| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরাফাত৫২৯
দূর থেকে দূরে, আরো বহুদূর......... চলে যেতে হয়, কত স্মৃতির ছায়ায়, এই রোদ্দুরের নীচে, নীল সবুজের খেলাঘরে জীবন মেতে থাকে কত নিয়মের প্রতীক্ষায়...
আমার দুই ছেলে যখন ইংল্যান্ডে আসার ভিসা পেল তখন বড়টার আনন্দ দেখার মত ছিল। কথায় কথায় সে তার মাকে বারবার বলছিল, “উই আর গোয়িং টু পাপা প্লেস।” দিন নাই, রাত নাই, সবসময় একটা কথা “লেটস গো নাউ। হোয়াট উই আর ওয়েটিং ফর? পাপা প্লেস ইজ সো ফার। উই নিড টু গো বাই এরোপ্লেন।”
ছোটজন আলারিক তার বড় ভাই আরকাকে ফুর্তি করতে দেখে ভাবছিল আসলে এটা হয়ত মজার কোন ব্যাপার-স্যাপার হবে। তাই সেও তার ভাইয়ের সাথে লাফালাফি করছিল। দেশ-দূরত্ব এইসব বুঝার মত বয়স আলারিকের হয় নাই।
আরকা এমনিতে একটু দুস্ট কিসিমের, তবে সে ইচ্ছা করে কিছু না বুঝার ভান ধরে থাকে। যেমন এই করোনাকালে এমনিতেই ভিসা পাওয়া, প্লেনের টিকেট কাটা এবং ফ্লাই করা অনেক ঝামেলার। এর মাঝে যখন মালয়শিয়াতে তারা ভিসা আবেদন করতে গেল তখন আরকা ইচ্ছা করেই ভিসা অফিসারের সাথে দুষ্টামি করছিল। ভিসা অফিসার ওর ভিসার ছবি তোলার জন্য ওকে একটা চেয়ারে বসিয়ে বলছিল, “নাউ লুক এট দ্যা ক্যামেরা।” এটা শুনে সে চেয়ার থেকে নেমে ক্যামেরার কাছে গিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেছিল। ভিসা অফিসার ওকে যতই বারবার বলছিল, “প্লিজ গো টু ইউর সিট”, সে নাকি ততই বলছিল, “আই এম লুকিং এট দ্যা ক্যামেরা। ইউ আক্সড মি টু লুক এট দ্যা ক্যামেরা”। ভিসা অফিসারের ক্যামেরার দিকে তাকানোর কথাটা সে ইচ্ছা করেই লিটারিলি নিয়ে দুস্টামি করছিল। পরে ওর মায়ের ধমক খেয়ে সে সিধা হইছিল।
অনেক ঝক্কি-ঝামেলার পর ভিসা পাওয়ার পরেও কয়েকবার প্লেনের টিকেট চেঞ্জ করতে হয়েছিল। কারণ, প্রথমবার টিকেটের ট্রানজিট ছিল কাতারের দোহাতে। এই দিকে কাতার আবার করোনার কারণে ইংল্যান্ডে রেড লিস্টেড দেশ হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছে। মানে কাতারে এক সেকেন্ডের জন্য নামলেও ইংল্যান্ডে এসে সরকারী ব্যবস্থাপনায় হোটেলে কোয়ারেন্টাইন করা লাগবে যার পুরো খরচ আমাকে বহন করতে হবে। তারচেয়েও বড় কথা, ওরা লন্ডনে আসলেও এগারো দিনের আগে ওদের সাথে আমার কোন সাক্ষাৎ হবে না। পরে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা করে একটা ডাইরেক্ট ফ্লাইট ম্যানেজ করি। মালয়শিয়া থেকে সরাসরি আসলে বাসাতেই কোয়ারেন্টাইন করা যাবে।
ওদের মা যখন লন্ডনে আসার জন্য ব্যাগ গুছাচ্ছিল তখন আমি সিসি টিভি দিয়ে ওদের মালয়শিয়ার বাসাতে কি করছিল দেখছিলাম। আরকা ওর সাইকেল, খেলনা, লেগো সেট নিয়ে সুটকেসগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ওর ধারণা ছিল ওর সাথে ওর সবকিছুই লন্ডনে আসবে। ও ভেবেছিল ওর সাইকেলটা হয়ত একটা পর্যায়ে গিয়ে ব্যাগে জায়গা করে নিবে, খেলনাগুলো ব্যাগের কোথাও ঢুকে যাবে, লেগো সেটগুলো সে হাতে ক্যারি করবে। ওর মা কষ্টটা বুঝতে পেরে ওকে বারবার সান্তনা দিচ্ছিল যে এভাবে একটা সাইকেল ব্যাগে করে বিদেশে নিয়ে যাওয়া যায় না। আর ব্যাগেও অতটা জায়গা নেই যে ওর খেলনা বা লেগো সেট সবকিছুই সেখানে ঢুকে যাবে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যই সে বুঝে গেল যে তার সাইকেল, খেলনা অথবা লেগো সেট কোনটাই তার সাথে লন্ডনে আসছে না। সব কিছুই তাকে মালয়শিয়াতে রেখে আসতে হবে। সেই বাসা, সেই পরিচিত ঘোর-দোর সবকিছু ছেড়েই ওকে লন্ডনে আসতে হবে। ওর থমথমে মুখটা ছিল দেখার মত। মায়া বড়ই অদ্ভুত জিনিস। একদিকে পাপার কাছে আসার আকুলতা আরেকদিকে নিজের সবকিছু ফেলে আসার মত যন্ত্রণা ওকে অনেক আহত করছিল।
ধীরে ধীরে সে আরো বুঝে গেল আসলে তার বাসা, বাসার সামনের মাঠ বা নদী, রাস্তা-ঘাট কোন কিছুই তার সাথে লন্ডনে আসছে না। সে তার সরলতা দিয়ে বুঝতে পারেনি আসলে ফেলতে ফেলতেই জীবন বয়ে চলে। যেটা ফেলে আসা হয়, সেটা স্মৃতি হয়ে থাকে। সেটা আর কখনো ফিরে আসে না।
একদিনের ভিতর আরকা বুঝে গেল তার অতি প্রিয় আন্টি “মামা-সারি” অথবা পাতানো বোন “কাকা-ডিলা”-ও লন্ডনে আসছে না। সে বারবার ফোনে আমাকে ওদেরকে লন্ডনে আনার কথা বলছিল। ওর পাশের বাসার খেলার সাথী, বাসার নীচের আইসক্রিম বিক্রেতা, ডোনাট খাবার দোকানি কেউ তার সাথে লন্ডনে আসছে না।
আমি নিজেও জীবনে অনেক কিছু ফেলে চলে এসেছি। তাই আমি আরকার আবেগটা বুঝি। কোন কিছু ফেলে আসলে দাবী ছেড়ে দিয়ে আসতে হয় সেটা আমি শিখলেও আরকা এখনো শিখেনি। এভাবে পাওয়া আর না পাওয়ার হিসাবে, ছেড়ে আসা আর ফিরে পাওয়ার হিসাবেই আমরা এক একজন স্বতন্ত্র মানুষে পরিণত হই। আমরা সবাই এক জায়গা থেকে আসলেও আমাদের ফেলে আসাটা একেকজনের জন্য একেক রকম। আবার আমাদের প্রাপ্তির খাতাটাও ভিন্ন। জীবন আসলে চাওয়া-পাওয়া আর না পাওয়ার এক অদ্ভুত অসম সমীকরণ। আমাদের সবার সমীকরণ আলাদা, তাই আমরা এক একজন আসলে খুব আলাদা মানুষ।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি বুঝি দেশ-কাল-চেতনা আসলে খুব আপেক্ষিক। যেখানে যার আপনজন থাকে সেটাই তার দেশ। যেমন আমার স্ত্রী আর আমি দুই দেশের নাগরিক হলেও আমাদের বাচ্চা জন্ম নিয়েছে আরেক দেশে। এখন হয়ত তাদের বেড়ে উঠা হবে আরেক দেশে। তাই তাদের মাতৃভূমি ইন্দোনেশিয়া হলেও, জন্মভূমি হবে মালয়শিয়া। যেই মাতৃভূমিতে তারা কখনো দীর্ঘদিন সেভাবে থাকেনি আর যে জন্মভূমির নাগরিক তারা না, সেইসব নিয়ে অনেক আবেগ হয়ত তাদের ভিতর সেভাবে থাকবে না। কিন্তু কিছুটা পিছুটান তো থাকবেই। তাদের নিজের দেশ হবে সেটাই যেটাতে ওদের আপনজনেরা থাকবে। ঠিক এই রকম কোন কারণেই হয়ত গত ছয়মাসে আমি বাংলাদেশ নিয়ে যতটা না ভাবতাম তার চেয়ে বেশি ভাবতাম মালয়শিয়া নিয়ে, কারণ সেখানে আমার ছেলেরা থাকে। আমি বাংলাদেশে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে মালয়শিয়াতে পাঠাতাম, কারণ সেখানেই ছিল আমার পরিবার।
তাও আমিও যেহেতু স্বতন্ত্র একজন মানুষ, আমারো কিছু আবেগ আছে, কিছু স্মৃতি আছে। লন্ডনের ব্যাস্ত পথে হাঁটার সময় আমারো মাঝে মাঝে মনে পড়ে প্রায় তিন দশকের বেশি সময়ের আগের ঢাকার সি-এন-বি কোয়ার্টারের গোরস্তানের পাশের ছোট্ট এক বাসার কথা, ঢাকা শহরে ঘটঘট করে চলা সেই সময়ের পুরাতন ভক্স ওয়াগন গাড়িগুলো অথবা মুড়ির টিনের মত ছয় নাম্বার বাসের কথা, সেই শহরের রিকশার টুংটাং আর হকারের আওয়াজ, মাঠ পেরানো এক চিলতে শৈশব আর বৃষ্টিভেজা কিশোরবেলা, আমার অলস দুপুরের নিঃসঙ্গতা, তারাভরা আকাশের নীচে জোসনার তান্ডব অথবা নিজের কিছু একান্ত গোপন কথা।
সময়ের সাথে জীবনের অনেক কিছুই ঝাপসা হয়ে আসে, চলে যায় অনেক দূরে। জীবনের অন্য পথে অন্য কোনদিন হাঁটতে গিয়ে হয়ত একদিন আজকের কথাগুলোও এভাবেই মনে পড়বে।
---------------------------------------------------------------------------------
সমাপ্ত, তবে চাইলে হয়ত চলবে। যাপিত জীবনের কাহিনী পড়তে চাইলে নিচের লিংকগুলোতে ঢু মারতে পারেন।
এক ইন্দোনেশিয়ান মেয়ের সাথে পরিচয়ের কাহিনী
ইন্দোনেশিয়া সিরিজ - ১ঃ মেদানের পথে পথে
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:১৭
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা করব লেখার।
২|
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:২২
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ভালো লেখা।
আরকা আলারিক নামের অর্থ বলা যাবে কি !
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪৫
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: 'আরকা' নামের বাংলা অর্থ 'অর্ক' বা 'সূর্য'। ইন্দোনেশিয়ান ভাষাতে সেটা 'আরকা'। দুই ভাষার রুট সংস্কৃত হওয়াতে অনেক শব্দের ভিতর অদ্ভুদ মিল পাওয়া যায় যেটা ভাষা না বুঝলে মজাটা পাওয়া যায় না। যেমন 'শিশওয়া' মানে ইন্দোনেশিয়ায় 'ছাত্র' যেটা আসলে বাংলাতে 'শিষ্য'। আর 'আলারিক' নামের অর্থ হল 'সুশাসক'। এটা জার্মান শব্দ।
৩|
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:৩১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লেখক বলেছেন: জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমায় বুঝি দেশ-কাল-চেতনা আসলে খুব আপেক্ষিক। যেখানে যার আপনজন থাকে সেটাই তার দেশ।
সম্ভবত: এটাই সত্য। প্রথম দিকে দেশকে প্রচন্ড মিস করলেও ধীরে ধীরে তার তীব্রতা কমে আসে। এর একটি কারণ আমার কাছে মনে হয়, দেশে গিয়ে আপনজন, বন্ধুবান্ধবকে সেই আগের মতো সবসময় কাছে পাওয়া যায়না। সবাই প্রচন্ড ব্যস্ত আর তীব্র ট্রাফিক জ্যামের কারণে দেখাসাক্ষাতের মাত্রাও কমে আসছে।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪১
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: তীব্র সত্য কথা। তাছাড়া। যে দেশ, বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় ফেলে এসেছিলেন, ফেরত গিয়ে আর তাদের পাবেন না। আপনিও তাদের কাছে অনেক বদলে যাওয়া মানুষ। তার উপর দেশে অনেক খরচ। আমার কাছে মনে হয় বিদেশের চেয়েও।
৪|
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ৩:১৪
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। বুকের ভেতরটা কেন যেন হুহু করে উঠল। যে শহরে নিজের শিশুকাল, কৈশর কাটিয়ে এসেছি সেখানেই বহুবছর পর একবার ফিরলেও কেন যেন বারবার তাল কেটে যায়। মনে হয় কেউ নেই আমার ওখানে। আমি এক আগন্তুক মাত্র।
ভালবাসা আর শুভকামনা রইল আপনার সন্তানদের জন্য।
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ৩:২৬
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য
৫|
০৯ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:১৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চলতে থাকনা পড়তে তো ভালোই লাগছে।
০৯ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: ধন্যবাদ, চেষ্টা থাকবে।
৬|
০৯ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩০
হাসান রাজু বলেছেন: অনেক দিন ধরে আমার প্রথম স্কুলটা সেই মসজিদ, পুকুর, মাঠটা দেখতে মন চাইছে। ১৯৮৬ সালে সেই যে ফেলে এসেছি আর যাই নি।
এবার যাবো, এ মাসেই কোন এক শুক্রবার।
১০ ই মে, ২০২২ রাত ৩:০০
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: বলেন কি? কোথায় ছিলেন এতদিন? আর সেই স্কুলটাই বা কোথায়?
৭|
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: আলারিক ও আরকার জন্য শুভকামনা।
শিশুরা খুব নিবিড় ভাবে ওদের পৃথিবীটাকে আকড়ে ধরে বটে, কিন্তু ঠিকই আবার সময় হলে পুরাতন কে ভুলে গিয়ে নতুন জায়গাকে খুব দ্রুত নিজের করে নিতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে যা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
১০ ই মে, ২০২২ রাত ৩:০১
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮|
১০ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: যেখানে যার আপনজন থাকে সেটাই তার দেশ।
কথাটা খুবই সুন্দর বলেছেন।
১০ ই মে, ২০২২ রাত ৩:০১
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: কেমন আছেন রাজীব ভাই?
৯|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
হাসান রাজু বলেছেন: অবশেষে গেলাম সেই স্কুলে। বন্যার কারনে তখন যাওয়া হয়ে উঠেনি। বাবার চাকরির সুবাধে ৭ টা স্কুল নসিব হয়েছিল। সেই ১৯৮৬ সালে ছেড়ে আসা স্কুলে গেলাম ছুটির দিনে। দুই বন্ধুর নাম মনে ছিল। কিন্তু খোঁজে পাইনি। কিছুই যে মনে নেই।
স্কুল দুটো অনেক বদলে গেছে। নতুন বিল্ডিং হয়েছে, হচ্ছে। মক্তব, মসজিদটা আগেই সুন্দর ছিল। এখন আরও সুন্দর হয়েছে।
অবশেষে গেলাম সেই স্কুলে। বন্যার কারনে তখন যাওয়া হয়ে উঠেনি। বাবার চাকরির সুবাধে ৭ টা স্কুল নসিব হয়েছিল। সেই ১৯৮৬ সালে ছেড়ে আসা স্কুলে গেলাম ছুটির দিনে। দুই বন্ধুর নাম মনে ছিল। কিন্তু খোঁজে পাইনি। কিছুই যে মনে নেই।
স্কুল দুটো অনেক বদলে গেছে। নতুন বিল্ডিং হয়েছে, হচ্ছে। মক্তব, মসজিদটা আগেই সুন্দর ছিল। এখন আরও সুন্দর হয়েছে।
চারপাশের সব বদলে গেছে। আমিও।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৮
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: অনেক সুন্দর স্মৃতি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০২২ রাত ১:১০
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: যে যার যতো আপননজন থাকে সেটাই তার দেশ । সুন্দর বলেছেন । চলুক না । ভালোই তো লাগলো পড়তে।