![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৃতি গুলো এলোমেলো হয়ে আজ চোখের সামনে খেলা করছে। চোখে ঘুম নেই, কেন জানি না বলা কথাগুলো লিখতে ইচ্ছে করছে।
বিশেষ করে ছোট বেলার কথা খুব বেশি মনে পড়ছে আজ।
কতই না মধুর ছিল সেই দিনগুলি, যখন বড় আপাদের বাড়ি ছাড়া কিছুই বুঝতাম না, আনন্দ আরও দ্বিগুন হয়ে যেত যখন সজীব আমাদের বাড়িতে আসত। সজীব হচ্ছে আমার ভাগ্নির ছেলে যদিও আমরা বয়সে ছিলাম প্রায় একই রকমের। আজ ওর সাথে যোগাযোগ নেই অনেক বছর হয়ে গেছে, দিনগুলো যেন কেমন পানির মতো গড়িয়ে চলে যাচ্ছে ।
আমি যে হাই স্কুলে পড়তাম আমার সব বন্ধুদের বাড়ি ঐ দিকেই ছিল, জসিম ,তুহিন ,রাজিব, দুখু, তাই ওই এলাকার প্রতি আলাদা একটা টান ছিল।
দিনগুলো বেশ ভালোই যাচ্ছে তখন ,আমার আব্বা দলিল লেখক ছিল তা ছাড়াও অন্য অনেক কাজের সাথে জড়িত ছিল, আব্বা আমাদের ইউনিয়নের চার চার বার মেম্বার ছিলেন, বেশ স্বনামধন্য লোক ছিলেন।
২০০২ সাল মার্চ মাসের ২৩ তারিখ দিনটা ছিল আমার জন্য অনেক ভয়াবহ, আর এস এস সি পরীক্ষার প্রথম দিন , ঐদিন আব্বা হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান।
সেই থেকে শুরু বিষাদ জীবন, আমার মামার চাপাচাপিতে পরীক্ষাটা দিতেই হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরিয়ে চলে এলাম জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে, সেই থেকে প্রতিটা দিন জীবনের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি।
আমার মনে হয় পৃথিবীতে অল্প যে কয়টা সুন্দর জায়গা আছে তার মধ্যে আমাদের ঘরটা একটা স্থান ছিল, ছিল বলছি এই জন্য কারণ এখন আর নেই, আমার ভাইরা সবাই যার যার মতো আলাদা হয়ে গেছে আমি সেই বাবার সুন্দরতম ঘরটায় এখনো পড়ে আছি ভাবছি সংরক্ষণ করব নতুন করে , বছর খানেকের মধ্যে হয়ে যাবে আশা করি। একটা সময় ছিল যখন প্রতিদিন ছিল ঈদের মতো, বিশেষ করে রাতে রাতের খাওয়াটা আমরা সবাই একসাথে খেতাম প্রয়োজনে একজন আরেকজনের জন্য ঘন্টা খানিক অপেক্ষা করতাম তারপরও একজন আরেকজনকে ছাড়া রাতের খাওয়াটা খেতাম না, কি আনন্দঘন সময় ছিল সেটা , এইসব যখন ভাবি তখন নিজের অজান্তেই চোখের কোনে জল এসে যায়। আজ সবাই যার যার মতো ব্যস্ত আসলে বিয়ের পর না মানুষের জীবনটা হুট করে বদলে যায় তখন মানুষ কি করবে নিজেই ভেবে পায় না। সবাইকে যত কাছে পেতে চাই যেন অদৃশ্য এক শক্তি দূরে নিয়ে যায় আমার পরিবারের সদস্যদের।
বিয়ে করেছি ৫ বছর হল প্রথম দিকে খুব সুখী ছিলাম সুখী যে এখন নেই ঠিক তাও না মাঝে মাঝে বউয়ের সাথে নানান বিষয় নিয়ে খুনসুটি হয়।
আশা করি বিবাহিত লোক যারা আছে তারা ঠিকই বুঝে নেবে কি নিয়ে খুনসুটি হয় কেন, এই বেতনের বেশ বড় একটা অংশ কাউকে দিয়ে দিলাম।
অথবা এটা করা যাবেনা ওইটা করা যাবে না ছোটখাটো বিষয় নিয়ে হয় বড় বিষয় নিয়ে তেমন একটা সমস্যা এখনো হয়নি।
আমার স্ত্রী বলে আমি নাকি অনেক সহজ সরল, আর মানুষ মানুষের জটিলতা দেখে অভ্যস্ত তাই সরলতাকে ভয় করে অনেকেই, সহজ সরল লোক দেখলে মানুষ ভুরু কুঁচকে দেখে! সেই জন্যই হয়তো একটু একটু সমস্যা হয়। তবে এতটুকু বলতে পারি আমার মনে রহস্য কম।
©somewhere in net ltd.