ বলেছেন: জ্বী, সহমত। আপনিতো ব্লগে খুব জনপ্রিয়। সবাইকে নাকি মাইনাস দেন? আমি নতুন তো। আপনাকে আমার ব্লগে দেখতে পেয়ে খুব ভাল লাগলো।
আজ অবশ্য অনেকেই আসছে আমার ব্লগে। আলোচনা করছে। আমার খুব ভাল লাগছে। সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
নুভান বলেছেন: একদম ঠিক কথা। আমার এক চায়নিজ বান্ধবীর কাছে শুনলাম (ও নানজিং বিশ্বঃ এর ছাত্রী, কোরিয়াতে এক্সচেইঞ্জ স্টুডেন্ট হিসেবে আমাদের বিশ্বঃ-এ এসেছে), ওর কাজিন পি.এইচ.ডি করেছে নানজিং থেকে, কোন বয়ফ্রেণ্ড ছিলোনা। তাই পারিবারিক ভাবে বিয়ের ব্যাবস্থা করার সময় যখনই ছেলে শুনতো যে মেয়ে পি.এইচ.ডি করা, সম্বন্ধ নাকি আর এগুতোনা। উনি নাকি এখনও অবিবাহিত। তাই আমার কাছে জানতে চাচ্ছিলো যে আমাদের দেশে কি অবস্থা। আমি আর কি বলবো? বল্লাম সেইম তোমাদের মতন, কিন্তু অবশ্যই এটা পরিবার ও ব্যক্তি বিশেষে ভ্যারি করে। যা হোক, সুন্দর পোষ্ট। আপনি কোরিয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে? আমি জিয়ংসানের ইয়ংনাম বিশ্বঃ-এ।
হোয়াইট ভ্যালেন্টাইন ডে-র শুভেচ্ছা
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:০০
নাজনীন১ বলেছেন: আমি ইনহা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
"হোয়াইট ভ্যালেন্টাইন ডে" -- শুনেছি এখানে ছেলেদের মেয়েদের আলাদা আলাদা দিন আছে ভালোবাসা জানানোর, আজকেরটা কি ছেলেদের? হা হা......
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৪
জেমসবন্ড বলেছেন:
এতদিন (বাপ-দাদদের আমলে) মেয়েরাই বেশী স্যাক্রিফাইস করেছে, এখন (আমাদের আমলে) মেয়েরাও ছেলেদের কাছ থেকে কিছু স্যাক্রিফাইস আশা করে।
..হা হা হা !!!!!! সুন্দর মন্তব্য ! ধন্যবাদ ।
..সব ছেলেদের কে মেয়েদের প্রতি একটু সহনশীল এবং ভালো আচরণ করার জন্য অনুরোধ করছি । পারষ্পরিক সমঝোতা এবং একটু স্যাক্রিফাইস জীবনটাকে অনেক সহজ করে দেয় ।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
নাজনীন১ বলেছেন: ভাই, এটা কি আপনার অভিমানসুলভ আহবান, নাকি সত্যিকারের অনুধাবন?
যদি হয় অভিমানসুলভ আহবান, তাহলে আমার বক্তব্য, আমরা মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের অধিকারে সচেতন হবো, প্রয়োজনে মমতাময়ী মা আর প্রেমময়ী স্ত্রীর বাইরে এসে বজ্রকঠোর হবো।
আর যদি হয় সত্য অনুধাবন, তাহলে আপনাকে সাধুবাদ।
২০| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:০১
জেমসবন্ড বলেছেন:
.....মেয়েদেরকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি....এবং তাদের সাথে সহনশীল হওয়ার কোন বিকল্প নাই ।
.....মায়ের চেয়ে আপন দুনিয়াতে কেহ নাই, স্ত্রী-র চেয়ে বড় সাথী কে আছে ? বোনের চেয়ে দরূদী কোথায় পাই ? দাদী-নানীর আদরমাখা ডাক কেমন করে ভূলি ?
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:১২
নাজনীন১ বলেছেন: হুমমম, আমার কিন্তু অনেক সময় আম্মার চেয়ে আব্বাকেই বেশী লাগে।
আম্মা বকা দিত বেশী......আব্বা কিছুটা প্রশ্রয় দিত। ছোটবেলায় ছুটির দিনে পড়াশোনায় ফাঁকি দেবার ব্যাপারে আব্বা ছিল ত্রাণকর্তা। হি হি... ......।
২১| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:০৫
নাজনীন১ বলেছেন: @ জেমসবন্ড, মেয়েদের ত্যাগের কথা আর নতুন করে বলার কিছু নাই। সেগুলো সর্বজনবিদিত। তাই আজ পুরুষদের ত্যাগের কথা সামনে আসছে।
আর সমঝোতার পরেই বোধ হয় ত্যাগের ব্যাপারটা আসে। যেটা এতোদিন (বাপ-দাদাদের আমলে) মেয়েরা বাই দিফল্ট করতো।
২২| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৩৬
কামাল পারভেজ বলেছেন: আমার প্রশ্নের উত্তর এ বলছি।
এই লেখাটি পড়ে সত্যি আমার আউলা লাগে। আমি বুঝিনা সবাই কি চাচ্ছে? আমাদের দেশ এর সাথে আপনারা যে সব দেশ এর তুলনা করেছেন তাদের থেকে আমরা কিন্তু নারীদের সন্মান দেবার বেলাতে পিছিয়ে নাই।
ছেলেদের এত দোষ ধরছেন অথচ দেখেন আপনার পোষ্ট এ ছেলেরাই কিন্তু বেশি কমেন্ট করেছে। কেন মেয়েরা পরাধীন ভাববে নিজেদের বলেন। একটা পরিবার তো খালি পুরুষ এর না সেখানে নারীও থাকে।
আমার মনে হয় আমরা নারীদের পক্ষে বলতে গিয়ে অনেক সময় কমিটমেন্ট কে পরাধীনতা বলে ভুল করি।
আর তাই আমার কাছে আউলা লাগে মাঝে মাঝে।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০২
নাজনীন১ বলেছেন: কেন মেয়েরা পরাধীন ভাববে??? কারণ, তাদের তো সেটাই শেখানো হয়।
আমি অনেক শিক্ষিত মেয়েদের বেলায় দেখেছি, বিয়ের পর যেকোন কাজে শ্বশুরবাড়ির অনুমতি মিললে তবেই সে সেই কাজটা করতে পারবে, পছন্দ বা ইচ্ছা সেখানে গৌণ। অথচ সে বাড়িতেই নিজেদের ছেলেদের বেলায় কিন্তু অনুমতির কোন ব্যাপার থাকে না।
কোন ব্যাপারে ভাল কি মন্দ পরামর্শ হতে পারে, অনুমতি নিতে হবে কেন মেয়েদের? এটা কি পরাধীনতা নয়?
২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৪৬
নুভান বলেছেন: হে হে , আজকেরটা ছেলেদের।
আমাদের ল্যাবে নতুন ভিয়েতনামিজ ল্যাবমেইট এল, ওর মাস্টার্স ইনহা থেকে, ও বললো ইনহাতে নাকি প্রছুর বাংলাদেশী স্টুডেন্ট আছে।
আমার প্রাক্তন রুমমেইট মাহবুব ভাই (ময়নসিংহ এগ্রি ইউনিভার্সিটির) ওনার ক্লাসমেইট-ও নাকি ইনহাতে পড়েন, বায়োটেকনোলজি বিভাগে।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৫১
নাজনীন১ বলেছেন: আমাদের এখানে বাংলাদেশী প্রায় ৩০ জন। এগ্রি-র একজন মেয়ে পড়ে, তাকে চিনি। আর কেউ কি আছে? ঠিক জানি না।
২৪| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮
শুভ৭৭ বলেছেন: কঠিন লেখা। চিন্তা ভাবনা করে মন্তব্য দিতে হবে।
তবে অনেক কিছু শিখলাম।
"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র
............................ শিখছি দিবারাত্র"
++++ দিলাম
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০৭
নাজনীন১ বলেছেন: "বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র
............................ শিখছি দিবারাত্র"
ধন্যবাদ + এর জন্য। তবে এর চেয়ে কোন সুচিন্তিত মন্তব্য বেশী কাম্য।
২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০৭
তন্ময় ভট্টাচার্য বলেছেন: মিউচুয়াল আন্ডারস্টেন্ডিং এর বিষয়।
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:২৫
নাজনীন১ বলেছেন: জ্বী।
২৬| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৯
জেরী বলেছেন: সবার ক্ষেত্রে এমন হয় না.........।
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৩৯
নাজনীন১ বলেছেন: কোনটা হয় না? সমঝোতা হওয়া নাকি না হওয়া?
২৭| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫
পারভেজ বলেছেন: চীন কিন্তু ওরিয়েন্টাল কালচারে পরে। তাই ওদের আচার আচরণ এখনো কিছুটা হলেও আমাদের সাথে কোথাও কোথাও মিলে; বিশেষ করে নারী অধিকারের ক্ষেত্রে। তবে চীনারা দ্রুত পশ্চিমা সংস্কৃতি আয়ত্ত করে নিচ্ছে মনে হয়।
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৪৮
নাজনীন১ বলেছেন: অনেক কিছু আমাদের সাথে মেলে না, বিশেষ করে অবিবাহিত মেয়েরা অনেক স্বাধীন বলেই মনে হয়।
২৮| ১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৭
কামাল পারভেজ বলেছেন: কথার শক্তি দেখে ভালো লাগ্লো, নারীদের জন্য কিছু করার সময় এই শক্তি আপনাকে সাহস দিবে।
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৪৯
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯| ১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৫৪
অপরাজিতা ০০৭ বলেছেন: আমি ভাই খুবই ভাগ্যবান, দূর্ভাষী আমাকে বাইরে না পাঠিয়ে ছাড়বেনা। এত বেশী চেষ্টা করছে মাঝে মধ্যে সন্দেহ হতো কিন্তু সত্যি ও এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক আর স্বাধীনতা, আমি বোধহয় যথার্থই পাচ্ছি, কোন সমস্যা নেই।
১৫ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬
নাজনীন১ বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন। দূর্ভাষীকে অনেক বড় ধন্যবাদ।
৩০| ১৫ ই মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
শাফ্ক্বাত বলেছেন: আমার শাশুড়ী একবার বলেছিল, "মানুষ" আর "পুরুষ" এই দুই প্রজাতিকে একসাথে পাওয়া খুব rare
১৬ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২৩
নাজনীন১ বলেছেন: উনার মনে হয় আরো অনেক বেশী তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। তবে নারী-পুরুষ সবাই দোষে-গুণে মানুষ। তবে সাধারণভাবে নারীর উপরই কর্তৃত্ব ফলানো হয় বেশী, সেটাই বেশী সমস্যা।
৩১| ১৫ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৫৭
হুমায়ুন কবির হাকিম বলেছেন: চীন এবং ভারতকে যতই বলেন উন্নত হয়েছে, সামগ্রিকভাবে কিন্তু তারা উন্নত হয় নাই। কাজেই মন-মানসিকতার পরিবর্তন সেখানে আশা করা যায় না। চীন/ভারতের অবস্থা বাংলাদেশের মতই হওয়াটা স্বাভাবিক। আপনি ইউরোপ/আমেরিকার দেশগুলোতে দেখেন। প্রায় অধিকাংশ দেশ সামগ্রিকভাবে উন্নত, এবং মেয়েরাও স্বাধীন। পুরুষরা সেখানে অনেক স্বাধীনতা দিয়ে থাকে।
অফটপিকঃ চীনে ইসলাম ধর্মের প্রভাব টা একটু বেশি পড়েছে তাই মেয়েরা সেখানে পরাধীন, যদিও সেখানে ১% (মোটামুটিভাবে) মুসলিম।
এনিওয়ে, আপনার সুন্দর লেখার জন্য প্লাস।
১৬ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:২৮
নাজনীন১ বলেছেন: কে বলেছে ভারত সামাজিকভাবে উন্নত? সেখানে তো উচ্চশিক্ষিত মেয়েদেরও যৌতুক ছাড়া বিয়ে হয় না। আমাদের দেশে সে তুলনায় অনেক ভাল অবস্থা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩২| ১৯ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
সা-জ বলেছেন: িক
১৯ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৩২
নাজনীন১ বলেছেন: ????
৩৩| ১৯ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬
নীল কষ্ট বলেছেন: বেশিরভাগ সময় দেখি মেয়েরা বিয়ের পর তাদের নিজের পছন্দ-অপছন্দের
চাইতে স্বামীর পছন্দ-অপছন্দের গুরুত্ব দেয় বাশি কি কারণে আমি ঠিক জানি না। অনেক কিছু করার ইচ্ছে থাকলেও সেটা তারা করতে পারে না। তেজস্বী মেয়ে হয় নির্বিকার সব মেনে নেয়, তাদের নিজস্ব মতামতের কতটুকু মূল্যায়ন করা হয়?
২৬ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৫২
নাজনীন১ বলেছেন: কারণ অনেক মেয়েই বিয়ের পর স্বামীর সংসারে এক ধরণের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এটা বেশি ঘটে যখন নারীরা শুধু গৃহিনী হয়। দেখা যায় পরিবারের অর্থদাতা যেহেতু স্বামী, তাই তার ইচ্ছাই ফাইনাল থাকে। এর অন্যথা হলে অনেক সময় সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার একটা পসিবিলিটি থাকে। তাই সংসারের সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য অনেক গৃহিনী মেয়ে স্বামীর পছন্দকেই গুরুত্ব দেয় বেশি।
এক্ষেত্রে স্বামীদেরকেই খোলামন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
৩৪| ১৯ শে মে, ২০১২ রাত ১০:২৮
এইযেদুনিয়া বলেছেন: হুম
১৯ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৪৭
নাজনীন১ বলেছেন: আজকের এই সময়টাতে এসে শাফকাতের মন্তব্যটাতে আবারো ১০০ ভাগ সহমত জানাতে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০০৯ সকাল ৯:৫৩
বিডি আইডল বলেছেন: কোন ভার্সিটি ইওয়া?
বাচ্চা-কাচ্চা থাকলে বিষয়টা এত সহজ নয়...আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায় ঘাটতি থাকলে এই ধরণের দুরত্ব নানান জটিলতা তৈরি করে