![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[ডিস্ক্লেইমারঃ এ পোস্ট কিছুটা পুরুষদের বিরুদ্ধে যেতে পারে, তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।]
ইদানীং পত্রপত্রিকায় মায়ের পরকীয়াজনিত শিশুহত্যার ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। ভাবতে ভালই লাগছে, আমরা আধুনিক হচ্ছি, প্রগতিশীল হচ্ছি, সাথে দুর্গতি বয়ে আনছি।
যেসব বিবাহিত নারী-মা সংসারের নানারকম জটিলতায় বা খাসলতের কারণে পরকীয়ায় জড়িত হচ্ছেন, তাদেরকে একটু বলি যারা দেশে অবিবাহিত নারীর কোন অভাব না থাকা সত্ত্বেও আপনার মতো বিবাহিত ও সন্তান থাকা নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়, তাদের অবশ্যই বদ মতলব থাকে। এর মাঝে আপনাকে ব্ল্যাকমেইলিং করে আপনার স্বামীর টাকা-পয়সা দখল এবং ধরি মাছ না ছুই পানির মতো নোংরাভাবে আপনাকে ভোগ করা উল্লেখযোগ্য। আর ওইসব সুসময়ের কোকিলেরা নিজেরাও যদি বিবাহিত হন, তারও যদি স্ত্রী-সন্তান বর্তমান থাকে, তাহলে বুঝবেন উনি একজন ভাদাইম্যা। যে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে অবহেলা করে, সে আপনাকে আর আপনার সন্তানের দায়িত্ব নিবে এমন ভাবাটা মারাত্মক ভুল চিন্তা। পুরুষেরা এতো ভাল না, হাতে গোণা কয়েকজন থাকতে পারে, সেটা প্রেডিক্ট করা আপনার মতো বোকা মেয়ের পক্ষে সম্ভব না। কেন আপনি বোকা মেয়ে? কারণ, আপনার সাজানো-গোছানো, আপনার ও আপনার সন্তানের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল তছনছ করার যে হীন চেষ্টা করেছে আপনার প্রেমিক, সেটা বোঝার মতো বুদ্ধি আপনার নেই।
আর যদি একান্তই অবৈধ প্রেমের আবেগ সামলাতে না পারেন হয় আগে স্বামীকে ডিভোর্স দেন, সন্তানকে স্বামীর হাওলা করে দেন। তা করতে যদি সাহসে না কুলায়, গোপনে পালানোর চিন্তা করেন, তখনো পারলে সন্তানকে স্বামীর ঘরেই রেখে আসুন বা বাবা-মার ঘরে অথবা কোন এতীমখানায়। কারণ, সুযোগসন্ধানী প্রেমিকরা আপনার মতো বোকা না যে মায়ের সাথে তার সন্তানদেরও দায়িত্ব নিবে, ঐ সন্তানতো তার ঔরসজাত নয়! কি ঠেকা তার? নিজের অবৈধ প্রেমের সাফল্য পেতে সন্তানকে হত্যা করার বা হত্যার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার কোন অধিকার আপনার নেই। আর সন্তান হত্যা করে আদৌ কি সুখে সংসার করতে পারছেন? খুন করে কি ঘটনা চেপে রাখা যায়? কেউ পেরেছে এ পর্যন্ত তা করতে? প্রেমে পড়লে মানুষ এতোই স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে??!!! ধিক্কার ঐসব স্বার্থপর মাদের।
আর ভীষণ রকমের ঘৃণা ঐসব পরকীয়ার সুযোগসন্ধানী পুরুষদের, নিজের সংসারকে অবহেলা বা অন্যের সংসারকে তছনছ করার জন্য।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৫
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫২
টানজিমা বলেছেন: পরকিয়া করার মজাই আলাদা.........
:!> :#>
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৬
নাজনীন১ বলেছেন: অভিজ্ঞতা আছে?
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৩
দুখী মানব বলেছেন: আসলে দোষ ৩জনেরই
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৮
নাজনীন১ বলেছেন: প্রত্যক্ষ দোষী মা ও তার প্রেমিক। স্বামীর সংসারে অসুবিধা থাকলে ডিভোর্স নিতে পারে, কোন নির্যাতন হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে, কিন্তু স্বামীর সংসারের জ্বালা জুড়াতে গিয়ে কেন সন্তান হত্যার মতো প্রেক্ষাপট তৈরী করা?
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৫
নতুনছেলে বলেছেন: ভাল লাগল । সকলে পরকীয়াকে না বলুন। কোন নারী যদি একজন পুরুষকে কাছে আসথে না দেন সে কখনো তার কাছে যেতে পারে না । আর যদি কেও আসে সেটা প্রেম বা পরকীয়া প্রেম নয়।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৯
নাজনীন১ বলেছেন: একজন পুরুষেরও উচিত না অন্যায় সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করা। ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৬
আব্দুল গণি বলেছেন: ++
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০০
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৭
জামিনদার বলেছেন: আমরা সামাজিকভাবে পরকিয়া মেনে নিতে পারিনা বলেই যারা পরকিয়া করেন তাদের এক ধরনের ভয় হয় তাই তারা নিজেদের আড়াল করার জন্য এমনটি করে থাকেন।
সুতরাং আমাদের উচিত পরকিয়ার সামাজিক স্বিকৃতি দেওয়া।
আপনার মতামত কি?
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০১
নাজনীন১ বলেছেন: গাছের আগারটাও খাইবেন, তলারটাও কুড়াইবেন, এত্তো শখ ক্যান?
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০০
দেহপূজা বলেছেন: ধন্যবাদ নাজনীন, আহা! এ উপলব্দি যদি সব নারীর হতো। পুরুষরা বেশির ভাগই ফাও খেতে চায়(সরি এরকম শব্দ বলার জন্য)। কিন্তু দুঃখ লাগে যখন বোকা নারী টাউট পুরুষের পাল্লায় পড়ে।আফসোস নিষ্পাপ সামিউলের হত্যাকান্ড থেকে আমরা কোন শিক্ষা নিলাম না।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০২
নাজনীন১ বলেছেন: পরকীয়া কোন ভাল ফল বয়ে আনে না, এটা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই উপলব্ধি করা প্রয়োজন।
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৪
কায়েস মাহমুদ বলেছেন:
এই লিখাটারে প্রিন্ট দিয়া সকল বাসা বাড়িতে বিতরন করা হোক, অথবা কো পত্রিকায় ছাপানো হোক।
কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। আসলে আবেগে পড়লে বুদ্বিমান মানুষ ও চরম বোকা হয়।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৪
নাজনীন১ বলেছেন: এককালে আমাদের সমমনা কারো কারো শ্লোগান ছিল প্রেম করে বেকুবেরা। তবে বিয়ে আগে অনেক চালাক মানুষেই প্রেম করে ভবিষ্যত ঝরঝরা করে, কিন্তু বিয়ের পর ঘরের মানুষ ভিন্ন অন্য কার সাথে প্রেম -- স্রেফ বোকামী।
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৫
টেকি মামুন বলেছেন: ভালা কথা লিখছেন ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৫
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৬
সোলায়মান বলেছেন: আপনার পোস্টে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু তথ্য বের হয়ে এসেছে ঠিক আছে, তবে এটাও ঠিক যে, এক পক্ষের সিদ্ধান্তে কখনো ঐ ধরনের সম্পর্কে জড়ানো সম্ভব নয়।
সেক্ষেত্রে নারীদেরও সমহারে পরিমাপ করা উচিত।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২২
নাজনীন১ বলেছেন: যেসব বিবাহিত নারী-মা সংসারের নানারকম জটিলতায় বা খাসলতের কারণে পরকীয়ায় জড়িত হচ্ছেন ...
১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৭
সীমানা পেরিয়ে বলেছেন: বিনা বিচারে +
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৫
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৯
সুমিন শাওন বলেছেন: পরকিয়া কখনৈ ভালো কিছু নয়,,সকলেরই নিজকিয়া'য় মন দেয়া উচিৎ,,কারন সংবেদনশীলতা যেমন সকলেরই আছে তেমনি প্রতিহিংসাপরায়নতাও,,,,আপনার সংবেদনশীলতা কে শ্রদ্ধা জানাই
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৭
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ সুমিন। সবারই বিবেকবোধ থাকা দরকার। আবেগ যেন বিবেচনাবোধকে অন্ধ না করে।
১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৯
জামিনদার বলেছেন: কিরে ভাই ক্ষেপছেন কে?
আজকাল উন্নত বিশ্বে সমকামিতা, দত্তক নেওয়া সব কিছুই আইনগতভাবে বৈধ । আমরা না হয় তাদের অনুসরন করতে গিয়ে একটু পরকিয়া করলাম এতেই দোষ??????।
আর গাছ যদি আমারে ফল খাওয়াইবার চায় আপনার এত জালা কেন?
দুই জনের মতামত থাকলেতো সব কিছুই হালাল। যেহেতু আমরাই এর প্রকৃত মালিক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৯
নাজনীন১ বলেছেন: দত্তক নেওয়া তো আমাদের দেশেও বৈধ বলে জানতাম। আর উন্নত বিশ্বে যতদুর জানি সম্পর্কের ব্যাপারে স্বচ্ছতা রাখার চেষ্টা করে, মনে না মিললে ডিভোর্স। সেখানে আমার ধারণা পরকীয়ার চেয়ে ডিভোর্সের হার বেশি।
১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:১০
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: উচিত কথা কইছেন ভাই...
মানুষগুলা এরপর যদি একটু হইলেও শিখে...
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৯
নাজনীন১ বলেছেন: সবাই যদি বোঝে...
১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:১৭
ভুভুজিলা বলেছেন: স্টার প্লাসকে না বলুন
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৩২
নাজনীন১ বলেছেন: নিজের বিবেক-বুদ্ধিকে যথাসম্ভব কাজে লাগানো দরকার।
১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২১
দেহপূজা বলেছেন: স্বামীর সংসারে অসুবিধা থাকলে ডিভোর্স নিতে পারে, কোন নির্যাতন হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারে, কিন্তু স্বামীর সংসারের জ্বালা জুড়াতে গিয়ে কেন সন্তান হত্যার মতো প্রেক্ষাপট তৈরী করা?
১.কিংবা ভুল করে কারো মনমত সংসার নাও হতে পারে,
২.স্বামী ইম্পোটেন্ট হতে পারে,
মোটকথা যাই হোকনা কেন সমাজ সংসারের ভয় না করে, কোনকিছু চেপে না রেখে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কখনো বেআইনি কাজ করা কিংবা পাপের আশ্রয় নেয়া উচিত না। পাপ কখনো শান্তি দিতে পারেনা পারেনা পারেনা।
টানজিমা যদি নারী হয়ে থাকেন তাহলে সবিনয়ে জানতে চাই, আপনার স্বামী যদি কারো সাথে পরকীয়া করে তাহলে আপনার কেমন লাগবে?
একই প্রশ্ন জামিনদারকে আপনার স্ত্রী যদি কারো সাথে পরকীয়া করে আপনি কি তা মেনে নিবেন?
সামিউলের পরিণতি যেনো আর কোন শিশুর না হয়। এখনি শিক্ষা নেয়ার সময়।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৩৬
নাজনীন১ বলেছেন: সংসারের নানারকম সমস্যার সমাধানে আইনি হোক, সামাজিক হোক যেকোন একটা পন্থা অবলম্বন করা দরকার, কিন্তু সেক্ষেত্রে সন্তানের জীবন বিপন্ন করার মতো কিছু করা খুব বেশি রকমের বোকামী।
আজকাল আরেক ধরণের প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে, মা আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে, সাথে বাচ্চাদেরও মেরে ফেলছে। কি বিভৎস রকমের চিন্তা-ভাবনা!
১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২২
এ.জে. মিন্টু বলেছেন: কায়েস মাহমুদ বলেছেন:
এই লিখাটারে প্রিন্ট দিয়া সকল বাসা বাড়িতে বিতরন করা হোক, অথবা কো পত্রিকায় ছাপানো হোক।
কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। আসলে আবেগে পড়লে বুদ্বিমান মানুষ ও চরম বোকা হয়।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৩৭
নাজনীন১ বলেছেন: আবেগের নিয়ন্ত্রণ বা সঠিক পথে পরিচালনা অবশ্যই দরকার।
১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৮
নতুনছেলে বলেছেন: @ দেহপূজা জামিনদার যা বলছেন তা তার মনের কথা না। আমাদের নারীবাদি সংগঠনের লোকজন যা বলেন উনি শুধু তার পুনরাবৃত্তি করছেন।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৩৯
নাজনীন১ বলেছেন: হ্যাঁ, তিনি সেরকম কিছুরই চেষ্টা করলেন, তবে কিছু ভুলও বললেন মনে হয়।
১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪২
শয়তান বলেছেন: মাইনাস দিলাম
দয়া কৈরা দুই চোখ ওপেন কৈরা লেখেন ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪৫
নাজনীন১ বলেছেন: সত্যি সত্যিই মাইনাস দিলেন দেখা যায়।
আরেক চোখ আপনি খুইলা দেন না, তাইলে তো কিছু শিখতে পারি, এতো ফাঁকিবাজি কমেন্ট করেন ক্যান?
২০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪৭
পাহাড়ের কান্না বলেছেন:
দোষটা যে কার, এইটাই চিন্তার বিষয়। ইদানিং পরকীয়া ভাইরাস আকারে ছড়ায়া পরছে। কারণটা কি??
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৩৯
নাজনীন১ বলেছেন: দোষ যারই হোক নিজেদের সুখচিন্তায় সন্তান বলি দেবার মতো ভাবনা অবশ্যই পরিতাজ্য। কোন অধিকার নেই বাবা-মার একজন সন্তানকে পৃথিবীতে এনে আবার তাকে হত্যা করা।
২১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:১৮
শয়তান বলেছেন: নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে এবং তৎসঙ্গে পারিপার্শিকতায় যা দেখেছি তাতে এটাই প্রতীয়মান হহয় পরকিয়াজনিত সম্পর্কগুলিতে প্রলোভনঘটিত দোষগুলি একান্তই নারীর । এখানে বেচারা পুরুষটির কিছুই করার থাকে না যদি না সে চরম নৈতিকতার বল এ বলিয়ান থাকে ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৪৯
নাজনীন১ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা সমাজের একটা অংশের চিত্র। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীর স্বাভাবিক উচ্ছাসপূর্ণ কথা বা প্রশংসাকে অনেকে প্রলোভন ভেবে ভুল করতে পারে।
আমার আশেপাশে এও দেখেছি কিছু কিছু পুরুষেরা এক নারীতে সন্তুষ্ট থাকে না। ঘরে স্ত্রী থাকলেও তার অন্য নারীর দিকে নজর। আবার সেই নারী যদি হয় ঐ লোভী পুরুষের অধীনস্ত বা আর্থিকভাবে বা অন্য কোন ভাবে ঐ অসহায় নারীটি ওই পুরুষের কাছে ঋণী, তবে ঐ ঋণ শোধ করতে হয় নিজেকে বিলিয়ে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়।
আবার স্ত্রী যদি তাতে বাধা দেয়, কপাল খারাপ থাকলে পিটুনিও জোটে ঐসব নারীর, আমার এক প্রতিবেশিনীর এমন রাজকপাল দেখেছি। আরেক পরিচিত নারী গতবছর ডিভোর্স দিয়েছে তার স্বামীকে, কারণ তার স্বামী বিধবা ভাবীকে অর্থসাহায্য দিতো, বিনিময়ে ভাবীকে হাত করা......এর প্রতিবাদে। এটা যে নারীদের জন্য কি রকমের অপমানের!
স্বামী-স্ত্রীর বিভেদ বাড়লে প্রায়ই বাচ্চাদের হয় বাবাকে না হয় মাকে হারাতে হয়। এটাও একটা সন্তানের মনের উপর কি প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে!
নানা কিসিমের ঘটনা সমাজে ঘটে, তাই বলে মাঝখান থেকে সন্তানকে জীবন দিতে হয়, এটাই তো ভাল লাগলো না।
২২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২১
১৪ বলেছেন: +++
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৫২
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার কমেন্টটা তিনবার এসেছে। একটা রেখে বাকী দুটো মুছে দিয়েছি, কিছু মনে করবেন না।
২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২৫
পি মুন্সী বলেছেন: নিজের বেকুবী ও দায়দায়িত্ত্বহীন প্রেমের সাফল্য পেতে সন্তানকে হত্যা করার বা হত্যার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার কোন অধিকার কারও নেই।
"হে নারী, গোলেমালে গোলেমালে পিরীত কইরো না..."
বুঝিয়া শুনিয়া পিরীত করিও; দায়দায়িত্ত্বের সাথে।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন।
আমাদের পুরানো সমাজের ভিতরে নতুন সমাজ বাসা বেঁধেছে, ক্রমশ জেঁকে বসার চেষ্টা করছে এরই পূর্বাভাস লক্ষণ এগুলো। তবে এই নতুন সমাজ ভাল না মন্দ সেই জাজমেন্টে আমি যাইনি এখানে, সে প্রশ্ন আলাদা। নতুন কিছু পরিবর্তন, তা ভাল অথবা মন্দ, আসছে দোরগোড়ায় - এটাই কেবল এখানে বলতে চেয়েছি। সেইসাথে আরও বলছি, এই পরিবর্তন ঠেকিয়ে ফেলা এককথায় অসম্ভব।
এছাড়া, পুরানো সমাজের নিয়ম, রীতি, মুল্যবোধ ইত্যাদির কারণে যা কিছু সাপ্রেসড বা অবদমিত ছিল সে সব কিছু কাঁধ বদলের সময় ফেটে বেড়িয়ে আসার সুযোগ নিবে। হয়ত তা অসফল হবে বারবার কিন্তু প্রচেষ্টা বন্ধ হবে না।
এটা তো সত্যি যে ঐ নারী বা পুরুষ কোন না কোন কারণে "পিরীত" এর তাগিদ বোধ করছে যেটাকে আমরা ন্যায়দন্ড ধরে অন্যায্য বলে রায় দিচ্ছি; এই "পিরীত" গোলেমালের পিরীত হোক আর যাই হোক। নতুন সমাজ, নতুন নতুন চাহিদা তৈরি করছে, ন্যায় বা অন্যায় অপুরণীয় সবকিছুকে পুরণ করে নেবার তাগিদ হাজির করছে।
নতুন সমাজ মানে ধরেন, মাইগ্রেশন অফ লেবার বা দেশান্তরী শ্রমের ইস্যুটা; অর্থাৎ শ্রমের ঢেলে দেবার জায়গা আর সংসার এক জায়গায় থাকবে, থাকতে পারছে না। এখানে দেশান্তর বলতে ভুরুঙ্গমারী থেকে ঢাকা অথবা মধ্যপ্রাচ্য দুটোই হতে পারে। অথবা ধরেন ঢাকায় একাকী একটা শ্রম এসে গার্মেন্টেসে লেগে পড়েছে। সে কার সাথে "পিরীত" করবে? এদিকে অর্থ অর্থে সামর্থ তাঁর তেমন নাই। অথবা ধরেন ঢাকায় এমন বহু চাকরি আছে নিম্নবেতন, যে কোন সময় চাকরি নাই হয়ে যেতে পারে অথবা প্রত্যেক মাস শেষের নিশ্চিত টানাটানি - ঢাকার সংসারগুলো এমনই অদ্ভুত, এখানকার সংসারে এসবের প্রভাব মারাত্মক। আগে এমন হলে হয়ত গ্রামের বাবা মা, ভাইবোন আত্মীয়স্বজন কাউকে পাওয়া যেত যে বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত। এখন সেসব হাত কমে যাচ্ছে, সবাই টানাটানিতে ফলে তা নাই হয়ে আসছে।
মোস্তফা ফারুকীর গ্রুপের প্রায় সব নাটকের গল্প টাউটের জীবন কাহিনী, "F&F" জাতীয় - আমরা বিনোদন মনে করে তা দেখে হাসি মজা পাই। কিন্তু দশ-পনেরো বছর আগের এরকম গল্পের প্লট দেখিনি আমরা, কেন?
সমাজের গঠন তন্তুতে ভেতর থেকে বদল হয়ে যাওয়াটা টের পাওয়া যায় এখান থেকে, যদি চাই।
কিন্তু তাই বলে, এই অস্থির সমাজের মোড় বদলের পরিস্থিতিতেও "নারী বা পুরুষ তুমি পিরীত কইরো না..." বললে কেউ কী পিছন ফিরে শুনবে আমার আস্থা কম।
তবে, "বুঝিয়া শুনিয়া পিরীত করিও; দায়দায়িত্ত্বের সাথে। অগ্রপশ্চাত বিবেচনা করিও, করিয়া পস্তাইও না।" - সাথে যোগ করে দেখা যেতে পারে।
মা তারা তারা, ব্রক্ষ্মময়ী মা।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:১০
নাজনীন১ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট বিশ্লেষণ করেছেন। ধন্যবাদ এবং স্বাগতম পি মুন্সী এ প্রথম আমার ব্লগে এলেন।
আপনি কেবল ঢাকাকেন্দ্রিক বা শ্রমের দেশান্তর প্রসঙ্গে কিছু কথা বললেন। আমি মূলত মফস্বলের মেয়ে, লেখাপড়া বা পেশার প্রয়োজনে ঢাকায় থাকলেও মফস্বলে যাওয়া-আসা বা যোগাযোগ মোটামুটি ভালই আছে, পরিচিত-অপরিচিতজনের অনেক খবর পাই। এক ঘরের নিচে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করেও পরকীয়াসংক্রান্ত ঘটনা ঘটছে। না, টাকা-পয়সাও সেখানে সমস্যা না। লোভ আর ক্ষমতার দাপটেও কিছু ঘটনা ঘটে। শয়তান ভাইর কমেন্টের জবাবে কিছু বলেছি।
এছাড়া আপনি যেমনটা বললেন স্বল্পআয়ীদের নানা রকমের সমস্যার কথা, সময়ের অভাব, কর্মস্থলে বেশি বেশি সময় দিতে বাধ্য হওয়া, নানা রকমের চাহিদার সাপ্রেশন - -এসব তো আছেই। সমাজের পরিবর্তন ঠেকিয়ে রাখা হয়তো যায় না, কিন্তু প্রবাহের গতি আর দিকটাকে যদি পজিটিভলী নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটা নিশ্চয়ই ভাল হতো।
আর আমাদের খুব বেশি মাত্রায় বস্তুবাদী না হয়ে একটু মানসিক শান্তির দিকেও চোখ ফেরানো দরকার। কেবলই অনেক টাকা, অনেক সম্পদ গড়ার নেশা থেকে বেরিয়ে পরিবারের জন্য আরো কিছু সময় বের করা, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসার আর পরস্পরের মানসিক চাহিদার প্রতি আরো নজর ফেরানোর দরকার আছে বলে মনে করি। আর নিজেদের মাঝে যতই দূরত্ব তৈরী হোক না কেন, সন্তানকে যেন কেউ অবহেলা না করে। ওই ছোট্ট শিশুগুলো বাবা-মার উপরই নির্ভরশীল, ওরা মানব শিশু। জীবনের অনেকটা কাল পর্যন্ত শিশুরা বাবা-মায়ের উপরই মানসিকভাবে এবং আর্থিকভাবে, সামাজিকভাবে বাবা-মায়ের উপরই নির্ভরশীল। এই সন্তানকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দায়দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলা নিতান্তই কাপুরুষতা, ভীষণ রকমের বোকামী।
২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৩৮
শয়তান বলেছেন: বাই দ্য ওয়ে , সমাজ কেন পরকিয়া কে নিরব সাপোর্ট করে জানেন ?
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৩
নাজনীন১ বলেছেন: এর যে কি জবাব হতে পারে, আমিও বুঝতে পারছি না। কেন জানি আমাদের মানবতাবাদীরা, প্রগতিশীলেরা এর বিরুদ্ধে উচ্চবাচ্য করছে না, নারীবাদীরাও চুপ। এটা কি তারা আধুনিক সমাজের অপরিহার্য কর্ম মনে করছেন, নাকি অস্বস্তিতে ভুগছেন? কিছু বললেই আবার "ব্যাকডেটেড" ট্যাগিং খান কিনা, স্বাধীনতাক্ষুণ্ণকারী কথা হয়ে যায় কিনা, অপরের ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানো হয় যায় কিনা। হা হা হা।
২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:৩২
রাজসোহান বলেছেন:
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৪
নাজনীন১ বলেছেন:
২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:১৩
লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন: যান মিয়া, আপ্নের লগে কথা নাই।
পোষ্টে প্লাস
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৪
নাজনীন১ বলেছেন: আপ্নের লগেও কথা নাই।
২৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৪৯
তন্দ্রাহারা বলেছেন: অসাধারন ভালো লাগলো। আসুন আমরা সবাই বুঝতে শিখি। +++++
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৫
নাজনীন১ বলেছেন: হুম, সময় থাকতে সবাই বুঝতে শিখি।
২৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৪২
অলস ছেলে বলেছেন: হায়! প্রেমেতে মজিলে মন, কে বা ডোম কে মহাজন!
এখন যা হয়, বেশিরভাগ শরীরের জ্বালা প্রশমন উদ্ভুত বিকৃতি, আবার সে জ্বালা তৈরি হয় পরিবেশ থেকে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। কিছু কিছু ঘটনা দেখে আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, নারীপক্ষ বুঝি অনধিকারের শিকার হতে হতে কোন একভাবে সমাজের উপর বা নিজের উপরেও প্রতিশোধ নিতে চায় অবচেতনে, মাচোকিষ্ট ঘটনা ঘটিয়ে
পুরুষ শক্তিশালী হিসেবে প্রায় সময়ই সুযোগসন্ধানী।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৬
নাজনীন১ বলেছেন: নিজের করে কিছু পেতে বা প্রতিশোধ নিতে শেষ পর্যন্ত সন্তান হত্যা -- চরম বোকামি মনে হয়।
২৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:১৫
মিঞা ভাই বলেছেন: শুধু ছেলেদের দোষারোপ করায় আপনাকে একটা মাইনাস, শুধু মেয়েদের দোষারোপ করায় শয়তানকে একটা মাইনাস।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৮
নাজনীন১ বলেছেন: একই পোস্টে - কমেন্টে দুইপক্ষকেই দোষ দেয়া হয়েছে, আপনার দুটো মাইনাসে প্লাস হয়ে গেছে।
৩০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৮
নাজনীন১ বলেছেন: আপুদের মন্তব্য আশা করছিলাম। তারা কি ভাবছে এ নিয়ে?
৩১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:০৬
ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: (এই কমেন্টের সকল আলোচনা শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে)
পরকীয়া চার প্রকার-
১) অবিবাহিতা মেয়ের কোন বিবাহিত পুরুষের সাথে - এইজাতীয় প্রেম এখনো প্রায় শুন্যই বলা যায় (আমরা শাওন আর তার নাগরের উদাহরন না টানি)। বাংলাদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই ভার্জিন পাওয়ার শখ থাকে, এইটা একটা কারন। অবিবাহিতা মেয়েদের অ্যাক্সেস টু গাইজ খুব সীমিত। কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে যে ছেলেদের সাথে কিছু উঠাবসা হয়, তারা সবাই অবিবাহিতই থাকে।
২) বিবাহিত মেয়ের অন্য পুরুষের (বিবাহিত/অবিবাহিত) সাথে - আমাদের সমাজব্যবস্থা এর জন্য খুব বড় রকমের দায়ী। আগেই বলেছি, আমাদের মেয়েরা বিয়ের খুব একটা ছেলেদের সাথে মেলামেশা করে না (দশ-পনেরটা সরকারী আর গোটা পনের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিই পুরা দেশ না!)। সামিউলের মা টাইপ মহিলারা বিয়ের আগে কোনকালেই কোন ছেলের সাথে কথা বলে না। নিজেদের সঙ্গী বাছাই তো অনেক দুরের ব্যাপার, বিয়ের সময় তাদের কোন মতামতও নেয়া হয় না। আত্মীয়স্বজন বা তাদের পরিচিত কোন ব্যক্তির (যে ব্যক্তিকে হয়ত সেই মেয়ে চিনেও না, সেই ব্যক্তিও ওই মেয়েটাকে চিনে না!!) দেয়া চারিত্রিক সার্টিফিকেটেই তাদের সারাজীবনের সঙ্গী ঠিক হয়ে যায়। বাসর রাতে প্রথমবার চেহারা দেখে মেয়েটা আবিষ্কার করে এই লোকটার সাথে তার স্বপ্নপুরুষের কোটি মাইল দুরত্ব। সময়ের সাথে সাথে বেশিরভাগ মেয়েরই এই দুরত্ব কমে আসে, দু-একজন থাকে ব্যতিক্রম যাদের জন্য এই দুরত্ব আরও বাড়ে। এর মধ্যে সে শারীরিক সম্পর্কের মজাটা বুঝে গেছে। শরীর আর মনের ক্ষুধা কখনো চাপা রাখা যায় না। কাউকে না কাউকে দিয়ে মেটাতেই হয়।
এর সাথে আরও একটা বিষয় থাকে। অ্যারেঞ্জড তো বটেই, লাভ-ম্যারেজেও এই সমস্যাটা দেখা যায়। আমাদের ডিভোর্স রেট খুব কম বলে ছেলে-মেয়ে উভয়েই তাদের সঙ্গীকে গ্যারান্টেড হিসেবে নেয়। নিজেকে সঙ্গীর কাছে আকর্ষনীয় রাখা, প্রতিনিয়তই ছোট ছোট উপলক্ষ্য দিয়ে সম্পর্ককে ঝালাই করা, মাঝে মাঝে এদিক-সেদিক বেড়াতে যাওয়া, এইগুলির প্রচলন শিক্ষিত ফ্যামিলিতেও প্রায়ই দেখা যায় না। আর সামিউল টাইপ ফ্যামিলি তো বাদই দিলাম। মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘা হিসাবে আছে কন্ট্রোলে রাখার টেন্ডেন্সি। বাংলাদেশে একটা পরিবার স্বামী-স্ত্রী দুইজন মিলে চালায় না, হয় স্বামী চালায়, না হয় স্ত্রী চালায়। এইসব করতে করতে কয়েক বছরের মধ্যেই সম্পর্কটা ভালবাসার বদলে শুধুই 'নানান পারিপার্শ্বিক কারনে টিকিয়ে রাখা'য় পরিনত হয়।
৩) অবিবাহিত পুরুষের বিবাহিত মহিলার সাথে - মুলত শারীরিক সম্পর্কের লোভে। অবিবাহিতা মেয়েকে বিছানায় নেয়া যত কঠিন, বিবাহিতা মেয়েকে না নেয়াটা ততটা অস্বাভাবিক। তাছাড়া সেক্স একটা আর্ট। ভার্জিন, লাজুক টাইপ মেয়ে বিয়ের জন্য সবাই চায়। কিন্তু সেক্সের জন্য অভিজ্ঞ মেয়ে মাচ বেটার। একটা অভিজ্ঞ মেয়ে শুধু তার চোখের ইশারা দিয়ে, কথার ঢং-চং দিয়ে পুরুষের হৃদয়ে টর্নেডো নিয়ে আসতে পারে। আর বিছানায় যে আনন্দ একটা অভিজ্ঞ মেয়ের কাছ থেকে পাওয়া যায়, একশ'টা মেয়ের রক্তক্ষরনেও সেই আনন্দ লাভ হয় না। (নারে ভাই, আমার কোন অভিজ্ঞতা নাই এই বিষয়ে। এইগুলি আমার থিওরেটিক্যাল জ্ঞান। )
৪) বিবাহিত পুরুষের অন্য মহিলার (বিবাহিতা/অবিবাহিতা) সাথে - দুই নাম্বারে যা বলা হয়েছে, মোটামুটি তা এইক্ষেত্রেও খাটে।
আমাদের সামাজিক নিয়মকানুন, প্রথাগুলি ঘুনে ধরা, পচে গলে যাওয়া। এই প্রথা দিয়ে আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগেও ধাক্কায়-ধুক্কায় চলা যেত। এখন আর চলে না। আমাদের মেন্টালিটি, চাওয়া-দাবীগুলি অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু প্রথাগুলি পিছিয়ে আছে শ' শ' বছর। এখানেই তৈরী হচ্ছে সমস্যা। আর তার বলি হচ্ছে সামিউলরা।
৩২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৯
ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: কমেন্টের কিছু অংশ একটু বে-লাইনের হয়ে গেল। নারীব্লগারের পোস্টে এইভাবে লিখতে চাই নাই, কিন্তু এর চেয়ে ভালভাবে আর প্রকাশও করতে পারলাম না!
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
নাজনীন১ বলেছেন: এতো ডাব্বা সাইজের কমেন্ট!! কিন্তু বেশ গোছানো কমেন্ট। অনেক খোলামেলাভাবে বললেও অনেক বাস্তবতাই ফুটে উঠেছে।
আমাদের সমাজে না হয় প্রথাগতভাবে আমরা পিছিয়ে, যারা অনেক আগানো সমাজের অধিকারী তারা কি আদৌ সুখে আছে? তাদের সন্তানেরা কি বাবা-মাকে ঠিকমতো কাছে পাচ্ছে? সেসব সন্তানেরা কি সামাজিকভাবে নিরাপদ আছে? কি মনে হয় আপনার কাছে?
৩৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫৮
ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: এই বিষয়ের উপরে আমি নিজেই একটা পোস্ট লিখছিলাম। ড্রাফটে ছিল। আমি ওয়াচে বলে আমার পোস্ট মুল পাতায় যাবে না। তাই পোস্টটা দেয়া হচ্ছিল না। আপনার মোটামুটি কাছাকাছি বিষয়ে পোস্ট দেখে ড্রাফট থেকে তুলে দিয়ে দিলাম। এই হইল ডাব্বা সাইজের রহস্য।
আপনার কোরিয়ার অভিজ্ঞতা বলেন, শুনি। আমিও আমার ক্যানাডা অভিজ্ঞতা বলব। আমারটা আজকে থাক। ভোর চারটা বাজে, এখন একটা বিশাল পোস্ট দেয়ার আসলে ধৈর্য নাই।
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৪১
নাজনীন১ বলেছেন: হুম, ভাল প্রশ্ন করেছেন। কতক্ষণ ভাবলাম, কোরিয়ার পরকীয়াসংক্রান্ত কোন চিত্র মাথায় আসলো না, আসলে এ ব্যাপারে আমি পুরাই অন্ধকারে আছি। এরপর থেকে একটু খেয়াল করার ট্রাই করবো। তবে এদেশে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সামাজিক নিরাপত্তা অনেক ভালই আছে।
আর এরা তাদের অতীত ঐতিহ্য ছেড়ে পশ্চিমাদের অনুকরণে ব্যস্ত, তাই সমাজে সিঙ্গেল মাদার আর চার্চের অধীনে ওরফানহাউজও আছে, যেখানকার বাসিন্দারা জানে না তাদের বাবাদের পরিচয়। এটা অবশ্য এ পোস্ট রিলেটেড তথ্য না।
৩৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৫৩
মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: এ কোন দেশে বাস করছি আমরা?মা`য়ের কাছেও শিশু সন্তান নিরাপদ না।
১০ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:০৮
নাজনীন১ বলেছেন: সন্তানেরা বাবা-মা দুজনের কাছেই নিরাপদ থাকুক, এ কামনা।
৩৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: লেখা পড়লাম।
ভাল না লাগার কারন নেই।
কমেন্টগুলো পড়ার ধৈর্য্য পাচ্ছি না!
পড়ে আবার আসব।
১০ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:০৮
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ তায়েফ। পারলে আবার আসবেন।
৩৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৮
ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: আমি কোরিয়ার পরকীয়া পরিবেশ জানতে চাই নাই। আমার ৩১ নাম্বার কমেন্টটা যদি ভালমত পড়েন (ডাব্বা সাইজ দেখে পড়েন নাই হয়ত। ব্যাপার না, আপনার আর রাগী ম্যাডামের যে ডাব্বা সাইজগুলিও আমরা এইভাবেই অ্যাভয়েড করি
), তাহলে বুঝবেন যে পরকীয়াকে আমি আমাদের অতি প্রাচীন প্রথাগুলির একটা বাই-প্রডাক্ট মনে করি।
পশ্চিমে কিন্তু পরকীয়া খুব রেয়ার জিনিস। একজনের সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় এরা সহজে অন্য কারও সাথে জড়ায় না। কারন তার দরকার হয় না। ভাল না লাগলে ব্রেকআপ/ডিভোর্স করে তারপর নতুন পার্টনার খোজা শুরু করে।
৩২ নাম্বার কমেন্টের দ্বিতীয় প্যারায় যে প্রশ্নগুলি রেখেছেন, তার উত্তরে বলা যায়, এরা সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদার যে পরিবর্তন, তার সাথে সমাজকে বদলে নেয়। ফলে তাদের সমস্যা কম হয়। লিভিং টুগেদার ৩০ বছর আগেও রেয়ার জিনিস ছিল, প্রি-ম্যারেজ সেক্স ৫০ বছর আগে কদাচিত ঘটত, হোমো-সেক্সুয়ালিটি ২০ বছর আগে লোকে লুকায় রাখত, ডিভোর্স ৫০ বছর আগে বিশাল পারিবারিক বিপর্যয় হিসাবে ধরা হত। কিন্তু এদের যখনই এগুলি দরকার হল, তারা সমাজকে প্রয়োজনমত বদলে নিল। বুড়া-বুড়ি থেকে শুরু করে বাচ্চারা, সবাই নতুন সিস্টেমের সাথে খুব সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
এইখানেই আমাদের সমস্যা!
১০ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৬
নাজনীন১ বলেছেন: এই যে কথাটা বললেন না,
"একজনের সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় এরা সহজে অন্য কারও সাথে জড়ায় না। কারন তার দরকার হয় না। ভাল না লাগলে ব্রেকআপ/ডিভোর্স করে তারপর নতুন পার্টনার খোজা শুরু করে।"
এটা কিন্তু মুসলিম সমাজের বহু পুরানো পন্থা, ঠিক করে বললে আরবের মুসলিম সমাজে এ চর্চাটা সহজ ছিল। আমাদের দেশের সামাজিক পরিবেশ অনেক বেশি রক্ষণশীল, তাই সমস্যা বেশি।
আর পাশ্চাত্যের সাথে আমাদের সবচেয়ে বড় বিরোধটা হচ্ছে আদর্শের। তারা শুধু পার্থিব চিন্তা করে, পরকাল তাদের কাছে খুব কমই গুরুত্ব পায়। কিন্তু আমাদের সমাজে মুসলিম বলি, হিন্দু বলি, অন্য যেকোন ধর্মের বলি না কেন, তা পারবো না। আমরা বুঝে হোক, না বুঝে হোক, ভালভাবে জেনে হোক, না জেনে হোক পরকালের প্রতি একটা ভয় আমাদের সবারই আছে। তাই ওদের মতো যা খুশি তা আমরা করতে পারবো না। কিন্তু আমরা আমাদের মূল্যবোধগুলোকে যদি অযথা জটিল না করে, বাড়াবাড়ি না করে সহজ এবং সঠিকভাবে চর্চার চেষ্টা করি, তাহলে অনেক সমস্যাই সমাধান করা যায়।
আমাদের পরিবারপ্রথা আমাদের গর্ব, এতে খারাপ কিছু নেই। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা বাহিরের নানা কাজে এতো ব্যস্ত হয়ে পড়ছি যে পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়া, স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের হকের প্রতি উদাসীনতার কারণে আমাদের আজ এ অবস্থা। আমাদের সবারই বস্তুগত লোভ মারাত্মক বেড়ে গেছে, এটা অবশ্যই কমানো উচিত।
১০ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৮
নাজনীন১ বলেছেন: আর আমি "আপনাদের" ("আমরা" বলতে কাদের কাদের বুঝিয়েছেন কে জানে!) মতো পঁচা না, আমি যে পোস্টে আগ্রহ পাই তার সবটাই মনোযোগ দিয়ে পড়ি, আর যেটা পড়তে চাই না, সেটা ভিন্ন কথা।
৩৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৫২
ব্ল্যাকম্যাজিশিয়ান বলেছেন: লেখক বলেছেন: আর আমি "আপনাদের" ("আমরা" বলতে কাদের কাদের বুঝিয়েছেন কে জানে!) মতো পঁচা না, আমি যে পোস্টে আগ্রহ পাই তার সবটাই মনোযোগ দিয়ে পড়ি, আর যেটা পড়তে চাই না, সেটা ভিন্ন কথা।
------------------------------
'আমরা' বলতে যারা আপনাদের ডাব্বা সাইজের পোস্ট/কমেন্ট লিখে না, তারা।
বাকিটার উত্তর পরে।
১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫২
নাজনীন১ বলেছেন: ওকে।
৩৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮
সাদা কালো এবং ধূসর বলেছেন: আমার এই মহিলাগুলোকে মোটেই স্বাভাবিক মনে হয় না, কারন প্রেমে পরিবারের বাপভাইমাবোন কত লোকই তো বাধা সৃষ্টি করে, ছেলেরা বা মেয়েরা একারনে বাপভাইমাবোন কে খুন করে এমন ঘটনা কয়টা ঘটে?
ছোট্টবাচ্চা যে কথাই ঠিক মত বলতে পারে না তাকে নিয়ে ভয় সে ফাস করে দেবে ঘটনা। খুন করার পর দেহ সরানোর জন্য যে অদ্ভুত প্রক্রিয়া অবলম্বন। এর সবটাই খুব অদ্ভুত। নারীদের পরকিয়া করে পালিয়ে যাওয়া তো নতুন কিছু নয়। কাউকে খুন না করেই তারা এতকাল পালিয়ে গিয়েছে। এখন কি এমন ঘটলো যে মানুষ করতে হচ্ছে? তাও আবার নিজের লালন পালন করে বড় করা সন্তানকে। খুব বেশি অদ্ভুত।
আবার নতুন কাহিনী স্বামী ২য় বিয়ে করবে বলে বাচ্চা নিয়ে ট্রেনে তলে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড। স্বামী আবার বিয়ে করবে তার জন্য মরতে হবে কেনো? মরবে ভালো কথা, বাচ্চা কে নিয়ে কেনো? দুইবাচ্চা আর নিজের গায়ে কেরোসিন ঢালার কাহিনী। হঠাৎ করে সবাই এমন মারকাটারিতে গেলো কিভাবে?
কিছু একটা খুব গোলমেলে।
১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৩
নাজনীন১ বলেছেন: হুম, আমাদের সমাজবিজ্ঞানী এবং মনোবিজ্ঞানীদের এটা নিয়ে ভাবা দরকার।
৩৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১১
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: প্রেমে পড়লে কিন্তু মানুষ আসলেই ভীষন বোকা হয়ে যায়। আমার তো মনে হয় প্রেমে পড়লে এমনকি স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধিও লোপ পায়।
কি বিভৎস সব ঘটনা ঘটে চলেছে চারপাশে!
১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৪
নাজনীন১ বলেছেন: প্রেমে পড়ে মানুষ সহিংস হয় কিভাবে তাতো আমি বুঝি না, আসলেই কি সেটা প্রেম? নাকি অন্যকিছু।
৪০| ১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১৪
মিঞা ভাই বলেছেন: প্রেম কি?
১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৫
নাজনীন১ বলেছেন: আজকে একটা ব্লগ পড়লাম। দেখেন তো আপনার প্রশ্নের জবাব পান কিনা সেখানে।
Click This Link
৪১| ১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:০৮
দেশী পোলা বলেছেন: শয়তানের সাথে একমত, এরকম পরকীয়ার ঘটনায় দোষের ভার নারীর উপরেই দেব।
রোমান্টিক ফ্যান্টাসীতে ভোগা শুধু পুরুষদের দোষ না, নারীরাও সমান দোষে দোষী, ফারাকটা হইলো, পুরুষ নারীর কথায় চলে, নারী পুরুষের কথায় চলে না
১২ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৪৬
নাজনীন১ বলেছেন: শয়তান ভাইর আরেকজন সাপোর্টার পাওয়া গেছে। পুরুষেরা এক্কেরী ভোলাভালা, নারীরাই কেবল তাদের ভোলায়।
পুরুষ নারীর কথায় চলে, নারী পুরুষের কথায় চলে না --- এটা মনে হয় পুরুষ যতদিন প্রেমিক ততদিনের জন্য ঠিক, স্বামী হইলে উলটা কেইস। তখন আর বৌয়ের পাত্তাই থাকে না।
৪২| ১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৫০
শয়তান বলেছেন: উত্তরঃ নয়তো সমাজে শর্ট ডাইভোর্সের সংখ্যা বহুগুন বেড়ে যেত । এমনকি বিয়ে নামক বন্ধনটার অস্তিত্তই থাকতো কিনা সন্দেহ।
১২ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:৫১
নাজনীন১ বলেছেন: হয়তো সেটাই ঠিক, কিন্তু বারবার সঙ্গী পাল্টানোতেও যে খুব একটা সুখ নাই তা আমরা পশ্চিমাদের দেখে ভালই বুঝি। এর চেয়ে আগেকার যুগে বা এখনো অনেক পরিবারে আমাদের দেশে যে মানিয়ে নেয়ার কালচার ছিল, সেটা অনেক ভাল লাগে। দুটো পরিবার থেকে আসা দুজন মানুষের মধ্যে কমন ব্যাপার খুব কম থাকবে, এটা কি আমরা সহজে মেনে নিতে পারি না? ছোট-খাট বিভেদকে , না পাওয়াগুলোকে কি খুব বড় করে দেখাই লাগে? তা না হলে কি আমরা প্রতিনিয়ত হেরেই যাই?
৪৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৮
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: প্রেম আর সহিংসতা হাতে হাত ধরে চলে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:১৫
নাজনীন১ বলেছেন: হয়তোবা, হয়তো না।
৪৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:০৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এই সমস্যা থেকে উৎরানোর একটাই উপায়, "ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে চলা"।
জানি, এর বিরুদ্ধে অনেকেই বলবেন। আমি বলছি না যে, সমাজে ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে চলার হার বেড়ে গেলেই পরকীয়ার বা এই সংক্রান্ত অপরাধগুলো পুরোপুরি উঠে যাবে। সেটা বাস্তবসম্মতও নয়, কারণ খারাপ কিছু আছে বলেই ভালর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। কিন্তু পরিবার ও সমাজে যদি ধর্মীয় বিধি নিষেধ মেনে চলা হয়, তাহলে এই ধরনের অপরাধ অনেক কমে যাবে আশা করি।
মানুষ প্রথমেই বিবেকের কাছে দ্বায়বদ্ধ। কিন্তু সে যখন এই বিবেককে অতিক্রম করে যায়, তখন আর একটি জিনিসই তাকে হয়ত ভাবাতে পারে, সেটা হল স্রষ্টার ভয়, যদি ইসলামের পরিভাষায় বলি সেটা হলে "ত্বাকওয়া"। এই ত্বাকওয়া অর্জন খুব গুরুত্বপূর্ণ, পরিবার থেকেই তার ভিত্তি গড়া উচিত, আর তাহলেই সে সামাজিক পর্যায়ে ত্বাকওয়ার বাস্তবায়ন ঘটাতে সাহায্য করতে পারবে। যেমন ধরুন, দৃষ্টিকে অবনত রাখা ইসলামে নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের সীমাবদ্ধতা অবশ্যই সবচেয়ে ভাল জানেন, সুতরাং তিনিই আমাদের বলে দিয়েছেন কিভাবে চলতে হবে। মানুষের মধ্যেকার যৌন প্রবৃত্তিগুলো অনেক সময়ই যে বিবেককেও ছাড়িয়ে যায়, সেটা আমারদের স্রষ্টা অবশ্যই জানেন। আর আমাদের পরীক্ষা কিন্তু সেখানটাতেই !!! কিভাবে নিজের মনের অন্ধকার অংশটার সাথে আমরা যুদ্ধ করি !! আমার মনে হয় ইসলামী জীবনাচরন যদি আমরা আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম, তাহলে সমাজের এই সমস্যাগুলো অনেকাংশেই কমে যেত। ১৪০০ বছর আগের আরব সমাজে সেই দৃষ্টান্ত ছিল, যখন মক্কা থেকে মদিনাতে একজন মহিলা একাকী নিরাপদে ভ্রমন করতে পারত।
অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে কম জানি, তবে আমার ধারনা সব ধর্মেই খারাপ জিনিস থেকে বেচে থাকার জন্য জীবনাচরনের কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে।
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৩৭
নাজনীন১ বলেছেন: ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চলা অবশ্যই একটা ভাল সমাধান। কিন্তু এটা কি সবাই মানছে? সমস্যা তো সেখানেই। নৈতিকতার চর্চা সবাই করলে তো আর পৃথিবীতে কোন সমস্যাই থাকতো না। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য।
৪৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৩০
নৈশচারী বলেছেন: জিনিসটাকে আসলে এতটা সরলীকরণ করা যায় না বোধহয়! পরকীয়া ও তার ভয়াবহ সাইড ইফেক্টগুলো অতি সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে আমাদের সামনে উঠে এসেছে সেরকম আগে আর কখনো এসেছিল কিনা সন্দেহ! কিন্তু তার পেছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে হলে অনেকখানি ভাবতে হবে বলেই আমার মনে হয়! কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে, সিংহভাগ আম মানুষের পক্ষে আর যাই অবদমন করা সম্ভব হোক, শারীরিক চাহিদা অবদমন করাটা খুব কঠিন! এবং সাম্প্রতিক সময়ের যতগুলো পরকীয়ার ঘটনা আমরা শুনতে পাই,তার বেশিরভাগের পেছনেই এই ব্যাপারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি প্রধানতম কারণ হিসেবে কাজ করেছে! বেশিরভাগ বিবাহিত নারীরাই যারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন দেখা যায় তারা তাদের স্বামীর কাছ থেকে পরিপূর্ণ সাহচর্য্য ও শারীরিক তৃপ্তি পাচ্ছেন না! ফলতঃ অবদমিত বাসনার বহিঃপ্রকাশে জড়িয়ে পড়ছেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে, জন্ম দিচ্ছেন নানা দুর্ঘটনার! সাম্প্রতিক সময়ে শিশু সামিউল হত্যার ঘটনাটিই এই সত্যের নগ্নতম রূপ আমাদের সামনে উন্মোচিত করে দিয়েছে!
এখন কথা হলো, এইরকম মানসিক অবস্থায় একজন নারীর আসলে উপরের কথাগুলো ভাবার মত মন মানসিকতা কতটা থাকে সেটা নিয়ে! পরকিয়াটাকে এক ধরনের নেশার গোত্রেই ফেলা যায় বলে আমার মনে হয়! একজন নেশাগ্রস্থ ব্যক্তির আশেপাশের ভালো মন্দ, ন্যায় অন্যায় বিচার করার ক্ষমতা লোপ পায়! সুতরাং যেসকল নারী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তারা আদৌ কখনো সংসার বা সন্তানের ভবিষ্যত ওই জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে অতটা গভীরভাবে চিন্তা করার মত মানসিক গঠনের অধিকারী থাকেন বলে আমার মনে হয়না! আর মূল্যবোধ জিনিসটাও সকলের ভেতর সমানভাবে থাকে না!
আসলে এই যে গোটা সিচুয়েশনটা, এটা সত্যিকার অর্থেই আমাদের নগরজীবনে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের মধ্যে দিন দিন মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ছে! তার জন্য আমাদের অস্থির সময় এবং সেই সময় দ্বারা প্রভাবিত মানুষদের অস্থির ও অসুস্থ মন মানসিকতাই মূলতঃ দায়ী! এক দুই কথায় জিনিসটাকে পুরোপুরি বিশ্লেষণ আসলে করা সম্ভব না! তাই আপাতত এটুকুই!
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯
নাজনীন১ বলেছেন: অনেক চমৎকার বলেছ নৈশচারী। উপরে ব্ল্যাকম্যাজেশিয়ানও অনেক কিছু বলেছে। আসলে কারণগুলো যাই-ই হোক না কেন বর্তমান বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে বাবা-মার সম্পর্কের টানাপোড়েনে শিশুহত্যাটাইপ ঘটনা ঘটছে, যেটা নিঃসন্দেহে একটা বড় রকমের হিংস্রতা।
একটা সময়ে পুরুষদের পরকীয়ার কথাই বেশি শোনা যেত, যদিও প্রেম করতে গেলে অপরপক্ষে একজন নারী থাকা আবশ্যক, সমকামীতা তখনো বা এখনো তত প্রকট নয় মনে হয়। তবে ঐসব ক্ষেত্রে বিবাহিত পুরুষের সাথে অবিবাহিত নারীর সম্পর্কই মনেহ অয় বেশি ছিল।
বিবাহিত নারী আবার মা যারা তারা সন্তানের দিকে চেয়ে অনেক ত্যাগই করতেন। আমাদের সমাজে অনেক বিধবা নারী আছে, এমনকি অল্পবয়সে বিধবা হয়েছেন এমন নারীও আছেন যারা কেবল সন্তানের দিকে চেয়ে আবার বিয়ে করতেন না বা এখনো করেন না। আমি বলছি না যে এমনই হওয়া উচিত, বিধবাদেরও আবার বিয়ে করে জীবনসঙ্গীসহ বেঁচে থাকা দরকার এবং সেরকম ব্যবস্থা করা ভাল। কিন্তু বলছিলাম এই যে এক সময়ে আমাদের মায়েরা অনেক ত্যাগ করেছেন। আমরা সুযোগসন্ধানী লোভী পুরুষদের অনেক ব্লেইম দিয়েছি। এখন আর আমাদের সে সুযোগ নেই। এখন আমরা বলবো পুরুষেরাও অন্যায় লোভ করে, নারীরাও করে। সমাজের এই উভয়দিক থেকে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, এর আল্টিমেট পরিণাম কি ভাল কিছু হতে পারে?
৪৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৪১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চলা অবশ্যই একটা ভাল সমাধান। কিন্তু এটা কি সবাই মানছে? সমস্যা তো সেখানেই। নৈতিকতার চর্চা সবাই করলে তো আর পৃথিবীতে কোন সমস্যাই থাকতো না।
আপু, পয়েন্টটাতো সেখানেই ! আজকে সমগ্র বিশ্বে একটা শক্তিশালী গোষ্ঠি উঠে পড়ে লেগেছে ধর্মীয় মূল্যবোধকে মানুষের জীবন থেকে মুছে ফেলার জন্য। মিডিয়া বা মত প্রকাশের মাধ্যমগুলো তাদের দখলে।এই ব্লগেই দেখেন না, একটা শ্রেণী ইসলামকে হেয় করার জন্য আদা জল খেয়ে নেমেছে। ইসলামের অপব্যাখ্যা করে তারা সবার কাছে ইসলামকে একটা অপাংতেয় ব্যাপারে পরিণত করেছে। কিন্তু ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য তারা কখনোই খুজে দেখেনি বা দেখিয়ে দিলেও সেটা তারা এড়িয়ে যাবে।পাশ্চাত্যে নারীরা আজ সানন্দেই তাদের নিজেদেরকে পণ্য বানিয়ে ফেলেছে। দৈহিক সৌন্দর্যকে আজ তারা অর্থ উপার্যনের উপায় হিসেবে নিয়েছে। তাদের উদারতার জন্যই আজ প্লেবয় নামক ম্যাগাজিনের উদ্ভব হয় আর সেখানে উপস্থিত হয় বিখ্যাত মডেলরা। এটাই আজ তাদের কাছে সম্মান অর্জন এর উপায়। এই হল মুক্তমনাদের নৈতিকতার দৃষ্টান্ত !!উদারতার খাতিরে সব কিছুকেই বিলিয়ে দিতে হবে। যদি কিছু বলেন, তাহলে আপনি মধ্যযুগীয় কায়দায় নারীকে পর্দার আড়ালে রেখে তার অধিকার হরণ করছেন!!কিন্তু উদারতার খাতিরে তারা যে আইয়ামে জাহেলিয়াত সৃষ্টি করে ফেলেছে সেটা নিয়ে কোন কথা নাই!! কি আশ্চর্য !! আজকে আমাদের দেশের অসচেতন মানুষরাও পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ করতে গিয়ে তাদের নৈতিকতাকে একটা টানা পোড়নে ফেলে দিয়েছে, ঘটিয়ে ফেলছে বেসামাল কিছু অপরাধ। অনেকেই উদাহরণ দিয়ে থাকেন, উন্নত বিশ্বে নারীর অধিকার, নিরাপত্তা খুব ভাল, নারীকে প্রচন্ড সম্মান করা হয়! আসলেই কি তাই?? পরিসংখ্যান কিন্তু তা বলে না, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এখানে একটু দেখে আসতে পারেন। সত্যি কথা বলতে আমাদের সমাজে ইসলাম ও পাশ্চাত্যের মিশ্রণের যেই একটা অপচেষ্টা চলছে সেটাই অনেকটা বদ হজমের মত ইফেক্ট ফেলছে আমাদের সমাজে। তেলে পানিতে কখনো মিশ খায় না সেটা আমাদের বুঝতে হবে। আজকে একটা চক্র পৃথিবীতে নীল নকশা বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে খুব পরিকল্পিভাবে যাতে মানুষ ঈমান হারা হয় আর আল্লাহর বিধান ও তার রাসূলের সুন্নাহ থেকে দূরে সরে যায়।
আমি এখানে শুধু ইসলামকে দিয়েই উদাহরণ দিলাম, কারণ পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে যা বুঝি, ইসলাম ছাড়া আর অন্য কোন ধর্মের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই এসব নিয়ে কিছু বলার বা করার। আপনি আজকে ভারতের দিকেই তাকান। আজকে বলিউডে যেসব পোষাক পরে নারীরা উস্থাপিত হচ্ছে, সেগুলো আমি নিশ্চিত সনাতন ধর্মের আচারের সাথেও যায় না। অথচ সিনেমা/সিরিয়ালে সকাল বেলা পূজা দেখিয়ে সেই নায়িকাকেই একটু পরে বিকিনি পড়ে সমুদ্রে নামিয়ে দিচ্ছে, বলা যায় এরা অশ্লীলতায় হলিউডকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এসব নিয়ে তাদের সমাজে কোন কথা নাই, কারণ তারতো উন্নত হচ্ছে!! আজকে থাইল্যান্ডে দেখেন, ৯০% বৌদ্ধ সংখ্যাধিক্য আছে।পুরো দেশটাই একটা পতিতালয় বলা চলে! আপনার যা খুশি করেন, কেউ বাধা দেবে না।রাস্তা দিয়ে বয়স্ক কাউকে নিয়ে হাটলেও দালালরা পতিতাদের ছবি দেখিয়ে তাদের অফারগুলো তুলে ধরছে, প্রতিটা ট্যাক্সি ড্রাইভার দালাল, তাদের আয়ের মূল উৎসই ওই কাজ!! ভাল হোটেলগুলো তে রিসেপশনে মেয়েরা বসে থাকে, আপনি যাকে পিক করবেন তার আইডি কার্ড হোটেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি রেখে দেবে যাতে মেয়েটি কাউকে প্রতারণা করতে না পারে। এদের HIV নিয়মিত পরীক্ষা করতে হয়,যাতে কোন সংক্রমণের আশংকা না থাকে। রাষ্ট্রযন্ত্র নিজে এই পতিতাবৃত্তিকে তার রাজস্ব আয়ের জন্য বেছে নিয়েছে বলে মনে হয়। কোথায় বৌদ্ধ ধর্মের নির্দেশনা !! কেউ কি নাই প্রতিবাদ করার সেখানে? বা কতটা নির্দেশনাহীনভাবে চললে আজকে তাদের অবস্থা এই অবস্থায় যেতে পারে?? আর খ্রিস্টান/ইহুদী ধর্ম যেখানে পালিত হয় সেখানকার কথা মনে হয় নতুন করে বলার দরকার নাই।
শেষ কথা একটাই, ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব, ধর্ম চর্চার অভাবই এই অধঃপতনের মূল কারণ বলে আমি মনে করি। আর অধুনা শুরু হয়েছে, ধর্মহীনতা/ধর্ম বিরোধীতা, এটা শুধু ষোল কলাই পূর্ণ করেছে, এর বেশী কিছু নয়। ত্বাকওয়া অর্জন আর অপরকে ত্বাকওয়ার পথে নিয়ে আসার চেষ্টা ছাড়া আর কোনভাবেই এই দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই বলেই আমার বিশ্বাস!!
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৭
নাজনীন১ বলেছেন: এটা ঠিক যে শিল্পবিপ্লবের পর থেকে পুঁজিবাদী ধ্যান-ধারণা যত বিকশিত হয়েছে, ধর্মহীনতাও পাশাপাশি হাত ধরে এগিয়ে চলছে। তবে এই পরকীয়া জাতীয় ব্যাপার কিন্তু নতুন কিছু নয়, বহু পুরোনো। এখন মিডিয়ার কল্যানে খুব বেশি মাত্রায় বিস্তার হচ্ছে বা ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে বেশি। আগে হয়তো অনেক ঘটনাই অপ্রকাশিত থাকতো, এখনো হয়তো অনেক ঘটনা আমরা জানি না।
আর তাক্ওয়া বা পরহেজগারী শব্দটা আপনি একজন মুসলিমকে বলে বোঝাতে পারবেন, একজন অমুসলিমকে তো আপনি এ শব্দ বোঝাতে পারবেন না। তাকে বোঝাতে হবে নৈতিকতার টার্ম। আবার আমরা যদি মনে করি দুনিয়াতে কেবল মুসলিমরাই থাকবে, ইসলামই থাকবে, আর কাউকে দেখতে চাই না, এটা অবশ্যই একটা ভুল চিন্তা। আমরা আমাদের আদর্শের প্রচার করতে পারি, কাউকে জোর করে আমার আদর্শে নিয়ে আসতে পারি না। অন্য আদর্শের কাউকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারি না।
আর উনত বিশ্বে নারীদের নিরাপত্তা, অধিকার অনেক ভাল -- এটা কিন্তু খব ভুল তথ্য নয়। আমি যেখানে থাকছি সেখানে রাত ৩-৪টাতেও একটা মেয়ে একা চতলে পারে নির্ভয়ে, এটা কিন্তু কোন মুসলিম দেশ নয়, এথিস্টের দেশ। অথচ আপনি বাংলাদেশের মতো দেশে কি এটা চিন্তা করতে পারবেন যে একটা মেয়ে গভীর রাতে একা চলাফেরা করবে আর কোন বিপদে পড়বে না? অথচ সেখানে প্রায় ৮৫% মুসলিম লোকের বসবাস। আর মেয়েটি যদি বাহ্যিক বিপদে নাও পড়ে, সমাজ কি তাকে ভাল চোখে দেখবে, চরিত্রহীন মনে করবে না? এটা আসলে ডিপেন্ড করে সামাজিক মূল্যবোধের উপরে, আমাদের সমাজে অত গভীর রাতে একটা মেয়ে একা চলবে, এটা অবশ্যই একটা খারাপ ব্যাপার, তাই অপরাধীরাও ঐ মেয়ের উপর ঝাপিয়ে পড়াটাকে দোষের মনে করে না।
এখানে পতিতাবৃত্তি কঠোরভাবে আইনত নিষিদ্ধ, গোপনে চলে এসব। অথচ বাংলাদেশে টানবাজার, গোয়ালন্দ, বিভিন্ন পার্ক ওপেন সিক্রেট বিষয়। তাহলে বলেন কেন একটা মুসলিমপ্রধান দেশে মূল্যবোধের এতো দুর্দশা? আমার তো মনে হয় আমরা ধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চা করার কথা বলতে গিয়ে ভুল করে নারীদের অনেক অসম্মানজনক অবস্থায় রেখেছি আমাদের সমাজে। তাই সমাজের পুরুষেরা বা অভিভাবকেরা নারীডের চাহিদার প্রতি, ভাল লাগা-খারাপ লাগার প্রতি কোন গুরুত্বই দেইনি, দেই না। যার সাইড ইফেক্ট হিসেবে গোপন নিষিদ্ধ প্রেমের ঘটনাগুলো ঘটছে। একসময়ে ভায়োলেন্সপর্যায়ে ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, হত্যা করার মতো কুচিন্তাও মাথায় চলে আসছে। আমার মনে হয় আমরা পরিবারে ছেলেদের অপছন্দ-পছন্দকে যেমন মূল্যায়ন করি, একইভাবে যদি মেয়েদের পছন্দ-অপছন্দগুলোকে মূল্যায়ন করতে পারি, তাহলে হয়তো পরকীয়াজাতীয় ঘটনাগুলো কমিয়ে আনতে পারি।
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:২৪
নাজনীন১ বলেছেন: মিডিয়া, মতপ্রকাশের মাধ্যমগুলো কেন অন্যদের দখলে? কেন মুসলিমরা সেগুলো দখল করতে পারেনি? এটা কি অমুসলিম বা তথাকথিত মুক্তমনাদের দোষ নাকি মুসলিমদের দোষ? নিজেদের দোষ, অক্ষমতাকে অন্যের ঘাড়ে আমি চাপাতে রাজি না। এটা আমাদেরই দোষ। আমরা সহিষ্ণু নই, আমরা স্বকীয়তা বজায় রেখে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না, মুখ ফিরিয়ে রাখি, নিজেদের জন্য একটা বৃত্ত তৈরী করে তার ভিতরে বসবাস করতে পছন্দ করি। আর এ সুযোগে অন্যরা বিশ্বজয় করে। এর জন্য তো তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য, তারা করতে পারছে, আমরা পারছি না। তাদেরকে ঘৃণা করা আসলে নিজের অক্ষমতাকে ঢেকে রাখার ব্যর্থ প্রয়াস। এর চেয়ে নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তোলা দরকার, মিডিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে না রেখে সেখানে আমাদের সরব উপস্থিতি দরকার। আর আমি কথা বলবো, আর কাউকে কথা বলতে দিব না -- এজাতিয় সংকীর্ণতা অবশ্যই পরিহার করা দরকার। সবাই যার যার মতামত প্রকাশ করবে, মানুষ নিজের বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে বুঝে নিবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল।
৪৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৪
রোবোট বলেছেন: শয়তানের মত আমিও একটা মাইনাস (ইনভিজিবল) দিলাম। যে মানুষ (নারী/পুরুষ) পরকীয়ায় জড়িয়ে নিজের সন্তানকে খুন করছে, সে কোন সিমপ্যাথী পেতে পারে না। আপনার লেখায় সেই সিমপ্যাথীর গন্ধ পাইলাম। ভালো লাগে নাই সেটা।
যারা অন্য দেশ সম্পর্কে এত কথা বলছেন, তারা কি ঐসব দেশে কখনো থেকেছেন? কালা যাদুকরের সাথে একমত, বিয়ের আগে যাই হোক, কানাডার মত আমেরিকায়ও বিবাহিতরা লুলামি কম করে।
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:২৯
নাজনীন১ বলেছেন: হায় হায়! আমি তো কোন সিমপ্যাথী না দেখানোর জন্য, ঐ নারীদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্যই পোস্ট দিলাম। তা না হলেও তো চুপ করেই থাকতাম, অথবা বলতাম অবলা নারী, অসহায় নারী, বোকা নারী, আবেগপ্রবণ নারী , না বুঝে অমনটা করেছে, বেকায়দায় পড়ে করেছে, আসলে ওর ইচ্ছা ছিল না প্রেমিক পুরুষটিই অমন করেছে, আমরা ঐ নারীকে ছাড় দিতে পারি...।
আমার পোস্টে কি এরকম কোন টোন আছে?
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৩০
নাজনীন১ বলেছেন: বলতে চেয়েছি এটাই নিজের স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষকে ত্রাণকর্তা ভাবছো, এটা অবশ্যই ভুল ভাবনা।
৪৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: Click This Link
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০২
নাজনীন১ বলেছেন: আমার এ পোস্ট ছিল মূলত পরকীয়া এবং এর পরিণতিতে শিশুহত্যা বিষয়ক। এর জন্য প্রথমেই আসে পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর আচরণবিধি এবং পারস্পরিক অধিকারের ব্যাপারে সচেতনতার বিষয়টি। আপনার লিঙ্ক দেখে ভেবেছিলাম এ সংক্রান্ত কিছু হবে।
কিন্তু নাহ্, আপনার পোস্টপ্রসঙ্গটি একটু দূরের ব্যাপার। তাও আবার শান্তি প্রতিষ্ঠায় শুধু নারী সমাজের ভূমিকা নিয়ে। পুরুষ সমাজের কোন কথা নেই, এড্রেস করাও নেই। কেন, পুরুষ সমাজের কোন ভূমিকা নেই শান্তি প্রতিষ্ঠায়? তাদের দায়দায়িত্বের ব্যাপারগুলো কেন সবাই এড়িয়ে যেতে চায়?
আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি নারীদের চেয়ে পুরুষেরা ধর্ম-কর্মে আগ্রহী কম থাকে, গাফেল বেশি হয়, ধর্মের সুবিধাগুলোর অসৎ ব্যবহারের প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি থাকে। তাই পুরুষদেরকে বেশি বেশি এড্রেস করে কথা বলা দরকার আমাদের।
তবে ঐ পোস্টে যে বইটির কথা বলেছেন, "রাসূলের(সাঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা" -- চমৎকার একটি বই। এই বইটি সবারই পড়া উচিত। তাহলে আর আমাদের সমাজে নারীদের মতামতের বাইরে জোর করে কোন কিছু করার ব্যাপারে সমাজের পুরুষেরা আরো সাবধান হতো। বাবা-মা মেয়েদের মতের বাইরে জোর করে বিয়ে দিতো পারতো না, স্বামীর সংসারে খুব অসুবিধায় পড়লে খুব সহজেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারতো, স্বামীরা স্ত্রীদের সাথে প্রভু-দাসের মতো আচরণ করতো না, রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক পর্যায়ে নানা কাজে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতো, সমাজে নারীর একটা সম্মানজনক অবস্থানের সৃষ্টি হতো। একতরফা সবাই শুধু নারীদের দোষ দিয়ে বা শুধু নারীদের দায়দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতো না। ধন্যবাদ।
আপনাকেও আমার একটা পোস্ট পড়ার দাওয়াত দেই।
Click This Link
৪৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:২৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আর উনত বিশ্বে নারীদের নিরাপত্তা, অধিকার অনেক ভাল -- এটা কিন্তু খব ভুল তথ্য নয়। আমি যেখানে থাকছি সেখানে রাত ৩-৪টাতেও একটা মেয়ে একা চলতে পারে নির্ভয়ে, এটা কিন্তু কোন মুসলিম দেশ নয়, এথিস্টের দেশ।
আপনি উন্নত বিশ্বের কোন দেশে থাকেন জানিনা, তবে উন্নত বিশ্বে নারীদের নিরাপত্তার চিত্র নিচের লিংটিতে বেশ স্পষ্টই ফুটে উঠেছে।
http://www.paralumun.com/issuesrapestats.htm
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১২
নাজনীন১ বলেছেন: আবারো বলছি আমার এ পোস্ট পরকীয়া সংক্রান্ত। তবুও আপনি যেহেতু আমার একটা কথাকে কাউন্টার করছেন, তাই একটু বলি,
আপনার দেয়া লিঙ্ক থেকে কিছু অংশ তুলে দিলাম,
Approximately 28% of victims are raped by husbands or boyfriends, 35% by acquaintances, and 5% by other relatives.
আমাদের দেশে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী ধর্ষণের কোন ধারণা প্রচলিত আছে কি? যদি থাকতো তাহলে এর পরিসংখ্যানটা কেমন হতো একটু ভেবে দেখুন তো।
বয়ফ্রেন্ডের সাথে মাতাল অবস্থায় রাত কাটিয়ে সকালে এসে যদি বলে বয়ফ্রেন্ড আমাকে রেপ করেছে, আমরা কি সেটা কে রেপ কেস বলবো, নাকি ব্যভিচার বলবো?
আমাদের দেশে অনেক অনেক নারীরাই খুব অল্প বয়সে (যখন তাদের পর্দা করারও বয়স হয় না) তাদের নিকট-আত্মীয়ের দ্বারা হয় রেপ না হয় নানারকম যৌন হয়রানির স্বীকার হয়, মেয়েরা সাধারণত ভয়ে বা লজ্জায় এগুলো কাউকে বলে না, আবার বাবা-মা জানলেও পুলিশের কাছে রিপোর্ট করে না। বাংলাদেশে সব রেপ কেস যদি রিপোর্ট করা হতো সেটা আমেরিকার চেয়ে কম হতো না।
আচ্ছা, আমাদের দেশে তো রেজিস্টার্ড পতিতাদের লিস্ট আছে, তাদের খদ্দের কি কোন লিস্ট আছে? পারবেন কোন পরিসংখ্যান দিতে সমাজের শতকরা কতজন পুরুষ পতিতালয়ে যায় বা বিবাহ বহির্ভূত সেক্স করে? আছে কোন পরিসংখ্যান?
আর আমি যেদেশের কথা বলছি সেখানে আমার প্রত্যক্ষ জানাশোনা থেকে বলছি। তাই বলে এখানে যে একেবারেই রেপ হয় না তাতো নিশ্চয়ই নয়। সব সমাজেই কিছু অসভ্য মানুষ থাকে। তবে মোটের উপর অনেক নিরাপদ এটাই বলতে চেয়েছি।
৫০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি বাংলাদেশি নারী এবং আপনার কথায় বোঝা গেল যে আপনি স্বদেশের চেয়েও নিরাপদ দেশে বাস করছেন। যাক, জেনে ভাল লাগলো। তবে আপনার কাছ থেকে আমাদের দেশে অনেক অনেক নারীরাই খুব অল্প বয়সে (যখন তাদের পর্দা করারও বয়স হয় না) তাদের নিকট-আত্মীয়ের দ্বারা হয় রেপ না হয় নানারকম যৌন হয়রানির স্বীকার হয়, মেয়েরা সাধারণত ভয়ে বা লজ্জায় এগুলো কাউকে বলে না, আবার বাবা-মা জানলেও পুলিশের কাছে রিপোর্ট করে না। বাংলাদেশে সব রেপ কেস যদি রিপোর্ট করা হতো সেটা আমেরিকার চেয়ে কম হতো না। এরূপ চমকপ্রদ তথ্য জানতে পেরে একদিকে যেমন আমি চিন্তিত হচ্ছি, অপরদিকে এ তথ্য আপনি বিদেশের মাটিতে বশে কোথা থেকে পেরেন সেই সূত্র এবং একই সাথে এই সংকট থেকে পরিত্রানের ভাল উপায় কি হতে পারে সে বিষয়ে আপনার মতামত জানতে আগ্রহী।
১৫ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৫৮
নাজনীন১ বলেছেন: বুঝলাম যে আপনি আমার ব্লগে এর আগে তেমন আসেননি। তাই অনেক কথাই অনেক জায়গায় বলা হয়েছে। আমি পোস্ট অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথা বলতে বেশি আগ্রহী নই। আর দেশের বাইরে পড়াশোনা সংক্রান্ত কাজে আছি, স্থায়ীভাবে নয়। যাক্, আমাকে বোঝার জন্য বরং আপনি কিছু পোস্ট পড়ুন,
http://www.peaceinislam.com/fuad/4156/
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
নিজের কিছু বিজ্ঞাপন দিলাম। কমেন্টসহ পড়ার অনুরোধ রইলো। একটু কষ্ট করে পড়ে দেখেন, আমার ব্যাপারে একটু আপটুডেট হোন। তারপর না হয় আপনার সাথে আলোচনা করা যাবে।
৫১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: বোন, আপনার লেখাটি পড়ে ভাল লাগলো। আসলে আপনার ৯ আগষ্ট লেখার শিরোনাম দেখে .......
হে নারী, গোলেমালে গোলেমালে পিরীত কইরো না
প্রথমে বুঝতে ভুল হয়েছে। আশাকরি মনে কষ্ট নেবেন না।
আমার লেখাটা আর একবার ভাল করে পড়লে আপনাও ভুল ভাংবে আশাকরি। লেখাটিন শিরোনাম "শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারী সমাজের ভূমিকা" নয় , "শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারী সমাজের গুরুত্ব"। পুরুষের চেয়ে নারীর গুরুত্ব যে কম নয় আমি সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। বিশেষ করে পুরুষদেরকে উদ্দেশ্য করেই আমি বক্তব্য পেশ করতে চেয়েছি। এ পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষেরা যেন অযাচিতভাবে নারীদের উপর কোন রূপ অত্যাচার না করে সে বিষয়ে সাবধান করেছি। কারন অত্যাচারী যেই হোক না কেন, সে অবশ্যই জালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হবে। এ বিষয়ে নারীদেরও যে সচেতন হওয়া প্রয়োজন, সেটাই হাইলাইট করতে চেয়েছি।
১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৭
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ বুঝতে পেরেছেন বলে। আপনার ঐ পোস্ট আমি পড়েছি। সেখানে পুরুষদের করণীয় সম্বন্ধে খুব কমই এসেছে। নারীর উপর অত্যাচার না করা ছাড়াও আরো অনেক করণীয় আছে। নারীদের অধিকারের ব্যাপারেও যথার্থ সচেতন হবার দরকার আছে।
৫২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:২৬
হুপফূলফরইভার বলেছেন: খালি পরকিয়া আর পরকিয়া ...
পাশের বাসার ভাই,ভাবির নিত্যদিনের বিবাদ দেখে একদিন ভাইয়াকে সাহস করে জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম! ভাই কাহিনি কি? অলমোস্ট প্রতিদিনই ঝগরা বিবাদ!
যা শুনলাম রীতিমত ভীমরী খাবার জোগার! ইনারা দুজনেই পরকিয়া করেন!! কিন্তু কেউ কাউকে ডিভোর্স দিবেন না!!
পত্রপত্রিকায় এটাতো এখনকার বার্নং ইস্যু!! শৃধৃমাত্র শারিরিক চাহিদাই কি অধুনার ভোগবাদী নারী পুরুষকে পরকিয়ায় জড়াতে প্রলুব্ধ করছে?
আমার মনে হয় একদমই না!
*শারিরিক চাহিদা হয়ত একটা কারন হতে পারে,
মূলত ১.বিভিন্ন ই-প্রি-মিডিয়ার প্রলোভনি বিজ্ঞাপন,
২.হিন্দিসিরিয়ালের রগরগা উপস্থাপন আর!
৩.ক্লোজ সার্কেলের বন্ধুজনদের থেকে প্রাপ্ত বর্ননায়নে নিষিদ্ধ স্বাদের প্রতি তীব্র আকর্ষন
৪. নিজের সঙ্গী/সঙ্গীনীর প্রতি শারিরিক আকর্ষনে অনুত্সাহ!
৫.ফাও খাওয়ার লোভ!
৬. ধর্মীয় রীতির প্রতি যথেস্ট বিশ্বাসী না হওয়া!
......ব্লা ব্লা ব্লা....... কারনসমূহ সবচেয়ে বেশী দায়ী!
বর্তমানে সমাজে নারী পুরুষ সবাই যে পরিমানে অল্পতেই অসহিঞ্চু হয়ে উঠেছি আর আমাদের সামাজিক বেইজমেন্ট এতটাই নড়বড়ে অবস্থায় বিদ্যমান যে পরকিয়া থেকে উত্তরনের সহসা কোন পথ খোলা নেই! দিন দিন এটা সামাজিক অভ্যাসে পরিনত হতে বাধ্য!
১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৮
নাজনীন১ বলেছেন: ইনারা দুজনেই পরকিয়া করেন!! কিন্তু কেউ কাউকে ডিভোর্স দিবেন না!!
আর কিছু বলার নাই। মানুষের মূল্যবোধ, নৈতিকতা যে কোন পর্যায়ে নেমে গেছে!
৫৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:০৯
জিকসেস বলেছেন: কথা যা লিখা হইসে সব ঠিক আসে।
১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৯
নাজনীন১ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৪
কাকপাখি ২ বলেছেন: ৩ টা মাইনাস দিল কোন কোন বেওকুবে?
১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:১১
নাজনীন১ বলেছেন: মাইনাস দিলেই যে বেকুব হবে, এমন কোন কথা নেই। পুরুষদের দোষারোপ করেছি তো, নারীদের দোষ সরাসরি বলি নাই, তাই কেউ মাইনাস দিতেই পারে। সমস্যা নাই তো।
৫৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫০
শয়তান বলেছেন: ৫২ নাম্বারে বর্নিত কেস এর সংখ্যাই এখন অত্যাধিক বাস্তবে। পোস্ট লেখকের আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা শুনতে চাইছি এ নিয়ে ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৩৭
নাজনীন১ বলেছেন: "৫২ নাম্বারে বর্নিত কেস এর সংখ্যাই এখন অত্যাধিক বাস্তবে।"
--- কিন্তু মুশকিল হলো কি জানেন, আমার নিজের জানাশোনা গন্ডিতে এরকম ঘটনা দেখি নাই, শুনিও নাই।
আমি ব্লগে যখন মানুষের জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলি, সেটা আমার চেনা-জানা মানুষদের জীবনে বা তাদের মুখে শোনা তাদের পরিচিত মানুষদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকেই বলি। বানিয়ে বলি না, আবার যাই-ই বলি তাই-ই যে আমার জীবনের ঘটেছে তাতো নয়ই। আমি এ সমাজে মোটের উপর ভাগ্যবান মেয়েদের কাতারেই পড়ি। শুকরিয়া। ছোট-খাট না পাওয়াগুলো একেবারেই তুচ্ছ, এর চেয়ে অনেক অনেক কষ্ট আছে মেয়েদের, মানুষদের।
এ ব্লগে এসে বাংলাদেশে ঘটে এমন দুটো ঘটনা আমি জেনেছি, যা আগে কখনো জানতাম না,
১। একই ছাদের নিচে বসে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পরকীয়া করছে আবার তা দুজনে জানেও কিন্তু কেউ কাউকে ডিভোর্স দেয় না বা স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক ছাড়া লিভ টুগেদার করছে
২। ছেলেরাও ছোটবেলায় যৌন নিপীড়নের স্বীকার হয়। এতোদিন আমি শুধু আমার মেয়েকে নিয়ে টেনশান করতাম, এখন ছেলেকে নিয়েও করি।
যে ব্যাপারে কোন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জানাশোনা নেই সেটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা আসলেই কঠিন, অনেকটা অন্ধকারে তীর ছোড়ার মতো, তবুও কিছু অনুমান করার চেষ্টা করছি বা বোঝার চেষ্টা করছি, ভুলও হতে পারে,
হুপফূলফরইভার উনার প্রতিবেশীর ব্যাপারে খুব অল্পই বললেন, উনি নিজেও হয়তো আর কিছু জানেন না, এখন কেন হতে পারে এরকম,
১। হতে পারে বাবা-মার সিদ্ধান্তে একে-অপরকে বিয়ে করেছেন, নিজেদের ব্যাপারে না জেনে, পরে দেখছেন আর ভাল লাগছে না, ঐদিকে বাবা-মার ভয়ে ডিভোর্সও দিতে পারেন না।
২। মোহরানা শোধ নিয়ে ঠেলাঠেলি, স্বামী ডিভোর্স দিলে মোহরানা বাকী থাকলে শোধ করতে হবে, আবার সাবেক স্ত্রীকে ভরণপোষণও দেয়া লাগে, স্ত্রী ডিভোর্স দিলে মোহরানা ফেরত দিতে হয়, সেটাতে সামর্থ নাই, বা আর কোন উপায় বের করতে পারছেন না।
৩। দুজনে আবেগের বশে প্রেম করে বিয়ে করেছেন, পরস্পরকে ভালভাবে জানেন নাই। প্রেমের সময় জীবনটা সিনেমার মতো ফ্যান্টাসীতে ভরা মনে হয়েছে, টিএসসিতে দুই/তিন ঘন্টার পাশাপাশি বসে থাকার জীবনে কি এমন জটিলতা! কিন্তু যখনই বিয়ে করলেন স্বামীকে সারা মাসের খরচের চিন্তা করতে হয়, স্বল্প আয়ের সংসারে মাসের শুরুর বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে মাসের শেষের টানাটানি, আবার স্ত্রীকে সকালে উঠে নাস্তা বানানো, দুপুর-রাতের খাবার তৈরী, বুয়া থাকলে তাকে ম্যানেজ করা --- এ কি যন্ত্রণার মাঝে পড়া গেল! আগেই তো ভাল ছিল!
আবার যদি পরিবারের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন যেমন বাবা-মা, ভাই-বোন দেখাশোনার দায়িত্ব থাকে তাহলেও অনেকে সেটা আর মেনে নিতে পারে না, বিয়ের আগে এসব ব্যাপারে পর্যাপ্ত আলোচনা করে নাই.........
৪। যেটা বিয়ের আগে বোঝে নাই, শারীরিক অক্ষমতা...
৫। আগে সুদর্শন ছেলে দেখে বা ভরাট কন্ঠের কবিতা আবৃত্তি শুনে এক দেখাতেই প্রেম, বিয়ের পর দেখা গেল বাউন্ডুলে, পরিবারের প্রতি কোন দায়িত্ববোধই নেই, অথবা আগে প্রেমিকের তেমন টাকা-পয়সা না হলেও চলবে, পরে আর শাক ভাজি আর আলু ভর্তা-ডাল গলা দিয়ে নামে না, নিজের বেকুবি অউষিয়ে নিতে স্বামীর কোন ধনী বন্ধুর বা নিজের পরিচিত কোন ধনীর প্রতি তখন আকৃষ্ট হয়ে পড়া, বড়লোকের মেয়ে দেখে প্রেম করে যৌতুকের আশায়, আগে দেখেছে গরীবের মেয়ে কিন্তু সুন্দরী দেখে অতকিছু ভাবে নাই, বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক, ফার্নিচার এসব না আসায় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের কাছে মান-ইজ্জত যায়............
৬। স্বভাবগতভাবেই বহুগামী, পরম লোভী -- অন্য কোন কারণ ছাড়াই
৭। যাদের সাথে পরকীয়া করছে তারাও বিবাহিত , তাদেরও সংসার আছে, তাই তাদের বিয়ে ক্রয়া সম্ভব হচ্ছে না।
--- ইত্যাদি নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দূরত্ব বাড়তে থাকে, শুরু হয় নানারকম অশান্তি। এককালে ছেলেরাই বেশি পরকীয়ার দিকে ঝুঁকতো। এখন তো নারী স্বাধীনতার যুগ, তবে আর মেয়েরাও এ ব্যাপারে পিছিয়ে থাকবে কেন?
জানি না কাছাকাছি কোন কারণ বলতে পারলাম কি না??!!
১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৪১
নাজনীন১ বলেছেন: টাইপে ভুল হইছে, * পুষিয়ে, *করা
৫৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫৪
ডিস্কো ঘোড়া বলেছেন: পরকীয়া কি!
১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৪২
নাজনীন১ বলেছেন: ঘোড়াদের পরকীয়ার ব্যাপারে কোন ধারণা নাই।
৫৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৭
সাগরের বুকে ঢেউ........ বলেছেন: জামিনদার বলেছেন: আমরা সামাজিকভাবে পরকিয়া মেনে নিতে পারিনা বলেই যারা পরকিয়া করেন তাদের এক ধরনের ভয় হয় তাই তারা নিজেদের আড়াল করার জন্য এমনটি করে থাকেন।
সুতরাং আমাদের উচিত পরকিয়ার সামাজিক স্বিকৃতি দেওয়া।
আপনার মতামত কি?
২৫ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৫৪
নাজনীন১ বলেছেন: আপনি জামিনদারের টোন ধরতে পারেন নাই মনে হয়।
আর এ গুল্লিজাতীয় ইমোগুলো দেখতে কেন জানি ভাল লাগে না, চোখে জ্বালা ধরে।
৫৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪৭
জাতি জানতে চায় বলেছেন: দোষ দুই গ্রুপেরই! সুযোগ পাইলে কেউ কম দেখায় না!
২৫ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৫৬
নাজনীন১ বলেছেন: এককালে মেয়েরা এ জাতীয় সুযোগ কম নিতে চাইতো, এখন মনে হয় নারীর সমান অধিকারের জোয়ারে অপকর্মেও পুরুষের সমান হতে চায় নারীরা।
৫৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি কোন আলেম বা জ্ঞানী ব্যক্তি নই। তবে একজন জ্ঞান অন্বেষণকারী হিসেবে জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান বিনিময়ের প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েছে। আমার মতামতের সাথে সবাইকে একমত হতেই হবে এমনটি আমি ভাবিনা।
কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নয়, বরং আমার বিবেকের আলোকে নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যে যাদেরকে আমি অধিক অধিকার বঞ্চিত মনে করেছি, স্বাভাবিকভাবে আমার লেখায় তাদের কথাই বেশি এসেছে।
শুধুমাত্র শারীরিক বা মানসিকভাবে যন্ত্রনা দেয়া নয়, বরং কাউকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অথবা অযাচিতভাবে অতিরিক্ত কিছু চাপিয়ে দেয়াকেও আমি অত্যাচারের পর্যায়ভুক্ত বলে আমি মনে করি।
নারী ও পুরুষ যেহেতু একে অপরের পরিপুরক সুতরাং একে অপরের অধিকার দেয়া-নেয়ার প্রশ্নে উভয়কেই পরস্পরের প্রতি সচেতন, শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল হওয়া প্রয়োজন।
অধিকার বঞ্চিতরা যখন সচেতন হয় তখন তাদের ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে তারা সোচ্চার হতে পারে এবং তা বুঝে নেয়া সহজ হয়।
একজন মুসলমান হিসেবে আমি পবিত্র কোরআন ও হাদিছের দিক নির্দেশনাকে সকল সমস্যা সমাধানের গাইড লাইন বলে বিশ্বাস করি। আর এ কারনেই আল-কোরআন ও হাদিছ জানা ও মানার পাশাপাশি আমার না বলা কথাগুলোর সোর্স হিসেবে একটি পুস্তকের (রসূল সা.-এর যুগে নারী স্বাধীনতা) প্রতি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি মাত্র।
যারা অধিকার বঞ্চিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সচেতন ও সোচ্চার তাদের সবার প্রতি আমার সমর্থন ও শুভেচ্ছা সব সময়ের জন্যই। মহান আল্লাহতায়ালা যেন আরও বেশি বেশি করে জানার ও বোঝার মধ্য দিয়ে সকল প্রকার ভুল বুঝাবুঝির হাত থেকে বিশাসীদেরকে রক্ষা করেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৫৭
নাজনীন১ বলেছেন: পোস্ট বহির্ভূত কমেন্টটা এখানে না করলে পারতেন না?
৬০| ২২ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৪৪
আমি ভাল আছি বলেছেন: পর-কিয়া বাদ দিতে হবে, নিজ-কিয়াতে মনযোগ দিতে হবে
২৫ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৫৮
নাজনীন১ বলেছেন: জ্বী জনাব। এই একটা ব্যাপারে পরার্থপরতা ভাল নয়, স্বার্থপরতা ভাল।
৬১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫
নীল কষ্ট বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এমনটা ঘটছে এবং ঘটবে।
সত্যি কথা একটাই নারী পুরো ঘটনার শেষে বুঝতে পারে যে ভুলটা কতখানি ছিল।
আর পুরুষ যতদিন পারে মজা নেয়।
তবে এটা যদি নারী না বোঝে যে পরকীয়া কোনদিন সত্যিকারের প্রেম বা ভালোবাসা না তাহলে কে থামাবে বলুন।
বুঝতে হবে তো, পুরুষ এর দিক থেকে যতটা সম্ভব একজন নারী পারে সেইদিক থেকে অনেক বেশি এড়িয়ে যেতে, কারণ একজন বিবাহীতা নারী কেন অন্য একজন বিবাহিত পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়াবে। কোন ভরষায় কিসের আশায়।
যে পুরুষ অন্য একজন নারীকে ছেড়ে তাকে ভালবাসে সে পুরুষ দুইদিন পর থেকে ছুড়ে ফেলে যাবে।
২৫ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০২
নাজনীন১ বলেছেন: আর পুরুষ যতদিন পারে মজা নেয়। -- এজন্যই তো বলি ছেলেরা খারাপ।
ঘটনা হইলো, পুরুষদেরকে এ সমাজ অনেক বেশি প্রশ্রয় দেয়, যেটা হওয়া উচিত নয়।
একজন বিবাহিতা নারী বা একজন বিবাহিতা পুরুষ, দুইজনেরই যার যার সংসারের প্রতি দায়িত্ববান হওয়া উচিত, সেটা হয় না বলেই যত বিপত্তি।
৬২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৮
ডিস্কো ঘোড়া বলেছেন: সুরা কাফিরুন যদি একটু স্টাডি করে যদি পোষ্ট দিতে পারেন আস্তিক নাস্তিক ঝামেলাটা কিন্তু একটু কমে।
২৫ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০৪
নাজনীন১ বলেছেন: আস্তিক-নাস্তিক ক্যাঁচালে টাইম দেয়ার খায়েস নাই, ভাল লাগে না। সময় নষ্ট।
শুধুমাত্র কেউ ক্রিটিক্যাল তথ্য বিকৃতি ঘটালে বা আস্তিকদের কনফিউস্ড হবার সম্ভাবনা দেখা দিলে কিছু তথ্য দেই, ব্যস এটুকুই।
৬৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৮:৩৯
জাকিয়া তানজিম বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার লেখাটা! এই ধরনের লেখা আরো আসা চাই।
পরকীয়া এবং আত্মহত্যা বিষয়ক সচেতনতামূলক লেখা আরো দরকার।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখাটির জন্য!
২৫ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:০৭
নাজনীন১ বলেছেন: ধন্যবাদ জাকিয়া তানজিম, নতুন ব্লগার হিসেবে স্বাগতম। আপনারাও লিখতে চেষ্টা করুন, সবাই মিলেই চেষ্টা করি সচেতনতা বাড়াতে।
৬৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:৩৫
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: ভালা লাগলো আফা। অধমের লাইগ্যা এট্টুস দুয়া কইরেন, যাতে ভালা একখান পয়মন্ত বউ পাই, নিজেও য্যান ভালা থাকতি পারি।
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০০
নাজনীন১ বলেছেন: অন্তর থেইকা দোয়া রইলো। বেশি বেশি ভালো থাকেন, ভবিষ্যতেও থাইকেন।
৬৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৫
শ।মসীর বলেছেন: টায়ার্ড হইয়া গেলাম !!!
মুল কথা হইল করার অত সাধ যদি হয়-
আর যদি একান্তই অবৈধ প্রেমের আবেগ সামলাতে না পারেন হয় আগে স্বামীকে ডিভোর্স দেন, সন্তানকে স্বামীর হাওলা করে দেন।
আমি বুঝিনা বাচ্চাটারে সাথে কইরা নেয় কি বুইঝা..........!!!!
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০৪
নাজনীন১ বলেছেন: মা-সত্ত্বা অনেক আঠালো, এতো সহজে বাচ্চার মায়া ছাড়া যায় না। পরে আবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাও রাখে না। তাই তো সন্তানকে স্বামীর বা বাবা-মার হাওলা করে যাওয়াই ভাল।
৬৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:০৭
গানচিল বলেছেন: দুঃখ আমার বাসর রাতের পালংক----সাবিনা ইয়াসমিন (ছবি-অলংকার)
এই পথে পথে আমি একা চলি---মোঃ আলী সিদ্দিকী---রংবাজ
ও পাখি তোর যন্ত্রনা----অতিথি ছবিতে সাবিনা ইয়াসমিনের এই গানটির লিপসিং শাবানার।
ঐ দুর দুরান্তে---মোঃ আলী সিদ্দিকী---ছবিঃ দীপ নেভে নাই
যদি বউ সাজো গো----(খুরশিদ আলম/রুনা লায়লা)...ছবির নাম--ওয়াদা
আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন----মাহমুদুন্নবী----ছবিঃ নাচের পুতুল
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:০৬
নাজনীন১ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তথ্যগুলোর জন্য। তবে এ কমেন্টটা দূরন্ত স্বপ্নচারীর ব্লগে দিলেই বেশি ভাল হতো। আচ্ছা, আমি দিয়ে আসছি।
৬৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১৯
পারভেজ আলম বলেছেন: কম কথায় অনেক কিছু লিখেছেন। প্লাস।
বাংলাদেশের একটা বড় সংখ্যার পুরুষ আশঙ্কাজনকভাবে যৌন সম্পর্কে স্ত্রীকে সুখি করতে ব্যর্থ। পরকিয়া বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে এর ভূমিকা আছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২২
নাজনীন১ বলেছেন: হুম। অনেক পরিবারেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সাবলীল না, এটা একটা বড় সমস্যাই বটে!
৬৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:২০
পারভেজ আলম বলেছেন: উপরের কমেন্টটা দেইখা ভুল যায়গায় কমেন্ট করছি ভাইবা মেজাজ খারাপ হইয়া গেছিল।
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২২
নাজনীন১ বলেছেন: হা হা।
৬৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৩৮
ফেরারী... বলেছেন: দোষ ৩ জনেরই । আর ধর্মমতে ৩জনই জাহান্নামী ।
আমার একটা জিনিস মাথায় আসেনা -- তোর যদি এতই চুল্কানি হবে, তুই নিজে যেয়ে মারা খা, ফেরেস্তা টাইপ বাচ্চাটাকে রেখে যা । নিজের নারী ছেড়া সন্তানকে খুন করে যে আরেক বেটার হাত ধরে যেতে পারে সেটার নাম আর যাই হোক, প্রেম বা ভালোবাসা না । মানেন আর না মানেন সব পরকীয়ার থিওরী ১টাই - শরীর ।
এরা 'মা' নামের কলঙ্ক কারন শুধু সন্তান জন্ম দিলেই 'মা' হওয়া যায় না । পুরান ঢাকার নিমতলীতে এক মা পুড়ে মারা গেছিলো । সন্তানকে বাচানোর আশায় সে তার সন্তানকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বুকে আকড়ে ধরেছিলো । ওই সন্তানও মায়ের কোলে ওই ভাবেই মারা যায় । এই মহিলাও কিন্তু 'মা' ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:২৬
নাজনীন১ বলেছেন: গালাগাল বাদ দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি। মা হলেই যে মানুষের ভিতরকার সব খারাপ মুছে যায়, তা তো নয়। কথা হলো সে খারাপটাকে কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। আজকাল অনেকেই রাখতে চাচ্ছে না, এ হলো সমস্যা।
যদি শরীরই একমাত্র সমস্যা বলতে চান, তাহলে বলতে হবে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই তাদের শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে আরো আন্তরিক হতে হবে। তবে আমার মনে হয় আরো অন্যান্য কারণও আছে, উপরের কমেন্টগুলোতে অনেক কথাই বলা হয়েছে।
৭০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:২৫
বিবেক সত্যি বলেছেন: পোষ্টের নামটাই মাথায় ঘুরতেছে ! এরকম একটা গান আছে, তাইনা ?
৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩১
নাজনীন১ বলেছেন: হ্যাঁ, ঐটা একটা গান।
Click This Link
৭১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৭
রাতমজুর বলেছেন: আলোচনা পড়ে মজা লাগলো।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:১১
নাজনীন১ বলেছেন: পড়লেন বলে ধন্যবাদ।
৭২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫
শিক্ষানবিস বলেছেন: সালাম দিলাম। কারণ, আপনি বলেছিলেন, ফি আমানিল্লাহ!
পরকিয়া করার আগে প্রত্যেকটি মেয়ের এই লেখাটি একবার পড়া উচিত।
আর পালানোর বুদ্ধিটা ভাল নয়। স্বামীর ঘর থেকে স্ত্রীর পলায়ন স্বামী বেচারার জন্য কত বড় বিপদ ডেকে আনে তা ভুক্তভোগী স্বামীরাই বুঝতে পারে। তাই পালাতে নিষেধ করবেন।
আর লিখেছেন সুন্দর।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৭
নাজনীন১ বলেছেন: না পালিয়ে যদি ডিভোর্স দিয়ে যায়, তাতেও কি আপনার আপত্তি থাকবে? একটা মেয়ের যদি সত্যিই তার স্বামীর সংসার ভাল লেগে না থাকে, স্বামীর সাথে বোঝাপড়ায় সমস্যা হয়, তবুও স্বামীর সংসার করতে বলেন?
আর এই আমাদের সমাজেই বহু স্বামী আছেন, যাদের স্ত্রী ঘরে একাকী পড়ে থাকে, আর স্বামী বাইরে মজা লুটে বেড়ায় বা স্ত্রী-সন্তান রেখে পালিয়ে গিয়ে আরেক জায়গায় গিয়ে যৌতুক নিয়ে আবারো বিয়ে করে।
আসলে যতক্ষণ দুজনের মাঝে মিল থাকবে, ততক্ষণই শান্তি থাকতে পারে, আমাদের সে চেষ্টা থাকা উচিত, তবে মনের উপর জোর করে সুখী হওয়া যায় না, সেটাও বুঝতে হবে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৮
নাজনীন১ বলেছেন: ওহ্, ওয়া আলাইকুম সালাম। প্রথমে লক্ষ্য করিনি। দুঃখিত।
৭৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪০
জয়িতা বলেছেন: আপু....আপনার লেখাটা অনেক দেরিতে পড়লাম.....উপরের প্রায় সব কমেন্ট-ই পড়ার চেষ্টা করেছি......
আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত.....
১২ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২০
নাজনীন১ বলেছেন: আপনার কমেন্টের সুবাদে অনেক আগে লেখা এই পোস্ট আর কমেন্টগুলো আমিও আবার পড়লাম। ধন্যবাদ আপু, আবেগ যেন বিবেক কেড়ে না নেয় আমাদের।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫০
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: ভালো লাগলো।