নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামের আলোয় আলোকিত হতে চাই । বই পড়তে ভালোবাসি ।

এ পথের পথিক

খিলাফতের স্বপ্ন দেখি । মুক্তির এক পথ ইসলামী খিলাফত ।

এ পথের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী খেলাফত আন্দোলনের উজ্জ্বল নক্ষত্র

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৫৪


তার সম্পর্কে আমরা কম বেশী সবাই জানি । ছোটবেলার শিক্ষা কারিকুলামে তার সম্পর্কে অল্প স্বল্প জেনেছি । জানিনা এখন আর কোমলমতিদের তার সাথে পরিচয় করানো হয় কিনা । তিনি সৈয়দ মীর নিসার আলী তিতুমীর । তিতুমীর এবং বাশেরকেল্লা নামটা যেন একে ওপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । তিতুমীরের নাম শুনলেই বাশেরকেল্লার কথা মনে চলে আসে, আবার বাশেরকেল্লার কথা শুনলেই তিতুমীরের নাম মনে চলে আসে । পড়েছিলাম ইতিহাস তিতুমীরের বাশেরকেল্লা ।
অনেকেই জানে তিতুমীর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেছিলেন । শুধুই কি তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেছিলেন ?

তিতুমীরের প্রাথমিক শিক্ষা হয় তার গ্রামের বিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে স্থানীয় একটি মাদ্রাসাতে লেখাপড়া করেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি কোরআনের হাফেজ হন এবং হাদিস বিষয়ে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। একই সাথে তিনি বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করেন।
১৮২২ সালে তিনি হজ্জ করার জন্য মক্কায় যান এং ১৮২৭ সালে দেশে ফিরে এসে দেশে প্রচলিত ইসলাম ধর্মের নামে কুসংস্কার উচ্ছেদে কাজ করতে থাকেন । তার গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের সাথে নিয়ে জমিদার এবং ব্রিটিশ নীলকদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি এবং তার অনুসারীরা তৎকালীন হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ধুতির বদলে 'তাহ্‌বান্দ' নামে এক ধরনের বস্ত্র পরিধান শুরু করেন। তিতুমীর হিন্দু জমিদার কৃষ্ণদেব রায় কর্তৃক মুসলমানদের উপর বৈষম্যমূলকভাবে আরোপিত 'দাঁড়ির খাজনা' এবং মসজিদের করের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিতুমীর ও তার অনুসারীদের সাথে স্থানীয় জমিদার ও নীলকর সাহেবদের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর হতে থাকে। আগেই তিতুমীর পালোয়ান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এবং পূর্বে জমিদারের লাঠিয়াল হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি তার অনুসারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলেন।
এমন কার্যক্রমের ফলে তার সাথীর সংখ্যা ৫০০০ জন হয় । ১৮৩১ সালের ২৩শে অক্টোবর বারাসতের কাছে বাদুড়িয়ার ১০ কিলোমিটার দূরে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে তারা বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন। বাঁশ এবং কাদা দিয়ে তারা দ্বি-স্তর বিশিষ্ট এই কেল্লা নির্মাণ করেন।তিতুমীর বর্তমান চব্বিশ পরগনা, নদীয়া এবং ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকার নিয়ে সেখানে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্থানীয় জমিদারদের নিজস্ব বাহিনী এবং ব্রিটিশ বাহিনী তিতুমীরের হাতে বেশ কয়েকবার পরাজয় বরণ করে।
তিতুমীরের কি ছিল হালকা অস্ত্র এবং ঢাল তলোয়ার, অন্যদিকে ইংরেজদের ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং জনবল । তারপরও তিনি ইংরেজদের সামনে মাথা তুলে দাঁড়ানোর যে সাহস দেখিয়েছেন তা আমার কাছে চিরস্মরণীয় । তিনি মক্কা থেকে আসার পর যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা অনেকেই বলে ওহাবি আন্দোলন । না ভাই এটা ওহাবি আন্দোলন না । এটাই প্রকৃত ইসলামি আন্দোলন । তিনি ইসলামি খেলাফতের আন্দোলন করেছিলেন । যে আন্দোলনের বীজ বপন করেছিলেন তা আমাদের জন্য চির অনুসরণীয় । আমাদের কাছে অস্ত্র থাকতে না পারে, জনসংখ্যা নাও থাকতে পারে, আমাদের আছে ঈমানী শক্তি । যে শক্তি আল্লাহ্‌ আমাদের দিয়েছেন অন্য আর কারো মাঝে দেন নি । যার ফল আমরা তিতুমীরের বাশেরকেল্লা । স্বাভাবিকভাবে দেখলে বলতেই পারেন এত কম জনবল নিয়ে, অস্ত্র ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তো আত্মহত্যাকে সাদরে আমন্ত্রণ করা । না ভাই, এইটা আত্মহত্যা না এটা শহীদি তামান্না ।
আমরা মুসলিমরা গোলামী মানিনা, আমরা দেখিয়েছি কিভাবে আন্দোলন করতে হয় । বাঙ্গু এলিট, চুশীল সেসময় ছিল এখনও আছে । তারা বলে মুসলিমরা কি করেছে ? তাদের বলতে চাই ভাই দেশের জন্য কি করেছ গোলামী করা ছাড়া ?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে খাওয়া আম্লিক, বাঙ্গু এলিট রা এসব একপ্রকারে অস্বীকার করে । তারা মনে আমাদের স্বাধীনতা শুরু হয়েছিল ৭১ থেকে । কিন্তু জানো না আমাদের শেকড় তো আরো গভীরে ।
তিতুমীর ও বাশেরকেল্লা আমাদের জন্য অনুপ্রেরনার । ইসলামী আন্দোলন ছিল, আছে ভবিষ্যতেও থাকবে । এদেশে ঠিকই একদিন গণতন্ত্রের গোলামী ছিন্ন করে ইসলামী খেলাফত কায়েম হবে । ইনশাআল্লাহ্‌ ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম তিতুমির সম্পর্কে। ইসলামই একমাত্র সঠিক পথ। ইসলামের বিধানের উপরে কোন বিধান থাকতে পারে না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৪২

এ পথের পথিক বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি একমত ।
আল্লাহ্‌ আমাদের দ্বীনের ওপরে আজীবন অটল রাখুন । আমিন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.