নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামের আলোয় আলোকিত হতে চাই । বই পড়তে ভালোবাসি ।

এ পথের পথিক

খিলাফতের স্বপ্ন দেখি । মুক্তির এক পথ ইসলামী খিলাফত ।

এ পথের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শখ ও স্বপ্ন - ২

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৬


বিড়াল আমার খুব ভাল লাগে । ছোট বেলা থেকে সেভাবে বিড়ালের সংস্পর্শ পায়নি আমি । তবে টিভিতে তাদের দেখেছি, বাস্তবে দেখেছি দুরে দুরে । গ্রামের বিড়াল মানুষ দেখলেই পালিয়ে যায় ভয়ে । শহরে আসার ৪ বছর পর্যন্ত তাদের প্রায় ভুলেই ছিলাম । মেসের পাশে রয়েছে একটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও মসজিদ । একটি ভাড়া বাড়িতে ইমাম সাহেব এ যায়গায় ছাত্রদের নিয়ে আছেন । এর আগে তারা ছিলেন একটি বড় মসজিদে, নতুন ভাবে মসজিদ তৈরির কাজ চলছিল সেখানে তৈরি হবে মডেল মসজিদ । তাই সেখানে তাদের জায়গা হল না ।
সঠিক সংখাটা মনে নেই তবে ১৫০ জনের বেশী হবে ছাত্র নিয়ে ভাড়া বাড়িতে মাদরাসা চলত । আমি যখন সেখানে গিয়েছি দেখেছি একটি ছোট ওয়ালের ওপরে একটি সাদা বিড়াল শুয়ে আছে । যখনি যেতাম দেখতাম সে বিড়াল টা এখানে ওখানে শুয়ে আছে । দেখে আমার খুব ভাল লাগত, মাদরাসার ছাত্ররা সে বিড়ালের সাথে খেলা করত, কোলে তুলে নিত, আমারও খুব ইচ্ছা হত :(
হঠাৎ একদিন দেখি আমার রুমে সে বিড়াল চলে এসেছে । ধরতে গেলে পালিয়ে যায় । তারপরও কোলে তুলে নিয়েছিলাম । আমার রুমমেট দের বিড়াল রুমে আসা পছন্দ হয়নি । তারা সে বিড়াল তাড়িয়ে দেয় রুম থেকে ।
তার কিছু মাস পর আমি রুম পরিবর্তন করে আরেক রুমে যায় । সেখানে হঠাৎ কোথায় থেকে যেন একটি বিড়াল ছাদ দিয়ে ২য় তালায় জানালা দিয়ে আমার রুমে চলে এসেছে । সে বিড়াল আমার খুব ভাল লাগত । এখনো মনে হয় তার কথা । আমার বন্ধু তার নাম দিয়েছিল অতিথি । সে ভাত, মাছ, মুরগি খুব একটা পছন্দ করত না । বন্ধু আমার নিচে বিড়ালের খাবারের দোকান থেকে তার খাবার কিনে নিয়ে আসে । সে বড়ই অদ্ভুত কি বোর্ডের ওপরে এসে শুয়ে থাকত বা বুকের ওপরে এসে শুয়ে থাকত । কিন্তু একসময় রুমমেট এবং মেসের সবাই ভেটো দিল মেসে বিড়াল রাখা যাবে না । একদিন সে বিড়ালকে প্রচুর রাগারাগি করে কঠোর ভাবে চলে যেতে বলি । আমি অবাক সে যে সেই চলে গেছে তারপর আর সে মেসে দেখতে পাইনি । :(
তার কিছু মাস পর মেস পরিবর্তন করি । এখানে এসে দেখি নতুন কয়েকটি বিড়ালের বাচ্চা । শেষ পর্যন্ত ৩টি বেঁচে ছিল । একটি ছিল খুব ভাল কোলে এসে অথবা জ্যাকেটের মধ্যে ঢুকে বসে থাকত । খুব আদুরে ছিল । এখানেও মেসের ম্যানেজার বা কেন যেন সে বিড়াল বাজারে ফেলে দিয়ে আসে । একটি বিড়াল কুকুর হত্যা করে এবং এখন পর্যন্ত একটি বিড়াল বেঁচে আছে । ছোট বেলায় সে খুব মেও মেও করত । সেও খুব আদুরে । আমি আদর করে তার নাম দিয়েছি "শাহজাদী" । সে সব খাবার খেত না । আমার কোলে এসে বসে থাকে ।
ডিসেম্বর ২০২৪ এ শুনলাম তার নাকি বাচ্চা হয়েছে ৩ টি । আমি বাড়িতে থাকায় তাদের দেখতে পায়নি । শহরে আসার পর দেখি একটি বাচ্চাও নেই । কোথাও ফেলে এসেছে অথবা হয়ত মারা গেছে । তবে সে অনেক শুকিয়ে গেছে ।
ছবিতে যে সবচেয়ে বেশী সাদা সে আমার শাহজাদী, পাশের টা তার মা ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩০

সামিয়া বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা দেখে। ভালো থাকুক আপনার বিড়ালেরা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

এ পথের পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
আপনিও ভাল থাকবেন ।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



বিড়াল, কুকুর ইত্যাদি প্রাণীর প্রতি দয়া প্রদর্শন করা খুবই ভালো কাজ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১০

এ পথের পথিক বলেছেন: জি, ধন্যবাদ ।
ভাল থাকবেন, নিয়মিত লিখবেন ।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৯

শায়মা বলেছেন: সব মেসেই কেনো যেন বিড়াল থাকে।

বিড়াল আদুরে কিন্তু রাগীও হয় কারণ হাজার হোক বাঘের মাসী।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:১৭

এ পথের পথিক বলেছেন: হ্যা দেখেছি প্রায় মেসে বিড়াল থাকে ।
শাহজাদীকে রাগী বললে কষ্ট লাগে, তবে আদর করে আমি তারে অভিমানীও বলি ।
ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.