নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামের আলোয় আলোকিত হতে চাই । বই পড়তে ভালোবাসি ।

এ পথের পথিক

কে জিজ্ঞেস করে আমরা কোথায় যাব ? আমরা তো বলেছি, আমদের যাত্রা অনন্তকালের দিকে । আল মাহমুদ

এ পথের পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমাদান স্মৃতি - ২০২৫

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩২


এই রমজানটা আমার জন্য একটু ব্যতিক্রম ছিল। প্রথমদিকে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ২৪শে রমজানে শহর থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাই। কিন্তু কিছুদিন তখনও পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারিনি। এরপর ঈদ ও ঈদের পরের দিনগুলো—৫ এপ্রিল পর্যন্ত—পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।

এই রমজান আমাকে এক ধরনের আত্মিক প্রশান্তি দিয়েছে, যা গত ১৫–২০ বছরের কোনো রমজানে তেমনভাবে অনুভব করিনি।
আমি গ্রামের মানুষ। ছোটবেলা থেকেই রমজান মানেই ছিল সেহরি, ইফতার, তারাবি—সবকিছুর সঙ্গে বিদ্যুতের ‘লুকোচুরি খেলা’।
সেহরির সময় প্রায় নিয়মিত লোডশেডিং হতো। লাইট বা হারিকেনের আলোয় মা খাবার দিতেন, আর আমরা খাবার খেতে বসতাম। এ যন্ত্রনায় আমার আম্মা ২০১৮ বা ২০১৯ সালের দিকে ইনভার্টার বাল্ব কিনে এনেছিলেন, যা পরবর্তী অনেক রমজানে খুব কাজে দিয়েছে। তবে এবারের রমজানে আলহামদুলিল্লাহ, সেই বাল্বের আর প্রয়োজন হয়নি।

আগে সেহরির সময় সময় বিদ্যুৎ না থাকায়, লোকজন মসজিদের মাইকে সাহরির শেষ সময় বলে দিত বা আজান দিত যা আমরা শুনতে পেতাম না। এখন ঘরে ঘরে স্মার্টফোন, ইসলামিক অ্যাপস ও ক্যালেন্ডার থাকায় সময় জানার ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে।
দিনের বেলায়ও বিদ্যুৎ প্রায় থাকত না। গরমের সময় মানুষদের আমবাগানে গিয়ে গাছের ছায়ায় বসে থাকতে দেখতাম—হাতপাখা নিয়ে বাতাস খুঁজতে খুঁজতে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেউ আবার ঘামতে ঘামতে বিদ্যুতের অপেক্ষা করছে।
ইফতারের ঠিক আগমুহূর্তে হুট করে বিদ্যুৎ চলে যেত। রেগে গিয়ে গ্রামের মানুষদের অনেককেই বলতে শুনতাম—“এই সময়ে লোডশেডিং দিতে হয়?” অনেকেই অভিযোগ করতেন বিদ্যুৎ অফিসে, কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হতো না।

আর সবচেয়ে মজার স্মৃতি তারাবির নামাজের সময়! ঠিক এশার নামাজ শুরু হতেই লোডশেডিং। তখন হারিকেন জ্বালিয়ে নামাজ পড়া হতো। মসজিদের গরমে সবাই ঘেমে একাকার হয়ে যেত, তাই অনেক সময়ে আমরা বারান্দায় নামাজ পড়তেন, আবার অনেকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতেন।
এই রমজানে অন্যান্য বছরের তুলনায় সবজির দাম, ডিমের দাম সহনীয় পর্যায়ে ছিল। আগে সাহরি, ইফতার বা নামাজের সময় ‘রুটিন মাফিক’ লোডশেডিং থাকত, এবার সেটা দেখা যায়নি। এটি নিঃসন্দেহে বড় একটা স্বস্তির বিষয়।

আমার পরিবার, আমার গ্রামের মানুষদের অনেক হাসিখুশি দেখেছি এবারের রমজানে।
পুরোনো সেই কষ্টগুলোকে পেছনে ফেলে সবাই যেন এক নতুন আলোয় রমজান কাটিয়েছে।

আলহামদুলিল্লাহ, এই রমজান ছিল স্মৃতিময়। আশা করি, আগামীর রমজানগুলো আরও শান্তি ও বারাকাহ নিয়ে আসবে আমাদের জীবনে।
তবে কিছু মানুষরুপী আম্লিকদের এ রমজানে দুঃখ কষ্ট পেতে দেখছি কারন তাদের মাদার, মাদার অফ অল ডেভিল খুনি হাসু ভাড়তে ।

রমজান আপনার জন্য কেমন ছিল?
আপনার রমজানের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.